শরিয়াহ ভিত্তিক পুঁজিবাজারের উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই বিষয়ে পরামর্শ দেয়ার জন্য ৯ সদস্যের একটি কাউন্সিল গঠন করেছে।
মঙ্গলবার বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম ইউএনবিকে বলেন, সম্প্রতি বাজার নিয়ন্ত্রকের ৮৪৮তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শরিয়াহ উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক সিকিউরিটিজ আনার সুযোগ জোরদার হবে।’
তিনি বলেন, শরিয়াহভিত্তিক সিকিউরিটিজে আগ্রহী দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আরও আগ্রহী হবেন।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সিকিউরিটিজ মার্কেট শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল) অ্যাক্ট-২০২২-এর নিয়মে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আমদানিকৃত ভোজ্যতেলের ওপর ৫% ভ্যাট কমানোর মেয়াদ বাড়ল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত
কাউন্সিল বিএসইসিকে ইসলামিক ক্যাপিটাল মার্কেট গঠনসহ বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক শরীয়াহ ভিত্তিক সিকিউরিটিজ ইস্যুতে পরামর্শ দেবে। উদাহরণ স্বরূপ, শরীয়াহ-সম্পর্কিত নির্দেশিকা প্রণয়ন, ইসলামী শরীয়াহ-সম্মত সিকিউরিটিজের মান প্রণয়ন, কোনো সিকিউরিটি শরীয়াহ-সম্মত কিনা, এই কাউন্সিল কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী মতামত দেবে।
কমিশনের শরীয়াহ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে পাঁচজন শরীয়াহ স্কলার ও চারজন বিশেষজ্ঞ থাকবেন।
এই নীতির আলোকে বিএসইসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদকে পরিষদের চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত নেয়।
শরিয়া স্কলারদের নির্বাচিত পাঁচ সদস্য হলেন- প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, মুফতি শহীদ রহমানী, মুফতি ইউসুফ সুলতান, মুফতি ড. ওয়ালিউর রহমান খান (ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি) এবং মাওলানা শাহ ওয়ালী উল্লাহ।
আরও পড়ুন: দাম বাড়বে না ভোজ্যতেলের: বাণিজ্যমন্ত্রী
অপরদিকে চারজন বিশেষজ্ঞ সদস্য হলেন- অর্থ ও ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু তালেব, আইন বিশেষজ্ঞ একেএম নুরুল ফজল বুলবুল, হিসাব বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া এবং পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।
বিএসইসি নিয়ম অনুযায়ী কাউন্সিলের সদস্যদের মনোনীত করবে। আর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন পরিষদের শরীয়াহ বেত্তার (শরীয়াহ জ্ঞান বিশেষজ্ঞদের) ভোটে।
পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের মেয়াদ হবে তিন বছর। একজন সদস্য পরপর দুই মেয়াদের জন্য মনোনীত হতে পারেন। যাইহোক, বিএসইসি একটি মেয়াদের ব্যবধানে দুই মেয়াদের পরে কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে যে কোনও ব্যক্তিকে পুনরায় মনোনীত করতে পারে।
আরও পড়ুন: আইএমএফের ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফান্ড’ থেকে ঋণ নেয়ায় এশিয়ায় প্রথম বাংলাদেশ