%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE
পোশাক শিল্পখাত ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় অর্জনে দৃঢ়ভাবে প্রত্যয়ী: বিজিএমইএ সভাপতি
পোশাক শিল্পখাত ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় অর্জনে দৃঢ়ভাবে প্রত্যয়ী বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি)।
তিনি বলেন, যে সোনার বাংলার স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন, যে অর্থনৈতিক মুক্তি চেয়েছিলেন, যে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ গড়তে চেয়েছিলেন সকলের জন্য, তার সেই স্বপ্ন পূরণ করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
শনিবার (৪ মে) বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নানের (কচি) নেতৃত্বে বিজিএমইএর বর্তমান বোর্ড গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করার পর বিজিএমইএ সভাপতি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: 'খলিলুর রহমান নলেজ সেন্টার' চালু করল বিজিএমইএ
তিনি আরও বলেন, তারই সুযোগ্য উত্তরসূরী, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর এই রূপকল্প বাস্তবায়নে দেশের পোশাক শিল্প নিরলসভাবে কাজ করছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষ উন্নততর জীবন পাবে, স্বাধীনতার সুফল সবাই ভোগ করবে, এই প্রত্যয় নিয়ে বিজিএমইএর বর্তমান বোর্ড কাজ করছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক খসরু চৌধুরী, বিজিএমইএর বর্তমান বোর্ডের প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি (অর্থ) মো. নাসির উদ্দিন, সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক মো. ইমরানুর রহমান, পরিচালক শোভন ইসলাম, পরিচালক মো. আশিকুর রহমান (তুহিন), পরিচালক আনোয়ার হোসেন (মানিক), পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন খান, পরিচালক শামস মাহমুদ, পরিচালক রাজীব চৌধুরী, পরিচালক মো. জাকির হোসেন, পরিচালক নুসরাত বারী আশা, পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল, পরিচালক ব্যারিস্টার শেহরিন সালাম ঐশী, পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, পরিচালক সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী সাগর, পরিচালক মো. রেজাউল আলম (মিরু) ও পরিচালক মো. আবছার হোসেন।
আরও পড়ুন: বিজিএমইএ সভাপতির মা মারা গেছেন
ট্যানারি শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২৭৭৬ টাকা করার সুপারিশ সিপিডির
চামড়া শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
শনিবার (৪ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে 'চামড়া শিল্পে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ করা হয়।
ব্রিফিংয়ে পুরো খাতের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে বেতন গ্রেডিং পদ্ধতি সংশোধনের পক্ষেও মত দেন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক।
এসব সুপারিশ তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ গবেষক তামিম আহমেদ।
নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা ও ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শাহীন আহমেদসহ শিল্পখাতের গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডাররা আলোচনায় অংশ নেন।
সিপিডির প্রস্তাবিত মজুরি কাঠামোতে মোট মাসিক ব্যয় ৩৩ হাজার ৪৪৫ টাকা ধরা হয়েছে। যার মধ্যে খাদ্য ব্যয় ২০ হাজার ৫৬৪ টাকা এবং খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় ১২ হাজার ৮৮১ টাকা। প্রস্তাবিত মজুরি গণনায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আয়ও বিবেচনা করা হয়েছে। যেখানে বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে মজুরি নির্ধারণের একটি বিস্তৃত পদ্ধতির বর্ণণা উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: ৪ মাসে ৮৩১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
তদুপরি, ড. মোয়াজ্জেম চামড়া শিল্পের মধ্যে একটি সরলীকৃত এবং সমন্বিত গ্রেডিং সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন এবং এই খাতের বৈচিত্র্যময় কাজের ভূমিকার কারণে অগ্রগতির সীমিত সুযোগের কথা উল্লেখ করেন।
সিপিডি বলেছে, বর্তমান ব্যবস্থায় পদোন্নতির সুযোগ না থাকায় পঞ্চম গ্রেডের মধ্যে কিছু গ্রেডের (এ, বি ও সি) মধ্যে সাবগ্রেড চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে, যা পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করবে।
বাংলাদেশের একটি প্রধান অর্থনৈতিক খাত হিসেবে পোশাক শিল্পের মতো ট্যানারি শিল্পের গুরুত্বও তুলে ধরে সিপিডি।
ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, সাভার এলাকায় ১২৭টি প্লটে প্রায় ২০০টি সক্রিয় ট্যানারি রয়েছে। যেগুলো ২০২৩ সালে ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে অবদান রেখেছে।
আরও পড়ুন: প্রবৃদ্ধি অর্জনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে না পারলে উন্নয়নশীল দেশগুলো পিছিয়ে পড়বে: এডিবি প্রেসিডেন্ট
প্রবৃদ্ধি অর্জনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে না পারলে উন্নয়নশীল দেশগুলো পিছিয়ে পড়বে: এডিবি প্রেসিডেন্ট
অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার ও ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণের উপর জোর দিয়ে এর যর্থার্থ ও সতর্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলেছেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া।
ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকারের বিষয়ে আলোকপাত করে তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, কৃষি ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য প্রচুর সম্ভাবনাময়।’
এডিবি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো এই প্রযুক্তি গ্রহণ করতে না পারলে পিছিয়ে পড়বে।
তিবিলিসির কনসার্ট হলে ৫৭তম বার্ষিক সভার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি বলেন, এআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে পক্ষপাত ও স্বচ্ছতার অভাবের মতো ঝুঁকিও রয়েছে।
এ সময় জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি কোবাখিদজে উপস্থিত ছিলেন। একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমৃদ্ধ জর্জিয়ান সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের
এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, সংস্থাটি নৈতিক কাঠামো অনুসরণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে কার্যকরী এআই সমাধান ব্যবহারে উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোর সক্ষমতা জোরদারে কঠোর পরিশ্রম করছে।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বিভাজন দূরীকণ এবং এআই এর সুযোগ উন্মুক্ত করণে আমরা বিশ্বাস করি। এটি আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের মূল চাবিকাঠি।’
এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা এমন এক সময়ে একত্রিত হয়েছেন, যখন এই অঞ্চলের জনগণ নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এ সময় তাদের নিবিড় মনোযোগ ও সমন্বয়ের প্রয়োজন।
আসাকাওয়া বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের অবিরাম প্রভাবগুলো, সংঘাত ও সংকট দ্রুত তাদের জীবন-জীবিকাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।’
তিনি বলেন, 'আসুন আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যাই, যাতে আমরা আরও সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল ও টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য সেতুবন্ধন গড়ে তুলি।’
শুরুতে জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, এই হুমকিকে উপেক্ষা করা যায় না এবং তাদের প্রতিক্রিয়া বিলম্বিত করা যাবে না।
আসাকাওয়া বলেন, ‘২০২৩ সাল ছিল স্মরণকালের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। আমরা মানুষের উপর এর প্রভাব এবং ভবিষ্যতের উন্নয়নের ঝুঁকি দেখতে পাচ্ছি। শস্য ও খাদ্য ব্যবস্থা ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।’
তিনি বলেন, ভবিষ্যতের সেতুবন্ধন অবশ্যই অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে। ‘অর্থায়নে প্রতিবন্ধকতার কারণে কেউ যেন উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত না হয়।’
আরও পড়ুন: কার্যকরী-গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজে আগ্রহী এডিবি: ভাইস প্রেসিডেন্ট ভার্গব দাশগুপ্ত
সবুজ বিশ্বায়নের চালিকাশক্তি
এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই কক্ষে আমাদের উপস্থিতি প্রমাণ করে আমাদের বিশ্ব কতটা গভীরভাবে সংযুক্ত। আমাদের এটা কাজে লাগানো উচিত। আরও সবুজ ও উন্মুক্ত অর্থনীতি গড়ে তুলতে আমাদের এই সংযোগগুলো বাড়ানো উচিত।’
তিনি বলেন, মহামারি বা বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং সংঘাতের দিকে ফিরে তাকানো সহজ হতে পারে এবং এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সহজ হতে পারে যে বিশ্বায়ন এখন মৃত। ‘আমি এটা বিশ্বাস করি না।’
তিনি বলেন, 'এটা সত্য যে বৈশ্বিক বাণিজ্য ও সরবরাহ শৃঙ্খল সংকটের ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে এর উত্তর সংরক্ষণবাদ এবং বিভাজন হতে পারে না।’
আসাকাওয়া বলেন, মুক্ত বাণিজ্য ও মূলধনের অবাধ চলাচল কয়েক দশক ধরে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে উপকৃত করেছে এবং এটিই অবশ্যই এগিয়ে যাওয়ার উপায় হতে হবে।
সরবরাহ শৃঙ্খল স্থিতিশীল রাখতে আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধি, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ জোরদার এবং আর্থিক ও কর সহযোগিতা জোরদারে আঞ্চলিক সহযোগিতা কীভাবে গভীর করা যায় তা অনুসন্ধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এডিবি প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রবীণদের জন্য আরও বেশি বরাদ্দ দিতে জোর দিয়েছে এডিবি
বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের ৩০ শতাংশের জন্য দায়ী বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম
আসাকাওয়া বলেন, 'অস্বস্তিকর সত্য হলো এশিয়ার শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে আমাদের অবদান বাড়ছে।’
তিনি বলেন, আরও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলসম্পর্কিত নির্গমন হ্রাস করার জন্য কাজ করার এখনই সময়।
সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন সদস্যদের সমর্থন করা
এডিবি প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, ভবিষ্যতের জন্য সেতুবন্ধন যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের পেছনে ফেলে রাখতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোসহ দরিদ্রতম ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক মন্দা ও সংঘাতের কারণে সবচেয়ে বেশি সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে।’
এডিবি প্রধান বলেন, তাদের অর্থায়নে অবশ্যই অনুদানসহ রেয়াতি শর্তে সম্পদ অন্তর্ভুক্ত করা অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, এশীয় উন্নয়ন তহবিল (এডিএফ) এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহন। বৃহস্পতিবার পুনঃপূরণ সম্পন্ন হওয়ার পর আমরা এসব চাহিদা মেটাতে ৫০০ কোটি ডলার পর্যন্ত সরবরাহ করতে সক্ষম হব।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্রচেষ্টা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন জোরদারের আহ্বান এডিবি প্রেসিডেন্টের
