%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE
বিএসইসি স্টক মার্কেটের শরিয়াহ উপদেষ্টা পরিষদ গঠন
শরিয়াহ ভিত্তিক পুঁজিবাজারের উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই বিষয়ে পরামর্শ দেয়ার জন্য ৯ সদস্যের একটি কাউন্সিল গঠন করেছে।
মঙ্গলবার বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম ইউএনবিকে বলেন, সম্প্রতি বাজার নিয়ন্ত্রকের ৮৪৮তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শরিয়াহ উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক সিকিউরিটিজ আনার সুযোগ জোরদার হবে।’
তিনি বলেন, শরিয়াহভিত্তিক সিকিউরিটিজে আগ্রহী দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আরও আগ্রহী হবেন।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সিকিউরিটিজ মার্কেট শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল) অ্যাক্ট-২০২২-এর নিয়মে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আমদানিকৃত ভোজ্যতেলের ওপর ৫% ভ্যাট কমানোর মেয়াদ বাড়ল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত
কাউন্সিল বিএসইসিকে ইসলামিক ক্যাপিটাল মার্কেট গঠনসহ বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক শরীয়াহ ভিত্তিক সিকিউরিটিজ ইস্যুতে পরামর্শ দেবে। উদাহরণ স্বরূপ, শরীয়াহ-সম্পর্কিত নির্দেশিকা প্রণয়ন, ইসলামী শরীয়াহ-সম্মত সিকিউরিটিজের মান প্রণয়ন, কোনো সিকিউরিটি শরীয়াহ-সম্মত কিনা, এই কাউন্সিল কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী মতামত দেবে।
কমিশনের শরীয়াহ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে পাঁচজন শরীয়াহ স্কলার ও চারজন বিশেষজ্ঞ থাকবেন।
এই নীতির আলোকে বিএসইসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদকে পরিষদের চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত নেয়।
শরিয়া স্কলারদের নির্বাচিত পাঁচ সদস্য হলেন- প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, মুফতি শহীদ রহমানী, মুফতি ইউসুফ সুলতান, মুফতি ড. ওয়ালিউর রহমান খান (ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি) এবং মাওলানা শাহ ওয়ালী উল্লাহ।
আরও পড়ুন: দাম বাড়বে না ভোজ্যতেলের: বাণিজ্যমন্ত্রী
অপরদিকে চারজন বিশেষজ্ঞ সদস্য হলেন- অর্থ ও ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু তালেব, আইন বিশেষজ্ঞ একেএম নুরুল ফজল বুলবুল, হিসাব বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া এবং পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।
বিএসইসি নিয়ম অনুযায়ী কাউন্সিলের সদস্যদের মনোনীত করবে। আর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন পরিষদের শরীয়াহ বেত্তার (শরীয়াহ জ্ঞান বিশেষজ্ঞদের) ভোটে।
পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের মেয়াদ হবে তিন বছর। একজন সদস্য পরপর দুই মেয়াদের জন্য মনোনীত হতে পারেন। যাইহোক, বিএসইসি একটি মেয়াদের ব্যবধানে দুই মেয়াদের পরে কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে যে কোনও ব্যক্তিকে পুনরায় মনোনীত করতে পারে।
আরও পড়ুন: আইএমএফের ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফান্ড’ থেকে ঋণ নেয়ায় এশিয়ায় প্রথম বাংলাদেশ
আইএমএফের ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফান্ড’ থেকে ঋণ নেয়ায় এশিয়ায় প্রথম বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফান্ড’ (আরএসএফ) থেকে ঋণ গ্রহণকারী এশিয়ার প্রথম দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
আইএমএফ-এর এই ঋণ গ্রহণকারী বিশ্বের প্রথম দেশ বার্বাডোস, তারপরে কোস্টারিকা ও রুয়ান্ডা।
এরপর আরএসএফ থেকে ঋণ পাওয়ার তালিকায় রয়েছে আরও পাঁচটি দেশ। তালিকার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।
আইএমএফ বোর্ড ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল এ তহবিলটিকে অনুমোদন করে এবং ২০২২ সালের ১মে থেকে এটি থেকে কার্যকর হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য তহবিলটি তৈরি করা হয়েছিল।
আইএমএফের মতে, এই তহবিলটি নিম্ন আয়ের, উচ্চ ঋণের বোঝা, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় উচ্চ ব্যয় এবং উন্নয়ন ব্যয়ের ঘাটতির জন্য।
বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি বলছে, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে ঋণ গ্রহণ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার আকাঙ্খাকে সমর্থন দেবে আইএমএফ: ডিএমডি
৩০ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের ঋণ অনুমোদন বিবেচনা করতে পারে
৩০ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের ঋণ অনুমোদন বিবেচনা করতে পারে
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী বোর্ড আগামী ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সোমবার এক প্রেস বিবৃতিতে আইএমএফের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আন্তোয়েনেট এম. সায়েহ এ কথা জানিয়েছেন। আন্তোয়েনেট এম. সায়েহ ঋণ নিয়ে আলোচনা করতে পাঁচদিনের সফরে রবিবার বাংলাদেশে এসেছেন।
তিনি বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত।
আন্তোয়েনেট বলেন, ‘গত দশকে বাংলাদেশের আকর্ষণীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। যা দারিদ্র্য নিরসনে ধারাবাহিক অগ্রগতি এবং জীবনমানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিগুলো মুদ্রাস্ফীতিকে স্থিতিশীল রাখতে, ঋণ থেকে জিডিপি অনুপাত কম এবং বাহ্যিক বাফারগুলোকে পর্যাপ্ত রাখতে সাহায্য করেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের আশা আইএমএফ ঋণের প্রথম কিস্তি আগামী মাসের মধ্যে আসবে: মুখপাত্র
সারা বিশ্বের দেশগুলোর মতোই বাংলাদেশ এখন বৈশ্বিক ধাক্কাগুলোর প্রভাব মোকাবিলা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই ধাক্কাগুলোর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আমি এই কঠিন সময়ে দুর্বলদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ওপর তাদের ফোকাসসহ এসব সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেয়া বিস্তৃত পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই।’
কর্তৃপক্ষের স্বদেশি সংস্কার এজেন্ডাকে সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশ ও আইএমএফ সম্প্রতি বর্ধিত ক্রেডিট সুবিধা, বর্ধিত তহবিল সুবিধা এবং আইএমএফ এর নতুন স্থিতিস্থাপকতা ও টেকসই সুবিধা (আরএসএফ) এর অধীনে একটি স্টাফ-লেভেল চুক্তিতে পৌঁছেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের আলোচনায় আমরা কর রাজস্ব বাড়ানো এবং আরও দক্ষ আর্থিক খাত গড়ে তোলার দীর্ঘস্থায়ী চ্যালেঞ্জসহ এই প্রোগ্রামের মূল উপাদানগুলোর ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছি।
আরও পড়ুন: ’মর্যাদা ক্ষুন্ন হলে বাংলাদেশকে আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়ার দরকার নেই: এফবিসিসিআই
বেসরকারি বিনিয়োগ এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণের সুবিধার্থে পদক্ষেপের সঙ্গে এইসব ক্ষেত্রে সংস্কার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও স্থিতিস্থাপক করতে এবং দীর্ঘমেয়াদী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করার শর্ত তৈরি করতে সাহায্য করবে।
এতে বলা হয়েছে, ‘আমরা জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেছি। যা সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে।’
আরও পড়ুন: নিরাপদ রিজার্ভ গড়ে তুলতে আইএমএফ এর ঋণ দরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
বিসিআই সভাপতি হিসেবে আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পুননির্বাচিত
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) এর সভাপতি হিসেবে ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের জন্য ইভিন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) পুননির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্ত্তী এবং ইউনুছ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ যথাক্রমে সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
নবনির্বাচিত পরিচালকরা হলেন- আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ), প্রীতি চক্রবর্ত্তী, মোহাম্মদ ইউনুছ, শহিদুল ইসলাম নিরু, ডা. দেলোয়ার হোসেন রাজা, রঞ্জন চৌধুরী, মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, মো. জিয়া হায়দার মিঠু, মো. মহব্বত উল্লাহ, শাহ আলম লিটু, মো. মিজানুর রহমান, নাজমুল আনোয়ার, এম এ রাজ্জাক খান, মো. ইশাকুল হোসেন মিষ্টি,আবুল কালাম ভূঁইয়া, মো. সেলিম জাহান, এস.এম. শাহ আলম মুকুল, যশোদা জীবন দেব নাথ, মো. শহিদ আলম, কে.এম. রিফাতুজ্জামান, রুসলান নাসির, মো. খায়ের মিয়া, সোহানা রউফ চৌধুরী, ও মো. মাফুজুর রহমান।
শনিবার নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এসময় বিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শাহেদুল ইসলাম হেলাল উপস্থিত ছিলেন।
নবনির্বাচিত সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, নবনির্বাচিত কমিটি সিএমএসইর উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তা তৈরির জন্য যথাযথ উদ্যোগ নেবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মো. কোহিনুর ইসলাম, সদস্য-নির্বাচন বোর্ড; হাফেজ হারুন-অর-রশিদ, সদস্য-নির্বাচন আপিল বোড; প্রীতি চক্রবর্ত্তী, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি, শহীদুল ইসলাম নিরু, সাবেক সহ-সভাপতি-বিসিআই।
বিকাশমান সমুদ্র অর্থনীতির সফলতা নির্ভর করছে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর
বাংলাদেশে বিকাশমান সমুদ্র অর্থনীতির সফলতা নির্ভর করছে এ খাতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর।
সোমবার কক্সবাজার জেলার সামুদ্রিক শুকনো মাছের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের ওপর বিশ্লেষণ এবং নীল অর্থনীতি অর্জনে সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জসমূহের ওপর গবেষক ও বিশেষজ্ঞ সমেত তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তারা এ কথা বলেছেন।
তারা কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ওপর জোর দিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত সামুদ্রিকখাদ্য, শুকনো মাছ উৎপাদন, অন্তঃদেশীয় ও বৈদেশিক বিপণনের ক্ষেত্রে সকল বাধা ও প্রতিবন্ধকতা দূর করার আহ্বান জানান।
এতে সভাপতিত্ব করেন কানাডা প্রবাসী লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক, বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার জাহিদ।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. আব্দুল জলিল চৌধুরী, ডিপার্টমেন্ট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং সাবেক মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।
প্রধান আলোচক ছিলেন, প্রফেসর ড. এস.এম. রফিকুজ্জামান, ডিন, ফিশারিজ অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: নৌবাহিনীকে সমুদ্র অর্থনীতির পতাকাবাহী হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
অধ্যাপক, গবেষক, শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক এবং স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. এস. জে আনোয়ার জাহিদ, প্রশিকার প্রোগ্রাম পরিচালক, সাঈদ হাসান, উন্নয়ন কনসালটেন্ট বাবু অশোক সরকার, আবেদ আহসান সাগর, মাহবুব উল আলম এবং অংশগ্রহণ করেন খায়রুল আহসান মানিক, কৃষিবিদ মোয়াজ্জেম হোসাইন, নজরুল ইসলাম বাবুল, শামসুল হাবিব, শিরিন ফেরদৌসী, নাজমা রেশমী, ইভানা হোসাইন ও এসরার জাহিদ।
সম্মানিত অতিথি কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী তার ভাষণে বলেন, সমুদ্র অর্থনীতির সদ্ব্যবহার বাংলাদেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে পারে যদি আমরা এ খাতে প্রথাগত পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারকে নিশ্চিত করতে পারি।
ইতোমধ্যে সরকার কৌশলগত নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং বিদেশি কয়েকটি সংস্থা তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। এগুলোর মাঝে সমন্বয় সাধন ও চ্যালেঞ্জের বিষয়।
বাংলাদেশে খাদ্য সংস্কৃতি পরিবর্তনের ওপর আমাদের জোরারোপ করতে হবে এবং সামুদ্রিক-খাদ্যকে আমাদের খাদ্য তালিকায় নিতে হবে।
মূল প্রবন্ধে প্রফেসর ড. আব্দুল জলিল চৌধুরী বলেন, কক্সবাজারে মার্কেট ভ্যালু চেইন এর ওপর গবেষণা ও প্রশিক্ষণ দান বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে এর সুফলতা আসতে শুরু করেছে।
সাসটেইনেবল ব্লু ইকোনমির জন্য পরিবেশগত অবক্ষয় এবং সমুদ্রের পানির দূষণ কমাতে প্রয়োজনীয় নীতিনির্ধারণের ওপর বাংলাদেশের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।
প্রধান আলোচক প্রফেসর ড. এস.এম. রফিকুজ্জামান বলেন, কক্সবাজার জেলার সামুদ্রিক খাদ্য ও শুকনো মাছের স্বাস্থ্যসম্মত উৎপাদন ও এগুলো বাজারজাতকরণের ওপর নিবিড় গবেষণা করার প্রয়োজন রয়েছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এর ওপর কাজ হচ্ছে, দেশে বিচ্ছিন্নভাবে প্রযুক্তি ও আসছে কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি এর ডিমান্ড যথাযথভাবে আলোচনায় উঠে আসছে না।
এছাড়া দেশে মৎস্যখাত নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে একে অগ্রাধিকার তালিকায় নিতে হবে।
বার্ড এর সাবেক পরিচালক ড. আনোয়ার জাহিদ আলোচকদের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণ বিশেষ করে শুকনো মাছের উৎপাদনের অতীত ও বর্তমান অবস্থার ওপর কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের পরিচালিত গবেষণা ও সমীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর আলোকপাত করেন। ভেলু চেঞ্জ এনালাইসিস সমীক্ষার মাধ্যমে যারা মৎসজীবী, ট্রলার মালিক, মাছ ও শুঁটকি বিক্রয়কারী মার্চেন্ট এজেন্ট মধ্যস্বত্ব ভোগী যেমন: আড়ৎদার, পাইকার, খুচরা ব্যবসায়ী, সংরক্ষণকারী ও মহাজন তাদের প্রতি কেজি বা ১০০ কেজিতে মুনাফা বা লাভের অংশ নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
এতে মার্কেটিং চ্যানেলে জড়িত অধিক সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করা যাবে এবং এতে সরকারি বিভাগ ও বাজার নিয়ন্ত্রণকারীরা তাদের ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। মাছ ধরার এলাকায় মাছ সংরক্ষণ (স্টোরেজ) এবং স্থানীয়ভাবে শুঁটকি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে তা অভ্যন্তরীণ ক্রেতা-ভোক্তার সাশ্রয় ও রপ্তানি বাজারে এর অধিক সুফল পাওয়া যাবে, প্রশিকার প্রোগ্রাম, পরিচালক, সাঈদ হাসান পরিবেশগত অবক্ষয় এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে সমুদ্র উপকূলের আদিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নের ওপর জোরারোপ করেন।
কনসালটেন্ট বাবু অশোক সরকার বলেন, মৎস্যখাতের মার্কেটিং চেইনে মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে প্রোডাক্টের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এর প্রভাব পড়ছে ভোক্তাদের ওপর। এ খাতে শ্রমিক কল্যাণ অনেক অবহেলিত এবং নারী শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এর পরিচালক আবেদ আহসান সাগর বলেন, বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় মাছের বাজার প্রায় ৮০ ভাগ। টেকনোলজি ব্যবহার, প্রক্রিয়া ও গুদামজাত করণে মধ্যস্বত্ব ভোগীদের কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, প্রোডাক্টের মূল্য পেতে ও দীর্ঘ সঙ্কট তৈরি হয়।
এছাড়া সরকারের সাবসিডি ছাড়া এ খাতের টেকসই উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
মাহবুব উল আলম বলেন, স্থানীয়রা মৎস খাতের ব্যবসায় পারিবারিকভাবে এ পেশাকে গ্রহণ করে। এখনও শিক্ষিত লোকজন এ পেশায় আসছেন না তাই প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণ ও বিলম্বিত হচ্ছে, মেটেরিয়ালের দাম বৃদ্ধির কারণে মূল্যও বেড়ে যাচ্ছে এবং এগুলো মনিটরিং এর কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই।
এছাড়া মৎস্যখাতকে দেশে বিদেশে ব্র্যান্ডিং করতে সংশ্লিষ্টদের সহায়তা দরকার।
সভাপতি দেলোয়ার জাহিদ বলেন, দারিদ্র্য বিলোপ, ক্ষুধা মুক্তি, সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ, জলবায়ু কার্যক্রম এবং জলজ জীবনকে অর্থবহ ও সমুদ্র অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে কানাডার মতো উন্নত দেশের অংশীদারিত্ব গ্রহণের ওপর জোর দিতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ ও আলোচনার ওপর ভিত্তি করে সমস্যা সমাধানে কিছু সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হয়। বাংলাদেশে সামদ্রিক খাদ্য ও শুঁটকি উৎপাদন গতানুগতিকভাবে চলে আসছে। দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে তাদের চাহিদা ও অনেক বেড়েছে। অতীতে শুঁটকি খোলা জায়গায় শুকানো হতো এবং রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে মৎস্য অধিদপ্তর, চেম্বার অব কমার্স ও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নানাবিদ উদ্যোগ নেয়ার ফলে উৎপাদন প্রক্রিয়া ও বিপণন ব্যবস্থায় উন্নতি ঘটছে। দেশের অভ্যন্তরে শুঁটকির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কিছু সংখ্যক শুঁটকি যেমন চিংড়ি, ছুড়ি, লোট্টা, রূপচাঁদা প্রভৃতি চায়না হংকং হয়ে আমেরিকা, কানাডায় রপ্তানি হচ্ছে।
উপলব্ধ কতিপয় বিষয়ে সুপারিশমালা তোলে ধরা হলো-
১. বাংলাদেশের বিশাল সুমুদ্র সীমার মধ্যে প্রায় ৮০ মিলিয়ন মেট্রিকটন মাছের মুজুদ রয়েছে। এর থেকে আহরণের পরিমাণ মাত্র ৩.৫৫ মিলিয়ন মেট্রিকটনের প্রেক্ষিতে বেশি মৎস আহরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
২, মৎস্য আহরণে আধুনিক প্রযুক্তি ও জনবল বৃদ্ধি, বিদেশি শুঁটকিতে করারোপসহ উন্নত মানের উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়া ও বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।
৩. সরকারি উদ্যোগে প্রধান মৎস আহরণ, শুঁটকি উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে সংরক্ষণাগার তৈরি করাও প্রয়োজন।
৪. সমন্বিত উদ্যোগ, টেকসই প্রযুক্তি, অ্যাকশন রিসার্চ ও ভ্যালু চেইন এনালিসিস করে সমীক্ষা প্রকাশ করাও প্রয়োজন।
৫. উৎপাদন ও রপ্তানিকে বেগবান ও উৎসাহিত করতে স্বল্প সুদে ঋণদান ও প্রয়োজনে ভূর্তকি প্রদান করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সমুদ্র অর্থনীতির ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
যোগাযোগ প্রযুক্তি ও সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে বাংলাদেশের সাথে কাজে আগ্রহী মাদাগাস্কার
গণশুনানি: খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি) খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের গড় দাম ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।
রবিবার সকাল ১০টায় নগরীর বিয়াম মিলনায়তনে শুরু হওয়া গণশুনানিতে মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ করা হয়।
কমিটি প্রতি ইউনিট (প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা) ৭ টাকা ১৩ পয়সা থেকে প্রতি ইউনিট এক টাকা ১০ পয়সা বাড়িয়ে গড় খুচরা মূল্য আট টাকা ২৩ পয়সা নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছে।
তবে সংস্থাটির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিশন বিইআরসি আইন ২০১০-এর সর্বশেষ সংশোধনী অনুসারে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
ছয়টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা- বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো), নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পিএলএস (নেসকো) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডব্লিউজেডপিডিসিএল) গত বছরের ২৩ নভেম্বর বিইআরসি-এর সিদ্ধান্তের পরে ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকরীভাবে বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানোর পরে তাদের নিজ নিজ প্রস্তাব জমা দেয়।
