���������������������
রাষ্ট্রদূতদের ‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ প্রত্যাহার সরকারের ‘চরম দায়িত্বহীনতা’: ফখরুল
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের জন্য ‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ সেবা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে সরকারের ‘চরম দায়িত্বহীনতা’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বলেছে, এতে দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আমার কাছে দুইটা জিনিস মনে হয়…একটা হচ্ছে ‘চরম দায়িত্বহীনতা’, দ্বিতীয়টা ‘আত্মম্ভরিতা’ (অহংকার)।’
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ১৯, ২০, ২৬ ও ২৭ মে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং এর চূড়ান্ত শিকার হবে বাংলাদেশের জনগণ। ফলে এই সিদ্ধান্ত দায়িত্বহীনতা ছাড়া আমি কিছুই মনে করি না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে আত্মভরিতা-অহংকার কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছাতে পারে যেটা আপনার সবচেয়ে বড় ক্ষতি করতে পারে… সম্ভবত এবার বিদেশে গিয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ঠিক সেই রকম উপযুক্ত প্রটোকল পান নাই, যে কারণে হয়ত এটা একটা প্রতিবাদ হিসেবে বা তার প্রতিশোধ হিসেবে আমরা দেখতে পারছি।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘকাল ধরে তারা (রাষ্ট্রদূতরা) এই প্রটোকল পেয়ে আসছেন। হঠাত করে সেই প্রটোকল বাতিল করে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, সামথিং ইজ ভেরি রং উইথ দিজ কান্ট্রিজ। এটা আমাদের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা উত্তেজনা, সমস্যা ও সংকট সৃষ্টি করবে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
সরকারের এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি এটাতে উদ্বিগ্ন। আমি মনে করি কূটনীতির বিষয়ে বাংলাদেশকে এটা আরও একঘরে করে তুলবে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশ এ বিষয়ে কোনো পাল্টা পদক্ষেপ নিলে তা বাংলাদেশের জনগণের ক্ষতি করবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সৌদি আরব, যারা সবসময় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে তারা যদি কোনো ব্যবস্থা নেয় সেটা আমাদের জন্য ….., এমনকি দেখলাম যে ভারতও এরমধ্যে রয়েছে, তাদেরকে রাখা হয়েছে, জাপান আছে, অস্ট্রেলিয়া আছে… যারা আমাদের সবচাইতে বড় উন্নয়ন সহযোগী তাদের জন্য এটা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জিয়ার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ১৩ দিনের কর্মসূচি
বিএনপির এই নেতা সতর্ক করে বলেন, ‘আমি মনে করি নিঃসন্দেহে এটা বড় রকমের পরিবর্তন ঘটবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে, সেটা কখনো কোনো শুভ ফল বয়ে আনবে না।’
বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় উল্লেখ করে বর্তমান সংসদ সদস্যদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘সত্যিকারের প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ প্রতিষ্ঠার জন্য তারা (বিএনপি) দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে এমনটা হবে না।’
ফখরুল বলেন, ‘আমরা যে যুদ্ধ করছি-সংগ্রাম করছি-লড়াই করছি, সেই লড়াইটা হচ্ছে একটা সত্যিকার অর্থেই প্রতিনিধিত্বমূলক একটি সংসদ তৈরি করার জন্য। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে এটা হবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা বার বার করে সেটা বলেছি। আমরা বলছি যে একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।”
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করবে না-কি করবেনা… দ্যাট ইজ ইমমেটারিয়াল… সেটা আমাদের কাছে কোনো ব্যাপারই না। আমরা একটা নিরপেক্ষ সরকার চাই। সেই নিরপেক্ষ সরকার অবশ্যই নির্দলীয়ভাবে চাই, সেখানে কোনো দলীয় ব্যক্তিদেরকে আমরা চাই না।’
তাদের দলের সংসদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কখনই না। এটা (সংসদ থেকে পদত্যাগ করে বেরিয়ে আসা) অত্যন্ত সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ এই সংসদ জাতির আশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে তো বটেই্, এই সংসদে তো জাতির প্রতিনিধিত্বিই ছিলো না। বিকজ দে আর নট ইলেক্টেড।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: উপকূলবাসীদের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের আহ্বান বিএনপির
খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠেয় খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সাত প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কেসিসি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল আজ মঙ্গলবার (১৬ মে)।
জেলা নির্বাচন অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, কেসিসি নির্বাচনে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৩৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে মঙ্গলবার শেষ দিন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৯৫ জন প্রার্থী।
মেয়র পদে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আবদুল আউয়াল, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন, জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা স্বতন্ত্র এস এম মুশফিকুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আগুয়ান-৭১ এর আবদুল্লাহ চৌধুরী ও সাম্যবাদী দলের সাবেক নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কামরুল ইসলাম।
এছাড়া নগরীর ৩১ টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৪৯ জন প্রার্থী। আর সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৩৯ জন প্রার্থী।
আরও পড়ুন: কেসিসি ভোট: মেয়র পদে ৭ জনসহ ২২২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় প্রার্থীসহ ৫ জনকে আসতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকে সে অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের প্রচার-প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের কথা বলা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই। এ জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
কেসিসি নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৮ মে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। আগামী ২৫ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন, ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দ ও ১২ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে।
৩১টি ওয়ার্ডের অধীনে মোট ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ (৫ দশমিক ৩৫ লাখ) ভোটার ১২ জুন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট দেবেন।
আরও পড়ুন: করোনায় বন্ধ থাকা কেসিসির উন্নয়ন প্রকল্প ফের শুরু
কেসিসির নবনির্বাচিত মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ
জিয়ার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ১৩ দিনের কর্মসূচি
যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালনে মঙ্গলবার ১৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ২৯ মে থেকে শুরু হয়ে ১০ জুন শেষ হবে।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দল ও এর সহযোগী সংগঠনের যৌথসভায় এ কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়।
সভা শেষে মির্জা ফখরুল আলোচনা সভা, সেমিনার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, কালো ব্যাজ ধারণ, জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, দুস্থদের মাঝে খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
একজন সামরিক শাসক ও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল সেনা কর্মকর্তার হাতে তিনি নিহত হন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে সরকার: খসরু
কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে সকাল ৬টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দলের অন্যান্য কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত অবস্থায় রাখা হবে।
এ ছাড়া দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা সকালে শেরেবাংলা নগরে জিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৯ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত জিয়ার কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনার আয়োজন করবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
আগামী ৩০ মে নগরীর বিভিন্ন স্থানে দুস্থদের মাঝে খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করবেন ঢাকার দক্ষিণ ও উত্তর নগর ইউনিটের নেতারা।
দলটির জেলা,মহানগর ও থানা শাখাও নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করবে।
আরও পড়ুন: অনুকূল পরিবেশ থাকলে রাজনীতি করবেন খালেদা জিয়া: বিএনপি
দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের নস্যাৎ করতে দেশের উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখুন: প্রধানমন্ত্রী
১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি এখনও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনিযুক্ত সরকারি কর্মচারীদের দেশের উন্নয়নের গতিধারা ধরে রাখতে শপথ নিতে বলেছেন।
তিনি বলেন, উন্নয়নের এই ধারাকে থামানো চলবে না। কারণ, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি, যারা কখনোই আমাদের স্বাধীনতা চায়নি; তারা আগের মতোই ষড়যন্ত্র করছে।
আরও পড়ুন: চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চিন্তা করি না কারণ আমার জীবন নিয়ে আমার কোন ভয় নেই।
সোমবার রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমিতে ১২৭তম, ১২৮তম ও ১২৯তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এছাড়াও তিনি অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড এবং বারবার তার জীবন নেওয়ার চেষ্টাকে ষড়যন্ত্রকারীদের কাজ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পুনর্গঠন শুরু করেন এবং ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান তখনই ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডি ঘটে।
তিনি বলেন, এরপর আমাদের সমস্ত আকাঙ্ক্ষা নষ্ট হয়ে যায় এবং আমাদের সকল উন্নয়নের গতি ২৯ বছর (১৯৭৫-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৪) সম্পূর্ণভাবে থেমে গিয়েছিল।
তিনি সাধারণ জনগণ যাতে সর্বদা ন্যায়বিচার পান তা নিশ্চিত করতে অফিসারদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যেন মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি থেকে পরিত্রাণ পায়। কেননা এই বিষয়গুলো একটি সমাজ ও পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। তাই এই বিষয়গুলোর ব্যাপারে আপনাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: সকল মেগা প্রকল্প জনগণের সর্বোচ্চ উপকারের জন্য: প্রধানমন্ত্রী
সারাবিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে থাকায় শেখ হাসিনা মিতব্যয়ীতা বজায় রাখতে এবং দেশের সম্পদের অপচয় বন্ধ করার জন্য জনগণের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে মিতব্যয়ীতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে, যাতে আমরা আমাদের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে পারি।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে যে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে তা বাধাগ্রস্ত হবে না।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে কঠোর পরিশ্রম ও আন্তরিকতার মাধ্যমে সরকার দেশকে একটি মর্যাদার স্থানে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কর্মকর্তাদের তাদের সকল কাজে সততা বজায় রাখতে এবং দেশ ও জনগণকে ভালোবাসতে বলেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের ভুলে গেলে চলবে না যে তাদের বেতন-ভাতা আসে এদেশের কৃষক, শ্রমিক ও জনগণের পকেট থেকে।
তিনি বলেন, আমাদের সমস্ত বেতন-ভাতা আসে জনগণের কঠোর পরিশ্রমের অর্থ থেকে। সুতরাং তাদের অবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করা আমাদের সকলের কর্তব্য।
তিনি তাদের আরও বলেন, দেশের মানুষের সেবা করাই তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় কাজ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন-জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর মমিনুর রশিদ আমিন।
আরও পড়ুন: যারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কিছুই কিনবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ১২৭তম, ১২৮তম এবং ১২৯তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের পুরস্কার দেন।
এর আগে তিনি ১২৭, ১২৮ ও ১২৯ তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্স এবং গবেষণা কাজের প্রকাশনার স্যুভেনিরের ফলক উন্মোচন করেন।
এটা সরকারের সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমসহ তিন মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনায় জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করা সরকারের সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।
তিনি জানান, ‘৪৮ বছর পর আবারও একটি সম্পূর্ণ মিথ্যাতে সামনে আনা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত। এর পিছনে একমাত্র উদ্দেশ্য হল জনগণ যখন গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য রাস্তায় নামতে শুরু করেছে, তাদেরকে বিভ্রান্ত করা।’
রবিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের ওপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপ থাকায় জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এ মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের মিথ্যাচার ও ৪৮ বছরের পুরনো ইস্যু উত্থাপন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর পেছনে তাদের (সরকারের) সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। এটা তাদের চক্রান্তের অংশ।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী মাঠ শূন্য করতে আবারো ‘পুরনো খেলা’ শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
এর আগে কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমের মেয়ে নাহিদ ইজহার খান ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তার বাবাকে হত্যার ঘটনায় ৪৮ বছর পর গত বৃহস্পতিবার ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।
মামলায় নাহিদ দশম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর (অব.) আব্দুল জলিলকে আসামি করে দাবি করেন, জিয়াউর রহমানের নির্দেশেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
দলের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, রাতে ভোটের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান সংসদের সংসদ সদস্য এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান 'ফ্যাসিবাদী' সরকারের সুবিধাভোগী নাহিদ হয়তো ১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বরের ঘটনা নিয়ে তার নিজের মা নিলুফার হুদার লেখা বইটি পড়েননি।
তিনি বলেন,'দ্য ওয়ার অব কর্নেল হুদা অ্যান্ড মি'- বইয়ে নিলুফার হুদা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে জিয়াউর রহমান সেদিন কর্নেল নওয়াজিশকে খালেদা জিয়া, কর্নেল নাজমুল আল হুদা ও মেজর এটিএম হায়দারকে রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই: মির্জা ফখরুল
ঘূর্ণিঝড় মোখা: উপকূলবাসীদের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের আহ্বান বিএনপির
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার অতিক্রম করতে শুরু করায় উপকূলবাসীদের পাশে দাঁড়াতে সব পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগের এই সময়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে এবং উপকূলবাসীকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: অবিলম্বে ডিএসএ বাতিল ও এই আইনের সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রবিবার এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ অতীতের মতো সাহসিকতার সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করবে।
ফখরুল বলেন, ‘একই সঙ্গে আমরা সরকারকে রাজনীতিকরণের ঊর্ধ্বে উঠে সব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন, টেকনাফ, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের মানুষ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব অনুভব করতে শুরু করেছে। যা বিকালে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমারের উত্তর উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ১৯, ২০, ২৬ ও ২৭ মে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি
শনিবার ঢাকায় ‘বড় শোডাউন’ করবে বিএনপি
জেএসডি সভাপতি আবদুর রব হাসপাতালে ভর্তি
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত রব হঠাৎ বেশি অসুস্থ বোধ করায় শুক্রবার রাতে তাকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী তানিয়া রব।
তিনি বলেন, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এপিএম সোহরাবুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে রব চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৭৮ বছর বয়সী জেএসডি সভাপতিকে শনিবার সকালে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
গত বছরের জুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নেন রব।
এদিকে, শনিবার দুপুরে অসুস্থ রবকে দেখতে হাসপাতালে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রবকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি তিনি শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং চলমান আন্দোলনে অবদান রাখবেন।’
তিনি এই প্রবীণ রাজনীতিকের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
দেশব্যাপী ১৯, ২০, ২৬ ও ২৭ মে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে বিএনপিসহ অন্যান্য সমমনা বিরোধী দলগুলো ১৯, ২০, ২৬ ও ২৭ মে দেশব্যাপী সমাবেশ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই: মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, আগামী ১৯ মে ঢাকা মহানগর উত্তর, ২৮টি সাংগঠনিক জেলা ও মহানগর, ২০ মে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, ২১টি সাংগঠনিক জেলা ও মহানগরীতে কর্মসূচি পালন করা হবে।
এছাড়া ২৬ মে ঢাকা মহানগর উত্তর, ১৯টি সাংগঠনিক জেলা ও মহানগর এবং ২৭ মে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও ১৫টি সাংগঠনিক জেলায় কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী মাঠ শূন্য করতে আবারো ‘পুরনো খেলা’ শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
শনিবার ঢাকায় ‘বড় শোডাউন’ করবে বিএনপি
দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে শনিবার রাজধানীতে জনসভার মাধ্যমে ‘বিরাট শোডাউন’ করার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি।
দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করবে দলটির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং কোনো শর্ত ছাড়াই দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করাসহ দলের ১০ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর জন্যও এই সমাবেশ।
ঈদুল ফিতরের পর এটি তাদের চলমান আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হওয়ায় সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে দলটি।
সমাবেশকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে যৌথ বৈঠক করেন এবং সমাবেশে রাজধানীর ওয়ার্ডগুলো থেকে সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন।
দলীয় নেতারা জানান, শনিবারের সমাবেশের মধ্য দিয়ে তাদের দল চূড়ান্ত সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রথম ধাপের সূচনা করতে যাচ্ছে।
সমাবেশ থেকে মির্জা ফখরুল দলের তৃণমূলকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে সারাদেশে দলের ৮২টি সাংগঠনিক জেলায় বিভিন্ন দফায় সমাবেশের ঘোষণা দেবেন।
মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে দলের চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেন।
দলের ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশনা অনুযায়ী শনিবার নয়াপল্টনে ব্যাপক জনসমাবেশ নিশ্চিত করতে বিএনপি ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিট ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই: মির্জা ফখরুল
ঢাকা মহানগরের আশপাশের বিএনপি নেতাদেরও সংলগ্ন জেলার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও ভুল বোঝাবুঝি দূর করে আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
যোগাযোগ করা হলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, শনিবারের সমাবেশ সফল করতে তারা সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের চূড়ান্ত আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা রাজপথে নামব। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী মাঠ শূন্য করতে আবারো ‘পুরনো খেলা’ শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহের সুপারিশ জাতীয় সংসদের
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে যথাযথভাবে সজ্জিত করার পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে।
বৃহস্পতিবার কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কমিটির ৩৩তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
কমিটি রেডিও, টেলিভিশন ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে প্রচারণা বাড়িয়ে আগুন লাগার বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছে।
বৈঠকে কালবৈশাখী, ঝড়, অগ্নিকাণ্ড ও ভবন ধসে মন্ত্রণালয়ের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েও বিস্তৃত আলোচনা হয়।
কমিটির আগের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি সম্পর্কেও জানানো হয়।
কমিটির সদস্য মো. আফতাব উদ্দিন সরকার, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও কানিজ সুলতানা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: টেলিটক পরিষেবার উন্নতির জন্য পদক্ষেপ নিন: মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে সংসদের স্থায়ী কমিটি
একাদশ জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশন স্থগিত
অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল-২০২৩ জাতীয় সংসদে উত্থাপন