সারাদেশ
কিশোরগঞ্জে হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বড় আজলদী খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে আকর্ষণীয় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা।
শনিবার(১৩ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় পাকুন্দিয়া উপজেলার বড় আজলদী খোলা মাঠে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করে চন্ডিপাশা ইউনিয়ন পরিষদ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ২ দিনব্যাপী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা শুরু
জেলা ও জেলার বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৫০টি ঘোড়া নিয়ে ঘোড়দৌড়ে অংশগ্রহণ করেন শৌখিন ঘোড়াপ্রেমীরা।
এছাড়া বিভিন্ন বয়সী হাজার হাজার নারী-পুরুষ উপভোগ করেন ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা।
বড় ঘোড়দৌড়ে প্রথম হয়- শাহাবুদ্দিনের ‘সবুজ বাংলা’ নামের ঘোড়া। মাঝারি ঘোড়দৌড়ে প্রথম হয়- রাসেল মিয়ার ঘোড়া এবং ছোটদের মধ্যে প্রথম হয়- আবদুল বাতেনের ঘোড়া।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
বিজয়ী প্রতিটি ক্যাটাগরির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান লাভ করা ঘোড়ার মালিকদেরপুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় ফ্রিজ, এলইডি টিভি, খাসি ও মুঠোফোন।
প্রতিযোগিতা শেষে বিকালে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চণ্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামছু উদ্দিন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুখিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
ভরা মৌসুমেও শরীয়তপুরে অস্বাভাবিক সবজির দাম
শরীয়তপুরে সবজির বাজারে ব্যবসায়ীরা একেক দোহাই দিয়ে রীতিমতো লুটপাট করছে। কাটছে ভোক্তার পকেট। অস্বাভাবিক বেশি দামে বিক্রি করছে সবজি।
বাজারে এখন অধিকাংশ সবজির কেজি ১০০ টাকার উপরে। শীতের ভরা মৌসুমেও গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা বাজারগুলোতে প্রায় সব সবজির দাম বেড়েছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) শরীয়তপুরে সবজির বাজারে একটি লাউয়ের দাম উঠেছে ১২০ টাকা। যা তিন বা চার সদস্যের পরিবারে এক দিন হবে না।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে সরবরাহ কমে যাওয়ায় ঢাকায় সবজির দাম বেড়েছে
এক কেজি বেগুনের দাম ১০০। শিমের কেজি এখনও ১২০ টাকা। এছাড়া একটি ফুলকপি ৬০ ও বাঁধাকপিও ৫০ টাকার কমে মিলছে না।
শীতের ভরা মৌসুমেও গত দুয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা বাজারগুলোতে প্রায় সব সবজির দাম বেড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ভোক্তারা। যদিও বছরের এই সময়ে সবজির দাম কম থাকার কথা, তবে এবারের চিত্র ভিন্ন।
শনিবার শরীয়তপুরের ডোমসার বাজার, শৌলপাড়া, লাউখোলাসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৭০-১০০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০ টাকা, করলা ধরন ভেদে ৮০-১২০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা ও পেঁয়াজ (দেশি) মান ভেদে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সবজিবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় ২ জন নিহত
বাজারগুলোতে ফুলকপি পিসপ্রতি ৪০-৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা ও আকার ভেদে লাউ প্রতি পিস ৭০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে।
সপ্তাহ দুয়েকের ব্যবধানে এসব সবজির দাম কেজিতে অন্তত ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ডোমসার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী রহিম মাদবর বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার সবজির দাম দুই থেকে তিন গুণ বেশি।
তিনি বলেন, গত বছর এই সময়ে ২০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হলেও এখন ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ৫ টাকায় ব্যাগ ভর্তি সবজির বাজার চালু
লাউখোলা বাজারের ব্যবসায়ী আব্বাস বলেন, সবজির মৌসুমেও সবজির দাম বেশি। তবে ক্রয় যেমন বিক্রি তেমন।
তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় সবজি চাষ হওয়ার কারণে আমরা তাজা শাক-সবজি খেতে পারি। তবে এই সবজির মৌসুমে টমেটো, মূলা, লাউসহ অন্যান্য সবজির দাম থাকে একেবারেই কম। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন।
