বাংলাদেশ
দেশে করোনায় শনাক্ত ৪৪৬, মৃত্যু ৪
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে ৪৪৬ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ২৬২ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ এক হাজার ৩৪৫ জনে পৌঁছেছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৪১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ১০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৪৩৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে
দেশে করোনায় আরও ৬ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬৭
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে, এসময় ৬৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৩ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন চারজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩১৯ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ২৬১ জন ঢাকার মধ্যে এবং ৫৮ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ জুলাই ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট দুই হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ৭৭৮ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৩০৩ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে এক হাজার ৭৫৬ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে এক হাজার ৫১৪ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ২৪২ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এবং চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: আরও ৩৫ রোগী হাসপাতালে
ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৫১
ছাত্রী হেনস্তাকারীদের বহিস্কার করা হবে: চবি ভিসি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রী হেনস্তার সঙ্গে জড়িত সকলকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন চবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।শনিবার দুপুরে চবি’র ৩৪তম বার্ষিক সিনেট সভায় এ ঘোষণা দেন চবি উপাচার্য।ভিসি বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা সবাই মর্মাহত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি আমরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এর বিচার নিশ্চিত করার। ইতোমধ্যে চারজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবো আমরা। এছাড়া অভিযুক্তদের বহিষ্কার করা হবে।’এর আগে ছাত্রী হেনস্তার সঙ্গে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. আজিম (২৩), হাটহাজারী কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র মো. নূর হোসেন শাওন (২২), বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ ২য় বর্ষের ছাত্র মো. নুরুল আবছার বাবু (২২), হাটহাজারী কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র মো. মাসুদ রানা (২২) কে আটক করা হয়।তাদের আটকের বিষয়টি শনিবার র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় চবি ইংরেজি বিভাগ ৩য় বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসান হৃদয় (২৩) নামে আরও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১৭ তারিখ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় এক ছাত্রী যৌন নির্যাতনের শিকার হন। তাকে শাররিক নির্যাতন ও তার বন্ধুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর এবং ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় এ মামলায় অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করা হয় এবং ভুক্তভোগী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিলে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন।এর মধ্যে গত ১৯ জুলাই ছাত্রীদের আবাসিক হলে রাত ১০টার মধ্যে হলে প্রবেশের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে তীব্র আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতিদিন বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে আসছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রী হেনস্তা, গ্রেপ্তার ৪
চবিতে যৌন হেনস্তার ঘটনায় ২ জন শনাক্ত
যারা আপনাদের বেতন দেয়, তাদের জন্য কাজ করুন: সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মচারীদের বেতন, আরাম-আয়েশ ও বিলাসের জন্য কর প্রদানকারী জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা সকলেই জনগণের ট্যাক্স হিসেবে দেয়া অর্থ থেকে বেতন ও সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। আপনাদের আরাম-আয়েশসহ সবই জনগণের টাকা থেকে আসছে। তাই আপনাদের তাদের জন্য, তাদের স্বার্থ ও কল্যাণে কাজ করতে হবে।’
শনিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় জনসেবা দিবস ও বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার ২০২২ বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই কর্মসূচিতে যোগ দেন।
তিনি বলেন, তৃণমূলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবং আমাদের সরকার সেই লক্ষ্যকে মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, সরকার প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে চায়, যাতে প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি কর্মচারী দেশের সংবিধান অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করতে পারে।
আরও পড়ুন: দলমত নির্বিশেষে আমি প্রতিটি নাগরিকের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের উন্নয়ন করতে হলে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য, একটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা ও উদ্দেশ্য থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আর সে জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন থাকতে হবে। তার মানে জনগণের প্রতি কর্তব্য পালন করা সকলের প্রধান দায়িত্ব।
তিনি উল্লেখ করে বলেন, সরকার কর্মক্ষেত্রে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে, যাতে সরকারি কর্মচারীরা নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে।