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত।
শনিবার দেশটির ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
ভারতের গণমাধ্যম অনুসারে, পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা এখন প্রত্যাহার করা হয়েছে। ডিজিএফটি পেঁয়াজের জন্য ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য (এমইপি) প্রতি টন ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: রবিবার রাতেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
গত বছরের ডিসেম্বরে ভারত সরকার ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখে।
রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার প্রায় ৫ মাস পর ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশসহ আরও পাঁচটি দেশকে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।
গত মাসে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ আমদানির জন্য ভারত থেকে অনুমোদন পেয়েছি, দাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজের ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার গত বছরের ২৮ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টনপ্রতি ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করেছিল। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রধান সবজির সরবরাহ বাড়াতে গত বছরের আগস্টে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারত।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ের তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, উল্লিখিত সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ এ সময় তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ৩৮ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৪০ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ইতালিতে বাণিজ্য সুবিধা কাজে লাগানোর আহ্বান বিজিএমইএ সভাপতির
নিটওয়্যারের রপ্তানি হয়েছে ২২ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এতে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৯ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ওভেন (বুনন জাতীয়) পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর এতে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের এপ্রিলে পোশাক রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২৩ সালের এপ্রিলের তুলনায় ১ দশমিক ০১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্চ মাসের বেতন-ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছে সব কারখানা: বিজিএমইএ সভাপতি
'খলিলুর রহমান নলেজ সেন্টার' চালু করল বিজিএমইএ
৪ মাসে ৮৩১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
চলতি ২০২৪ সালের প্রথম চার মাসে ৮৩১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ। গত এপ্রিলে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে ২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রেমিট্যান্স প্রবাহকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যাংকের উদ্যোগের ফলে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দেশে প্রবাসীদের কাছ থেকে মোট ৮৩১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
আরও পড়ুন: অগ্রণী ব্যাংক থেকে রেমিট্যান্সের টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ৩ সদস্য আটক
জানুয়ারিতে ২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার, মার্চে ১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার এবং এপ্রিলে ২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার আসার ধারাবাহিকতায় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। বিশেষ করে চলমান বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের সময় এই প্রবাহ অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, বাংলাদেশ প্রবাসীদের আরও আর্থিক ও আর্থিক বহির্ভুত প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স আহরণ আরও বাড়াতে পারে। তিনি অবৈধ অর্থ স্থানান্তর পদ্ধতি হুন্ডি পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের অগ্রাধিকারের কথা তুলে ধরেন। কারণ এর বিনিময় হার বেশি, যা সরকারি হারের তুলনায় মার্কিন ডলার প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা বেশি।
এটি নিয়ন্ত্রণে ড. মনসুর প্রস্তাব করেন যে সরকার আনুষ্ঠানিক চ্যানেলগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করতে এবং হুন্ডির মতো অবৈধ পদ্ধতির ব্যবহার বন্ধ করতে স্বাস্থ্য কার্ড, বীমা কভারেজ এবং পেনশন স্কিমসহ বৈধ রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা চালু করতে পারে।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের সিংহভাগ এসেছে ঢাকা জেলায়: বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশের বেসরকারি সৌর প্রকল্পে ১২১.৫৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন এডিবির
পাবনায় ১০০ মেগাওয়াট গ্রিড-সংযুক্ত সোলার ফটোভোলটাইক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য ডায়নামিক সান এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ১২১ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি অর্থায়ন চুক্তি সই করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
সোমবার(২৯ এপ্রিল) ম্যানিলাভিত্তিক ঋণদাতা সংস্থাটি জানিয়েছে, বৈশ্বিক অর্থায়নকারীদের সহায়তায় নির্মিত দেশের প্রথম বেসরকারি খাতের ইউটিলিটি পর্যায়ের সৌর সুবিধা এটি।
ঋণ প্যাকেজটি সাজানো, কাঠামো প্রস্তুত এবং সিন্ডিকেট করার ক্ষেত্রে এডিবি কেবলমাত্র ম্যান্ডেটেড লিড অ্যারেঞ্জার এবং বুকরানার।
এই অর্থায়ন প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে এডিবি থেকে ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ, আইএলএক্স ফান্ডের ১ থেকে ২ কোটি ৮০৫ লাখ ডলারের সিন্ডিকেটেড বি-ঋণ, আমস্টারডামভিত্তিক ইমার্জিং মার্কেট প্রাইভেট ক্রেডিট ফান্ড যা এডিবির রেকর্ড ঋণদাতা হিসেবে এডিবির সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করবে এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার ডলারের সিন্ডিকেটেড সমান্তরাল ঋণ।
আরও পড়ুন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী এডিবি
এডিবির বেসরকারি খাত পরিচালনা বিভাগের মহাপরিচালক সুজান গ্যাবৌরি বলেন, 'এশিয়ার জলবায়ু ব্যাংক হিসেবে এডিবি বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহায়তা করার সুযোগকে স্বাগত জানায়, যেখানে এ ধরনের প্রকল্পের জন্য দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন পাওয়া একটি চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, ‘এই অংশীদারিত্ব ক্লিন এনার্জি সুবিধাগুলোর জন্য অর্থায়ন জোগাড় এবং যেখানে এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেখানে আরও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে আমাদের নেতৃত্বের ভূমিকার উদাহরণ।’
সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বার্ষিক ১৯৩ দশমিক ৫ গিগাওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং বার্ষিক ৯৩ হাজার ৬৫৪ টন কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমন এড়াবে।
পিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'এডিবির নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের সহায়তায় বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের অন্যতম বৃহৎ সৌর প্রকল্পে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১%, আগামী বছর হবে ৬.৬ %: এডিবির পূর্বাভাস
তিনি বলেন, ‘এডিবির মতো আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব টেকসই উন্নয়নের প্রতি পিটির নিবেদনকে নিশ্চিত করে এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির দিকে আমাদের যাত্রায় একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিকে তুলে ধরে।’
ডিএসই প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল পিএলসির (পিটি) মালিকানাধীন, যা বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম ওভেন টেক্সটাইল প্রস্তুতকারক। এই কোম্পানিটি বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করে আসছে।
পিটি বিস্তৃত সুতা, আধুনিক বয়ন প্রযুক্তি এবং মুদ্রণ ধরণের ব্যবহার করে উচ্চমানের সুতা-রঞ্জিত এবং মুদ্রিত বোনা কাপড় তৈরি করে।
পিটি ২০১৩ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সর্বজনীনভাবে তালিকাভুক্ত হয়।আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জলবায়ু সহিষ্ণু পানি ব্যবস্থাপনায় ৭১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি
ব্যাংকগুলোর পূর্ণাঙ্গ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশে বাংলাদেশ ব্যাংককে আইএমএফের পরামর্শ
জনস্বার্থে অনাদায়ী ও ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে বিস্তারিত ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশের পরামর্শ দিয়েছে সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দল এ পরামর্শ দেয়।
বৈঠকে আইএমএফ ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা ও পরিদর্শন প্রতিবেদন গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত করতে বলেছে। একই সঙ্গে অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঋণ কেলেঙ্কারি রোধে পরিদর্শনের সংখ্যা বাড়ানোর তাগিদ দেন প্রতিনিধি দল।
সভায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বড় ধরনের ঋণ কেলেঙ্কারিসহ নানা অনিয়মের কারণে ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ বাড়ছে। বেশ কয়েকটি ব্যাংক দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে ইতোমধ্যে স্বীকারও করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
তাই সংকটে পড়া ব্যাংকগুলোতে মানুষের আমানতও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মনে করছে আইএমএফ। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন গ্রাহকদের সামনে প্রকাশ করার পরামর্শ দিয়েছে বৈশ্বিক এ ঋণদাতা।
আরও পড়ুন: আবারও বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে আইএমএফ
আইএমএফ কর্মকর্তাদের মতে, 'এসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে গ্রাহকরা তাদের আমানত রাখার বিষয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।’
বৈঠকে আইএমএফ ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন অব্যাহত আছে কি না, তা জানতে চেয়েছে। পরিদর্শন প্রতিবেদনগুলো গ্রাহকদের কাছে প্রকাশ করা হয় কি না সে সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা চাওয়া হয়েছে।
