বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন। বুধবার বিকাল ৪টা ৪৫মিনিটে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে তিনি ফাইজার টিকার বুস্টার ডোজ নেন।
খালেদা জিয়ার গণমাধ্যম বিষয়ক মুখপাত্র শায়রুল কবির খান জানান, টিকা নেয়ার জন্য হাসপাতালের উদ্দেশে বিকাল ৩টার দিকে খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসা থেকে বের হন।
এর আগে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেছেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা) করোনা টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নেয়ার জন্য এসএমএস পেয়েছেন। বিকালে যাতে তিনি সহজেই টিকা নিতে পারেন, তার জন্য সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
এর আগে গত বছরের ১৯ জুলাই করোনার মডার্না টিকার প্রথম ডোজ এবং ১৮ আগস্ট টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেন খালেদা জিয়া।
গত বছরের ১১ এপ্রিল ৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপার্সন করোনা পজিটিভ হন। এরপর গত ২৭ এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৭ দিন পর ৮মে তার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে।
পরে ৮ জুলাই বিএনপি চেয়ারপার্সন করোনা টিকা নেয়ার জন্য সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে নিবন্ধন করেন।
আরও পড়ুন: সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে: বিএনপি
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
সরকার এখনও এ আবেদন নিষ্পত্তি করেনি। তবে, মন্ত্রীরা বলছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন জেলে ফিরে আবেদন না করা পর্যন্ত তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে গত বছরের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।