রাজনীতি
বিএনপির বহুল আলোচিত ঢাকা সমাবেশ শুরু, ১০ দফা দাবি জানাতে পারেন মোশাররফ
হাজার হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে ঢাকায় বিএনপির বহুল আলোচিত সর্বশেষ বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১টায় সায়েদাবাদের কাছে গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখার আয়োজনে এ সমাবেশ শুরু হয়।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলটির সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সমাবেশ থেকে বার্তা দেয়ার কথা রয়েছে।
শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশস্থলে সমাবেশের অনুমতি পেলে বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যেই গোলাপবাগ মাঠ মুখরিত করে তোলে বিএনপি নেতাকর্মী ও অনুসারীদের।
সমাবেশের ভিড় আশেপাশের সড়কেও ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
সমাবেশে বক্তব্য দেবেন স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর পর বিএনপির সিনিয়র নেতা স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে সমাবেশে বক্তব্য দেবেন এবং পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
নয়াপল্টনে বিএনপির পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত হয় এবং পরে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৪৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চলমান আন্দোলনের গতি অব্যাহত রাখার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বিএনপি ২৭ সেপ্টেম্বর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং পুলিশের অভিযানে ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও যশোরে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাতে এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে ১০ গুরুত্বপূর্ণ শহরে ধারাবাহিক সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা ও রাজশাহীতে সমাবেশের আয়োজন করেছে দলটি।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে যে আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে। কিন্তু সংবিধান তা হতে দেয় না উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
মানবাধিকার দিবসেই ঢাকা মহানগরীতে বিশাল সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় কর্মসূচি শেষ করতে যাচ্ছে দলটি।
এর আগে শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগরবাসীকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি বানচালের চেষ্টার যোগ্য জবাব দিতে গোলাপবাগ মাঠে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী, সমাবেশের জন্য প্রস্তুত
গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী, সমাবেশের জন্য প্রস্তুত
ঢাকার গোলাপবাগ মাঠ এখন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মীতে মুখরিত।
সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ এবং আশেপাশের এলাকাগুলোতেও একই অবস্থা।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সকাল থেকেই সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে গোলাপবাগ মাঠে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: গোলাপবাগ মাঠে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি পেয়ে শুক্রবার থেকেই হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে পৌঁছাতে শুরু করেন।
দলটির নেতাকর্মীরা মঞ্চ প্রস্তুত ও অন্যান্য সব আয়োজন শুরু করেছেন। সকাল ১১টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরী ও এর আশপাশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ঢাকার প্রবেশপথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নগরীতে প্রায় ৩২ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, ‘নগরীতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য পুলিশ তাদের নজরদারি জোরদার করেছে। বিএনপির সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে রাজধানীতে চার হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আনসার-ভিডিপির পরিচালক (অপারেশন্স) মো. কামরুল ইসলাম।
এদিকে সড়কে কোনো বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে কিছুসংখ্যক সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা দেখা গেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাইলেও সরকার প্রথমে দলটিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। তবে সেখানে সমাবেশ করতে রাজি হয়নি দলটি।
রাজশাহী, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট ও কুমিল্লায় এর আগে নয়টি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ায় পর বিভাগীয় পর্যায়ে ঢাকা মহানগরীর এটি দশম সমাবেশ।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে গোলাপবাগ মাঠে ভিড় জমাচ্ছেন নেতাকর্মীরা
বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
গোলাপবাগ মাঠে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা
ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে শনিবার সকাল থেকেই সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে গোলাপবাগ মাঠে জড়ো হচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি পেয়ে শুক্রবার থেকেই হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন।
দলটির নেতাকর্মীরা মঞ্চ প্রস্তুত ও অন্যান্য সব আয়োজন শুরু করেছেন।
সকাল ১১টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরী ও এর আশপাশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ঢাকার প্রবেশপথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে গোলাপবাগ মাঠে ভিড় জমাচ্ছেন নেতাকর্মীরা
সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে রাজধানীতে চার হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আনসার-ভিডিপির পরিচালক (অপারেশন্স) মো. কামরুল ইসলাম।
এদিকে সড়কে কোনো বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে কিছুসংখ্যক সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা দেখা গেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাইলেও সরকার প্রথমে দলটিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। তবে সেখানে সমাবেশ করতে রাজি হয়নি দলটি।
রাজশাহী, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট ও কুমিল্লায় এর আগে নয়টি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ায় পর বিভাগীয় পর্যায়ে ঢাকা মহানগরীর এটি দশম সমাবেশ।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
ঢাকায় সমাবেশের আগেই ফখরুল, আব্বাসকে পাঠানো হলো কারাগারে
বিএনপি সমাবেশে লাঠি-আগুন নিয়ে আসলে ‘খেলা হবে’: কাদের
বিএনপি তাদের সমাবেশে লাঠি বা আগুন নিয়ে আসলে ‘খেলা হবে’বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এজন্য তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক পাহারার নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর নাট্যমঞ্চে বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের বলেন, তারা থাকবে গোলাপবাগে। আমরা চলে যাচ্ছি সাভারে। জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তাদের ঢাকা দিয়ে গেলাম। আমরা ক্ষমতায়। আমরা কেন, অশান্তি চাইবো, আমরা কেন বিশৃঙ্খলা চাইবো?
