বাংলাদেশ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন সমাধান নয়, অবিলম্বে বাতিল করুন: টিআইবি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলছে, এই আইন সংশোধন কোনো সমাধান নয়। এটি বাতিল করুন।
বুধবার (১২ এপ্রিল) টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
এতে টিআইবি জানায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অগ্রহণযোগ্যতা শুধু মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ধারার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং আইনটির যথেচ্ছ অপব্যবহারের ফলে গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ তথা জনগণের মধ্যে যে নিরাপত্তাহীনতার বিকাশ ঘটেছে, এজন্য আইনটি পুরোপুরি বাতিল করা দরকার।
এছাড়া এই আইন বাতিল করে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার আলোকে শুধু ডিজিটাল পরিকাঠামো ও তার যুগোপযোগী ব্যবহারের নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে নতুন আইন প্রণয়নের দাবি জানায় টিআইবি।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শামসকে মুক্তি দিন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করুন: টিআইবি
এ বিষয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ২০১৮ সালে প্রণয়নের পর থেকেই আইনটির বিভিন্ন নিবর্তনমূলক ধারার যথেচ্ছ অপব্যবহারের ফলে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, আইনটি বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থি। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণকারী ও ভিন্নমতাবলম্বীর শায়েস্তাকারী এই আইন স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী।
তিনি বলেন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একাংশকে আইন লঙ্ঘনকারীতে রূপান্তরের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে এই আইন যথেচ্ছভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।
এতে ভিন্নমত দমন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ, সংখ্যালঘু নির্যাতন, গভীর রাতে তুলে নিয়ে যাওয়া, দীর্ঘসময় গুম করে রাখার পর মামলা দিয়ে গ্রেফতার দেখানো, এমনকি গ্রেফতারের পর হেফাজতে নির্যাতন, নিরাপত্তাহীনতা ও মৃত্যুর মতো ঘটনা স্বাভাবিকতায় পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে মুক্তচিন্তা, ধর্ম নিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ দমনের কৌশল হিসেবে এই আইনের ব্যাপক অপব্যবহার হচ্ছে। তেমনি সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী ও উগ্রধর্মান্ধতার শঙ্কাজনক বিকাশে সহায়কের ভূমিকা পালন করছে এই আইন।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল মাধ্যমের নিরাপদ ও সুস্থ ব্যবহার সহায়ক একটি আইনের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই রয়েছে। এজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে তার পরিবর্তে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার আলোকে এবং সংশ্লিষ্ট খাতের সব অংশীজনকে সম্পৃক্ত করে সুনির্দিষ্টভাবে শুধু ডিজিটাল পরিকাঠামো ও তার ব্যবহারের নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে ঢাকার বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি নজিরবিহীন বৈষম্যমূলক: টিআইবি
হিরো আলমকে তাচ্ছিল্য করে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের বক্তব্য শিষ্ঠাচার বহির্ভূত ও বৈষম্যমূলক: টিআইবি
শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা: অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলার রায় ১৮ এপ্রিল
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় নির্ধারিত দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে আসামিপক্ষ।
আগামী ১৮ এপ্রিল মামলা দু’টির রায়ের দিন ঘোষণা করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা: খালাসের বিরুদ্ধে আপিল
বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডলের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে আদালতের কাঠগড়ায় বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৭ জন আসামি উপস্থিতি ছিলেন।
সাতক্ষীরা জজ আদালতের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ জানান, ১৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনও শেষ হয়েছে।
আগামী ১৮ এপ্রিল মামলার রায়ের দিন ঠিক করেছেন আদালত।
এ প্রসঙ্গে আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন মামলার প্রধান আসামি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ছিলেন না। তিনি সেদিন ঢাকাতে ছিলেন।
আমরা আশা করি, বিজ্ঞ আদালত এ বিষয়টি বিবেচনায় নিবেন।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্ষণের শিকার হওয়া এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যান। সেখান থেকে যশোরে ফেরার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা কলারোয়ায় দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার উপরে আড়াআড়ি করে রেখে শেখ হাসিনার গাড়ি বহরের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের এক ডজন নেতা-কর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির।
এছাড়া গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দু’টি মামলার চার্জ গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: রিজেন্সির কবির-ফাহিমের জামিন বিষয়ে আদালতের ব্যাখ্যা তলব
পরিবেশের ডিজিসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
ঈদের আগে ৩ দিন মহাসড়কে নির্মাণসামগ্রীবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, ঈদের আগের তিনদিন মহাসড়কে রড, সিমেন্ট, বালুসহ নির্মাণসামগ্রী বহনকারী ট্রাক ও লং ভেহিকেল বা ট্রেইলার চলাচল বন্ধ থাকবে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে কোনো সংস্থার গাফিলতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ঈদের তিন দিন আগে থেকে মালবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি নির্মাণ সামগ্রী যেমন রড, সিমেন্ট, বালু ঈদের তিন দিন আগে থেকেই পরিবহন করা বন্ধ থাকবে।
তিনি জানান, এসব ছাড়া পণ্যবাহী অন্যান্য ট্রাক চলবে। নিত্য পণ্যবাহী কিংবা রপ্তানিমুখী পণ্যের ট্রাক চলবে। একই সঙ্গে লং ভেহিকেল বন্ধ থাকবে। ঈদের পরের দিন থেকে এগুলো আবার চালু হয়ে যাবে।
এছাড়া ঈদুল ফিতরের ছুটির সময় ১৯, ২০, ২১ এপ্রিল শিল্পাঞ্চলের ব্যাংকের যে সমস্ত শাখা প্রয়োজন, সেগুলো খোলা থাকবে।
তিনি আরও জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরুর আগেই মার্চ মাসের বেতন বোনাস পরিশোধ করার জন্য বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা অঙ্গীকার করে গেছেন।
যদি তারা পারেন তবে এপ্রিল মাসের বেতন দিয়ে দেবেন। এটার কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
আরও পড়ুন: ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া কর্মীর ৫৪.৫ শতাংশ এখনও বেকার
রানা প্লাজা দুঘর্টনায় বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে বেকারত্বের হার হ্রাস পেলেও বর্তমানে কর্মহীন রয়েছেন ৫৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১০ বছর উপলক্ষে বুধবার (১২ এপ্রিল) ‘রানা প্লাজা দুঘর্টনা: ট্রাজেডি এবং ট্রান্সফরমেশন’ শীর্ষক সমীক্ষায় এই ফলাফল উপস্থাপন করে একশনএইড বাংলাদেশ।
একশনএইড বাংলাদেশ-এর এক সমীক্ষা অনুসারে, রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে বেকারত্বের হার হ্রাস পেলেও বর্তমানে ৫৪ দশমিক পাঁচ শতাংশ কর্মহীন রয়েছেন। এদের মধ্যে ৮৯ শতাংশ গত পাঁচ থেকে আট বছর ধরে কর্মহীন, আর পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ কর্মহীন রয়েছেন গত তিন থেকে চার বছর ধরে।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ৮ বছর
একশনএইড বাংলাদেশ পরিচালিত এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বেঁচে যাওয়া ২০০ জনের মধ্যে এই জরিপ পরিচালিত হয়েছে।
এর মধ্যে ৬৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ নারী এবং ৩০ দশমিক পাঁচ শতাংশ পুরুষ।
সমীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলে বেঁচে থাকাদের বর্তমান অবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত শারীরিক স্বাস্থ্যের অবস্থা, মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতা এবং আর্থিক অবস্থাসহ বেশ কয়েকটি মূল বিষয় তুলে ধরা হয়।
সমীক্ষায় পাওয়া তথ্য মতে, তাদের বেকারত্বের পেছনে মূল কারণ হলো তাদের শারীরিক স্বাস্থ্যগত অবস্থা। তবে এই হার গত বছরে ছিল ৬৭ শতাংশ, যা বর্তমানে কমে ৪৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
অন্যদিকে, ২১ শতাংশ বলেছেন যে তারা কোন উপযুক্ত চাকরি খুঁজে পাচ্ছেন না।
এই ফলাফল থেকে দেখা যায় যে শারীরিকভাবে সক্ষমতা থাকা অনেক শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সমীক্ষা আরও বলছে, রানা প্লাজার দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়াদের শারীরিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি দেখা যায়নি। সম্পূর্ণরূপে স্থিতিশীল বলে দাবি করা জীবিতদের অনুপাত ২০১৪ সালে ছিল ১৭ শতাংশ যা ২০২৩ সালে এসে সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ হয়েছে।
এবছর ২২ দশমিক পাঁচ শতাংশ বলেছেন তাদের শারীরিক স্বাস্থের অবনতি হয়েছে যা ২০১৪ সালে ছিল ৯ শতাংশ।
উত্তরদাতাদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি (৩৬ দশমিক আট শতাংশ) উল্লেখ করেছেন যে তারা পিঠের ব্যথায় ভুগছেন, এক চতুর্থাংশ (২৪ দশমিক ছয় শতাংশ) মাথা ব্যথার বিষয়ে অভিযোগ করেছেন।
অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট, হাত ও পায়ে আঘাত, দাঁড়াতে ও সঠিকভাবে হাঁটতে না পারা, দৃষ্টিশক্তি ও কিডনির সমস্যা ইত্যাদি।
