চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রী হেনস্তার সঙ্গে জড়িত সকলকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন চবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
শনিবার দুপুরে চবি’র ৩৪তম বার্ষিক সিনেট সভায় এ ঘোষণা দেন চবি উপাচার্য।
ভিসি বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা সবাই মর্মাহত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি আমরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এর বিচার নিশ্চিত করার। ইতোমধ্যে চারজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবো আমরা। এছাড়া অভিযুক্তদের বহিষ্কার করা হবে।’
এর আগে ছাত্রী হেনস্তার সঙ্গে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. আজিম (২৩), হাটহাজারী কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র মো. নূর হোসেন শাওন (২২), বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ ২য় বর্ষের ছাত্র মো. নুরুল আবছার বাবু (২২), হাটহাজারী কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র মো. মাসুদ রানা (২২) কে আটক করা হয়।
তাদের আটকের বিষয়টি শনিবার র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় চবি ইংরেজি বিভাগ ৩য় বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসান হৃদয় (২৩) নামে আরও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১৭ তারিখ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় এক ছাত্রী যৌন নির্যাতনের শিকার হন। তাকে শাররিক নির্যাতন ও তার বন্ধুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর এবং ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় এ মামলায় অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করা হয় এবং ভুক্তভোগী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিলে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন।
এর মধ্যে গত ১৯ জুলাই ছাত্রীদের আবাসিক হলে রাত ১০টার মধ্যে হলে প্রবেশের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে তীব্র আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতিদিন বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে আসছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রী হেনস্তা, গ্রেপ্তার ৪