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে গোটা বাংলাদেশ তারা গিলে খাবে। তাদের সেই সুযোগ দেয়া যাবে না। বিএনপির ক্ষমতায় আসার রঙিন খোয়াব কর্পুরের মতো উবে যাবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আজ বলে- সরকার নাকি ভয় পেয়ে গেছে। সরকার ভয় পেয়েছে? এখানে নাট্যমঞ্চ প্রাঙ্গণের সভা এদিকে নবাবপুর সেদিকে গুলিস্তানে বায়তুল মোকাররমে। বিশাল সমাবেশ, মাত্র ঢাকা দক্ষিণ করেছে।
তিনি বলেন, যারা বলেছিল, নয়াপল্টনে সমাবেশ করবোই। আজ তারা গোলাপবাগে। তাহলে পরাজয় কার হলো? আমাদের না বিএনপির? আন্দোলনে অর্ধেক পরাজয় এখানেই হয়ে গেছে।
ওবায়দুল কাদের দুর্নীতি ও লুটপাট এবং হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে ‘খেলা হবে’ ফের ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। কাতারের পাশাপাশি বাংলাদেশেও অপশক্তির বিরুদ্ধে খেলা হবে। লাঠি বা আগুন নিয়ে আসলে খেলা হবে। অনেক ছাড় দিয়েছি, আর ছেড়ে দিবো না।
কাদের বলেন, আজকে সকালে ঢাকায় নেমে বুঝলাম আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। শেখ হাসিনার ডাকে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা, শেখ হাসিনার কর্মীরা প্রস্তুত।
এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, সাংবাদিক বন্ধুরা সত্যটা তুলে ধরুন। কিছু কিছু মিডিয়া বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য নেমেছে। তারা কারা, সময় মতো জবাব পাবে। কোনো কোনো মিডিয়া, রাতে ও সকালে দেখলে মনে হয় না এখানে আর কোনো দল আছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোন দল আছে?
কূটনৈতিকদের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি যারা আমাদের দেশে আছেন। বন্ধু দেশের প্রতিনিধিরা কারো পক্ষ নেবেন না। আমাদের ঘরের ভেতরে হস্তক্ষেপ করবেন না। আমরা জানি, কীভাবে গণতন্ত্র রক্ষা করতে হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশসহ নেতারা বক্তব্য দেন।
বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে গোলাপবাগ মাঠে ভিড় জমাচ্ছেন নেতাকর্মীরা
অবশেষে শনিবার ঢাকার গোলাপবাগ মাঠে দলটির শেষ বিভাগীয় সমাবেশের অনুমতি পাওয়ায় শুক্রবার বিকাল থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী সেখানে জড়ো হতে শুরু করেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ, সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী সমাবেশে যোগ দিতে হাজার হাজার মানুষ আগে থেকেই অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে যায়।
আরও পড়ুন: অযাচিত মন্তব্য করে বন্ধুত্ব নষ্ট করবেন না: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতি কাদের
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে গোলাপবাগ মাঠে আসতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের।
বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
গণতান্ত্রিক কর্মসূচি বানচাল করার জন্য সরকারকে যোগ্য জবাব দিতে শুক্রবার ঢাকা মহানগরবাসীকে গোলাপবাগ মাঠে তাদের দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘অন্য নয়টি বিভাগীয় শহরের মতো আমরা ঢাকায় শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করব। আমরা সর্বস্তরের জনগণকে আমাদের কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাই।’
শুক্রবার বিকাল ৩টায় দলের চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতাদের ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাবুগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণ: বিএনপির ২০৫ নেতাকর্মীর নামে মামলা
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, শনিবারের সমাবেশের জন্য দলকে অনুমতি দেয়া নিয়ে সরকার অহেতুক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে এবং কর্মসূচি বানচালের অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে সময় নষ্ট করে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সরকার বুধবার নয়াপল্টনে সহিংসতা করেছে, দলের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে, অনেককে আহত করেছে যাতে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা সমাবেশে যোগ দিতে না পারে।
তিনি বলেন, ‘শনিবারের সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দিয়ে জনগণ সরকারের অপচেষ্টার যোগ্য জবাব দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
মোশাররফ বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে সমাবেশস্থল ব্যবহারের অনুমতি দেয়ায় আগামীকাল সকাল ১১টা থেকে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ শুরু করবে দলটি।
মির্জা ফখরুল, আব্বাসের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে রাতেই গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলের নেতাকর্মীরা।
তিনি বলেন, ‘ফখরুল ও আব্বাসের গ্রেপ্তার সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের চরম বহিঃপ্রকাশ।’
তিনি সরকারের কাছে অবিলম্বে দুই শীর্ষ নেতাসহ গ্রেপ্তার হওয়া দলের অন্য সব নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) গোলাপবাগে দলটিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়। শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এ জেড এম জাহিদ বলেন, ডিবি প্রধান প্রতিনিধি দলকে অনুষ্ঠানস্থলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন এবং গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের প্রস্তুতি নিতে বলেন।
শুক্রবার ভোরে বিএনপি দাবি করে, ঢাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে সাদা পোশাকের পুলিশ ফখরুল ও আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ছয় ঘণ্টা বৈঠক করে যেখানে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে কথা হয়।
পরে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে নিয়ে আব্বাস দুটি স্থান পরিদর্শন করেন।
ওই বৈঠকে পুলিশ কর্তৃপক্ষ নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় পুনরায় খোলার আশ্বাস দিলেও শুক্রবার সকাল থেকে এলাকাটি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
বুধবার ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে দলের প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে।
চলমান আন্দোলনের গতি অব্যাহত রাখার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বিএনপি ২৭ সেপ্টেম্বর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং পুলিশের অভিযানে ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও যশোরে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাতে এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে ১০ গুরুত্বপূর্ণ শহরে ধারাবাহিক সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা ও রাজশাহীতে সমাবেশের আয়োজন করেছে দলটি।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে যে আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে। কিন্তু সংবিধান তা হতে দেয় না উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের দিনটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস।
আরও পড়ুন: অবশেষে বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ হচ্ছে গোলাপবাগ মাঠে
বিএনপির সংবাদ সম্মেলন বিকাল ৩টায়
ঢাকায় সমাবেশের আগেই ফখরুল, আব্বাসকে পাঠানো হলো কারাগারে
রাজধানীর নয়াপল্টনে বুধবার পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
শুক্রবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জসিম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কোনোভাবেই রাজপথে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শুনানির সময় ফখরুল ও আব্বাসের পক্ষে ছিলেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও ওমর ফারুক ফারুকীসহ একদল আইনজীবী এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু।
এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম এই দুই রাজনৈতিক নেতাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি আবু তাদের কারাগারে পাঠানোর পক্ষে সমর্থন করলে বিরোধীতা করেন আইনজীবী মাসুদ ও ওমর।
উভয় পক্ষের যুক্তি শোনার পর বিচারক আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন এবং পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য দুজনকে কারাগারে পাঠান।
বুধবারের সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৫০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় ফখরুল ও আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শুক্রবার ভোররাতে ঢাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের দু’জনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দারা।
শুক্রবার রাজধানীতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, বৃহস্পতিবার পল্টন থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার প্ররোচনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশনা, ককটেন বোমা বিস্ফোরণ এবং সরকারি সম্পত্তি ও জীবন ধ্বংস করার অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: অবশেষে বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ হচ্ছে গোলাপবাগ মাঠে
১০ ডিসেম্বর সমাবেশস্থল: ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবে বিএনপির ২ সদস্যের প্রতিনিধি দল
অবশেষে বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ হচ্ছে গোলাপবাগ মাঠে
অবশেষে ঢাকার ধলপুরের গোলাপবাগ মাঠে শনিবার সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে, এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামালের সমন্বয়ে গঠিত বিএনপির দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয়ে ১০ ডিসেম্বর দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে অচলাবস্থা নিরসনের চেষ্টা করে।
এ জেড এম জাহিদ বলেন, ডিবি প্রধান প্রতিনিধি দলকে অনুষ্ঠানস্থলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের প্রস্তুতি নেয়ার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাস পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার: ডিবি প্রধান
প্রতিনিধি দলটি ঢাকা দক্ষিণ মহানগরীর ধলপুর মাঠ বা অন্য কোনো মাঠে সমাবেশ করতে চেয়েছিল। তাই আগামীকাল গোলাপবাগ মাঠে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে বুধবারের সংঘর্ষে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদ জানান, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার পল্টন থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বর সমাবেশস্থল: ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবে বিএনপির ২ সদস্যের প্রতিনিধি দল
গোয়েন্দা পুলিশের হাতে দলের দুই শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়ে তাদের পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করতে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে অনলাইনে বৈঠকে বসেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা।
শুক্রবার ভোরে বিএনপি দাবি করেছে, রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে সাধারণ পোশাকের পুলিশ মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ছয় ঘণ্টা বৈঠক করে যেখানে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে কথা হয়। পরে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে নিয়ে আব্বাস দুটি স্থান পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: ৫৫৩ বিএনপি নেতাকর্মীসহ ২৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ফখরুল ও আব্বাস পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার: ডিবি প্রধান
বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার পল্টন থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’
তিনি আরও বলেন যে আজ (শুক্রবার) তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
হারুন অর রশিদ জানান, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার প্ররোচণা, পরিকল্পনা ও নির্দেশনা, ককটেল বিস্ফোরণ, সরকারি সম্পত্তি ও জীবনমাল ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সংবাদ সম্মেলন বিকাল ৩টায়
বিএনপির কেন্দ্রীয় অন্য কোনো নেতা নজরদারিতে আছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্য কেউ এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা সবকিছুর ওপর নজর রাখছি।’
বিএনপির সমাবেশস্থল সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিএনপি এখন গোলাপবাগ মাঠের জন্য প্রস্তাব করছে, কিন্তু এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
শুক্রবার ভোররাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ছয় ঘণ্টা বৈঠক করে যেখানে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে কথা হয়।
পরে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে নিয়ে আব্বাস দুটি স্থান পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ: বিএনপি
বুধবার, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত বিএনপির ৪৪৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও প্রকাশনা সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ শীর্ষ নেতাদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফখরুলকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে যেতে বাধা
বিএনপির সংবাদ সম্মেলন বিকাল ৩টায়
বিএনপির দুই শীর্ষ নেতাকে আটক ও নয়াপল্টনে সমাবেশ করা নিয়ে অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার বিকাল ৩টায় সংবাদ সম্মেলন করবে বিএনপি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিকাল ৩টায় গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে দলের দুই শীর্ষ নেতার আটকের বিষয়ে তাদের পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা অনলাইনে বৈঠক করছেন, যা সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে শুরু হয়।
শুক্রবার ভোরে বিএনপি জানায়, সাদা পোশাকে পুলিশ মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির কার্যালয়ে বোমাগুলো পুলিশ রেখেছিল: ফখরুল
মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ: বিএনপি
১০ ডিসেম্বর সমাবেশস্থল: ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবে বিএনপির ২ সদস্যের প্রতিনিধি দল