সূত্রটি বলছে, অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঋণ কেলেঙ্কারি রোধে গুণগত মান ও পরিদর্শনের সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, আইএমএফের সঙ্গে বৈঠক চলছে। আগামী ৮ মে পর্যন্ত ধাপে ধাপে এই বৈঠক চলবে। তিনি এর বাইরে অন্য কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি এবং বলেছিলেন যে ভবিষ্যতে বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমালে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই: অর্থমন্ত্রী
সক্ষমতা বাড়াতে এফবিসিসিআই ও সরকারের সহযোগিতা চায় জেলা চেম্বারগুলো
ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও নতুন উদ্যোক্তা তৈরিসহ দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার সক্ষমতা বাড়াতে এফবিসিসিআই ও সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে জেলা চেম্বারগুলো।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) মতিঝিলে অবস্থিত এফবিসিসিআই আইকনে ‘চেম্বারের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ বিষয়ে এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা চেম্বারের সভাপতিরা জানান, নিজস্ব ভবন না থাকা, আয়ের উৎস সংকীর্ণ থাকা, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও দক্ষ লোকবলের অভাবে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলা চেম্বার। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই এবং সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের অর্থনীতিকে সুসংহত করতে এবং জেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের একই ছাতার নিচে নিয়ে আসতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে জেলা চেম্বারগুলো। জেলা চেম্বার ও উইমেন চেম্বারের বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে এফবিসিসিআই সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
চেম্বারের সক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের আয়োজন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য একটি তহবিল গঠনের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
জেলা পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা সহজীকরণে সহজ শর্তে ঋণ প্রাপ্তি, হয়রানি বন্ধ, এবং চেম্বারের আয়ের উৎস বৃদ্ধিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এফবিসিসিআই শীঘ্রই আলোচনায় বসবে বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও চেম্বার পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
এ সময় ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে জেলা পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের জন্য জেলা চেম্বার সহযোগিতার বড় একটি প্লাটফর্ম হতে পারে বলে মন্তব্য করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইর সাবেক সহসভাপতি সালাউদ্দিন আলমগীর।
জেলা চেম্বারগুলোর উন্নয়নে এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকে প্রতিটি চেম্বারে গিয়ে সভা করার সুপারিশ করেন কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ ও এফবিসিসিআইর পরিচালক সুজীব রঞ্জন দাস।
এফবিসিসিআইসহ এর অধিভুক্ত বাণিজ্য সংগঠনগুলো স্মার্ট করার লক্ষ্যে এফবিসিসিআই অ্যাপ তৈরির কাজ চলছে বলে সভায় জানানো হয়।
সভায় আরও ছিলেন এফবিসিসিআইর সহসভাপতি মো. খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, যশোদা জীবন দেব নাথ, মো. মুনির হোসেন, সাবেক প্রথম সহসভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, এফবিসিসিআইর পরিচালকরা, বিভিন্ন জেলা চেম্বারের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ব্যবসায়ী নেতারা।
বিএসটিআইতে হালাল সার্টিফিকেটের মূল্যায়ন বিষয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) হালাল সনদ ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা বিদেশে পণ্য রপ্তানিতে কোনো বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন কি-না সে বিষয়ে মত বিনিময় সভা আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
রবিবার বিএসটিআইর প্রধান কার্যালয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ‘বিএসটিআই হতে প্রদানকৃত হালাল সার্টিফিকেটের মূল্যায়ন’ শীর্ষক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএসটিআইর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এস এম ফেরদৌস আলমের সভাপতিত্বে সভায় ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আমীন হেলালী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা চেম্বারের পরিচালক এম মোসাররফ হোসেন, বিএসটিআইর হালাল সার্টিফিকেশন কমিটির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ড. জহুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলমসহ বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিরা।
এছাড়া অনুষ্ঠানে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন বিএসটিআইয়ের হালাল সার্টিফিকেশনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান- বেঙ্গল মিট প্রসেসিং ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড, আকিজ বেকার্স লিমিটেড, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল, নিউজিল্যান্ড ডেইরি, ডেনিস ফুড, অলিম্পিক ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড, সালভো কেমিক্যাল ইন্ড্রাস্ট্রি, কোকোলা ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
সভায় বক্তারা জানান, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করে একাধিক অডিটের মাধ্যমে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে হালাল সনদ দেয় বিএসটিআই। বিএসটিআইয়ের হালাল সনদ গ্রহণ করে রপ্তানিতে কোনো বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন না বলেও জানান তারা।