বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ পারিবারিক জরিপ অনুসারে বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ শতাংশে।
বুধবার প্রকাশিত জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গৃহস্থালি আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, ২০১৬ সালে সাক্ষরতার হার ছিল ৬৫ দশমিক ষাট শতাংশ এবং ২০১০ সালে ৫৭ দশমিক ৯১ শতাংশ।
সাক্ষরতার হার নির্ধারণে সাত বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীদের আর্থিক সাক্ষরতা বাড়াতে কাজ করছে বিএসইসি: অধ্যাপক শিবলী
বিবিএস ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪ হাজার ৪০০ পরিবারের মধ্যে জরিপটি পরিচালনা করে।
বর্তমানে (২০২২) দেশে একটি পরিবারের গড় মাসিক ব্যয় ৩১,৫০০ টাকা, যা ২০১৬ সালে তা ছিল ১৫, ৭১৫ টাকা। ফলে ছয় বছরের ব্যবধানে খরচ দ্বিগুণ হয়েছে।
দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে দেশে দরিদ্র ও নিঃস্ব মানুষের হার কমেছে। দেশে দরিদ্র জনসংখ্যা ১৮ দশমিক সাত শতাংশ। এছাড়া দারিদ্র্যের হার কমেছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
২০১৬ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে দরিদ্র জনসংখ্যা ছিল ২৪ দশমিক তিন শতাংশ।
সে বছর অতি-দরিদ্র জনসংখ্যা ছিল ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। ফলে সাত বছরের ব্যবধানে দেশে দরিদ্রের সংখ্যা ৫ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
একই সময়ে, অতি-দরিদ্র জনসংখ্যা সাত দশমিক তিন শতাংশ কমেছে।
দারিদ্র্যের হার গ্রামীণ শহরে ২০ দশমিক পাঁচ শতাংশ এবং শহরে ১৪ দশমিক সাত শতাংশ।
দারিদ্র্যের হার নির্ধারণে কাজ করা সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বুধবার (১২ এপ্রিল) বিবিএস অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে।
এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংস্থাটি ২০১৬ সালে তার সর্বশেষ 'গৃহস্থালী আয় ও ব্যয় সমীক্ষা (এইচআইইএস)' প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার নিয়ে বিএসইসি’র সঙ্গে আলোচনায় বসবে আইএমএফ
পুঁজিবাজার টিকিয়ে রাখতে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল দাবি বিএমবিএ’র