তিনি বলেন,‘এর জন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রশাসনিক কাঠামোকে সময় উপযোগী করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের পরিবারের জন্য আপনাদের দুশ্চিন্তা কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছি, যাতে আপনারা মানুষের কথা ভাবতে পারেন।’
তিনি সরকারি কর্মচারীদের অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে একটি দেশকে শিক্ষা দেয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু সবাই এখন সেই ফল ভুগছে। সবাই এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ব্রিটেন ও আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলো শক্তি ও জ্বালানি ব্যবহারে কঠোরতা বজায় রাখতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাকে ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়।’
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত যেভাবে আমাদের দায়িত্ব আন্তরিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছি, বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ‘তবে ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে আমাদের মিতব্যয়ীতা বজায় রাখতে হবে এবং অপচয় এড়াতে হবে। আমাদের এ বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।’
বিরোধী দল ও মিডিয়া রিপোর্টের সমালোচনার কথা উল্লেখ করে তিনি কর্মকর্তাদের কোন ত্রুটি হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেন।
তিনি আমলাদের বলেন, ‘আপনাদের আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে যে আপনারা যা করছেন তা জনগণের কল্যাণের জন্য করছেন।’
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএন আশিকুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, জনপ্রশাসন সচিব কে এম আলী আজম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: আবারও জীবনের সকল ক্ষেত্রে মিতব্যয়ীতা অনুশীলন করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ প্রদান
উল্লেখযোগ্য ও প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা ক্যাটাগরিতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এ বছর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২২’ প্রদান করেছে সরকার।
শনিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন হাতে পদকটি তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এই সময় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন সেল’ কর্তৃক গৃহীত ‘বঙ্গবন্ধু ও তার শান্তি দর্শন: আন্তর্জাতিকীকরণ ও বিশ্ব রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা’ নামক উদ্যোগের মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক দর্শন: বহুপাক্ষিকতাবাদ ও শান্তির কূটনীতিকে’ বিশ্বপরিমণ্ডলে আন্তর্জাতিকীকরণের জন্য এই পদক দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বির মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
গতানুগতিক নিয়মিত দায়িত্ব সম্পাদন ও সেবা প্রদান কার্যক্রমের বাইরে গিয়ে গত দুই বছরে (মার্চ ২০২০ - মার্চ ২০২২) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকটি মৌলিক, অনন্য ও বিশেষায়িত কার্যক্রম বাস্তবায়নের সমন্বিত ফলস্বরূপ এই স্বীকৃতি দেয়া হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কার্যসমূহ হচ্ছে - (১) সদর দপ্তরসহ বিদেশ সকল মিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন, (২) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু রিসার্চ সেন্টার ফর ফরেন পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি এবং গণহত্যা কেন্দ্র (জেনোসাইড সেন্টার) স্থাপন, (৩) আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান আলোচকদের নিয়ে 'বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ' আয়োজন, (৪) পোল্যান্ড, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, কানাডা, থাইল্যান্ড, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ চালুকরণ ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার স্থাপন, (৫) বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’- ১৪টি এবং ‘কারাগারের রোজনামচা’- দুটি বিদেশি ভাষায় অনুবাদকরণ, (৬) জাতিসংঘ ও বিশ্বের বিভিন্ন বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের সাথে যৌথভাবে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ, (৭) বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোম্যাটিক অ্যাওয়ার্ড অফ এক্সসিলেন্স প্রবর্তন, (৮) বঙ্গবন্ধুর নামে মরিশাস, তুরস্ক, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সড়কের নামকরণ, (৯) তুরস্ক ও ভুটানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ প্রতিকৃতি স্থাপন, (১০) বঙ্গবন্ধু-ইউনেস্কো এ্যাওয়ার্ড ফর ক্রিয়েটিভ ইকোনমি প্রবর্তন, (১১) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত দশ দিনব্যাপী ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে করোনা মহামারী সত্ত্বেও ৫টি প্রতিবেশি রাষ্ট্রের ছয় জন রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকার প্রধানের সশরীরে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, (১২) বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, স্পিকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, খ্যাতিমান রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানগণের ২৪০ এর অধিক লিখিত এবং ভিডিও বার্তা সম্বলিত ‘ওয়ার্ল্ড লিডার্স অন বঙ্গবন্ধু অ্যান্ড বাংলাদেশ’নামে সংকলন প্রকাশ, ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ’ মঙ্গলবার শুরু
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান,মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম প্রমুখ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন এই গৌরবময় অর্জনের পেছনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে নিয়োজিত রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও মিশনপ্রধানসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অবদানের জন্য তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তাঁরা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, এই পদক প্রাপ্তি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আরও উজ্জীবিত করবে। ফলে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম আরও বেগবান হবে যা অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি তথা বাংলাদেশের মর্যাদাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
খাদ্যের অপচয় রোধে সতর্ক হওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
খাদ্যের অপচয় রোধে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, চাল চিকন করতে গিয়ে ছাটাই করে চালের অপচয় করা হচ্ছে। এতে পুষ্টিমানও কমে যাচ্ছে। জনসাধারণকে পুষ্টি সমৃদ্ধ চাল খাওয়ার পাশাপাশি খাদ্যের অপচয় রোধে সতর্ক থাকতে হবে।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের হালিশহরে সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপোর (সিএসডি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন তলাবিহীন জুড়ি থেকে উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে। দেশে এখন মঙ্গা নেই। এখন আমরা পুষ্টি নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছি।
আরও পড়ুন: বাঙালি জাতির অসীম সাহসের প্রতীক পদ্মা সেতু: খাদ্যমন্ত্রী
সরকারি খাদ্য গুদামে চুক্তি করেও যারা চাল সরবরাহ করেনি তাদের কমপক্ষে এক বছর শাস্তির কথা উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, তারপর তাদের সঙ্গে সরকার আবার চুক্তি করবে। এরপরও যদি তারা সরকারি গুদামে চাল না দেয় তাহলে ধান চালের ব্যবসা তাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে বলে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, সরকারকে চাল দিয়ে সাহায্য করা মিল মালিক আর না দিয়ে অসহযোগিতা করা মিল মালিকদের এক কাতারে আমরা মূল্যায়ন করতে চাই না।
তিনি বলেন, খাদ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তা কর্মচারিদের নিরলস পরিশ্রমে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরষ্কার অর্জন করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারিদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে অর্জিত সুনাম ধরে রাখার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.সাখাওয়াত হোসেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খুরশীদ ইকবাল রেজভী, বিভাগীয় সড়ক পরিবহণ ঠিকাদারের (ডিআরটিসি) সভাপতি মাহমুদুল হাসান, শ্রমিক ঠিকাদার সমিতির নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, চট্টগ্রাম চালকল মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, হালিশহর সিএসডির ব্যবস্থাপক প্রণয়ন চাকমা এবং চট্টগ্রামের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: অভিযানের ফলে চালের দাম কমেছে: খাদ্যমন্ত্রী
এছাড়া মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম সিএসডির কর্মকর্তারা, চালকল মালিক সমিতির নেতারা ও শ্রমিক সমিতির নেতারা অংশ নেন।
ফজলে রাব্বীর মৃত্যুতে বিরোধীদলীয় নেতা রওশনের শোক
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী ৭৬ বছর বয়সে নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘পেশায় আইনজীবী রাব্বী রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং তিনি দেশের জন্য কাজ করেছেন...। মুক্তিযুদ্ধ ও সংসদীয় গণতন্ত্রে তার অবদান দেশের মানুষ চিরদিন মনে রাখবে।’
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া আর নেই
তিনি বলেন, ‘তার মৃত্যু রাজনৈতিক অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি যা শিগগিরই পূরণ হবে না।’
রওশন মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে কেটু’র চূড়ায় ওয়াসফিয়া
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ পাকিস্তানের কেটু’র চূড়ায় আরোহণ করেছেন ওয়াসফিয়া নাজরিন।
পর্বতারোহণ গাইড কোম্পানি এলিট এক্সপেডের তথ্য অনুযায়ী, ৩৯ বছর বয়সী ওয়াসফিয়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ১১ জন আরোহীর সঙ্গে এই মিশন সম্পন্ন করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত পর্বতারোহী ওয়াসফিয়া নাজরীন
শুক্রবার ওয়াসফিয়া ও অন্যান্য আরোহীসহ গাইড দলের সদস্যদের একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছে এলিট এক্সপেড।
এরই মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০১১ সালে শুরু হওয়া তার সাত চূড়ায় উঠার অভিযান সমাপ্ত হয়েছে।
২০১২ সালের ২৬ মে তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় নারী হিসেবে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছিলেন। এর আগে তিনি দক্ষিণ আমেরিকার অ্যাকনকাগুয়া ও আফ্রিকার কিলিমাঞ্জারো পর্বত আরোহণ করেন।
ফজলে রাব্বির মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের শোক
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শনিবার শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, সংসদ পরিচালনায় মরহুম ফজলে রাব্বী মিয়ার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
রাষ্ট্রপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বির মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
ডেপুটি স্পিকার ও অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মন্ত্রী এই শোক জানান।
শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া একজন দেশপ্রেমিক ও নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদ হিসেবে জনগণের কল্যাণে আজীবন কাজ করে গেছেন। অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংসদ হিসেবে বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র চর্চায় তিনি যে অবদান রেখে গেছেন জাতি তা চিরদিন স্মরণ করবে।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
মন্ত্রী মরহুম ফজলে রাব্বি মিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মেয়ের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বি মৃত্যুকালে তিন মেয়ে, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আনোয়ারা রাব্বি ২০২০ সালের মে মাসে মারা যান।