ডোমসার বাজারে কথা হয় এক মুদি দোকানির সঙ্গে।
তিনি বলেন, গত বছর এই সময়ে ১০০ টাকায় পাঁচ কেজি আলু, ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ ও ১৫০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি কিনেছিলাম। কিন্তু এই বছর দাম দ্বিগুণ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরের বিরামপুরে সবজি ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
লাউখোলা বাজারে আকবর হোসেন বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় তিনি সবজি কেনা কমাতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি জানান, আমাদের এলাকায় এত সবজির চাষ হয়, তবুও এত দাম কেন জানি না। ৫০০ টাকা নিয়ে বাজারে আসলে সবজি কিনলে মাছ-মাংস কেনার টাকা আর থাকে না।
বগুড়ায় হাত-মুখ বেঁধে ইজিবাইক ছিনতাই, চালককে জলাশয়ে নিক্ষেপ
বগুড়ার নন্দীগ্রামে হাত-মুখ বেঁধে চালককে জলাশয়ে ফেলে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়েছে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ করেছেন ইজি বাইকচালক সেলিম হোসেন।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৬টার দিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের নন্দীগ্রাম উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন এলাকায় এ ছিনতাই হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়িতে হামলা, আহত ৪
চালক সেলিম হোসেন (৪২) নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কাথম গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।
অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার ভোরে প্রতিদিনের মতো সেলিম হোসেন বাড়ি থেকে ব্যাটারিচালিত তিন চাকার ইজিবাইক নিয়ে নন্দীগ্রামের উদ্দেশে বের হন।
আরও পড়ুন: বাকৃবি অধ্যাপক আব্দুল কাফির মৃত্যু, বগুড়ায় দাফন
পথিমধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন এলাকায় পৌঁছিলে হঠাৎ পেছন থেকে অজ্ঞাতনামা একটি প্রাইভেটকার ইজিবাইকের সামনে এসে দাঁড়ায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই প্রাইভেটকার থেকে চারজন নেমে ইজিবাইকের চালক সেলিমের হাত-মুখ বেঁধে গাড়িতে তোলে।
এরমধ্যে একজন সেলিমের ইজিবাইক ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। গাড়িতে থাকা অন্য তিনজন সেলিমকে হাত, মুখ ও চোখ বাঁধা অবস্থায় কুন্দারহাট-রুপিহার বাজারের মাঝামাঝি সড়কের জলাশয়ে ফেলে দিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বগুড়ার মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে পিকআপে আগুন
পরে স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে চালক সেলিম হোসেনকে উদ্ধার করে।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমগীর হোসেন বলেন, অভিযুক্তদের আটক ও ছিনতাই হওয়া ইজিবাইক উদ্ধারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
নান্দাইলে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় এএসআই নিহত
ময়মনসিংহের নান্দাইলে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে কানুরামপুর-ত্রিশাল সড়কের উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের বাহাদুরনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নূর আহম্মেদ মদন উপজেলার কুলিয়াটি গ্রামের মো. হাফিজুর রহমানের ছেলে। তিনি নান্দাইল মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ জানান, এএসআই নূর আহম্মেদ উপজেলার বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের পুলিশ বিটের দায়িত্বে ছিলেন। মামলার তদন্ত শেষে ফেরার পথে শনিবার দুপুরে কানুরামপুর-ত্রিশাল সড়কের বাহাদুরনগর এলাকায় মাইক্রোবাসের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই নূর আহম্মেদ নিহত হন। মাইক্রোবাসটি সড়কের পাশের খেতে পড়ে যায়।
খবর পেয়ে নান্দাইল মডেল থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ২০২১ সালের ২৬ মার্চ নান্দাইল মডেল থানায় যোগদান করেছিলেন এএসআই নূর আহম্মেদ।
ওসি আরও জানান, পুলিশ মাইক্রোবাসটি জব্দ করেছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বাসচাপায় নিহত ৩
শরীয়তপুরে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা!
