বাংলাদেশ
কাপ্তাইয়ের সীতা মন্দিরে মহাবারুণী স্নানে ভক্তদের ঢল
মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে প্রাগৈতিহাসিক তীর্থস্থান রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ের সীতাঘাট শ্রী শ্রী মাতা সীতা মন্দিরে মহা বারুণী স্নান উপলক্ষে রবিবার (১৯ মার্চ) হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটেছে।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা সনাতন ধর্মের ভক্তরা কর্ণফুলি নদীতে স্নান, সীতা মন্দির, শম্ভুনাথ মন্দির, কালি মন্দিরে পূজা দেয়া এবং মহাপ্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে সীতা দেবীর কাছে তাদের মনের বাসনা ব্যক্ত করেছেন।
এ উপলক্ষে রবিবার সকাল থেকে অষ্টপ্রহরব্যাপী তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞ ও সীতা মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে একটি মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে সীতা মন্দির। ঐতিহাসিক এই মন্দিরে বিভিন্ন নির্দশন ঘুরে ফিরে দেখছেন ভক্তরা।
মহাবারুণী স্নানে আসা অনেক ভক্ত জানান, ‘ঐতিহাসিক এই পবিত্র তীর্থ স্থানে আসতে পেরে নিজেদেরকে পূণ্যবান মনে হচ্ছে। আমরা মা সীতা দেবীর বিভিন্ন নিদর্শন ঘুরে ফিরে দেখছি এবং মহাবারুণী স্নানে স্নাত হয়ে পবিত্র হচ্ছি।’
আরও পড়ুন: লোহাগড়ায় জগন্নাথ মন্দির থেকে দেব-দেবীর মূর্তি চুরি!
সীতাঘাট মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি রতন দাশ জানান, ‘ঐতিহাসিক এই সীতা মন্দিরে দূর- দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসছেন। সীতা মন্দির, শম্ভুনাথ মন্দির ও কালি মন্দিরসহ মা সীতার বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখছেন ভক্তরা। গত শনিবার থেকে শুরু হয়ে সোমবার সকাল পর্যন্ত এই উৎসব চলবে।’
মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দাশ জানান, ‘এই মন্দিরে মা সীতার অনেক নিদর্শন আছে। মা সীতা যে ঘাটে স্নান করেছেন, আজ সে ঘাটে ভক্তরা স্নান করেছেন। এই স্থানে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে আমাদের অনেক প্রতিকূলতা সৃষ্টি হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপরও এমপি দীপংকর তালুকদার, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ,পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরাকারি সংস্থার সহায়তায় আমরা এই অনুষ্ঠান করতে পারছি।’
শ্রী শ্রী মাতা সীতাদেবী মন্দির এর অধ্যক্ষ শ্রীমৎ জ্যোতির্ময়ানন্দ পুরী মহারাজ জানান, এটি একটি প্রাগৈতিহাসিক তীর্থস্থান। আমি বিশ্বের সকল ভক্তের কাছে অনুরোধ জানাই, সকলে মিলে এই তীর্থস্থানকে জাগিয়ে তোলেন।
এদিকে মহাবারুণী স্নান উপলক্ষে রবিবার (১৯ মার্চ) বেলা ১২টায় মন্দির প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সনাতন সম্প্রদায়সহ সকল ধর্মের মঠ-মন্দিরের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু কিছু অবৈধ অস্ত্রধারী ও চাঁদাবাজ এই পার্বত্যঞ্চলকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি করতে চাই সবসময়। তাই তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
এর আগে প্রধান অতিথি রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ এর অর্থায়নে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে সীতারঘাট মন্দির কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন।
এছাড়া মহাবারুণী স্নান উপলক্ষে গত শনিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং রাত ৮টায় মহানামযজ্ঞের শুভ অধিবাস অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর: সুষ্ঠু তদন্তের দাবি ফখরুলের
স্মার্ট নাগরিক তৈরির জন্য কার্যকর সৃজনশীল উদ্ভাবনের উপর জোর দেন মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত নীতির ভিত্তিতে একটি সমৃদ্ধ, জ্ঞানভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ এবং তথ্য ভিজ্যুয়ালাইজেশন সিস্টেম ভবিষ্যতের নীতি তৈরির প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে তুলবে। সেই লক্ষ্যকে মাথায় রেখে, নতুন প্রতিষ্ঠিত নিউরাল নেটওয়ার্ক তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে কোভিড-১৯ বা রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের মতো যেকোনো সংকটের প্রয়োজনীয় অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে সক্ষম হবে।’
