স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, ঈদের আগে শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না। তিনি বলেন, সেই সঙ্গে ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাসও দিতে হবে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের ছুটির আগেই শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমই ও নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা অঙ্গীকার করে গেছেন।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
এছাড়া তারা এই বেতন-বোনাস পরিশোধ করে দেবেন। যদি পারেন, তাহলে এপ্রিল মাসের বেতনও দিয়ে দেবেন।
মন্ত্রী বলেন, ঈদে জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারে, এজন্য মার্কেট-শপিংমলগুলোতে রাত্রিকালীন নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
এছাড়া ঘরমুখী মানুষের যাতায়াত নিরাপদ করতে বাস, লঞ্চ ও রেল স্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। র্যাবের টহলও দৃশ্যমান রাখা হবে।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত দিয়েছি, ঈদের আগে শ্রমিকদের কোনো ধরনের ছাঁটাই করা যাবে না। যানজট এড়াতে পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের একই দিনে ছুটি না দিয়ে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
সাভার, আশুলিয়াসহ অন্য শিল্পাঞ্চল এলাকায় কেউ যেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিল্পপুলিশ এ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।
এরআগে ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে সমগ্র দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, ঈদের পূর্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ ও ছুটি প্রদান, সড়ক মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাজাহান খান, পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও জননিরাপত্তা সচিব মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঈদের আগেই দেশের বড় বড় মার্কেটগুলোতে দরকার অনুসারে অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা মহড়া প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করবে ফায়ার সার্ভিস। বঙ্গবাজারের মতো যাতে আর কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিস মার্কেটগুলোতে যাচ্ছে।
এছাড়া আগুন ধরলে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তাদের সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলোর তালিকাও তারা প্রেস নোটের মাধ্যমে জানাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বাস, লঞ্চ ও ট্রেন যাতে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন না করে, সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি আটকানো যাবে না। যাতে গাড়ি চলাচলে গতি বাধাগ্রস্ত না হয়। যদি কোনো গাড়িতে সমস্যা থাকে, যা আগে থেকেই জানা, সেগুলোই কেবল আটকানো হবে।
এছাড়া যেহেতু পদ্মাসেতুতে আমরা মোটরসাইকেল চলাচল করতে দিচ্ছি না, তাই বিকল্প হিসেবে সেখানে একটি ফেরি চালু থাকবে।
যেটি দিয়ে শুধু মোটরসাইকেলগুলো পারাপার করবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে কোনো সংস্থার গাফিলতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী