সারাদেশ
নারায়ণগঞ্জে রাসায়নিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, দগ্ধ ৮
জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ গোলাকান্দইলে বুধবার ভোর রাতে একটি রাসায়নিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘুমন্ত অবস্থায় আটজন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন জানান, ভোর রাত ৩টার দিকে লিলি কেমিক্যাল কারখানায় আগুন লাগে এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ভোর ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
দগ্ধরা হলেন-বায়েজিদ, রোকন, খাদেমুল, সজীব, রিপন, মেহেদী, রাসেল ও আকালুর। তাদের ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
আরেফিন বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ধারণা করছেন। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলছে।
পড়ুন: রাজধানীর খিলগাঁও ও পোস্তগোলায় অগ্নিকাণ্ড
সদরঘাটে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
নেত্রকোণায় রেস্তোরাঁয় শিশু কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ১
নেত্রকোণায় একটি রেস্তোরাঁয় এক শিশু কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে অপর এক শিশু কর্মচারীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে জেলা শহরের বড় বাজার এলাকায় সালতি নামক রেস্তোরাঁয় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু ইসমাইল (১৪) সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের ছোটগাড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে।
এ ঘটনায় আল মামুন নামে অপর এক কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাবেক স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা, স্ত্রী ও তার বর্তমান স্বামী আটক
রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা জানায়, আবদুল বারেকের স্ত্রী কনা ও ছেলে ইসমাইল সালতি দীর্ঘদিন ধরে রেস্তোরাঁয় কাজ করেন। মঙ্গলবার কাজ শেষে মা বাড়ি চলে যান। ছেলে ইসমাইল কাজ শেষে হোটেলেই থেকে যায়। রাত আনুমানিক পৌনে ৯টার দিকে ওই হোটেলের কর্মচারী আল মামুনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইসমাইলকে মারপিট করে ও লাথি মেরে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেয় আল মামুন। এতে ইসমাইল অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত সোহেল রানা জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে যুবককে ৪ দফা পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
খুলনায় ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত
ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের লাইন সম্পাদক আল আমিনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে খুলনায় শ্রমিকদের কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাত পৌনে ১০টার দিকে খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মোকসেদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা তিনটি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করে শ্রমিকরা।
খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মোকসেদ আলী বলেন, রাতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ ও ট্যাংকলরি নেতাদের বৈঠকে শ্রমিক নেতা আল আমিনের ওপর হামলাকরীদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাসে দিলে কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়। তবে আমরা আগামী শনিবারের পর্যন্ত গ্রেপ্তারের সময় দিয়েছি। অন্যথায় রবিবার থেকে আবারও কর্মসূচি পালন করা হবে।
এই শ্রমিক নেতা জানান, সোমবার দুপুরে কাশিপুর বাংলার মোড়ে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আল আমিনকে গুরুতর জখম করে। তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিকরা যে যেখানে ছিল সেখানে গাড়ি রেখে প্রতিবাদ শুরু করেন। নগরীর নতুন রাস্তা মোড়ে দুপুর ১টা থেকে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। প্রশাসনের আশ্বাসে বিকাল ৪টায় সড়ক অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
এদিকে এ ঘটনায় আল আমিনের ভাই জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখসহ ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
পড়ুন: খুলনায় ট্যাংকলরি শ্রমিকদের কর্ম বিরতি, ১৫ জেলায় তেল সরবরাহ বন্ধ
ঠাকুরগাঁওয়ে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে পীরগঞ্জ- রাণীশংকৈল সড়কের গড়গাঁও এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আরিফুর রহমান (২৪) হরিপুর উপজেলার রনহট্ট গ্রামের মৃত আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আরিফ মোটরসাইকেল নিয়ে পীরগঞ্জ থেকে হরিপুর যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে গড়গাঁও এলাকায় বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আরিফ গুরুতর আহত হন। তাকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
মানিকগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে ছেলের বিয়ে, সেই শিক্ষিকা সাময়িক বরখাস্ত
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহারকে অবশেষে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশে সই করেন নিয়োগকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিজ ছেলের সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ের বিষয়টি গণমাধ্যম থেকে আমার নজরে আসে। এরপর সোমবার সকালে সরজমিনে একজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে সরজমিনে পাঠানো হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে শিক্ষিকা বেগম শামসুন্নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে ২৮ মার্চ বার্তা সংস্থা ইউএনবিসহ গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘গণমাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার সকালে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার সরজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতার জন্য ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পরে ওই শিক্ষিকা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। এরপর আমি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নিয়োগকারী কর্মকর্তা জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়ে পত্র দিয়েছিলাম। মঙ্গলবার তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটশলুয়া গ্রামের বিলপাড়ার দিনমুজুর অসোক আলীর মেয়ে (১১) বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহার তার ছেলে যদুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র আব্দুর রহমানের বিয়ে দেন । প্রথম কয়েকদিন বিষয়টি গোপন থাকলেও নব বিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে ঘটা করে শশুর বাড়ী ছোটশলুয়া গ্রামে বেড়াতে আসলে তা জানাজানি হয়ে যায়। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা সমালোচনা শুরু হয়।
পড়ুন: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিলেন স্কুলশিক্ষিকা
পাঠ্যক্রমে বাল্যবিয়ের কুফল অন্তর্ভূক্ত করা হবে
ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে আরও ১ হাজার ৯৬ রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ১৩তম দফায় আরও ১ হাজার ৯৬ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসানচরের পথে রওনা হয়েছে।
টেকনাফের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ২০টি বাসে তারা চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন। চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে তাদের ভাসানচর আশ্রয় প্রকল্পে নেয়া হবে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, ‘এবার ১ হাজার ৯৬ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে রাজি হয়েছে। তারা চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার দুপুরে তারা ভাসানচর পৌঁছানোর কথা। আরও কিছু রোহিঙ্গা ভাসানচর যাওয়ার জন্য রাজি হয়েছেন। তাদের পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
এর আগে ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু হয়।
১২তম দফায় ২৪ হাজার ৫৭৮ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গত বছরের ৯ অক্টোবর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার সমঝোতা চুক্তিতে সই করে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)।
পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ইউএনএইচসিআর ও মানবিক সংস্থাগুলোর আহ্বান
টেকনাফে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, ২ রোহিঙ্গা আটক
বগুড়ায় কাভার্ডভ্যান চাপায় কারারক্ষী নিহত
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় কাভার্ডভ্যানের চাপায় এক কারারক্ষী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর যমুনাপাড়া নামক স্থানে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাশেদুল ইসলাম (৩৮) উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর বিডিআর পাড়া গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে কমর্রত ছিলেন।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আনাম জানান, রাশেদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের কর্মস্থল থেকে একদিনের ছুটিতে শেরপুরে নিজ বাড়িতে আসেন। মঙ্গলবার সকালে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে উপজেলার কৃষ্ণপুর যমুনাপাড়া পৌঁছালে ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যান পেছন থেকে মোটরসাইকেলসহ রাশেদুলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া দুর্ঘটনার পরপরই চালক-হেলপার পালিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে।
পড়ুন: মানিকগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু
খুলনায় মাহেন্দ্রচালক হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
খুলনায় মাহেন্দ্রচালক শেখ ওহিদুর রহমান রিপন হত্যা মামলায় চার জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কিশোরগঞ্জের ইব্রাহিম খলিলুল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ নুর ইসলাম, একই এলাকার হরিদাসের ছেলে জনি দাস, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার আব্দুর রউফ সিকদারের ছেলে মো. রনি শিকদার ও বটিয়াঘাটা উপজেলা আইয়ুব আলী মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ মাসুদ রানা মোল্লা। বর্তমানে তারা সবাই পলাতক রযেছেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নিহত মাহেন্দ্রচালক শেখ ওহিদুর রহমান রিপন সাতক্ষীরার লাবশা এলাকার শেখ তৌহিদুর রহমানের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ জানান, ২০১৬ সালে ১১ জানুয়ারি সকালে গাড়ি চালানোর উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন রিপন। রাতে বাড়ি ফিরে না এলে পরিবারের লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরদিন তার ছোট ভাই জানতে পারেন লবণচরায় জমিতে এক জনের লাশ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে তিনি খুলনায় গিয়ে ওহিদুর রহমানের লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি থেকে মাহেন্দ্রসহ চার জনকে আটক করা হয়। পরে নিহত ওহিদুরের ভাই লবণচরা থানায় চার জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড
আদালত সূত্র জানায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মাহেন্দ্র ছিনতাইয়ের লক্ষ্যে খুলনায় আসার জন্য ৭০০ টাকা ভাড়ার চুক্তিতে রওনা হন। রাত ৯টার দিকে লবণচরা থানাধীন ডা. দিপু সাহেবের জমির কাছে পৌঁছলে আসামি মাসুদ ও রনি রশি দিয়ে ড্রাইভারের শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন। শ্বাসরোধে তার মৃত্যু না হলে নূর ইসলাম রিপনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। মৃত্যু নিশ্চিত করে তাকে ফেলে আসামিরা মাহেন্দ্র নিয়ে পালিয়ে যান। পরে গোপালগঞ্জ এলাকার কাশিয়ানি পুলিশের চেকপোস্টে গিয়ে তারা ধরা পড়েন। এক পর্যায়ে তারা হত্যাকাণ্ডের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে, ছুরিকাঘাতে বন্ধুকে হত্যা
বাগেরহাটের মোংলায় স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করায় ছুরিকাঘাতে বন্ধুকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে মোংলা পৌর শহরের ছাড়াবাড়ি এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মো. শাহিন (২৮) মোংলা উপজেলার ছাড়াবাড়ি এলাকার মো. একরামুল হকের ছেলে ও পেশায় মার্চেন্ট শ্রমিক।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ছাত্রলীগ নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, শাহিন ও মারুফ দুজনে মোংলার ছাড়াবাড়ি এলাকায় বসবাস করে আসছে। তাদের দুজনেই দীর্ঘদিনের বন্ধু। মারুফ প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে করে এবং তার আট বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বন্ধুত্বের সূত্রে মারুফের বাড়িতে শাহিনের আসা-যাওয়া ছিল। এক পর্যায়ে শাহিনের সঙ্গে মারুফের স্ত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
আরও পড়ুন: যশোরে তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
ওসি জানান, প্রায় এক বছর আগে শাহিন মারুফের স্ত্রীকে ভাগিয়ে এনে বিয়ে করে। এরপর দুজনের মধ্যে শত্রুতা তৈরি হয়। এর জের ধরে বন্ধুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন দখলে নিতে সংঘর্ষের ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারত বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার একদিন পর বন্দরে পণ্য লোড-আনলোড ও আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।
বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক নেতারা ও বহিরাগত একটি দল সোমবার সকালে বন্দর এলাকায় শতাধিক শক্তিশালী হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনার পর বন্দরে আমদানি রপ্তানি ও লোড-আনলোড বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: শ্রমিককে মারধর, বেনাপোল বন্দরে লোড-আনলোড বন্ধ
এবিষয়ে ৯২৫ শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক অহিদুজ্জামান অহিদ জানান, বর্তমানে শ্রমিকরা বন্দরে শান্তির সঙ্গে কাজ চলছে কিন্তু একটি পক্ষ তা ভালোভাবে না নিয়ে ষড়যন্ত্র করে বন্দরের সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছে। এ ঘটনায় সোমবার বন্দরে লোড-আনলোড ও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে শ্রমিকরা পুরোদমে কাজ শুরু করেছে।
এব্যাপারে বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, সোমবার বন্দরের দখলকে কেন্দ্র করে বন্দরে দুটি শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বন্দরে লোড-আনলোড ও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকে। মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দু’দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, সোমবার বন্দরে বোমাবর্ষণের ঘটনায় থানায় ৩৬ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে এবং ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি গতরাতে বন্দর এলাকা থেকে একটি প্রাইভেটকারসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি ও ৪টি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার বেলা ১১টার দিকে বেনাপোল বন্দরের শ্রমিক ইউনিয়ন দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও বোমাবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ সময় দূর্বৃত্তরা প্রায় শতাধিক বোমাবর্ষণ করে। এতে পুলিশসহ সাত জন শ্রমিক আহত হন।