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় নাওডোবা ইউনিয়নে দাউদ খান নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানাধীন পশ্চিম নাওডোবা এলাকার মেছের মুন্সী কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নিহত দাউদ খান মেছের মুন্সী কান্দি গ্রামের মৃত ইসমাইল খানের ছেলে।
পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানা পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের পার্শ্ববর্তী মৃত নুরুল ইসলাম মাতবরের ছেলে মোজাম্মেল মাতবরের পরিবারের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধ ছিল দাউদ খানের পরিবারের।
যার ফলে স্থানীয়রা সন্দেহ করে মোজাম্মেল মাতবরকে অভিযুক্ত হিসেবে আটক করে পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। লাশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা
নাওডোবা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, রাতের আঁধারে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। বিষয়টি সকালে শুনেছি।
পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, সকালে খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন আলামতসহ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ২ ভাই আটক
তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি স্থানীয়দের হাত থেকে মোজাম্মেল মাতবরকে উদ্ধার করে আমাদের হেফাজতে নিয়েছি।
ওসি বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্ত্রী ও ২ সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
শীতে সীমাহীন কষ্টে লালমনিরহাটের মানুষ, দেখা নেই সূর্যের
লালমনিরহাটে কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় দেখা মিলছে না সূর্যের।
কনকনে ঠান্ডা আর সঙ্গে হিমেল বাতাসের দাপটে উত্তরের সীমান্তবর্তী লালমনিরহাটের জনজীবন বিপর্যস্ত। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম।
নিদারুণ কষ্টে রয়েছেন তিস্তা ও ধরলা নদী তীরবর্তী, চরাঞ্চল ও খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। উত্তরের এ জেলা হিমালয় পর্বতের কাছে হওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বিপর্যস্ত খুলনাঞ্চলের জনজীবন
সন্ধ্যায় পর থেকেই বৃষ্টি মতো টপ টপ করে কুয়াশা পড়ছে। দুপুর হলেও বইছে হিমেল হাওয়া। ফলে ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্রদের সীমাহীন কষ্টে দিন কাটছে।
এদিকে শিশু ও বৃদ্ধদের ঠান্ডাজনিত রোগ সর্দি, কাশি ও হাঁপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। শ্রমজীবীরা কাজে যোগ না দিতে পারায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
জেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, চরাঞ্চলসহ নদী তীরবর্তী এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে কনকনে শৈত্যপ্রবাহ, একই সঙ্গে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উত্তর জনপদ।
আরও পড়ুন: ঠান্ডা-শীতে কাবু চাঁদপুর, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ
ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলোকে দুপুর পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। হিমেল হাওয়া, তীব্র শীত আর এক টানা ঘন কুয়াশার কারণে সাধারণ মানুষের জীবন যাপন একরকম অচল হয়ে পড়েছে।
লালমনিরহাটের তিস্তার চর কাশিয়াবাড়ী এলাকার জামাল উদ্দিন জানান, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, প্রতিদিন কাজ না করলে আমাদের সংসার চলে না। গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস হচ্ছে। এর আগে কয়েকদিন ঠান্ডা একটু কম ছিল আমরা কাজে যেতে পেরেছি। তবে গত মঙ্গলবার থেকে প্রচুর বাতাস আর কুয়াশা পড়ছে। তাই আমরা কাজে যোগ দিতে পারছি না।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে জেঁকে বসছে শীত, দুর্ভোগে পদ্মা পাড়ের মানুষ
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শুক্রবার সকাল ৮টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় জানান, ঘন কুয়াশা তীব্র শীতের কারণে কয়েকদিন ধরে হাসপাতালগুলোতে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগী সংখ্যা বেড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে জেকে বসেছে শীত, বিক্রি বেড়েছে হকার্স মার্কেটে
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে। আগামী দিনগুলোতে আমরা আরও শীতবস্ত্র বিতরণ করব।
বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
বরিশালে হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। শনিবার বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
তীব্র শীতে বিশেষ করে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে।
আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কমে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
এদিকে বরিশালে শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গত কয়েক দিন ধরে ধারণ ক্ষমতার ৭ থেকে ১০ গুণ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।
পাশাপাশি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে বয়স্ক রোগীর সংখ্যাও। শয্যা সংকট থাকায় তাদের মেঝেতে শুইয়ে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সেবা দেওয়া হচ্ছে। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
এমন বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সব চেয়ে বেশি বিপাকে পরেছেন শ্রমজীবীসহ ছিন্নমূলরা। বিকাল পর্যন্ত সূর্যের দেখা না পাওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হয়নি। ফলে অন্যান্য দিনের তুলনায় দোকানপাট কম খুলেছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৮ ডিগ্রি
স্বাভাবিকভাবে জনসাধারণের উপস্থিতিও ছিল সীমিত। এদিকে শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে শেবাচিম হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার ধারণ ক্ষমতার সাত গুণ বেশি শিশু চিকিৎসাধীন ছিল। এরপর শুক্র ও শনিবারও বেড়েছে শিশু ওয়ার্ডের রোগীর সংখ্যা। এর বাইরে বহির্বিভাগেও প্রতিদিন সেবা নিচ্ছেন দুই থেকে তিন শতাধিক শিশু।
বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ এলাকার নদী তীরের বাসিন্দা রিপন বলেন, নদী তীর এলাকায় কুয়াশার পাশাপাশি ঠান্ডা বাতাস বইছে। এ কারণে ঘরের মধ্যে টিকে থাকা দায় হয়ে গিয়েছে। আগুন বা রুম হিটার ছাড়া নদী তীরের ঘরে থাকা যায় না। আমরা এ শীতে খুবই বিপদে রয়েছি।
পথশিশু ইয়াসিন জানায়, দিনরাত তীব্র শীতের মধ্যে টার্মিনালেই থাকতে হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে খুবই শীত পড়ছে। এ শীতের মধ্যে কাজ বাদ দিয়ে সারাদিন আগুনের পাশে বসে থাকতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা ও কিশোরগঞ্জের নিকলীতে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
নগরীর লঞ্চটার্মিনালের শ্রমিক আবদুর রহমান বলেন, তীব্র শীত আর বাতাসে টিকে থাকাই দায়। সংসার চালানোর তাগিদে বাইরে বের হয়েছি। তা না হলে ঘর থেকেই বের হতাম না।
রিকশাচালক লোকমান মিয়া বলেন, ঠান্ডা বাতাসের মধ্যেও রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। শীতের কারণে রাস্তায় লোকজন কম থাকায় আয়ও অনেক কমেছে।
গৌরনদীর মাজেদা বেগম বলেন, জ্বর-সর্দিতে আমার ছেলে আক্রান্ত হওয়ায় শেবাচিমে ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু এখানে এসেও সেবা পাইনি।
আরও পড়ুন: ২ দিন পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থান সংকটের কারণে শয্যা কম। তাই বাধ্য হয়ে শিশুদের মেঝেতে বিছানা দিয়ে সেবা দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ওয়ার্ডে ধারণ ক্ষমতার অধিক রোগী থাকার পাশাপাশি রোগীর স্বজনরাও প্রতিনিয়ত মেঝে নোংরা করে। তারপরও সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করছি আমরা।
এসময় শিশুদের সুস্থ রাখতে গরম কাপড়ে শিশুদের আবৃত রাখাসহ অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, একই সঙ্গে সকালে ২ নটিক্যাল মাইল বেগে বাতাস বয়ে গেছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ অনুভব হয়।
তিনি আরও জানান, এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে না গেলেও শৈত্যপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে। এমন শীত আগামী তিন থেকে চার দিন অব্যাহত থাকবে। তারপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। বরিশালে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে রেড অ্যালার্ট জারি
নন্দীগ্রামে ‘চিরকুট’ লিখে মিটার চুরি, মূলহোতা গ্রেপ্তার
বগুড়ার নন্দীগ্রামে ‘চিরকুট’ লিখে মিটার চুরি চক্রের মূলহোতা আক্কাস আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আক্কাস আলী কাহালু উপজেলার মৃত আজিম উদ্দিন শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ
নন্দীগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান বলেন, ফসলের মাঠে গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে একটি মোবাইল নম্বর লিখে চিরকুট ফেলে আসে সংঘবদ্ধ চক্র।
তিনি আরও বলেন, যোগাযোগ করলে মিটার ফেরত দেওয়ার শর্তে টাকা চাওয়া হয়। বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর পরপরই মিটার কোথায় আছে বলে দেন তারা।
আরও পড়ুন: চমেকে চুরি যাওয়া নবজাতক ফেনী থেকে উদ্ধার, আটক ২
এসআই বলেন, মিটার চুরির পর কথা বলা এবং আর্থিক লেনদেন করা মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) আদালতে হাজির করা হলে চুরির বিষয়টি স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক ফেনী থেকে উদ্ধার, ২ নারী আটক
শনিবার নন্দীগ্রাম থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, সম্প্রতি নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের চামটা মৌজার পুনাইল পূর্বমাঠে অবস্থিত বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম আলী মণ্ডলের গভীর নলকূপের মিটার ও ইউসুফ আলী কাজীর মিটার চুরি হয়।
সংঘবদ্ধ চক্র নলকূপের দরজার সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিখে চিরকুট রেখে যায়। ওই নম্বরে যোগাযোগের পর নগদের মাধ্যমে সাত হাজার টাকা পাঠানোর পর চুরি যাওয়া বৈদ্যুতিক মিটার সরিষা খেতে লুকানো আছে বলে জানায় চক্রের সদস্য।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম-রংপুর রেললাইন থেকে বোল্ট চুরি
সেখানে দুটি মিটার পাওয়া যায়। এই ঘটনায় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম আলী থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার সূত্র ধরে পুলিশ আক্কাস আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা আরও বলেন, ‘আপনার মিটার চুরি হয়েছে, মিটার পেতে কল করুন’ এমন বার্তাসহ চিরকুট ফেলে যাওয়ার ঘটনা এ উপজেলায় বেশ আলোচিত।
আরও পড়ুন: চমেকে দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মারামারি, ১ জনের মৃত্যু
বস্তিতে আগুন: ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় মোল্লাবাড়ি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এর মধ্যে যারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, তাদের ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি`র মার্কেটের অবৈধ দোকানদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ডিএনসিসি মেয়র
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তেজগাঁও মোল্লাবাড়ি বস্তি পরিদর্শনে এসে এই ঘোষণা দেন মেয়র।
এ সময় ডিএনসিসি মেয়র ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সহযোগিতায় পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র বলেন, এটি একটি বেসরকারি মালিকানাধীন বস্তি। এখানে নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাস। সরেজমিনে এসে দেখলাম প্রায় সব ঘর অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে। এই তীব্র শীতে যেন তাদের কষ্ট না হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত কম্বল সরবরাহ করা হবে। ইতোমধ্যে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে শুকনা খাবার ও কম্বলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দৃষ্টিনন্দন স্ট্রিট আর্টে পোস্টার লাগালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিএনসিসি মেয়রের
মেয়র আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। আমি নিশ্চিত করছি হতাহতরা সুচিকিৎসা পাবেন এবং ক্ষতিগ্রস্তরা দ্রুত পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার আওতায় আসবেন।
এ সময় মেয়র স্থানীয় কাউন্সিলর এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বস্তিতে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের
তিনি বলেন, সাততলা বস্তি এলাকায় আমরা ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করেছি। বস্তিবাসীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সব বস্তি, মার্কেট ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে যেন অগ্নিকাণ্ড হলে প্রাথমিকভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে। কারণ ফায়ার সার্ভিস আসতেও বেশ কিছু সময় লাগে। প্রশিক্ষণ জানা থাকলে ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব।
আরও পড়ুন: শহর গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
সিরাজগঞ্জে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় ফাতেমা বেগম নামে (৬৮) এক নারীকে পিটিয়ে আহত করার পাঁচ দিন পর তার মৃত্যু হয়েছে।
পারিবারিক কলহের জের ধরে ফাতেমার ভাতিজা ও নাতিরা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নিহত ফাতেমা বেগম উপজেলার বড়ভাটরা গ্রামের মৃত হাসমত আলীর স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার দুপুরে ফাতেমার ছেলের বউ রেশমার সঙ্গে ভাতিজা নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ মীমের ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ফাতেমার ভাতিজা নজরুল ইসলাম, নজরুলের ছেলে আরিফ, আরেক ভাতিজা আলমাছ আলী ও আলমাছ আলীর দুই ছেলে বাদশা ও ইমন মিলে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা ও মারধর শুরু করে।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
তারা নিহতের দুই পুত্রবধূ রেশমা ও মেহেরজানকে মারধর করার পর ঘরের ভেতরে গিয়ে ফাতেমাকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন।
তাকে ওইদিন সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হলে বুধবার তাকে বাড়িতে আনা হয়।
আরও পড়ুন: বাঘায় স্ত্রীর ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
শুক্রবার সকালে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে শনিবার সকালে ওই হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বাড়িতে প্রবেশের পথ নিয়ে বিরোধের জেরে নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আহত ৫
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে জহির উদ্দিন বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।