বাংলাদেশ
তীব্র স্রোতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন, ৫ নম্বর ঘাট বন্ধ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিযা ফেরিঘাট এলাকায় হঠাৎ ভাঙন দেখা দেয়ায় ৫ নম্বার ফেরিঘাট বন্ধ করেছে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃপক্ষ। আরও তিনটি ঘাট ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
পদ্মার পানি বৃদ্ধি এবং তীব্র স্রোতের কারণে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে এই ভাঙন দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: মেঘনা চরে ফেরি আটকা, যাত্রীদের উদ্ধার
বুধবার সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, দৌলতদিয়ার পাঁচটি ফেরি ঘাটের মধ্যে ভাঙনের কারণে ৫ নম্বর ঘাটের পন্টুন পাশে সরিয়ে রাখা হয়েছে। উক্ত ঘাটের নদীর পাড় জুড়ে আড়াআড়িভাবে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ঘাটের লোওয়াটার লেভেল, মিডওয়াটাল লেভেল ও হাইওয়াটার লেভেলের তিনটি ঘাটের সংযোগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৩, ৪ ও ৬ নম্বর ঘাট ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। ভাঙন দেখা দেয়ায় ওই এলাকার স্থানীয় দোকানপাট ও হোটেলসহ অন্তত ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা বাই-ব্যাক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে শিল্প স্থাপন করতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বলেন, বৃহত্তর অর্জনের জন্য বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা বাণিজ্যের বাইরেও যেতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এতে বিনিয়োগ, অর্থ, পরিষেবা, প্রযুক্তি স্থানান্তর অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রেক্ষাপটে স্থাপন করা উচিত।’
নয়াদিল্লির আইটিসি মৌরিয়াতে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) যৌথভাবে আয়োজিত একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের অবকাঠামো প্রকল্প, উৎপাদন, জ্বালানি ও পরিবহন খাতে সম্ভাব্য বিনিয়োগ বিবেচনা করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, ‘ভারতীয় বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো বাই-ব্যাক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে শিল্প স্থাপন করতে পারে যা সময়, খরচ এবং সম্পদ হ্রাস করে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রবাহ ছিল এক হাজার ৩৭০ দশমিক ৩৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে মাত্র ১৫ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ডলার ভারত থেকে এসেছে, যা এক দশমিক ১৫ শতাংশ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সুতরাং স্পষ্টতই, দ্বিমুখী বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সুবিধা অর্জনের উপায় খুঁজে বের করার জন্য ব্যবসায়িক সম্প্রদায় এবং বাণিজ্য সংস্থাগুলোকে সম্পর্কিত করার মাধ্যমে আমাদের দুই দেশের মধ্যে আরও সহযোগিতার প্রকৃত প্রয়োজন রয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশে সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থা রয়েছে যেখানে বিস্তৃত সুযোগ-সুবিধা, আকর্ষণীয় প্রণোদনা নীতি এবং ধারাবাহিক সংস্কার রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত প্রয়োজনে সব সময় বাংলাদেশকে সাহায্য করে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বর্তমানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২৮টি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। যার লক্ষ্য শিল্প, কর্মসংস্থান, উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণের মাধ্যমে বিনিয়োগ এবং দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য মোংলা এবং মিরসরাইয়ে দুটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন যে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের তাদের পণ্যগুলো শুধুমাত্র উত্তর-পূর্ব ভারতে নয়, নেপাল, ভুটান এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেও রপ্তানি করতে সক্ষম করার জন্য বাংলাদেশ অনন্যভাবে অবস্থিত।
গত দশ বছরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মোট দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য একটি চিত্তাকর্ষক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভারসাম্য অনেকটাই ভারতের পক্ষে ছিল।
বর্তমানে উন্নত উৎপাদন ক্ষমতাসহ বাংলাদেশের ভারতের বাজারে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করতে প্রস্তুত, যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আশা করি তিস্তা চুক্তিসহ সব অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে: প্রধানমন্ত্রী
নারী স্পিকারদের সম্মেলনে যোগ দিতে তাসখন্দের উদ্দেশে শিরীন
জাতীয় সংসদ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বুধবার সকালে পার্লামেন্টের নারী স্পিকারদের ১৪তম সম্মেলনে যোগ দিতে তাসখন্দের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
উজবেকিস্তানের অলি মজলিসের (সুপ্রিম অ্যাসেম্বলি) সহযোগিতায় ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) আহ্বানে দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলন বৃহস্পতিবার রাজধানী তাসখন্দে শুরু হবে।
শিরীন শারমিন উক্ত সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং মহামারি পরবর্তী বৈশ্বিক পুনরুদ্ধারের ঝুঁকি, প্রযুক্তি সম্পর্কিত ঝুঁকি প্রতিরোধ এবং মানবাধিকার সংরক্ষণ ও একটি হাই-টেক বিশ্বে লিঙ্গ সমতার মতো বিষয়গুলোতে আলোকপাত করবেন।
সংসদের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শিরীন শারমিনের ১১ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্পিকার হিসেবে শপথ নিলেন শিরীন শারমিন
থেরেসা মে’র সাথে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাক্ষাৎ
নারীদের সুরক্ষায় কর্মস্থল-পাবলিক প্লেস সিসিটিভির আওতায় আনার অভিমত স্পিকারের
১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৬ টাকা
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কেজিতে ১ দশমিক ৩৩ টাকা বেড়েছে। ফলে এখন থেকে ১২ কেজির সিলিন্ডারের এলপিজি ১২৩৫ টাকায় বিক্রি হবে, যা আগে ১২১৯ টাকায় বিক্রি হতো। ১২ কেজিতে দাম বাড়ল ১৬ টাকা।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা থেকে নতুন দামে বিক্রি করা হবে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বুধবার এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে নতুন দাম ঘোষণা করে।
বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আ ব ম ফারুক জানান, ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত এলপিজির অন্য কন্টেইনার যৌক্তিকভাবে নতুন দামে বিক্রি করা হবে।
আরও পড়ুন: ১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ৩৫ টাকা
ঘোষণা অনুযায়ী, মোটর গাড়ির জন্য অটো গ্যাসের দাম প্রতি লিটারে ৫৬.৮৫ টাকার পরিবর্তে বেড়ে হয়েছে ৫৭.৫৫ টাকা।
ফারুক বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমলেও স্থানীয় বাজারে ডলারের দাম বেশি হওয়ায় নিম্নমুখী প্রবণতার পুরো সুবিধা পাচ্ছেন না ভোক্তারা। অপারেটরদের আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এলপিজি আমদানি করতে হয়।
তিনি জানান, ওয়েটেড এভারেজ হারের ভিত্তিতে ১৬টি আমদানিকারক কোম্পানির এলসি সেটেলমেন্টের ভিত্তিতে ডলারের বিনিময় হার ১০৪.০২ টাকা ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কমিশনের আলোচনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলারের বিনিময় হার বেসরকারি আমদানিকারকদের জন্য প্রযোজ্য নয়।
আরও পড়ুন: বেসরকারি কোম্পানির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমে ৮৪২ টাকা
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম সর্বোচ্চ এক হাজার ৪৩৯ টাকা (১২ কেজি) হয়ে যায়।
এই বছরের জানুয়ারিতে ১২ কেজি এলপিজির দাম সর্বনিম্ন এক হাজার ২২৫ টাকা ছিল। এর পর থেকে ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসে ক্রমাগত এলপিজির দাম বৃদ্ধি হয়।
বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বব্যাপী সৌদি সিপির (কন্ট্রাক্ট প্রাইস) দাম কমেছে।
বাংলাদেশের বেসরকারি এলপিজি অপারেটররা মূলত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে গ্যাস আমদানি করে।
বিইআরসি প্রথমবারের মতো হাইকোর্টের আদেশ মেনে চলার জন্য গণশুনানির পর ১২ এপ্রিল খুচরা-পর্যায়ে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: প্রথমবার এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করল সরকার
পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্যের জি২জি সরবরাহকারী হিসেবে ইন্ডিয়ান অয়েলকে তালিকাভুক্ত করল ঢাকা
বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডকে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্যের সরকার থেকে সরকার (জি২জি) সরবরাহকারী হিসাবে মনোনীত করতে সম্মত হয়েছে। বিষয়টি ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তাই আপাতত এটিই ঘটতে যাচ্ছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা ও সিদ্ধান্তের সংক্ষিপ্তসার হচ্ছে-বিষয়টি এমন কিছু যা কর্মকর্তারা তাদের নিজেদের মধ্যে কাজ করবেন।’
কোয়াত্রা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি ভারত ও বাংলাদেশ উভয়কেই তাদের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সাহায্য করার জন্য দ্বিপক্ষীয় সীমানা আন্তঃসংযোগ স্থাপনে চলমান আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লির মধ্যে যেসব সমঝোতা স্মারক সই ও প্রকল্প ঘোষণা
তিনি আরও বলেন, তারা ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের অগ্রগতিও পর্যালোচনা করেন। এই প্রকল্পটি তারা অনুদানের মাধ্যমে গ্রহণ করছে। এটি ভারত থেকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে উচ্চ গতির ডিজেল সরবরাহে সক্ষম করবে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এ প্রেক্ষাপটে আমরা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেডকে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্যের সরকার থেকে সরকার (জি২জি) সরবরাহকারী হিসাবে মনোনীত করার বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। যা দুই দেশের জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সাহায্য করবে।’
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যতদূর মনে পরে প্রতিরক্ষা লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে প্রথম চুক্তি এই সপ্তাহের শুরুতে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। আমি নিশ্চিত যে আপনারা বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করেছেন। এটি একটি সামান্য পরিমাণ হলেও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ ছিল।’
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন যে এটি একটি প্রতিরক্ষা এলওসি হতে পারে তবে এটি উন্নয়ন অংশীদারি কাঠামোরও একটি অংশ।
আরও পড়ুন: তিস্তা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে আবারও আশ্বাস দিয়েছে ভারত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা এবং কৌশলগত সহযোগিতার অধীনে এটির অবতরণও রয়েছে। আমাদের প্রচেষ্টা হল এটি প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে আরও সম্পৃক্ততার পথ খুলে দেবে এবং আমাদের সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
কোয়াত্রা বলেন, আলোচনার প্রধান উপাদানগুলোর মধ্যে একটি এবং আরও সহযোগিতার জন্য উভয় পক্ষের প্রচেষ্টার একটি প্রধান দিক হল পণ্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের একটি স্থিতিস্থাপক সাপ্লাই চেন তৈরি করা। এই পণ্য পচনশীল ও অ-পচনশীল, বা প্রয়োজনীয় দ্রব্য, উভয় খাদ্য ও অখাদ্য হতে পারে। এই সমস্ত উপাদান উক্ত আলোচনার অংশ ছিল।
তিনি বলেন, দুই পক্ষই এই সাপ্লাই চেইনগুলোকে আরও শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছে এবং যতটা সম্ভব নিরবচ্ছিন্ন রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: ট্রানজিট চুক্তি: ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’
ট্রানজিট চুক্তি: ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’
বাংলাদেশের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তির আওতায় ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে এসে পৌঁছেছে পণ্যবাহী একটি জাহাজ।
মঙ্গলবার রাতে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’ নামের কার্গো জাহাজটি বন্দরের এনসিটি জেটিতে নোঙর করে। জাহাজটিতে এক কনটেইনার পণ্য (রড) রয়েছে। এ চালানটি বাংলাদেশের ভূখণ্ড হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে (আসাম) যাবে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে এমভি সেঁজুতি জাহাজে কলকাতা বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ট্রানজিটের চার কনটেইনার পণ্য এসেছিল। গত মাসে মোংলা বন্দর দিয়ে ট্রানজিটের আরেকটি সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। চলতি সপ্তাহে মেঘালয় থেকে চায়ের কনটেইনার ডাউকি-তামাবিল হয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ট্রানজিটের ট্রায়াল রানের শেষ চালানটি কলকাতা বন্দরে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
ট্রান্স সমুদেরা জাহাজের শিপিং এজেন্ট ম্যাঙ্গো লাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল সুজন ভূইয়া জানান, কলকাতা বন্দর থেকে মোট ১২৪ একক আমদানি পণ্য বোঝাই করে জাহাজটি রাত ৮টায় চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে। এর মধ্যে একটি কনটেইনারে ট্রানজিট পণ্য আছে। বাকি কনটেইনারে পণ্যের আমদানিকারক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। এর আগে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ট্রান্সশিপমেন্টের প্রথম চালান কলকাতা বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছিল।
পড়ুন: ঢাকা-দিল্লির মধ্যে যেসব সমঝোতা স্মারক সই ও প্রকল্প ঘোষণা
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বাংলাদেশ-ভারত ট্রানজিট চুক্তির আওতায় আমদানি-রপ্তানি দুই ধরনের পণ্য উঠানামায় প্রস্তুত চট্টগ্রাম বন্দর। বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার একক আমদানি-রপ্তানি-খালি কনটেইনার ওঠানামা করছে, ফলে ভারত থেকে আসা-যাওয়া করা ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্য অনায়াসেই এই বন্দরে ওঠানো-নামানো সম্ভব।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তির আওতায় চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দিয়ে ট্রায়াল রান সম্পন্ন হচ্ছে- এটি গৌরবের। এতে বন্ধু প্রতিম দুই দেশ উপকৃত হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান জানান, ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোর ট্রানজিট পণ্য পরিবহনে চট্টগ্রাম বন্দর শতভাগ প্রস্তুত।
পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ভারত নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে থাকবে: দ্রৌপদী মুর্মু
১৩ অক্টোবর থেকে নতুন ২ রুটে নগর পরিবহনের বাস চালু
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস মঙ্গলবার বলেছেন, ১৩ অক্টোবর থেকে নতুন দুটি রুটে নগর পরিবহনের বাস চলাচল করবে।
ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে অনুষ্ঠিত বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৪তম সভাসভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএসসিসি মেয়র এ তথ্য জানান।
দুটি নতুন রুটের নম্বর হবে ২২ এবং ২৬।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় ঢাকা শহরকে সময়সূচির মধ্যে আনতেই হবে: মেয়র তাপস
২২নং রুট চলবে ঘাটারচর-ওয়াশপুর-বসিলা-মোহাম্মদপুর টাউনহল-কাওরান বাজার-শাহবাগ-কাকরাইল-ফকিরাপুল-মতিঝিল-টিকাটুলী-সায়েদাবাদ- যাত্রাবাড়ী- কোনাপাড়া-ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার।
২৬নং রুট চলবে ঘাটারচর-ওয়াশপুর-বসিলা-মোহাম্মদপুর-জাপান গার্ডেন সিটি-শ্যামলী-কলেজ গেট-আসাদ গেট-কলাবাগান-সায়েন্স ল্যাব-নিউ মার্কেট- আজিমপুর- পলাশী-চাঁনখার পুল-ফ্লাইওভার হয়ে-পোস্তগোলা কদমতলী পর্যন্ত।
ঢাকা-দিল্লির মধ্যে যেসব সমঝোতা স্মারক সই ও প্রকল্প ঘোষণা
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন কুশিয়ারা নদীর পানি বন্টনসহ সাতটি ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরকালে দুই দেশের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক সই হলো।
সাতটি চুক্তির মধ্যে কুশিয়ারা নদী থেকে পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ভারতের জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
ভারতে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে ভারতের রেলপথ মন্ত্রণালয় (রেলওয়ে বোর্ড), ভারত এবং বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য আইটি সিস্টেম যেমন এফওআইএস এবং অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনে সহযোগিতার বিষয়ে দুই রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আরেকটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
ভারতে বাংলাদেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মসূচির বিষয়ে ভারতের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি এবং বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
বাংলাদেশ বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল (বিসিএসআইআর) এবং ভারতের বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল (সিএসআইআর) এর মধ্যে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
এছাড়া দু’দেশ মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
ভারতের প্রসার ভারতী এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) সম্প্রচারে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মুদি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর দু’দেশের প্রত্যাশিত সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য এই সমঝোতা স্মারক সই প্রত্যক্ষ করেন।
মুদির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বর্ধিত বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পেয়েছে।
উদ্বোধন ও ঘোষিত প্রকল্প
দুই নেতা মৈত্রী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-১ এর কাজ সম্পন্নের ঘোষণা দিয়েছেন। রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা-চালিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কনসেশনাল ফাইন্যান্সিং স্কিমের অধীনে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে উন্নয়ন সহায়তা হিসাবে ভারত ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিবে।
তারা যৌথভাবে রূপসা সেতুর উদ্বোধন করেন। ৫.১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রূপসা রেল সেতুটি ৬৪.৭ কিলোমিটার খুলনা-মোংলা বন্দর একক ট্র্যাক ব্রডগেজ রেল প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা প্রথমবারের মতো মোংলা বন্দরকে খুলনার সঙ্গে রেলপথে সংযুক্ত করেছে। মধ্য ও উত্তর বাংলাদেশ এবং ভারত সীমান্ত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল ও গেদেকে সংযুক্ত করেছে।
সড়ক নির্মাণের সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ:
এই প্রকল্পটি বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগকে ২৫টি প্যাকেজে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ এবং নির্মাণ সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে।
খুলনা দর্শনা রেললাইন সংযোগ প্রকল্প:
প্রকল্পটি বর্তমান (ব্রডগেজ দ্বিগুণ) অবকাঠামোর একটি আপগ্রেড যা গেদে-দর্শনা থেকে খুলনার বর্তমান ক্রস বর্ডার রেল সংযোগকে সংযুক্ত করেছে, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে ঢাকা এবং ভবিষ্যতে মোংলা বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন করবে । এই প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলার।
পার্বতীপুর-কাউনিয়া রেললাইন: বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েলগেজ লাইন প্রকল্পে রূপান্তরের জন্য আনুমানিক ১২০ দশমিক ৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় ধরা হয়েছে।
প্রকল্পটি বিরল (বাংলাদেশ)-রাধিকাপুর (পশ্চিমবঙ্গ) এ বিদ্যমান ক্রস বর্ডার রেলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে এবং দ্বিপক্ষীয় রেল সংযোগ বৃদ্ধি করবে।
আরও পড়ুন: তিস্তা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে আবারও আশ্বাস দিয়েছে ভারত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
যৌথভাবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট ১- এর কাজ সম্পন্নের ঘোষণা হাসিনা-মোদির
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির যৌথভাবে ১ম ইউনিট সম্পন্নের ঘোষণা
বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ভারত নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে থাকবে: দ্রৌপদী মুর্মু
বাংলাদেশ তার জনগণের আর্থ-সামাজিক সমৃদ্ধিতে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছে উল্লেখ করে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে পাশে থাকবে।
মঙ্গলবার নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় মুর্মু এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক সবসময় সহযোগিতার মনোভাব এবং পারস্পরিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি মুর্মু মহামারি ও বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় ভারত ও বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে আরও বেশি সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও পরিপক্ক ও বিকশিত হবে।
তিস্তা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে আবারও আশ্বাস দিয়েছে ভারত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
ভারত আবারও বাংলাদেশকে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও আশ্বাসের পর্যায়ে আছি। আমরা বিশ্বাস করি যে ভারত যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা পূরণ হবে, যদিও এতে সময় লাগতে পারে।’
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর ভারতের রাজধানীর বাংলাদেশ হাউজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান সফরের বড় অর্জন বাংলাদেশের কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহার চুক্তি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে চারদিনের সরকারি সফরের দ্বিতীয় দিনে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সাতটি সমঝোতা স্মারকের মধ্যে এটি অন্যতম।
এক প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রীর চলমান সফরকে ভারত যথাযথ গুরুত্ব দিয়েছে।
আরও পড়ুন: যৌথভাবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট ১- এর কাজ সম্পন্নের ঘোষণা হাসিনা-মোদির
তিনি উল্লেখ করেন, কেউ যদি দিল্লির রাস্তা দিয়ে যায় তবে তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পোস্টার দেখতে পাবে এবং ভারতীয় মিডিয়া এই সফরকে চব্বিশ ঘন্টা কভারেজ দিচ্ছে।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনার ব্যাপারে তিনি বলেন, উভয় নেতা যোগাযোগ, জ্বালানি ও বাণিজ্যে সহযোগিতা এবং পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় প্রতিটি ইস্যু খোলা মন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই পক্ষই বিশ্বাস করে যে প্রতিটি সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।’
শাহরিয়ার বলেন, নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারিতে দেশের ১৭ কোটি মানুষকে মাতৃস্নেহে যত্ন নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সংযোগ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে: মোদি
আশা করি তিস্তা চুক্তিসহ সব অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে: প্রধানমন্ত্রী