একমাত্র রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রান্সমিশন সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)ও হুইলিং চার্জ বাড়ানোর জন্য একটি পৃথক প্রস্তাব দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আদানির ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মার্চে জাতীয় গ্রিডে আসবে: নসরুল হামিদ
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিপিডিবি প্রথমে ২৩ নভেম্বর খুচরা পর্যায়ে শুল্ক ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য তাদের প্রস্তাব দেয় এবং পরবর্তীতে অন্যান্য সমস্ত বিতরণ সংস্থাগুলোও প্রায় অভিন্ন প্রস্তাবের জন্য তাদের নিজ নিজ প্রস্তাব দেয়।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সহ সমস্ত ভোক্তা অধিকার গ্রুপ গণশুনানিতে অংশ নিয়ে বিতরণ এবং ট্রান্সমিশন সংস্থাগুলির প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছে।
ক্যাবের সহ-সভাপতি এএসএম শামসুল আলম বলেন, খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ জনস্বার্থ পরিপন্থী।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি, অনিয়ম ও সিস্টেম লস কমানোর পরিবর্তে সরকার শুল্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে সহজ সমাধানের চেষ্টা করছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যুতের শুল্ক আরও বাড়ানো হলে এটি ২০২৩ সালে মূল্যস্ফীতিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। যা জনদুর্ভোগকে তীব্র করবে এবং সাধারণ মানুষ এর চূড়ান্ত শিকার হবে; কারণ তাদেরই শেষ পর্যন্ত মূল্য দিতে হবে।’
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিদ্যুৎ খাতের প্রধান সংস্থা এবং বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুতের একক ক্রেতা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) আর্থিক ক্ষতি ১৮ হাজার ৯৪ কোটি টাকা বাড়তে পারে।
বিপিডিবি এর নিজস্ব সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, আর্থিক ক্ষতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ২৯ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৮ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করবে, যা প্রায় ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্র জানায়, বেশি দামে বিদ্যুৎ ক্রয় ও কম দামে বিক্রি, পেট্রোলিয়াম জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং মার্কিন ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিপিডিবির রাজস্ব ঘাটতি আরও বেড়েছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন যে বাল্ক ট্যারিফের সাম্প্রতিক ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি বিপিডিবিকে মাত্র পাঁচ হাজার কোটি টাকা লোকসান কমাতে সাহায্য করতে পারে। যেখানে একটি বিশাল রাজস্ব ঘাটতি একটি বড় বোঝা হয়ে থাকবে।
অন্যদিকে, বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধি পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলোকে তাদের নিজস্ব রাজস্ব ঘাটতি মেটানোর জন্য বিইআরসিতে তাদের খুচরা শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব জমা দেয়ার জন্য চাপ দেয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গণশুনানি চলছিল। রবিবার শুনানি শেষ করা সম্ভব না হলে সোমবার দ্বিতীয় দিনের জন্য শুনানি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে বলে বিইআরসি থেকে একটি তফসিল রয়েছে।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু
আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন চালু
টাকা অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য তথ্যচিত্রের আনুষ্ঠানিকতা সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) অনাবাসিক বিনিয়োগকারীদের টাকা অ্যাকাউন্ট (এনআইটিএ) খোলার জন্য তথ্যচিত্রের আনুষ্ঠানিকতা সহজ করেছে।
ফরেন এক্সচেঞ্জ ইনভেস্টমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (এফইআইডি) রবিবার এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এবং নির্দেশটি অবিলম্বে কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশের সমস্ত অনুমোদিত ডিলারদের (এডি) কাছে পাঠিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এনআইটিএ খোলার জন্য নথির বিভিন্ন সেট ব্যবহার করছে, যা আবেদনকারীদের মধ্যে অস্পষ্টতা তৈরি করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এনআরবি-র নামে এনআইটিএ খোলার ক্ষেত্রে অভিন্নতা আনতে আবেদনকারীদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট নথি এবং তথ্য নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয় অনুমোদিত ডিলারদের।
ডকুমেন্টেশন সহজ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এনআইটিএ খোলার জন্য নথি নির্দিষ্ট করেছে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, নথিগুলোর জন্য আবেদনকারীর বৈধ পাসপোর্টের কপি, আবেদনকারীর ছবি, আবেদনকারীর ঠিকানার প্রমাণ, আবেদনকারীর আয়ের নির্ভরযোগ্য উৎস, মনোনীত ব্যক্তিবা নমিনির পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) কপি ও নমিনির ছবি প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: এনবিএফআই ৮ বছরের আগে গাড়ি পরিবর্তন করতে পারবে না: বাংলাদেশ ব্যাংক
অনাবাসী বিদেশি নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের নামে এনআইটিএ খোলার জন্য, অনুমোদিত ডিলারদের বিদ্যমান নিয়ম ও প্রবিধানগুলো মেনে চলার জন্য দেশে এবং বিদেশে তাদের শাখাগুলোতে সমন্বিত নথির সেট ঠিক করতে এবং বিতরণ করতে বলা হয়।
ব্যাংকগুলোকে সমস্ত এডি শাখা এবং সেন্ট্রাল প্রসেসিং সেন্টারগুলোকে (সিপিসি) নির্দেশাবলীর সতর্কতা মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে৷
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বিজ্ঞাপনগুলোকে ফরেন এক্সচেঞ্জ লেনদেন ২০১৮-এর নির্দেশিকা ও অর্থ পাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর আগে জারি করা নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: চাল, গম আমদানি: ব্যাংকগুলোকে ন্যূনতম এলসি মার্জিন রাখতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
রমজানের পণ্য আমদানি এলসির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা উদ্বোধন আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের উদ্যোগে এবং সেন্টার ফর সার্ভিসেস অ্যান্ড ইনফরমেশন অন ডিজঅ্যাবিলিটির সহযোগিতায় দিনব্যাপী আয়োজিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা-২০২৩ উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর অফিস ভবনে অনুষ্ঠিত এই মেলায় সকাল থেকেই অংশ নেয় ৫৪টি আইসিটি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মর্যাদাপূর্ণ জীবিকা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিগত ৮ বছর থেকে এ চাকরি মেলর আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল।
প্রধান অতিথি বক্তৃতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ বলেছেন যে সক্ষম, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ও বিশেষভাবে সক্ষমদের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে শিক্ষিত প্রতিবন্ধী ভাই-বোনদের চাকরির সুব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাকরি মেলা’- চাকরি দাতা ও চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যেন অন্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার করে আত্মনিশীল হতে পারে সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যত বিনোদন হবে ইন্টারনেট প্রযুক্তি নির্ভর: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
তিনি আইসিটি বিভাগের এটুআই প্রকল্পে একজন উদ্ভাবক টকিং হোয়াইট স্টিক আবিষ্কার করেছেন উল্লেখ করে বলেন, এই সাদা ছড়ি দিয়ে একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে স্পর্শ বা ধাক্কা খাওয়ার আগেই টকিং হোয়াইট স্টিক কথা বলে সতর্ক করে দেয়।
তিনি এ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এসেসটিব টেকনোলজি উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আইসিটি বিভাগ থেকে হুইল চেয়ার দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের স্বাচ্ছন্দে চলতে দেশে স্বল্প খরচে উচ্চ প্রযুক্তি সম্বলিত হুইলচেয়ার তৈরির পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, রাষ্ট্রকে বৈষম্যমুক্ত ও মানবিক করতে হলে সকল সুযোগ সুবিধা সকলের জন্য সমন্বিতভাবে ভাবে কাজে লাগাতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কোন প্রতিবন্ধী ভাই বোন যেন কোন নাগরিক সুবিধা হতে বিন্দুমাত্র বঞ্চিত না হয় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করব।
পলক বলেন, আইসিটি বিভাগের স্টাটআপ প্রকল্প, স্টাটআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এর মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাই-বোনদের পুঁজি দেয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি আগামী বছর থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাকরি মেলার পাশাপাশি উদ্যোক্তা সম্মেলন করার ঘোষণা দেন।
প্রশিক্ষিত প্রতিবন্ধী বা বিশেষভাবে সক্ষম ভাই-বোনদের মধ্যে যারা উদ্যোক্তা হতে চান তাদের তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের তৈরি করতে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা সিডমানি হিসেবে পুঁজি প্রদানের সুযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাইবোনেরা জব সিকার না হয়ে জব ক্রিয়েটর হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবেন। পরে তিনি মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে ভাসানচর ও এতিমখানায় 'ফান জোন' স্থাপন
মেলায় সারাদেশ থেকে প্রায় ৪৫০ জন চাকরি প্রার্থী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এর মহাপরিচালক সচিব শেখ মো. মনিরুজ্জামান এবং সিএসআইডি এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার জহুরুল আলম, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ,প্রতিবন্ধীদের চাকরি দাতা প্রতিষ্ঠানে সমূহের পক্ষে বক্ত্যব রাখেন বাংলাদেশ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া, মাই আউটসোর্সিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিবুল বাশার।
উল্লেখ্য, এর আগে সারাদেশ থেকে প্রায় ৫ শতাধিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সিভি জমা দেন অনলাইনে।
এছাড়া, মেলায় সরাসরি উপস্থিত হয়েও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি চাকরিপ্রার্থীরা সিভি বা জীবনবৃত্তান্ত জমা দেয়ার সুযোগ পান। যাদের তথ্য প্রযুক্তির দক্ষতা রয়েছে তাদের নিয়োগের লক্ষ্যে ইন্টারভিউ গ্রহণ করে মেলায় অংশগ্রহণ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো।
ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, অ্যানিমেশন, ওয়েব ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, কল সেন্টার এজেন্ট, প্রোগ্রামিং-সহ নানা প্রকার পদের জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তি চাকরিপ্রার্থীদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে নিয়োগের পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
বিভিন্ন ট্রেডবডি বা অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যভুক্ত আইসিটিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ওই মেলায় অংশগ্রহণ করে।
মেলায় অংশগ্রহণকারী চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), সাইবার ক্যাফে ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ আইসিটি শিল্পের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং এনজিও ব্যুরোর তালিকাভুক্ত প্রতিবন্ধিতা কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট এনজিও প্রতিষ্ঠান সমূহ।
আশা করা হচ্ছে এ মেলা থেকে ৪০-৫০ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং এ মেলা থেকে ১৫০-২০০ জন চাকরিপ্রার্থীকে পরবর্তীতে নিয়োগের লক্ষ্যে সাক্ষাতকারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পলক
দারাজ মাস্টারকার্ড ‘সেভ স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইন ২০২৩ শুরু
দেশের বৃহত্তম ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ বাংলাদেশ মাস্টারকার্ড-এর সহযোগিতায় ‘সেভ, স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইন-২০২৩ এর ঘোষণা দিয়েছে। কেনাকাটার মৌসুমে ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে নগদহীন লেনদেন বাড়াতে ক্যাম্পেইনের ডিজাইন করেছে দারাজ।
ক্যাম্পেইনটি ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ এ শুরু হয়ে চলবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
ক্যাম্পেইনের সময়কালে, যে কোনো বাংলাদেশি ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত মাস্টারকার্ড-ব্র্যান্ডেড ডেবিট, ক্রেডিট বা প্রিপেইড কার্ড সহ যেকোনো কার্ডধারীকে প্রতিবার ন্যূনতম ১০০০ টাকা দিয়ে কমপক্ষে পাঁচটি (৫) লেনদেন করতে হবে। সর্বোচ্চ ব্যয় করা শীর্ষ ১৩ কার্ডধারীরা আন্তর্জাতিক বা স্থানীয় দম্পতি ভ্রমণ ভাউচার এবং স্মার্টফোন জেতার সুযোগ পাবেন।
ক্যাম্পেইনের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ীরা যথাক্রমে দুবাই, ব্যাংকক এবং কক্সবাজারে এক্সক্লুসিভ ট্রাভেল ভাউচার পাবেন। এই তিনদিন এবং দুই রাত্রির প্রতিটি ভাউচারের মধ্যে দুইজনের জন্য বাসস্থান এবং বিমান ভাড়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাকি দশটির (১০) প্রত্যেকে ১০টি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পাবেন।
আরও পড়ুন: দারাজ নিয়ে আসছে বছরের সবচেয়ে বড় সেল ক্যাম্পেইন
এছাড়াও শুধুমাত্র খুচরা লেনদেন এই ক্যাম্পেইনের জন্য যোগ্য হবেন, এবং সর্বোচ্চ খরচের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে ১৩ (১৩) বিজয়ীদের নির্বাচন করা হবে।
অন্যদিকে বাণিজ্যিক ক্রয়ের জন্য লেনদেন ক্যাম্পেইনের যোগ্য হবে না।
ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণের জন্য মাস্টারকার্ড, ডেবিট, ক্রেডিট বা প্রিপেইড কার্ডধারীদের দারাজে তাদের মাস্টারকার্ড সংরক্ষণ করতে হবে এবং দারাজ মোবাইল অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে কেনাকাটা করার সময় তাদের মাস্টারকার্ড ব্যবহার করে অর্থপ্রদান করতে হবে।
উল্লেখ্য, দারাজ গ্রুপ প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালে। প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং মায়ানমারে শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম।
এটি বিশ্বমানের মার্কেটপ্লেস প্রযুক্তিসহ এক লাখেরও বেশি সক্রিয় বিক্রেতাকে ৫০০ মিলিয়ন লোকের একটি অঞ্চলে দ্রুত বর্ধনশীল ভোক্তা শ্রেণির কাছে পৌঁছানোর ক্ষমতা দেয়৷
দারাজ এক্সপ্রেসের মাধ্যমে, এটি তার বাজারে সবচেয়ে দক্ষ এবং ডিজিটালাইজড লজিস্টিক অবকাঠামো পরিচালনা করে। দারাজের দৃষ্টিভঙ্গি হলো দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ হওয়া এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ মিলিয়ন গ্রাহক ও ব্যবসায়ীকে সেবা দেয়া।
আরও পড়ুন: বর্ণিল আয়োজনে রিয়েলমি ফ্যান ফেস্ট উদযাপিত, দারাজে বিক্রির রেকর্ড!
অফুরান উল্লাসে ৮ বছরে দারাজ
দাম বাড়বে না ভোজ্যতেলের: বাণিজ্যমন্ত্রী
রমজানকে সামনে রেখে চিনির দাম কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আমদানি শুল্ক কমাতে চিঠি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
একইসঙ্গে বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে না বলেও জানান তিনি।
বুধবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের পঞ্চম সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ঘরে ঘরে শিক্ষিত সন্তান থাকলে মানুষের অভাব থাকবে না: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চিনির দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় একটু বেশি। আলোচনা হয়েছে, আমরা চিন্তা করছি একটা চিঠি পাঠাবো যাতে করে যে ডিউটি (শুল্ক) আছে, সেটা যেন পুনর্বিবেচনা করা হয় রমজান মাসকে সামনে রেখে।
এছাড়া সার্বিক পরিস্থিতিতে পেঁয়াজ, ছোলা এগুলো ভালো আছে। দামও আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়েনি। ভোজ্যতেল সয়াবিন, পামের আন্তর্জাতিক বাজারে যে দাম বেড়েছে, তেমনটা নয়। ভালো অবস্থায় আছে।
এ ধারা অব্যাহত থাকলে দাম আগামীতে বাড়বে না।
এক্ষেত্রে ডলারের বিপরীতে টাকার রেটের বিষয় স্থির থাকতে হবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা সাতটি আইটেম নিয়ে কথা বলেছি। আজকে মূলত রমজান মাসকে সামনে রেখেই আলোচনা করেছি। তাতে করে দেখা যাচ্ছে যে, মোটামুটি ভাবে যে অবস্থা আছে তাতে করে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
এলসি খোলার বিষয়ে কিছু সমস্যা আছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সেটা নিয়ে আজকে আলোচনা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলব।
সেটাও আশা করি ওভারকাম করতে পারব আমরা।
এলসি খোলার ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করবে। এটা কীভাবে করা হবে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যেমন আপনি যদি এলসি খুলতে করতে চান কিন্তু আপনারটা খুলছে না, তখন আমাদের জানালেন।
আমাদের সেক্রেটারি সাহেব এলসির ব্যাপার নিয়ে রিকোয়েস্ট করবেন, যাতে আপনারটা খুলে দেয়া হয়।
এসময় পাশে থাকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, এটা একটা বিষয়। আরেকটা হচ্ছে অনেক সময় এলসিবিহীনও আমরা অনুমতি দিতে পারি। এলসিবিহীন আনা যায়। সেরকম পরিস্থিতি হলে আমরা অনুমতি দিয়ে দেবো, এলসি লাগবেনা।
এলসি ছাড়া কিভাবে করা যাবে-জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, এটা যায়। ছোটখাটো খুব এসেনশিয়াল হলে আমরা দিতে পারি।
বাজারে আসলে পর্যাপ্ত পণ্যের সরবরাহ আছে। বাজার ব্যবস্থাপনায় সমস্যা। এ ব্যবস্থাপনায় এক ধরনের কালোবাজারি এবং অতিমুনাফা লাভের প্রত্যাশা আছে। এ বিষয়টি এ সভায় আলোচনা করা হয়েছে কিনা, যদি হয়ে থাকে তাহলে সেটি কিভাবে? রমজান স্বস্তির মাস, আমরা সেই বিষয়টি দেখতে চাই। এ বিষয়ে একজন সাংবাদিক মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করেছি। এ সমস্যাগুলো আছে বলেই সেটা নিয়েই প্রথম পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করা।
দ্বিতীয়ত হচ্ছে-সেই দামটা বাজারে এভেইলেবল কিনা।
তৃতীয়ত হলো-কেউ উচ্চ লাভের আশায় মজুতদারি করেছে কিনা। এসবগুলোই আমরা মনিটরিং করছি।
তিনি আরও বলেন, এ কথা ঠিক যখন একটু ক্রাইসিস হয় অনেক সময় বড় করে দেখে একটা সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করে। আপনাদের মাধ্যমে বলতে চাই, যথেষ্ট পরিমাণ রয়েছে। সামনের দিকে এলসি ওপিনের যথেষ্ট চেষ্টা চলছে৷ রমজান মাসে সমস্যা হবে না বলেই আমরা মনে করছি।
আরও পড়ুন: খাদ্যপণ্য আমদানিতে ভারতের কাছে বার্ষিক কোটা সুবিধার অনুরোধ: বাণিজ্যমন্ত্রী
ভারতের বৃহৎ ব্যবসায়িক অংশীদার বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী