বাংলাদেশ
পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে বাসশ্রমিকরা
সুনামগঞ্জে কর্মবিরতি শুরু করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার বাস টার্মিনাল সংস্কার ও পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে রাত থেকে সকল ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা করেছে সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন।
এ কারণে সুনামগঞ্জ থেকে দূরপাল্লার বাসসহ কোনো বাস চলছে না। ফলে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি স্থগিত
সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, বাস কাউন্টারগুলো বন্ধ। দুই একটি বাস ছাড়া সব বাস সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যাত্রীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাওয়ার জন্য এসে বাস বন্ধ দেখে বেকায়দায় পড়েছেন। অনেকেই টিকিট নিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু কাউন্টারে আসার পর টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। কেউ কেউ চেষ্টা করছেন সিলেটে যাওয়ার। কিন্তু তাও পারছেন না।
জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেজাউল কবির বলেন, আমাদের কোনো বাসস্ট্যান্ড নেই। এছাড়া বাস রাখার পর্যাপ্ত কোনো জায়গা নেই। তাই বাস সড়কে রাখতে হয়। সড়ক ছাড়া আর কোনো জায়গা নেই, যেখানে বাস রাখা যাবে। যার জন্য আমাদের বাস আটক করেছে পুলিশ। এমনকি শ্রমিকদের হয়রানিও করেছে পুলিশ। এর প্রতিবাদে আমরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি।
পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে সৃষ্ট যানজট থেকে সড়ক মুক্ত রাখতে এবং বাসের বৈধ কাগজপত্র না দেখাতে পাড়ায় বাস আটক করা হয়েছে। অবৈধ পার্কিং এবং বৈধ কাগজ না থাকায়
শ্যামলী, মামুন, সাকিল পরিবহনের তিনটি বাস আটক আছে বলেও জানানো হয়।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ বলেন, সড়কের দুই পাশে বাস রাখায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি, যানজট হচ্ছে। জেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির প্রতিটি সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। অনেকেই এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন। এ অবস্থায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনটি বাস পুলিশ লাইনসে এনে রাখা হয়েছে। এ কারণে কর্মবিরতি ডেকে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলা যুক্তিযুক্ত হবে না।
তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোগান্তি যাতে না হয়, এ জন্য বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: ফের ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
ঠাকুরগাঁওয়ে নবান্ন: বাঙালির জীবনের সচ্ছলতার উৎসব
আবহমানকাল থেকেই প্রকৃতির প্রাণধারা বহমান রেখেছে বাঙালির জীবনধারাকে। তাই প্রকৃতির উদার আনুকূল্যে সে যেমন বাঁচে, তেমনি এর রুদ্ররোষেও হয়ে পড়ে বিপন্ন। প্রকৃতি তাকে অপার দাক্ষিণ্যে পূর্ণ করে, আবার আঘাতে আঘাতে করে নিঃস্ব-সর্বশান্ত। তারপরেও মনে হয়, বাঙালির স্বপ্ন-প্রেম, তার বাঁচার ইচ্ছা, তার জীবনধারণ ও জীবনযাপনের সবকিছুই ওই প্রকৃতির দানে প্রাপ্ত। প্রকৃতি ঘনিষ্ঠ যে জীবন ও জীবনের কলরব, তাতেই বাঙালির উৎসব।
অন্যভাবে বলা যায়, প্রকৃতির উৎসবই বাঙালির উৎসব। ঋতুর আনুকুল্যে তার আশ্চর্য প্রণোদনায় এই উৎসব বর্ধিত ও পল্লবিত হয়। প্রকৃতির পালাবদলে তার ষড়ঋতুর বৈচিত্র্যে চারদিক অপরূপ হয়ে ওঠে। ঋতুভিত্তিক কিংবা প্রকৃতিকেন্দ্রিক উৎসব পার্বনগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ‘নবান্ন’।
আর এই নবান্ন হলো হেমন্তের উৎসব। তাই সমৃদ্ধির ঋতু হেমন্ত যখন আসে বাংলায়, তখন তা নিয়ে আসে ফসলের প্রাচুর্য। গ্রাম বাংলার কুটির থেকে প্রান্তর, পাকা ধানের গন্ধে আমোদিত হয়ে ওঠে। ফসল তোলার আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠে সকলে। হেমন্তে আয়োজন করা হয় প্রাণের উৎসব, জীবনের সচ্ছলতার উৎসব ‘নবান্ন’।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে নবান্ন উৎসব শুরু
হাজিগঞ্জে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আটক
হাজিগঞ্জে পুলিশের ওপর যুবদলের হামলার অভিযোগে অন্তত ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এদেরকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার মামলায় অভিযুক্ত থাকার অভিযোগে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ খবর নিশ্চিত করেন হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়ের সৈয়দ।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বিএনপি’র সঙ্গে সংঘর্ষে ৬ পুলিশসহ আহত ২১, আটক ১৬
তিনি বলেন, ২৯ শে অক্টোবর যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে হাজিগঞ্জে র্যালি বের করলে সেই সময়ে হাজিগঞ্জ পূর্ব বাজারের সেতুর কাছে র্যালিটি পৌঁছালে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করলে ওসি জুবাইর সৈয়দসহ পাঁচ জন পুলিশ অফিসার আহত হয়।
এ প্রেক্ষিতে ওই দিনই থানার এসআই আ. আজিজের দায়ের করা মামলায় আটক এ ১০ জন সহ ১৮৬ জন ও ৩৫০ জন অজ্ঞাতকে অভিযুক্ত করা হয়।
এদেরকে আদালতে পাঠালে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠায়। আটকদের মধ্যে বিএনপি হাজীগঞ্জ শাখার সহ-সভাপতি ইমাম হোসেনও রয়েছেন।
অন্যদিকে, বিএনপি নেতারা জানায়, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে এসব ধরপাকড়। অন্য কিছু নয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে ৫টি ককটেল বিস্ফোরণ, বিএনপি কর্মী আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোপন বৈঠকে বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী আটক, ককটেল উদ্ধারের দাবি
কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা: ৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এ রায় দেন।
আসামিরা হলো-গঙ্গাচড়া উপজেলার নরসিংহ মর্ণেয়া গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে আবুজার রহমান (২৮), মো. হান্নানের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৭), মতিয়ার রহমান মুন্সির ছেলে নাজির হোসেন (৩২), আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল করিম (২৯) এবং আমিনুর রহমান (২৯)।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে ডাকাতি মামলা ৪ আসামিকে ৬ বছর করে কারাদণ্ড
তাদের মধ্যে আলমগীর হোসেন পলাতক।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রধান অভিযুক্ত আবুজার রহমানের সঙ্গে শাহীনার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় বিয়ের জন্য চাপ দিলে অস্বীকৃতি জানায় আবুজার। ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ১৪ মে আইয়ুব আলী তার স্ত্রীকে নিয়ে লালমনিরহাটে একটি পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। এসময় বাড়িতে শাহীনা ও তার ১২ বছর বয়সী ভাগ্নি শান্তনা বাড়িতে ছিলেন।
বিষয়টি জানাজানির ভয়ে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অভিযুক্ত আবুজার রহমান তার অপর সহযোগিদের নিয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাহীনার বাড়িতে গিয়ে তাকে ডেকে এনে পাশ্ববর্তী একটি ধইঞ্চা খেতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা করেন।
ওইদিন রাতে আইয়ুব আলী বাড়িতে ফিরে মেয়েকে না পেয়ে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজখবর নেন। পরদিন সকালে প্রতিবেশিদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ধইঞ্চা খেত থেকে শাহীনার লাশ উদ্ধার করেন আইয়ুব আলী।
পরবর্তীতে শান্তনা ও তার স্ত্রীর মুখে বিস্তারিত শুনে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন আইয়ুব আলী।
প্রায় সাত বছর মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত পাঁচ আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ২০১২ সালে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বান্দরবানে সৎ মাকে হত্যার দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১
টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একশিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাতে টাঙ্গাইল শহরের সাবালিয়ায় গণপূর্ত বিভাগের সামনে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম নূরুল আবসার জুয়েল (২৪)। তিনি ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
আবসার জুয়েলের গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের রামু উপজেলার চাকমারকুল শ্রীমুরা এলাকায়। পিতার নাম কবির আহমদ।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল পুলিশ বক্সের দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নবীন জানান, রাত সাড়ে ৭টার দিকে প্রাইভেট পড়িয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন জুয়েল।
গণপূর্ত বিভাগের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
পরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
তার মৃত্যু খবরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে আসে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২
জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী ২ শিক্ষার্থী নিহত
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ৪র্থ
ঢাকার বাতাসের মান শুক্রবার সকালেও ‘অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে। সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৮৪ নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা চতুর্থ স্থানে আছে।
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০০ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত বায়ূর তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি এবং পাকিস্তানের করাচি যথাক্রমে একিউআই ৩৫৩, ২১৭ ও ১৮৫ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্টের ওপর ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা।
এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ৪র্থ
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ৫ম
আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না বিডিনিউজের সম্পাদক