রবিবার(১৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘ইনোভেশন ল্যাব অ্যান্ড ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ফান্ড’ উদ্বোধনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান লিলিয়ার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এটুআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলো কার্যত এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে ওআইসি সদস্যদের দায়িত্ব নিতে হবে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, সরকারের বাস্তবমুখী উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশ এখন অসীম সম্ভাবনাময় একটি প্রাণবন্ত অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত অর্থনৈতিক কূটনীতিভিত্তিক কর্মকাণ্ডের উল্লেখ করেন যা রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের উন্নত সেবা প্রদানের জন্য শুরু করা হয়েছে।
মোমেন স্মার্ট নাগরিক তৈরির জন্য দেশীয় সম্পদ ব্যবহার এবং দক্ষতার সঙ্গে সাশ্রয়ী সৃজনশীল সমাধান উদ্ভাবনের উপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
তিনি তার বক্তব্যে উন্নত জনসেবা প্রদানে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্র সচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে ইনোভেশন ল্যাব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি সক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে এবং ভবিষ্যত বিশ্বের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করবে।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি এবং আইসিটি শাখার মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুন।
আরও পড়ুন: উন্নত দেশগুলোকে প্রতিরক্ষা ব্যয়ের ১০% জলবায়ু তহবিলে বরাদ্দ করা উচিত, মোমেনের প্রস্তাব
উন্নত দেশগুলোকে প্রতিরক্ষা ব্যয়ের ১০% জলবায়ু তহবিলে বরাদ্দ করা উচিত, মোমেনের প্রস্তাব
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রস্তাব করেছেন যে উন্নত দেশগুলো তাদের প্রতিরক্ষা বাজেটের ১০ শতাংশ জলবায়ু তহবিলে অরক্ষিত দেশগুলোকে সাহায্য করতে হবে।
তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা এই গ্রহ পৃথিবীকে বাঁচাতে চাই। কারণ এটাই আমাদের একমাত্র পৃথিবী। এই গ্রহ পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য উন্নয়ন সহযোগীরা আমাদের অতিরিক্ত তহবিল প্রদান করতে সম্মত হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত আজ পর্যন্ত এক পয়সাও দেয়া হয়নি। তাই, আমার একটি প্রস্তাব রয়েছে যে দেশগুলো প্রতিরক্ষার জন্য যে কোনও অর্থ ব্যয় করবে, তারা তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয়ের ১০ শতাংশ জলবায়ু তহবিলের জন্য বরাদ্দ করবে।’
রবিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিসিএবি) আয়োজিত এক সেমিনারে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রস্তাব দেন।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে এই দেশগুলো প্রতিরক্ষা ব্যয় হিসাবে প্রায় দুই দশমিক ৩০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করছে। তিনি আরও বলেন যে এই বাজেটের ১০ শতাংশ প্রদানের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর উপর জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব প্রশমিত করা যেতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এলডিসি উন্নীতদের একটি সাফল্যের গল্প – সুতরাং, তাদের পুরস্কৃত করা উচিত, শাস্তি নয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-বাংলাদেশ আন্তঃসরকার কমিশনের চতুর্থ অধিবেশন ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠিত
মোমেন বলেন, ‘আমরা উন্নয়ন করছি। যেহেতু আমরা উন্নয়ন করছি, এটি একটি সাফল্যের গল্প। সুতরাং, উন্নয়নকে পুরস্কৃত করা উচিত, শাস্তি নয়। উন্নয়নের প্রক্রিয়াটি মসৃণ করার জন্য আমাদের একটি আত্মা-অনুসন্ধান করা উচিত। আমি জাতিসংঘের মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানাই কারণ তিনি বলেছিলেন যে উন্নীত হওয়া উচিত শাস্তি নয়, পুরস্কৃত করা উচিত।’
সম্প্রতি দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘স্নাতক অবশ্যই একটি পুরস্কার হতে হবে, কখনও শাস্তি নয়।’
মোমেন বলেন, ‘এখন আমাদের এবং সাংবাদিকদের জন্য সময় এসেছে, আমরা কীভাবে একটি বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার পাশাপাশি বাণিজ্য ব্যবস্থা তৈরি করতে পারি যাতে এলডিসিরা উন্নীত হতে পারে এবং তাদের (যারা উন্নীত হচ্ছে) একটি মসৃণ উত্তরণ ঘটতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা জানি যে একটি দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা না থাকলে, সেই দেশের উন্নতি করা খুব কঠিন। যে দেশগুলো খুব ভালো করেছে তাদের দিকে তাকান। সিঙ্গাপুরের মতো একটি ছোট দেশের উদাহরণ নিন। ৫৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে একই সরকার ছিল। গত ২৬ বছর ধরে রুয়ান্ডায় একই সরকার রয়েছে।’
‘তবে সেই দেশগুলোর দিকেও তাকান যেখানে কোনো আঞ্চলিক শান্তি নেই - যেমন সিরিয়া, লিবিয়া এবং ইয়েমেন। সুতরাং, যখনই আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নেই, সেখানে অভ্যন্তরীণ শান্তি ও স্থিতিশীলতা নেই। শুধুমাত্র সেই দেশগুলোই ভালো করে যেখানে আছে। শান্তি ও স্থিতিশীলতা।’
তিনি আরও বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশে একটি স্থিতিশীল সরকার রয়েছে। ‘আশ্চর্যের কিছু নেই যে বাংলাদেশ খুব ভালো করেছে। এবং যদি কোনো সমস্যা থাকে, আমরা সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সেই সমস্যাটি সমাধান করতে চাই। এবং
আমাদের উদাহরণ খুবই উজ্জ্বল যে প্রতিবেশীদের সঙ্গে আমাদের বেশিরভাগ সমস্যা সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা হয়েছে।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে সাংবাদিকরা এই বিষয়গুলোকে বিশ্বব্যাপী প্রচার করার চেষ্টা করবেন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের গঠনমূলক ধারণা এবং পদ্ধতি নিয়ে আসার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডিসিএবি সদস্যদের প্রশ্ন করার জন্য এবং সরকারের বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানান।
ডিসিএবি সদস্যরা অনেক সাহায্য করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন ‘যখনই কিছু ভুল হয়, তারা তা তুলে নেয় এবং প্রক্রিয়ায় আমরা নিজেদের সংশোধন করি।’
সবার আগে জাতীয় স্বার্থ
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্পর্শকাতর বিষয়গুলো কভার করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের অবশ্যই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আপনি বছরের ৩৬৫ দিনে অনেকগুলো সমস্যা খুঁজে পাবেন। এর মধ্যে, কিছু খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল যোগাযোগ থাকবে। … সেগুলো প্রকাশ করা উচিত কিনা তা আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
আলম বলেন, যে কোনো ইস্যুতে যোগাযোগের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার দরজা খোলা রাখে। ‘একটি ভাল উদ্যোগের সাফল্য নির্ভর করে এটি খোলামেলা সময়ের ওপর।’
তিনি বলেন, কূটনীতিতে ব্যক্তিগত স্বার্থ বলে কিছু নেই এবং বাংলাদেশ তার নীতি অনুসরণ করবে – ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বিদ্বেষ নয়।’
আলম বলেছেন, ‘এটি একটি যাত্রা যা আমরা একসঙ্গে করছি এবং আমরা আশা করি এই ধারা অব্যাহত রাখব।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে ওআইসি সদস্যদের দায়িত্ব নিতে হবে: মোমেন
গণমাধ্যমে এশিয়া, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং ভূরাজনীতিসহ বিভিন্ন বৈদেশিক বিষয়ের ওপর বিশ্লেষণমূলক ও গবেষণাভিত্তিক নিবন্ধের অভাব তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির, ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান লাইলুফার
ইয়াসমিন, ডিসিএবি সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস প্রমুখ।
ডিসিএবি সদস্য শেখ শাহরিয়ার জামান এবং মীর মোস্তাফিজুর রহমান কূটনীতিতে সাংবাদিকদের ভূমিকার উপর একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন, ডিসিএবি সাবেক সভাপতি রাহেদ এজাজ এবং পান্থ রহমান অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, কূটনীতিতে স্পর্শকাতর বিষয়গুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে কূটনীতিকরা তাদের জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমকেও এসব বিষয় কভার করার সময় জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রাখতে হবে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, সাংবাদিকদের এমন ভাবার কোনো সুযোগ নেই যে সারা বিশ্বে যা ঘটছে, সাধারণ মানুষ তেমন কিছু বোঝে না।
তিনি আরও বলেন, ইন্টারনেট তাদের এই সূক্ষ্ম বিষয়ে অ্যাক্সেস দিয়েছে। সুতরাং, সাংবাদিকদের আরও অধ্যয়ন করতে হবে নতুবা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
তার মূল প্রবন্ধে মীর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতিবেশী ও গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মতো জটিল বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে স্থানীয় গণমাধ্যম তথ্য প্রদানকারী এবং মতামত নির্মাতা উভয়ের ভূমিকা পালন করেছে।
অনুষ্ঠানে ডিসিএবির তিন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শ্যামল দত্ত, আনিস আলমগীর ও মোস্তফা কামালকে সম্মাননা দেয়া হয়। ডিসিএবি ১৯৯৮ সালের ১৬ মার্চ যাত্রা শুরু করে।
আরও পড়ুন: ফোর্স কমান্ডার হিসেবে মেজর জেনারেল ফখরুল আহসানকে নিয়োগ দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আলদুহাইলান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
রবিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এই সাক্ষাৎ করেন।
রাষ্ট্রদূত সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ এবং সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের কাছ থেকে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির কাছে দু’টি শুভেচ্ছা পত্র হস্তান্তর করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, তারা চিঠিতে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের অব্যাহত উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করেছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এই সম্পর্ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রসারিত হচ্ছে, তিনি যোগ করেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে অবৈধ ভিসা ব্যবসার অভিযোগে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আটক
সম্প্রতি সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি বলেন, এই সফর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে অভিনব সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তা দেয়ার জন্য সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আবদুল হামিদ।
সৌদি আরবের এই সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে সৌদি আরব মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: ইরান ও সৌদি আরবের সম্পর্ক পুনস্থাপনকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ: মোমেন
প্রতি জেলায় মা ও শিশু হাসপাতাল করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের প্রতিটি জেলায় ৩০-৫০ বেডের আলাদা করে মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, এটি করা গেলে দেশের মায়েদের প্রসবকালীন যে সমস্যা ও অর্থ ব্যয় হয় তা অনেকখানী কমে যাবে।
রবিবার রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) অডিটরিয়াম হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের কয়েকশ’ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইতোমধ্যে প্রসূতি মায়ের জন্য ২৪ ঘন্টা স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতাল স্থাপনের সরকারি উদ্যোগ পুরোদমে চলছে।
তিনি তার বক্তব্যে শিশুশ্রম ও বাল্যবিবাহ বন্ধেরও আহ্বান জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম-এর সভাপতিত্বে সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম)-এর লাইন ডিরেক্টর আব্দুল মান্নান, জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সোমবার দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিনামূল্যে ৫০ হাজার টাকার স্বাস্থ্যসেবা পাবে ১৫ লাখ পরিবার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন: ঘটনা তদন্তে বিএনপি সমর্থিত ১৪ প্রার্থীর রিট
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা তদন্তের জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
তদন্তের জন্য কমিটি করতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের প্রতি এ নির্দেশনা দেয়ার আর্জি জানিয়ে রবিবার রিটটি করেছেন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ১৪ প্রার্থী।
সোমবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের বেঞ্চে আবেদনটি কার্যতালিকাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারীদের একজন এবং বিএনপি সমর্থক প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন।
রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইন সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডিবির উপ-কমিশনার ও শাহবাগ থানার ওসিকে বিবাদী করা হয়েছে।
আবেদনে ১৫ মার্চ আবেদনকারীদের, আইনজীবী ও সাংবাদিকদদের পেটানোর ঘটনা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যেন এভাবে পুলিশি তাণ্ডব আর না চালানো হয় সে ব্যাপারে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে এই রিটে।
গত ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটের নির্ধারিত দিন ছিল। সমিতির এই নির্বাচন পরিচালনা সাব-কমিটি গঠন নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ে সমিতির আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থক এবং সমমনা আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ শেষ
শুরুতেই এই সাব-কমিটি গঠন নিয়ে মতৈক্য থাকলেও পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা ও সাবেক বিচারপতি মনসুরুল হক চৌধুরীকে প্রধান করে সাত সদস্যের সাব-কমিটি ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে গঠন করা হয়।
কিন্তু সাব-কমিটি নির্বাচনে ভোট মেশিনে গণনা করতে চাইলে সমিতির বর্তমান সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ সমর্থক প্যানেলের প্রার্থী আব্দুন নূর দুলাল তাতে রাজি না হওয়ায় অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় পদত্যাগ করেন। এ অবস্থায় ১৪ মার্চ বিএনপি ও আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীরা ফের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন।