মনোসামাজিক স্বাস্থ্যের পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূর্ণরূপে সুস্থ অনুভব করা লোকের হার হ্রাস পেলেও মোটামুটি স্থিতিশীল বলে দাবি করার হার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ইতিবাচক প্রবণতা সত্ত্বেও, এখনও ২৯ শতাংশ মানসিক ট্রমার মধ্যে বেঁচে আছেন, যাদের অবস্থার দিন দিন অবনতি হচ্ছে।
মানসিক ট্রমায় আক্রান্ত ২৯ শতাংশের মধ্যে ৫৭ দশমিক আট শতাংশ উত্তরদাতারা বলেছেন তাদের মধ্যে ভবন ধসে পড়ার ভয় কাজ করে।
এছাড়া ২৮ দশমিক ৯ শতাংশ তাদের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন।
সমীক্ষার ফলাফলে আরও দেখা যায় শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে সেরে উঠেছে ৩৬ দশমিক তিন শতাংশ বর্তমানে পোশাক কারখানায় কর্মরত রয়েছেন।
গত বছর এ হার ছিল ১৪ দশমিক পাঁচ শতাংশ।
সমীক্ষা অনুযায়ী, বেঁচে ফেরা পোশাক শ্রমিকরা স্বাস্থ্যঝুঁকি কাটিয়ে ওঠার পরে কাজ ফিরে আসছে, যা তাদের সামগ্রিক কর্মসংস্থানের ইতিবাচক বিকাশকে প্রতিফলিত করে।
সমীক্ষায় আরও প্রকাশ পায়, বেঁচে যাওয়াদের পরিবারের আয়ের পরিস্থিতি গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। জীবিতদের অর্ধেকের মাসিক পারিবারিক আয় (৪৬ দশমিক পাঁচ শতাংশ) ১০ হাজার এক থেকে ১৫ হাজার টাকা, ১৯ দশমিক পাঁচ শতাংশের মাসিক পারিবারিক আয় ১৫ হাজার এক টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা, এবং ১১ শতাংশের প্রতি মাসে আয় ২০ হাজার টাকার বেশি।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ৭ বছর পরও অর্ধেক শ্রমিক কর্মহীন: একশনএইড
উত্তরদাতাদের বেশিরভাগের পরিবারের আয় তাদের পারিবারিক খরচ মেটাতে অপর্যাপ্ত। প্রায় অর্ধেক উত্তরদাতা জানিয়েছেন (৪৭ শতাংশ) তাদের মাসিক ব্যয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা এবং তারা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরী ব্যয় এর মতো অপ্রত্যাশিত ব্যয় এর জন্য কোন সঞ্চয় নেই।
ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, ঈদের আগে শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না। তিনি বলেন, সেই সঙ্গে ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাসও দিতে হবে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের ছুটির আগেই শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমই ও নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা অঙ্গীকার করে গেছেন।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
এছাড়া তারা এই বেতন-বোনাস পরিশোধ করে দেবেন। যদি পারেন, তাহলে এপ্রিল মাসের বেতনও দিয়ে দেবেন।
মন্ত্রী বলেন, ঈদে জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারে, এজন্য মার্কেট-শপিংমলগুলোতে রাত্রিকালীন নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
এছাড়া ঘরমুখী মানুষের যাতায়াত নিরাপদ করতে বাস, লঞ্চ ও রেল স্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। র্যাবের টহলও দৃশ্যমান রাখা হবে।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত দিয়েছি, ঈদের আগে শ্রমিকদের কোনো ধরনের ছাঁটাই করা যাবে না। যানজট এড়াতে পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের একই দিনে ছুটি না দিয়ে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
সাভার, আশুলিয়াসহ অন্য শিল্পাঞ্চল এলাকায় কেউ যেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিল্পপুলিশ এ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।
এরআগে ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে সমগ্র দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, ঈদের পূর্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ ও ছুটি প্রদান, সড়ক মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের সাক্ষর-সিল জালিয়াতির অভিযোগে নাপিত গ্রেপ্তার
এ সময়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাজাহান খান, পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও জননিরাপত্তা সচিব মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঈদের আগেই দেশের বড় বড় মার্কেটগুলোতে দরকার অনুসারে অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা মহড়া প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করবে ফায়ার সার্ভিস। বঙ্গবাজারের মতো যাতে আর কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিস মার্কেটগুলোতে যাচ্ছে।
এছাড়া আগুন ধরলে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তাদের সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলোর তালিকাও তারা প্রেস নোটের মাধ্যমে জানাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বাস, লঞ্চ ও ট্রেন যাতে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন না করে, সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি আটকানো যাবে না। যাতে গাড়ি চলাচলে গতি বাধাগ্রস্ত না হয়। যদি কোনো গাড়িতে সমস্যা থাকে, যা আগে থেকেই জানা, সেগুলোই কেবল আটকানো হবে।
এছাড়া যেহেতু পদ্মাসেতুতে আমরা মোটরসাইকেল চলাচল করতে দিচ্ছি না, তাই বিকল্প হিসেবে সেখানে একটি ফেরি চালু থাকবে।
যেটি দিয়ে শুধু মোটরসাইকেলগুলো পারাপার করবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে কোনো সংস্থার গাফিলতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
উপবৃত্তি বিতরণে নগদ-এর সঙ্গে সরকারের পাঁচ বছরের চুক্তি সই
প্রাথমিক শিক্ষায় উপবৃত্তি বিতরণে ধারাবাহিক সাফল্যের অংশ হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ডাক অধিদপ্তর ও নগদ লিমিটেড-এর সঙ্গে পাঁচ বছর মেয়াদী চুক্তি সই করেছে।
এতে আগের মতো ধারাবাহিকতা ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে প্রাথমিকের উপবৃত্তি বিতরণ করবে নগদ লিমিটেড।
বুধবার ১২ এপ্রিল বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তি সই হয়।
চুক্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) শাহ রেজওয়ান হায়াত, ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. ছালেহ আহাম্মদ ও নগদ-এর নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সই করেন।
এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. হারুনুর রশীদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মানি চেঞ্জাররা নগদ ২৫ হাজার ডলারের বেশি রাখতে পারবে না: বিবি
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে মায়ের হাতে উপবৃত্তি পৌঁছে দেওয়াটা একটা অসাধারণ কাজ হয়েছে। আমি আশ্বস্ত করব, নগদ-এর দিক থেকে যতভাবে সম্ভব, যতটা ত্রুটিহীনভাবে করা সম্ভব, সেই চেষ্টাটা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, মন্ত্রণালয়ের দিক থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষকে একটু সচেতন যদি করে দেন, যাতে গ্রাম পর্যায়ে মায়েরা এসব প্রতারকের ফাঁদে না পড়ে, তাহলে আমার মনে হয় এটাকে একেবারে ত্রুটিহীনভাবে করা যেতে পারে।’
মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ‘আমি বলব আজ নগদ-এর জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন, কারণ আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রাথমিকের উপবৃত্তি বিতরণের খবর পাওয়া আজ নগদ-এর জন্য বড় ঘটনা।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘নগদ-এর মাধ্যমে উপবৃত্তি দেওয়ার জন্য পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করেছি, এর মধ্যে মূল্যায়নও আছে, আমরা মূল্যায়নও করব। আমরা দেখভালের ব্যবস্থা করব, নগদ যাতে বিকাশ বা শিওর ক্যাশের মতো আমাদের কষ্ট না দেয়, সেটাই আশা করব।’
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ২০২৬-২৭ অর্থ বছর পর্যন্ত মধ্য মেয়াদে পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের শর্তে পাঁচ বছরের জন্য নগদ লিমিটেড-এর মাধ্যমে উপবৃত্তি বিতরণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে ডাক অধিদপ্তর ও নগদ লিমিটেড-এর চুক্তি হয়।
চুক্তির বিষয়ে নগদ লিমিটেড-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘সরকারের উপবৃত্তি বিতরণের ফলে এখন শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার অনেক কমে গেছে। অনেক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক জানে না যে উপবৃত্তি আসে কোথায় থেকে! আমরা নগদ-এর পক্ষ থেকে সারা দেশে সবাইকে জানাতে চাই যে প্রধানমন্ত্রী এই উপবৃত্তি বিতরণ করে থাকেন।
চুক্তি থেকে জানা যায়, প্রতি অর্থবছরে এক কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষার জন্য দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটি-এর মাধ্যমে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ করছে।
এতে পরিচালন বাজেটে প্রতি অর্থবছর প্রায় ২০০০ কোটি টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণের জন্য আজ ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তি সম্পাদিত হলো।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মেগা ক্যাম্পেইনের আয় দান করবে নগদ
ঈদ: পুরস্কার পেল নগদ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীরা
বাংলাদেশের সাক্ষরতার হার বেড়ে ৭৪ শতাংশে, দারিদ্র্য কমে ৫.৬ শতাংশ: জরিপ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ পারিবারিক জরিপ অনুসারে বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ শতাংশে।
বুধবার প্রকাশিত জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গৃহস্থালি আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, ২০১৬ সালে সাক্ষরতার হার ছিল ৬৫ দশমিক ষাট শতাংশ এবং ২০১০ সালে ৫৭ দশমিক ৯১ শতাংশ।
সাক্ষরতার হার নির্ধারণে সাত বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীদের আর্থিক সাক্ষরতা বাড়াতে কাজ করছে বিএসইসি: অধ্যাপক শিবলী
বিবিএস ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪ হাজার ৪০০ পরিবারের মধ্যে জরিপটি পরিচালনা করে।
বর্তমানে (২০২২) দেশে একটি পরিবারের গড় মাসিক ব্যয় ৩১,৫০০ টাকা, যা ২০১৬ সালে তা ছিল ১৫, ৭১৫ টাকা। ফলে ছয় বছরের ব্যবধানে খরচ দ্বিগুণ হয়েছে।
দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে দেশে দরিদ্র ও নিঃস্ব মানুষের হার কমেছে। দেশে দরিদ্র জনসংখ্যা ১৮ দশমিক সাত শতাংশ। এছাড়া দারিদ্র্যের হার কমেছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
২০১৬ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে দরিদ্র জনসংখ্যা ছিল ২৪ দশমিক তিন শতাংশ।
সে বছর অতি-দরিদ্র জনসংখ্যা ছিল ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। ফলে সাত বছরের ব্যবধানে দেশে দরিদ্রের সংখ্যা ৫ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
একই সময়ে, অতি-দরিদ্র জনসংখ্যা সাত দশমিক তিন শতাংশ কমেছে।
দারিদ্র্যের হার গ্রামীণ শহরে ২০ দশমিক পাঁচ শতাংশ এবং শহরে ১৪ দশমিক সাত শতাংশ।
দারিদ্র্যের হার নির্ধারণে কাজ করা সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বুধবার (১২ এপ্রিল) বিবিএস অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে।
এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংস্থাটি ২০১৬ সালে তার সর্বশেষ 'গৃহস্থালী আয় ও ব্যয় সমীক্ষা (এইচআইইএস)' প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার নিয়ে বিএসইসি’র সঙ্গে আলোচনায় বসবে আইএমএফ
পুঁজিবাজার টিকিয়ে রাখতে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল দাবি বিএমবিএ’র
দেশে ৬ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ছয়জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: দেশে ৮ জনের করোনা শনাক্ত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৪৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও দুই জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ পাঁচ হাজার ৫৭৯ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে ৫ জনের করোনা শনাক্ত
বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ কোটি ৫০ লাখ ছাড়াল
দেশে আরও ৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময়ে চারজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে দুইজন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকি দুইজন দেশের অন্যান্য জেলার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ১৬ জন ঢাকার মধ্যে এবং ৯ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১২ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৮৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৪৬২ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৪৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৮৬৪ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ৪৪০ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৪২৪ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে মিয়ানমারে ‘নিরাপদ সুরক্ষা অঞ্চল’ তৈরির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে সেজন্য মিয়ানমারে একটি ‘নিরাপদ সুরক্ষা অঞ্চল’ তৈরি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা তাদের (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) সঙ্গে টেকসই সমাধানের জন্য আলোচনা করেছি (রোহিঙ্গা সংকটের)। ‘আমরা বলেছি আমাদের অগ্রাধিকার হলো তাদের (রোহিঙ্গাদের) প্রত্যাবাসন।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাইলট প্রকল্প শিগগিরই বাস্তবায়নের আশাবাদ শাহরিয়ারের
তিনি বলেন, মার্কিন পক্ষ উল্লেখ করেছে যে মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখনও প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল নয়।
মোমেন বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম যে তারা (রোহিঙ্গারা) একবার সেখানে (মিয়ানমার) যাবে, তারা অনুকূল পরিবেশ পাবে। আপনি (মার্কিন) একটি নিরাপদ সুরক্ষা অঞ্চল তৈরি করুন। রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশেই নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মার্কিন সরকার অব্যাহত মানবিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে উদারভাবে আতিথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আতিথেয়তা করার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান এবং ২০১৭ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তায় প্রায় দুই দশমিক এক বিলিয়ন ডলারের কথা তুলে ধরেন, যার মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি পরিষেবা সরবরাহের জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নতুন সহায়তায় ২৩ দশমিক আট মিলিয়ন মার্কিন ডলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নেদারল্যান্ডসের বৃহত্তর সমর্থন চায় ঢাকা
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার পাইলট প্রকল্পের আলোচনায় ‘সম্পৃক্ত নয়’ ইউএনএইচসিআর