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে বিচারিক আদালতের দেয়া জামিন বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর রায়ের জন্য ১ ডিসেম্বর দিন রেখেছেন হাইকোর্ট। এই সময় পর্যন্ত আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তৌফিক ইমরোজ খালিদীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শাহরিয়া কবির বিপ্লব।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, তৌফিক ইমরোজ খালিদীর জামিন বাতিলের জন্য দুদকের করা রিভিশন আবেদনের শুনানি আজ শেষ হয়েছে। রায় ১ ডিসেম্বর। এ সময়ের মধ্যে খালিদী বিদেশ যেতে পারবে না। নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে দুদক আবেদন করে। একই বছরের ৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট জামিন বাতিলে ১০ দিনের রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: মহাসড়কের জমি বন্ধক রেখে ঋণ: দুদককে ৩ মাসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষের নির্দেশ
২০২০ সালের ৩০ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ ওই মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন, যার বৈধ কোনো উৎস নেই।
ভুয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় প্রতারণার মাধ্যমে তিনি ওই টাকা অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্তে প্রমাণিত। তৌফিক ইমরোজ খালিদী ওই অস্থাবর সম্পদ অসাধু উপায়ে অর্জন করেছেন, যা তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে এজাহারে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার ১
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠিত
খুচরা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি: প্রস্তাব জমা দিয়েছে আরও ৩টি বিতরণ কোম্পানি
খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য আরও তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিতরণ কোম্পানি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে তাদের নিজ নিজ প্রস্তাব জমা দিয়েছে।
এই বিতরণ সংস্থাগুলো হলো: ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) এবং ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডব্লিউজেডপিডিসিএল)।
বৃহস্পতিবার বিইআরসি সদস্য (শুল্ক) মোহাম্মদ বজলুর রহমান বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার প্রস্তাব জমা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, দেশে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা রয়েছে। নতুন পাইকারি বিদ্যুতের শুল্ক ঘোষণার পর সরকার সকলকে খুচরা বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়ে তাদের নিজ নিজ প্রস্তাবনা জমা দিতে বলেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রস্তাবগুলো প্রায় অভিন্ন এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জমা দেয়া হয়েছে।’
এর আগে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) খুচরা পর্যায়ে প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা (প্রতি ইউনিট) এক দশমিক ৪৭ টাকা বৃদ্ধি চেয়ে জ্বালানি নিয়ন্ত্রকের কাছে তাদের প্রস্তাব জমা দেয়।
বিপিডিবি খুচরা শুল্ক প্রতি ইউনিট সাত দশমিক ৫৬ টাকা থেকে ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৯ দশমিক ০৩ টাকা প্রতি ইউনিট করতে চায়।
বাকি দু’টি বিতরণ সংস্থার প্রধানরা - বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) এবং নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পিএলএস (নেসকো)- রবিবার তাদের নিজ নিজ প্রস্তাবনা বিইআরসিতে জমা দেবেন।
বিআরইবি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা খুচরা বিদ্যুৎ শুল্ক সমন্বয়ের বিষয়ে আমাদের প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছি। আমরা রবিবার তা জমা দেব।’
নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম তার কোম্পানির অনুরূপ প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার কথা জানান।
পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরদিনের মধ্যেই বিপিডিবি খুচরা বিদ্যুতের শুল্ক সমন্বয়ের প্রস্তাব পেশ করে।
সোমবার বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়িয়ে ছয় দশমিক ২০ টাকা প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টায় (প্রতিটি ইউনিট) আগের পাঁচ দশমিক ১৭ টাকা করে যা ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিপিডিবি’র একটি পূর্নবিবেচনা আপিল নিষ্পত্তি করে বিইআরসি।
বিইআরসি আইন-২০০৩ অনুযায়ী শুল্ক সমন্বয়ের বিষয়ে কোনও বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কাছ থেকে কোনো প্রস্তাব পাওয়ার পর বিইআরসি বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মতামত শোনার জন্য পদ্ধতি অনুসরণ করে একটি গণশুনানি করবে। এরপর শুনানি শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে।
বাল্ক শুল্ক বৃদ্ধির পর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এই মুহূর্তে বাল্ক বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি জনসাধারণের ওপর কোনও প্রভাব ফেলবে না।
তবে তিনি বলেন, সরকার গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায়। ‘তাই বিদ্যুতের শুল্ক সমন্বয়ের প্রয়োজন ছিল।’ তিনি আরও বলেছেন, খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির জন্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো বিইআরসিতে জমা দেয়ার জন্য তাদের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিইআরসি ভবিষ্যতে খুচরা গ্রাহকদের ওপর কোন প্রভাব ফেলবে কিনা তা পরীক্ষা করবে।’
২০২০ সালের ১ মার্চ থেকে কার্যকরী হিসাবে খুচরা শুল্ক প্রতি ইউনিট (প্রতি কিলোওয়াট-ঘণ্টা)পাঁচ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৬ দশমিক ৭৭ টাকা থেকে সাত দশমিক ১৩ টাকা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ-ইইউ ‘অংশীদারি সহযোগিতা’ চুক্তি সই করতে আগ্রহী
বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও উন্নত করতে একটি ‘অংশীদারি সহযোগিতা’ চুক্তি সই করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তবে এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কারণ এর জন্য ব্যাপক আলোচনা ও সমঝোতার প্রয়োজন রয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এনরিক মোরা এই ধরনের ব্যবস্থার বিষয়ে দুই পক্ষের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রথম ‘রাজনৈতিক সংলাপের’ মাঝামাঝি সময়ে তারা যৌথভাবে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান এবং বৈদেশিক ও নিরাপত্তা নীতির সহযোগিতা জোরদারে উভয় পক্ষ প্রথমবারের মতো উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় মিলিত হয়েছেন।
সংলাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এনরিক মোরা।
সংলাপে শান্তি বিনির্মাণ, সংঘাত প্রতিরোধ, ইন্দো-প্যাসিফিক, ইউক্রেন ইস্যু, সংযোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদের মতো উভয়ের স্বার্থের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর অনুষ্ঠিত হবে: শাহরিয়ার আলম
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের অক্টোবরে, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিস (ইইএএস) এর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে দেখা করার সময় উভয় পক্ষ রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করতে সম্মত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, জাতি হিসেবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির গতি এবং নতুন আত্মবিশ্বাসকে স্বীকার করেছে ইইউ। ইন্দো-প্যাসিফিকের ওপর আলোকপাতসহ উভয়ের স্বার্থের ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও যুক্ত হওয়ার জন্য আগ্রহী।
আরও পড়ুন: ব্রুনাই থেকে বছরে ১.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি পাবে বাংলাদেশ
ব্রুনাই থেকে বছরে ১.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি পাবে বাংলাদেশ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ ২০২৩ সালের প্রথম দিকে ব্রুনাই থেকে এক থেকে দেড় মিলিয়ন মেট্রিক টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পেতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বন্দর সেরি বেগাওয়ানে বাংলাদেশ ও ব্রুনাই দারুসসালামের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ বছরের চুক্তি হতে পারে।’
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন নসরুল হামিদ এবং ব্রুনাইয়ের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপমন্ত্রী ইয়াং মুলিয়া দাতো সেরি পাদুকা আওয়াং হাজি মাতসাতেজো বিন সোকিয়াও তার দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে ঢাকা ও বন্দর সেরি বেগাওয়ান উভয়েরই ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্রুনাই থেকে বকেয়া পরিশোধে গড়ে দুই লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে নতুন চুক্তি সই হবে।
তিনি উল্লেখ করেন যে উভয় দেশ জ্বালানি খাতে সহযোগিতার পরিধি বাড়াতে সম্মত হয়েছে।
বাংলাদেশ ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালে ব্রুনাই থেকে তিন লাখ ২৫ হাজার ৯৭৫ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করেছে। কিন্তু পরবর্তীতে ব্রুনাই ভিত্তিক সাপ্লাই কোম্পানি পিবি ট্রেডিং সেন্ডিরিয়ান বেরহাদ থেকে একটি শর্তের কারণে ডিজেল আমদানি করা সম্ভব হয়নি। শর্তটি হলো- নিজস্ব শোধনাগার থাকতে হবে।
আরও পড়ন: ইরানের উপমন্ত্রী ও শাহরিয়ার আলমের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
উল্লেখ্য, এলএনজি ও অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে সহযোগিতার বিষয়ে ব্রুনাইয়ের সুলতানের ঢাকা সফরের সময় ১৬ অক্টোবর ঢাকা ও বন্দর সেরি বেগাওয়ানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
ব্রুনাইয়ের প্রধানমন্ত্রীর স্থায়ী সচিব ইয়াং মুলিয়া আজহার বিন হাজি ইয়াহিয়া, জ্বালানি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নিজাম বিন হাজি ইসমি, পেট্রোলিয়াম কর্তৃপক্ষের পরিচালক আদ্রিয়ান ওং কোয়াই মিং, জ্বালানি বিভাগের জ্বালানি সমন্বয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের
ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হাজি মোহাম্মদ জাকি বিন হাজি হাসান আসশারি ব্রুনাইয়ের পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাবেদ চৌধুরী এবং ব্রুনাইতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান।
আরও পড়ুন: শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর অনুষ্ঠিত হবে: শাহরিয়ার আলম