সমিতির আওয়ামী ফোরামের নেতারা মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুজ্জামানকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান করে নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে, বিএনপি সমর্থকরা সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি এ এস এম মোক্তার কবিরকে প্রধান করে একটি নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি গঠন করেন। বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়।
উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে ১৫ মার্চ সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর উদ্যোগ নিলে বিএনপি-সমর্থিত প্যানেল থেকে মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচন পরিচালনা-সংক্রান্ত উপকমিটির সঙ্গে বিবাদে জড়ান।
এক পর্যায়ে সমিতির মিলনায়তনে কয়েকশ পুলিশ প্রবেশ করে। তারা বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করতে লাঠিচার্জ শুরু করলে প্রায় ১৫ জন আইনজীবী আহত হন। এসময় পুলিশের সঙ্গে ঢোকা সাংবাদিকরা ঘটনার ছবি, ভিডিও নিতে থাকেন। ফলে পুলিশ সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়। সাংবাদিকদেরকেও বেধড়ক লাঠিপেটা করতে থাকলে এনটিএন নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাভেদ আক্তারসহ ১০-১২জন গণমাধ্যম কর্মী আহত হন। পরে একতরফা ভোটে আওয়ামী লীগ সমর্থক ১৪ প্রার্থীই বিজয়ী হন।
এ নিয়ে গতকাল পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: সমিতির নির্বাচন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী (বার) সমিতির নির্বাচনে আইনজীবী এবং সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনার জন্য আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে তাদের পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল।
একইসঙ্গে নির্বাচন পরিচালনায় নতুন একটি সাব-কমিটি গঠন করে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
অন্যদিকে, সমিতির দুই দিনব্যাপী নির্বাচন ‘একতরফা হয়নি’- বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থক প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচনে আইনজীবীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। আর বিএনপি সমর্থিতরা ভোট বর্জনের ঘোষণাও দেননি।
এর আগে দুই দিনব্যাপী নির্বাচনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে ১৪টি পদের সব কটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল জয়ী হয়েছে। যদিও নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল বিএনপি সমর্থকরা।
নির্বাচিত হলেন যারা- আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের প্রার্থী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির তিন হাজার ৭২৫ ভোট পেয়ে সভাপতি ও মো. আবদুন নূর দুলাল তিন হাজার ৭৪১ ভোট পেয়ে সম্পাদক পদে পুর্ননির্বাচিত হয়েছেন। সহ-সভাপতির দুটি পদে মো. আলী আজম ও জেসমিন সুলতানা, কোষাধ্যক্ষ পদে এম মাসুদ আলম চৌধুরী, দুটি সহ-সম্পাদক পদে এ বি এম নূর-এ-আলম উজ্জ্বল ও মোহাম্মদ হারুন-উর রশিদ জয়ী হয়েছেন।
সাতটি সদস্য পদে জয়ীরা হচ্ছেন- মহিউদ্দিন আহমেদ (রুদ্র), মনিরুজ্জামান রানা, শফিক রায়হান শাওন, মো. সাফায়েত হোসেন (সজীব), মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. নাজমুল হুদা ও সুভাষ চন্দ্র দাস।
সমিতির দক্ষিণ হলে নির্বাচন পরিচালনায় আওয়ামী সমর্থকদের গঠিত সাব-কমিটির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
তিনি দাবি করেন, দুই দিনব্যাপী নির্বাচনে আট হাজার ৬০২ জন ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে চার হাজার ১৩৭টি।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
এবছর আর হজ ফ্লাইটের ভাড়া কমানোর সুযোগ নেই: বিমানের এমডি
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও শফিউল আজিম বলেছেন, আসন্ন ২০২৩ সালের হজ ফ্লাইটের বিমানভাড়া আর কমানোর সুযোগ নেই।
রবিবার বিকালে বিমানের কুর্মিটোলার বলাকা কার্যালয়ে হজ ভাড়ার বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এসময় বিমানের এমডি বলেন, আমরা তিনমাস ধরে হজের বিমান ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছি। আমাদের প্রথম প্রস্তাব ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৩৩৮ টাকা। পরে এটিকে কমিয়ে প্রায় এক লাখ ৯৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাহী কমিটি এই ভাড়া নির্ধারণ করেছে। এবার ভাড়া বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ট্যাক্স বৃদ্ধি, ডলারের দাম বৃদ্ধি ও জেট ফুয়েলের দাম বৃদ্ধি। ভাড়া বৃদ্ধিতে আমাদের কোনও হাত নেই।
'হজের বিমান ভাড়া কমছে কি না'- জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'হজের যে ভাড়া ধরা হয়েছে এটা একদম সর্বনিম্ন ও সর্বশেষ। আমরা যতটুকু সম্ভব ততটুকু কমিয়েছি। এর চেয়ে কম আর করা যায় না।
তিনি আরও বলেন, 'হজ ফ্লাইটে যে বিমান ভাড়া ধরা হয়েছে সেটি একটি আদর্শ বিমানভাড়া।’
বিমানের এমডি বলেন, 'হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সেখানে বিমান একটি মাত্র খাত। আমরা সর্বনিম্ন দিয়েছি। এরপরে আমাদের আর কিছু করার নাই।’
বিমানভাড়া নির্ধারণের পদ্ধতি নিয়ে তিনি বলেন, হজের বিমানভাড়া সাইন্টিফিক উপায়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা নিয়ে অযৌক্তিক, অনুমান নির্ভর, অর্ধসত্য বলার সুযোগ নেই। হজযাত্রীরা আমাদেরও যাত্রী তাদের সেবা দেয়া আমাদের সর্বপ্রথম দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর নির্দেশ সরকারের
বিমানের হজ ফ্লাইট নির্বিঘ্নে সম্পাদনের জন্য যানবাহন সংখ্যা বৃদ্ধি, ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ, পাইলট ও কেবিন ক্রু নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বিমানে পাইলট নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়ে তিনি বলেন, যার বিষয়ে কথা বলা হয়েছে (পাইলট সাদিয়া) তিনি বিমানে পাইলট হিসেবে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাননি। একজন পাইলট নিয়োগের আগে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয়। তার (সাদিয়া) কাছে পাইলটের লাইসেন্স ছিল। বিমানে তাকে পাইলট হিসেবে বাছাইয়ের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ট্রেনিং দেয়া হয়েছিল। তার বিষয়ে নানা তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এমডি বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিমান নিয়মিত জনসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। তুরস্কের ভূমিকম্পের সময় টরন্টো থেকে বিনামূল্যে ত্রাণসামগ্রী ইস্তাম্বুলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও বিমান শিগগিরই ভারতের চেন্নাই ও ব্যাঙ্গালুরুতে ফ্লাইট চালু করবে। হজ ব্যবস্থাপনার পর আগস্টে জাপানের নারিতায় এবং এবছরের শেষে নিউইয়র্ক যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার উভয় প্যাকেজেই বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।
এবার বিমানের হজ ফ্লাইট ভাড়া প্রায় ৫৮ হাজার টাকার মতো বৃদ্ধি করে এক লাখ ৯৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হজের খরচ কমানোর বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি: ধর্ম মন্ত্রণালয়
আজ শেষ হচ্ছে হজের নিবন্ধন
দেশে আরও ৬ জন করোনায় আক্রান্ত
দেশে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ছয় জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৯৬৯ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ২১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।দেশে ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৫
এ সময়ে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও চার জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ছয় হাজার ৭২১ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৪
মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহেরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মো. আবু তাহের -এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, আবু তাহেরের মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন ত্যাগী নেতাকে হারাল।
প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে অসংখ্য মানুষ হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
ভারত উন্নত যোগাযোগের জন্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের বন্দর ব্যবহার করতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারত চাইলে চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দর ব্যবহার করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য রাম মাধব তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার আঞ্চলিক সংযোগের ওপর জোর দিচ্ছে যার ফলশ্রুতিতে জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও ভালো হবে।
রাম মাধবের সাক্ষাতকালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে ওআইসি সদস্যদের দায়িত্ব নিতে হবে: মোমেন
ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্ব রয়েছে এবং আগামী দিনেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন’ উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা ও মোদি