চলতি ২০২৪ সালের প্রথম চার মাসে ৮৩১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ। গত এপ্রিলে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে ২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রেমিট্যান্স প্রবাহকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যাংকের উদ্যোগের ফলে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দেশে প্রবাসীদের কাছ থেকে মোট ৮৩১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
আরও পড়ুন: অগ্রণী ব্যাংক থেকে রেমিট্যান্সের টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ৩ সদস্য আটক
জানুয়ারিতে ২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার, মার্চে ১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার এবং এপ্রিলে ২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার আসার ধারাবাহিকতায় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। বিশেষ করে চলমান বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের সময় এই প্রবাহ অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, বাংলাদেশ প্রবাসীদের আরও আর্থিক ও আর্থিক বহির্ভুত প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স আহরণ আরও বাড়াতে পারে। তিনি অবৈধ অর্থ স্থানান্তর পদ্ধতি হুন্ডি পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের অগ্রাধিকারের কথা তুলে ধরেন। কারণ এর বিনিময় হার বেশি, যা সরকারি হারের তুলনায় মার্কিন ডলার প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা বেশি।
এটি নিয়ন্ত্রণে ড. মনসুর প্রস্তাব করেন যে সরকার আনুষ্ঠানিক চ্যানেলগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করতে এবং হুন্ডির মতো অবৈধ পদ্ধতির ব্যবহার বন্ধ করতে স্বাস্থ্য কার্ড, বীমা কভারেজ এবং পেনশন স্কিমসহ বৈধ রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা চালু করতে পারে।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের সিংহভাগ এসেছে ঢাকা জেলায়: বাংলাদেশ ব্যাংক