রাজনীতি
রাজনীতিতে পরিবর্তন চায় মানুষ: জিএম কাদের
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে মানুষ বিকল্প শক্তি চায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেন, ‘জনগণ তাদের মুক্তির জন্য জাতীয় পার্টিকে বিকল্প শক্তি হিসেবে বিবেচনা করে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিয়মকালে এসব কথা বলেন জিএম কাদের।
আরও পড়ুন: দেশে এখন নির্বাচন মানে খুন ও আতঙ্ক: জিএম কাদের
তিনি বলেন, বিশ্ব রাজনীতির পরিবর্তেন ঢেউ বাংলাদেশেও পড়েছে। দেশের মানুষ রাজনীতি ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন চায়।
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে তাদের দল রাজনীতি করছে।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির ওপর আস্থা থাকায় দলটি থেকে অনেক প্রত্যাশা করে মানুষ।
জিএম কাদের বলেন, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং তাদের উন্নয়ন নিশ্চিতে জাতীয় পার্টি তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: নেতাকর্মীদের রাজপথে নামার আহ্বান ফখরুলের
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ১১ দিনব্যাপী কর্মসূচি বিএনপির
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ইউটিলিটি সেবার মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সারাদেশে ১১ দিনব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
উপজেলা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরকার যেন বিক্রি করে সে দাবি বাস্তবায়নেও এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে দলটি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে এসব কর্মসূচি চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে: বিএনপি
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি শাখা ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে বিক্ষোভ করবে এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি সব বিভাগীয় শহরে একই কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
২ মার্চ দেশের সব জেলায় এবং ৫ মার্চ সব উপজেলায় বিক্ষোভ করবে বিএনপি।
৬ মার্চ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ৮ মার্চ যুবদল, ৯ মার্চ স্বেচ্ছাসেবক দল ও ১০ মার্চ কৃষক দল সারাদেশে বিক্ষোভ করবে।
১২ মার্চ বিএনপি সারাদেশের সব ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও বাজারে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করবে।
এছাড়া ১৪ মার্চ সারাদেশে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এবং ১৫ মার্চ তাঁতী দল বিক্ষোভ করবে।
আরও পড়ুন: নতুন ইসি কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না: বিএনপি
এসব কর্মসূচি ঘোষণা করে মির্জা ফখরুল বলেন, চাল, ডাল ও তেলের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য এবং পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ ইউটিলিটি সেবার দাম অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে। ‘এটি প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কারণ তাদের প্রকৃত আয় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তাই আমরা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং উপজেলা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির দাবিতে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দলের জ্যৈষ্ঠ নেতারা এসব কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।’
দেশে এখন নির্বাচন মানে খুন ও আতঙ্ক: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশে এখন নির্বাচন খুন ও আতঙ্কের নাম।
তিনি বলেন, ‘দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ধসে পড়েছে। এটা এখন খুন ও আতঙ্কের নাম।’
বুধবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে: বিএনপি
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলের উপনেতা জিএম কাদের বলেন, মানুষ ভোটের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে এবং তারা এখন আর ভোটকেন্দ্রে যেতে চায় না।
অনুষ্ঠানে সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্টে কর্নেল (অব.) তছলিম উদ্দিন জিএম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন দেখতে চায়।
আরও পড়ুন: নতুন ইসি কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না: বিএনপি
তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। ‘মানুষকে নির্বাচনমুখী করতে হবে এবং এ জন্য একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন।’
জিএম কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সার্চ কমিটি যে নামের তালিকা দেবে তা জানতে চায় মানুষ। ‘সার্চ কমিটির প্রস্তাবনা প্রকাশ করা উচিত।’
তিনি বলেন, এর আগে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দিয়ে কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেছিল দলটি।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু কমিশনকে ক্ষমতা দেয়া হয়নি। তাই কমিশনকে দলীয় সরকারের মুখাপেক্ষী হতে হবে।’
ক্ষমতাহীন নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন জিএম কাদের।
করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ নিলেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন। বুধবার বিকাল ৪টা ৪৫মিনিটে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে তিনি ফাইজার টিকার বুস্টার ডোজ নেন।
খালেদা জিয়ার গণমাধ্যম বিষয়ক মুখপাত্র শায়রুল কবির খান জানান, টিকা নেয়ার জন্য হাসপাতালের উদ্দেশে বিকাল ৩টার দিকে খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসা থেকে বের হন।
এর আগে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেছেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা) করোনা টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নেয়ার জন্য এসএমএস পেয়েছেন। বিকালে যাতে তিনি সহজেই টিকা নিতে পারেন, তার জন্য সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
এর আগে গত বছরের ১৯ জুলাই করোনার মডার্না টিকার প্রথম ডোজ এবং ১৮ আগস্ট টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেন খালেদা জিয়া।
গত বছরের ১১ এপ্রিল ৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপার্সন করোনা পজিটিভ হন। এরপর গত ২৭ এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৭ দিন পর ৮মে তার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে।
পরে ৮ জুলাই বিএনপি চেয়ারপার্সন করোনা টিকা নেয়ার জন্য সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে নিবন্ধন করেন।
আরও পড়ুন: সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে: বিএনপি
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
সরকার এখনও এ আবেদন নিষ্পত্তি করেনি। তবে, মন্ত্রীরা বলছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন জেলে ফিরে আবেদন না করা পর্যন্ত তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে গত বছরের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: নতুন ইসি কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না: বিএনপি
নেতাকর্মীদের রাজপথে নামার আহ্বান ফখরুলের
সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে: বিএনপি
সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন দুর্নীতির মহা উৎসব চলছে। এই লুণ্ঠন এবং দুর্নীতি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে।’
সরকারি প্রকল্প নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মধ্যে টেলিফোনে কথোপকথন ফাঁস হওয়ার পর মঙ্গলবার দলের চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা।
তিনি অভিযোগ করেন, মন্ত্রী থেকে শুরু করে এমপি ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং ক্ষমতাসীন দলের মেয়র ও চেয়ারম্যান; এমন কেউ নেই যে দুর্নীতির সুযোগ ব্যবহার করছেন না।
ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় বাহিনীর কয়েকজন সিনিয়র সদস্যসহ পুরো প্রশাসন দুর্নীতির এই চক্রে জড়িয়ে পড়েছে।’
সংবিধানের রক্ষক বিচার বিভাগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ এখন উত্থাপিত হচ্ছে বলেও তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ায় চরম বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অপকর্ম এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তারা এখন উন্মত্ত, চেষ্টা করেও তাদের আড়াল বা দমন করতে পারে না, কারণ সেগুলি কোনও না কোনওভাবে জনগণের সামনে প্রকাশ পাচ্ছে।
ফখরুল বলেন, ‘তাদের অপকর্ম এখন ভার্চুয়াল জগতে ভাসছে, তাদের অপকর্মের কুৎসিত ছবি ফাঁস হচ্ছে। বড় বড় দুর্নীতিবাজদের মুখোশ খসে পড়ছে।’
আরও পড়ুন: নতুন ইসি কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না: বিএনপি
আইনমন্ত্রী ও সালমান এফ রহমানের মধ্যে সাম্প্রতিক ফাঁস হওয়া কথোপকথন সম্পর্কে তিনি বলেন, এতে সরকারের দুর্নীতির প্রকৃত চিত্র স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি এখন জাতির কাছে একটি প্রমাণিত সত্য।’
ফখরুল বলেন, বিএনপিসহ দেশবাসী এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করলেও এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
বিএনপির পক্ষ থেকে তিনি আবারও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি কোনো বিলম্ব না করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানান।
ফখরুল বলেন, ‘একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি এবং দেশের জনগণ এটা মেনে নিতে পারে না। বিএনপি বিচার বিভাগকে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত করার স্বীকৃত অপরাধ আলাদাভাবে বিবেচনা করার দাবি জানাচ্ছে।’
তদন্ত প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য তিনি আইনমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের পদত্যাগ দাবি করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, আমরাও চাই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা হোক।
চাঁদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণে শিক্ষামন্ত্রীর আত্মীয়স্বজনদের দুর্নীতি এবং দুর্নীতিতে আরও কয়েকজন মন্ত্রী ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের জড়িত থাকার বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনও তুলে ধরেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনের নামে জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে সরকার: বিএনপি
সরকার আবারও গুম, অপহরণে লিপ্ত হচ্ছে: বিএনপি
নতুন ইসি কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না: বিএনপি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিদায়ী সিইসি কে এম নুরুল হুদার মতো ব্যক্তিদের তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে সার্চ কমিটি।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) এখন তাদের পুনর্নির্বাচিত হওয়ার ইচ্ছা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। তারা একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছে এবং এই ধরনের একটি কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন করেছে। এই সমস্ত পদক্ষেপ জনগণকে বোকা বানানোর জন্যই নেয়া হয়েছে।’
মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল আয়োজিত ‘ফসলের মাঠে কৃষকের আত্মহত্যা: ফ্যাসিবাদী শাসনের ছোট্ট চিত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা।
ক্ষমতাসীন দলের সবাইকে নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘একজনও বাদ নেই। তারা আজ (মঙ্গলবার) রাষ্ট্রপতির কাছে নাম পাঠাবেন। হুদার (কেএম নুরুল হুদা) মতো ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠিত হতে পারে।’
আরও পড়ুন: নেতাকর্মীদের রাজপথে নামার আহ্বান ফখরুলের
ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা সেচ পাম্প স্থাপনে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে গত ২ ফেব্রুয়ারি শেরপুরের নালিতাবাড়ীর শফিউদ্দিন নামে এক কৃষক তার ফসলের খেতে আত্মহত্যা করেন।
ফখরুল বলেন, সরকার বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে দিয়েছে। এখন এতে কিছুই নেই।
তিনি সিইসি নুরুল হুদার বিরুদ্ধে সরকারকে নির্বাচনী ব্যবস্থা নষ্ট করতে সহায়তা করার অভিযোগ করে বলেন, ‘তাকে (হুদা) এর জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। বাংলাদেশের জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা এবং নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্য তাকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত নতুন আইন অনুযায়ী বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠন করেন।
ইতোমধ্যে কমিটি ছয়টি সভা করেছে এবং পরবর্তী সিইসি এবং অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ১০টি নাম প্রস্তাব করার জন্য পেশাদার, সুশীল সমাজের সদস্য এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নাম দেয়া হয়েছে। কমিটির আজকের বৈঠকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনের নামে জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে সরকার: বিএনপি
দাম বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ
জনগণের টাকা লুটপাটের জন্যই বারবার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপিকে রাজপথে নামতে হবে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘চাল ও ভোজ্যতেলের দাম কেন বাড়ল তার জবাব সরকারকে দিতে হবে। আমাদের সরকারের আমলে প্রতি কেজি চালের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৬-১৭ টাকা, কিন্তু এখন তা ৬০-৭০ টাকা। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম আমাদের আমলে ৫৪ টাকা ছিল, কিন্তু এখন তা ১৮০ টাকা। এর পেছনের কারণ চুরি-দুর্নীতি।’
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান সরকারের শাসনামলে দেশের সব জায়গায় এবং সব সেক্টরকে দুর্নীতি গ্রাস করেছে।
সরকারের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির পরিসংখ্যানও 'ভিত্তিহীন' বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগণকে দমন ও হত্যা অব্যাহত রেখেছে মন্তব্য করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) সুনামগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এক ব্যক্তিকে আটক করে পিটিয়ে হত্যা করেছে, ঘটনার প্রতিবাদে শত শত মানুষকে রাস্তায় ব্যারিকেড দিতে বাধ্য করেছে।’
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবল দুর্নীতি বিদ্যমান।
ফখরুল বলেন, ‘এমন একটি খাত নেই, যেখানে দুর্নীতি নেই। তারা (সরকার) পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কৃষকদলের নেতাকর্মীদের সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক ইস্যুতে আন্দোলনের মাধ্যমে কৃষকদের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য কৃষক দলের নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির কার্যক্রম তামাশা ছাড়া আর কিছু না: বিএনপি
যশোরে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
যশোরের চৌগাছা উপজেলায় এক ইউপি সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ঠান্ডু মিয়া (৪৪) চৌগাছা উপজেলার পাতিবিলা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও উপজেলার পাতিবিলা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
হামলায় আহত হয়েছেন আরও ছয়জন। তারা হলেন- একই গ্রামের মমিনুর রহমান (৪৪), আব্দুল হামিদ (৪৫), ওয়াসিম সরকার (৩২), টিটো (৩২), আবু বকর সিদ্দিক (৪০) ও মকবুল হোসেন (৩৫)।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
আহত মকবুল ও অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা সবাই পাতিবিলা বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে থাকার সময় টিটো, ইব্রাহিম, সেলিম, তোতা ও আশরাফসহ ১০ জন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদের ওপর হামলা চালায়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে ঠান্ডু, মমিনুর ও আব্দুলকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঠান্ডুকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে রেলওয়ে কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
লক্ষ্মীপুরে আ’লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে আহত ২০
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মহান শহিদ দিবস পালনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে ডাকবাংলো ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ১৩ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরে স্থানীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ফেরার সময় বিএনপি সমর্থকরা অশ্লীল স্লোগান দেয়। এ সময় আ’লীগ নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮
রায়পুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ জুতান বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা সহিংসভাবে মিছিল করে এই দিনের পবিত্রতা ক্ষুন্ন করেছে। তারা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন ভাষায় স্লোগান দিয়েছে। এসময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা চালায় বিএনপি সমর্থকরা ।
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের কমপক্ষে ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে উল্লেখ করে হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারেরও দাবি জানান তিনি।
এদিকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে বলে জানান রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া।
নেতাকর্মীদের রাজপথে নামার আহ্বান ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের নেতাকর্মীদের রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। আমাদের নিজেদেরকে সংগঠিত করতে হবে। বর্তমান ‘নির্দয়’ সরকার আর বেশি দিন ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।’
রবিবার বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিএনপির আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন নিশ্চিত করে তাদের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি আরও বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো বিকল্প নেই।
ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শক্তিশালী গণআন্দোলন চালাতে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এই গণআন্দোলনের মাধ্যমে আমরা তাদের (আ.লীগ) পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব।’
আরও পড়ুন: সরকার হটাতে শক্তিশালী জোট চান ফখরুল
ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ফখরুল বলেন, ভাষা আন্দোলনই ছিল বাঙালি জাতি গঠনের প্রথম ভিত্তি।
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীন, সুস্থ, গণতান্ত্রিক মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে ভাষা আন্দোলনের চেতনা ও আকাঙ্খা নিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু সেই চেতনা ও আকাঙ্খা এখন আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলাদেশের স্বতন্ত্র সত্তা ও পরিচয়কে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, ‘এটি এখন বাংলাদেশকে সত্যিকারের পরাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোট ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার হরণ করে দেশের গণতান্ত্রিক ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তারা পুরো দেশকে লুণ্ঠনের আস্তানায় পরিণত করেছে। তারা শিক্ষা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করেছে এবং অর্থনীতিকে লুটপাটের খাতে পরিণত করেছে।’
সরকার আবারও ‘মিথ্যা’ ও ‘কাল্পনিক’ মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে মির্জা ফখরুল বললেন ‘জীবন সুন্দর’
সাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামানকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামানকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
রবিবার দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আখতারুজ্জামানকে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিএনপির কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান গত সাধারণ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে বিএনপির হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনের নামে জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে সরকার: বিএনপি
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের এক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, সম্প্রতি বিএনপির বিরুদ্ধে কিছু ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের জন্য তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এক টিভি টকশোতে আখতারুজ্জামান বিএনপিকে নির্লজ্জ ও ব্যর্থ দল হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এর আগে বিএনপি ও এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও কিছু মন্তব্য করেন বিএনপির সাবেক এই সংসদ সদস্য।
আখতারুজ্জামান ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে দুইবার কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: সরকার আবারও গুম, অপহরণে লিপ্ত হচ্ছে: বিএনপি
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির