ব্যবসা
ইউনূস সেন্টারের আয়োজনে দ্বাদশ বার্ষিক সামাজিক ব্যবসা সম্মেলন শুরু ২৭ জুন
নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের পৃষ্ঠপোষকতায় আগামী ২৭-৩০ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ সামাজিক ব্যবসা দিবস। এ বছরের সামাজিক ব্যবসা দিবসের বিষয়বস্তু হচ্ছে বর্তমান সভ্যতা আমাদের ধ্বংস করে ফেলার আগেই একটি নতুন সভ্যতা বিনির্মাণ।
এ বছর পূর্ব আফ্রিকার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়, যেমন ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব জিম্বাবুয়ে এবং তার সহযোগী হিসেবে উগান্ডার কাম্পালা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ম্যাকেরেরে ইউনিভার্সিটি বিজনেস স্কুল, কেনিয়ার তানগাজা ইউনিভার্সিটি কলেজ, বেনিনের আবোমে কালাবি এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের সি.এ.এম. স্কুল অব বিজনেস সম্মেলনের বৈশ্বিক আয়োজনের সমান্তরালে স্থানীয়ভাবে সামাজিক ব্যবসা দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
তিরিশ জন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ছাড়াও এ বছরের সম্মেলনে ১৫০ জনেরেও বেশি বক্তা তাঁদের বক্তব্য রাখবেন। চার দিনের এই সম্মেলনে থাকছে ১৪টি কান্ট্রি ফোরাম ও ১৬টি সেশন। পৃথিবীর ৬৬টি দেশ থেকে ৭০০-এর বেশি নিবন্ধিত অংশগ্রহণকারী সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ইইউ চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত
মূল বক্তাদের মধ্যে থাকছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার ১৯৯৬ জয়ী পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস অরতা, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট টমাস বাখ, নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী এবং নোবেল উইমেন’স ইনিশিয়েটিভ এর সভাপতি জোডি উইলিয়ামস, জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারী জেনারেল আরমিডা সালসিয়াহ আলিসজাবানা, জেন গুডআল ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা এবং জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত জেন গুডআল, ডিবিই, -এর নির্বাহী পরিচালক উইনি বিয়ানিমা, নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী মেইরিড ম্যাগুয়াইয়ার, এবং নারায়ণ রূদয়ালয় -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. দেবী শেঠী।
উল্লেখযোগ্য অন্য বক্তাদের মধ্যে আরো রয়েছেন মেক্সিকোর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ভিনসেন্ট ফক্স কেসাদা, ব্রাজিলের প্রাক্তন পরিবেশমন্ত্রী মারিনা সিলভা, সমাজকর্মী ও অভিনেত্রী লিলি কোল, সমাজকর্মী ও অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন, মাস্টার অব ইউনিভার্সিটি কলেজ অক্সফোর্ড ব্যারোনেস ভ্যালেরী আমোস, ইন্টারন্যাশনাল এইডস সোসাইটির প্রেসিডেন্ট চিকিৎসাবিদ্যা ও সংক্রামক রোগের অধ্যাপক আদীবা কামারুলজামান, সীড গ্লোবাল হেলথ-এর প্রতিষ্ঠাতা হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল-এর ড. ভ্যানেসা কেরী, ইউগেনা-র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মিৎসুুরু ইজুমো, সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ ইউকে-এর প্রধান নির্বাহী পিটার হলব্রুক, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি কেনিয়ার পল টেরগাট প্রমূখ।
আরও পড়ুন: উৎসে কর আগামী ৫ বছরের জন্য ০.৫ শতাংশ বহাল চায় বিজিএমইএ
সমাপনী বক্তব্য রাখবেন লেখিকা ও মানবাধিকার কর্মী মারিনা মাহাথির, মানবাধিকার সংগঠন রবার্ট এফ কেনেডী হিউমান রাইটস-এর প্রেসিডেন্ট কেরী কেনেডী, গ্রামীণ আমেরিকা’র প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী অ্যান্ড্রিয়া জাং, থিংক-অস্ট্রিয়া এর হেড অব স্ট্র্যাটেজী ইউনিট এবং ফেডারেল চ্যান্সেলর এর বিশেষ উপদেষ্টা ড. অ্যান্টোনেলা মেই-পচলার, জাতিসংঘ এসডিজি অ্যাডভোকেট এবং হুইটেকার পিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ফরেস্ট হুইটেকার, এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০০৩ জয়ী শিরিন এবাদি।
এ বছরের বিষয়বস্তুর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা, বেকারত্ব দূরীকরণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আন্তঃদেশীয় সহযোগিতা, সামাজিক ব্যবসায়ে ক্রীড়ার ভূমিকা, থ্রি-জিরো ক্লাব, এবং সামাজিক ব্যবসার উপর একাডেমিক গবেষণা ইত্যাদি।
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে কমল ৬ টাকা
সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ছয় টাকা কমেছে এবং তা সোমবার (২৭ জুন) থেকে কার্যকর হবে।
রবিবার ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণন কোম্পানির মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনারস অ্যান্ড ভেজিটেবল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএ) এ ঘোষণা দিয়েছে।
বিভিওআরভিএমএ এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ মূল্য ২০৫ টাকা থেকে ১৯৯ টাকা এবং পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯৯৭ টাকা থেকে ৯৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৮৫ টাকার পরিবর্তে ১৮০ টাকায় বিক্রি হবে।
আরও পড়ুন: দুই-এক দিনের মধ্যে তেলের দাম কমবে: বাণিজ্যসচিব
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, বিভিওআরভিএমএ বিশ্ববাজারের সঙ্গে সয়াবিনের দাম সমন্বয় করে ভোজ্যতেলের দাম কমিয়েছে।
তবে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম ২৬ শতাংশ কমেছে।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা থেকে বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল আমদানি করে বাংলাদেশ। গত ৩০ দিন ধরে দেশটি থেকে আমদানি করা অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম কমেছে।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়িক গ্রুপ থেকে সয়াবিন তেল, ডাল ও চিনি কিনবে টিসিবি
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) হিসাব অনুযায়ী, গত বুধবার আর্জেন্টিনায় অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম ছিল প্রতি টন এক হাজার ৪৬৪ মার্কিন ডলার, যা মাত্র এক মাস আগে টন প্রতি ছিল এক হাজার ৯৭০ মার্কিন ডলার।
অর্থাৎ এক মাসে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম প্রায় ২৬ শতাংশ কমেছে।
শুধু সয়াবিন তেল নয়, বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রবণতা এখন কমতে শুরু করেছে। চাল, ভোজ্যতেল, গম, চিনি ও মসুর ডালের দাম কমছে।
দুই-এক দিনের মধ্যে তেলের দাম কমবে: বাণিজ্যসচিব
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমায় আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে দেশে তেলের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।রবিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) দ্বাদশ মিনিস্টিরিয়াল কনফারেন্স উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।বাণিজ্যসচিব বলেন, তেলের দামের ক্ষেত্রে আমরা এখন হিসাব-নিকাশ করছি। এর প্রতিফলন আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে দেখা যাবে। তেলের দাম কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে, কমে আসবে বলাই যায়। তবে কতটা কমবে, তা বলা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ট্যারিফ কমিশন প্রাথমিকভাবে তথ্য নিয়ে মিলমালিক বা প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসবে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসার পর মন্ত্রীকে জানিয়ে ঘোষণা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: আবারও বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম
তপন কান্তি ঘোষ বলেন,আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দাম কমে গেছে। তবে আমাদের দেশে তেল আসে প্যারাগুয়ে, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে। সেখান থেকে তেল আসতে কমপক্ষে ৪৫-৬০ দিন সময় লেগে যায়। এখানে সময়ের গ্যাপ রয়েছে, তাই চাইলেও দেশের বাজারে তাৎক্ষণিক দাম কমানো যায় না।
তিনি বলেন, তবে সুখবর হলো এখন ইন্দোনেশিয়া থেকেও দেশের বাজারে কিছু তেল আসে। তবে এক্ষেত্রেও ১৫-২০ দিন সময় লাগে।
আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যসচিব বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম যেমন কমেছে, ডলারের দাম কিন্তু বেড়েছে। এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এই দুটি বিষয়ের সমন্বয় করে তেলের দাম নির্ধারণ করা হবে।তেলের দাম বাড়ানোর সময় ব্যবসায়ীদের যে তোড়জোর দেখা যায় কমানোর সময় সে তোড়জোড় দেখা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে একটা দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক রয়েছে। বিক্রেতা সব সময় বেশি দাম দিয়ে বিক্রি করতে চায়, আর ক্রেতা কম দামে কিনতে চায়। এজন্যই এই ধরনের আচরণ দেখা যায়। আর তাই সরকার হস্তক্ষেপ করে (দাম নির্ধারণে)।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়িক গ্রুপ থেকে সয়াবিন তেল, ডাল ও চিনি কিনবে টিসিবি
রাশিয়ার তেলের ক্রমবর্ধমান বাজার হয়ে উঠছে ভারত, চীন
দেশে ইইউ চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত
বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার লক্ষ্যে শিগগির ‘ইইউ-বাংলাদেশ মিনিং বিজনেস’ অনুষ্ঠিত হবে। এর লক্ষ্য হলো- ইইউ’র সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ইউরোপের মধ্যে ঘনিষ্ট সহযোগিতা পারস্পরিকভাবে লাভজনক হতে পারে এমন সম্ভাবনাময় বাণিজ্যিক খাতগুলোকে তুলে ধরা।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা হোটেলে সপ্তম ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট সংলাপের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে একটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) চেম্বার অব কমার্স- ইউরোচাম প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর লক্ষ্য বাংলাদেশি ও ইইউ বেসরকারি খাতের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা এবং বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সুষ্ঠু ও টেকসই ব্যবসায়িক সম্পর্কের কল্যাণে ইউরোপের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বাংলাদেশি সরকারি ও বেসরকারি খাতের সংযোগকারী উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করা।
এটি ইবিএ-পরবর্তী বাণিজ্যে বাংলাদেশের উত্তরণ সুগম করতেও সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: ‘গ্লোবাল গেটওয়ে’ বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে
২০১৬ সালের মে মাসে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগের সপ্তম পূর্ণাঙ্গ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগের লক্ষ্য হলো- যৌথভাবে বাংলাদেশের এক নম্বর বাণিজ্য অংশীদার এবং বাংলাদেশে এফডিআইয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস ইইউ থেকে বাণিজ্য সহজতর করা।
২০২১ সালে ইইউতে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬ বিলিয়ন ইউরো। বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রপ্তানি ছিল ৩ বিলিয়ন ইউরো বলে বিবৃতি উল্লেখ করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. তপন কান্তি ঘোষ এবং ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি প্ল্যানারিতে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন। এতে ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও সুইডেনের ইইউ কূটনৈতিক মিশনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খাদ্যশস্য সরবরাহের আশ্বাস কানাডার
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার পাশাপাশি ইইউ বেসরকারি খাতের কয়েকজন প্রতিনিধি সংলাপে অংশ নেন।
ব্যবসার ধরন পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে: বিজিএমইএ
বিজিএমইএ-এর সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য ফ্যাশন শিল্পের পরিবর্তনশীল প্রবণতার সঙ্গে ব্যবসায়িক কৌশলের সমন্বয় সাধন করা এবং সেই অনুযায়ী সক্ষমতা তৈরি করা অপরিহার্য।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় ওয়ার্ল্ডএক্স ইন্ডিয়া আয়োজিত ইনটেক্স দক্ষিণ এশিয়ার নবম সংস্করণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফারুক হাসান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী পোশাক শিল্প দ্রুত ও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর বেশিরভাগই নতুন উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে এবং ব্যবসার জন্য নতুন ব্যবসায়িক পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প টেকসই ও প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য ব্যবসার পুনর্বিন্যাস, পণ্যে বৈচিত্র্যকরণ এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করছে।
আরও পড়ুন: ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের প্রচারের আহ্বান বিজিএমইএ’র
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববাজারে নন-কটন পণ্যের আধিপত্য থাকায় এবং আগামী দিনেও তা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা থাকায় বাংলাদেশ হাতে তৈরি ফাইবারের পণ্যের ওপর জোর দিচ্ছে।
ম্যানুফ্যাকচারিং ল্যান্ডস্কেপ থ্রিসি অর্থাৎ খরচ, প্রতিযোগীতা ও নৈকট্য দ্বারা প্রভাবিত হবে। কারণ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হবে উৎপাদন ও সরবরাহ শৃঙ্খলের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের চাবিকাঠি।
ফারুক দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের মধ্যে জ্ঞান, দক্ষতা ও প্রযুক্তি বিনিময়ের ওপর জোর দিয়ে বলেন, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য সাহায্য ও সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ওয়ার্ল্ডএক্স ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজেশ ভগত ও ওয়ার্ল্ডএক্স ইন্ডিয়ার পরিচালক আরতি ভগত।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে বৈচিত্র্য আনার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ‘ঘোষণা’ দেয়া হয়নি: বিজিএমইএ
২৯ জুন বাজারে নতুন নোট ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আগামী ২৯ জুন থেকে পুরাতন নোটের বিনিময়ে টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই নোট বিনিময় চলবে আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত।
কর্মদিবসে ব্যাংকিং চলাকালীন যে কেউ একবার সমপরিমাণ টাকা বিনিময় করে ১০, ২০ ও ১০০ টাকার নতুন নোটের বান্ডিল সংগ্রহ করতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক নোটে সিরিয়াল নম্বর দেবে, যাতে একই মানুষ একাধিকবার নতুন নোট সংগ্রহ করতে না পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে হতে যাওয়া পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা বিনিময়ের জন্য রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নোটের পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে।
ঢাকার মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে মানুষ প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন মূল্যের ধাতব মুদ্রাও সংগ্রহ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: টাকার মান আরও ১ টাকা ৬০ পয়সা কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক
এছাড়া নতুন নোটগুলো ব্যাংকগুলোর নিম্নোক্ত শাখাসমূহে পাওয়া যাবে-এনসিসি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, জনতা ব্যাংকের আবদুল গণি রোড কর্পোরেট শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেসক্লাব কর্পোরেট শাখা, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি শাখা (পান্থপথ), উত্তরা ব্যাংকের চক বাজার শাখা, সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা, ঢাকা ব্যাংকের উত্তরা শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মোহাম্মদপুর শাখা, জনতা ব্যাংকের রাজারবাগ শাখা, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাকরাইল শাখা, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড এগ্রিকালচার শাখা, দক্ষিণখান, দ্য প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখা, ব্যাংক এশিয়ার ধানমন্ডি শাখা, সিটি ব্যাংকের বেগম সারণী রোকেয়া শাখা, আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, এক্সিম ব্যাংকের শিমরাইল শাখা, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের গাজীপুর চৌরাস্তা শাখা, ইউসিবিএলের গাজীপুর চৌরাস্তা শাখা, উত্তরা ব্যাংকের সাভার শাখা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাভার শাখা এবং ট্রাস্ট ব্যাংকের কেরানীগঞ্জ শাখা।
আরও পড়ুন: ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও ৯০ পয়সা কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক
মুদ্রাস্ফীতি ও অস্থিতিশীল বৈদেশিক মুদ্রার হার প্রধান চ্যালেঞ্জ: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
ব্যবসায়িক গ্রুপ থেকে সয়াবিন তেল, ডাল ও চিনি কিনবে টিসিবি
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বিভিন্ন বেসরকারি ব্যবসায়িক গ্রুপ থেকে এক দশমিক ৯২ কোটি লিটার সয়াবিন তেল, ১৩ হাজার ৫০০ কেজি মসুর ডাল ও ১৫ হাজার কেজি চিনি ক্রয় করবে।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী-টিসিবি বসুন্ধরা মাল্টিফুড, সিনহা এডিবল অয়েল, সনসিং এডিবল অয়েল, মেঘনা এডিবল অয়েল, সুপার অয়েল রিফাইনারি ও সিটি এডিবল অয়েল থেকে প্রতি লিটার ২০১ টাকা দরে মোট এক দশমিক ৯২ কোটি লিটার সয়াবিন তেল ক্রয় করবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর রহমান বলেন, সরকার সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণ করে আলোচনার মাধ্যমে এসব গ্রুপ থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করবে।
তিনি আরও জানান, টিসিবি মেঘনা সুগার রিফাইনারি লিমিটেড ও সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে মোট ১২৩ দশমিক ০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি কিনবে।
আরও পড়ুন: মধ্য মে থেকে ভোজ্যতেল ও অন্যান্য পণ্য বিক্রি শুরু করবে টিসিবি
এক প্যাকেটে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ৮৪ টাকা এবং ৫০ কেজি বস্তায় প্রতি কেজির দাম পড়বে ৮১ টাকা।
টিসিবি এসিআই পিওর ফ্লাওয়ার লিমিটেড, সেনা কল্যাণ সংস্থা, এনএস নির্মাণ, বাংলাদেশ ভোজ্য তেল লি., নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেড ও ইজ সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ১৫৮ দশমিক ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন মসুর ডাল ক্রয় করবে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১১৭ দশমিক ৫ টাকা।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, সরকার একটি কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারের মধ্যে এসব পণ্য বিতরণ করবে।
মন্ত্রিসভা কমিটি বিভিন্ন দেশ থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার এবং ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএপি সার আমদানির জন্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বেশ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির জন্য বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) একটি প্রস্তাব কমিটির অনুমোদন পেয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব আরও জানান,বাংলাদেশ তাদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে তুলনামূলক কম দামে এই সার আমদানি করতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে টিসিবির পণ্য দোকানে বিক্রি, আটক ২
চট্টগ্রামে গুদাম থেকে টিসিবির পণ্য জব্দ, ৩ ব্যবসায়ী আটক
উৎসে কর আগামী ৫ বছরের জন্য ০.৫ শতাংশ বহাল চায় বিজিএমইএ
রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর অন্তত আগামী পাঁচ বছরের জন্য অপরিবর্তিত রাখার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ আহ্বান জানান।
সরকার আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি মুনাফার ওপর উৎসে কর বর্তমান দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছে।
বিজিএমইএ প্রধান বলেন, শিল্প টিকিয়ে রাখলে রাজস্ব ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়-ক্ষতি সম্পর্কে প্রতিবেদন চেয়েছে বিজিএমইএ
ফারুক হাসান বলেন, শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের আয়ের ওপর উৎসে কর না বাড়িয়ে সামগ্রিক রাজস্ব বাড়ানো যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আগামী অর্থবছরে তারা ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চান।
বিজিএমইএ প্রধান আরও বলেন, পরিবেশবান্ধব কারখানা তৈরির অন্যতম উপাদান সোলার প্যানেল আমদানিতে শুল্কহার শুন্য (০) থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। শিল্পে পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি সূচিত হয়েছে, তার ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে অনুরোধ থাকবে সোলার প্যানেল আমদানিতে শুল্কহার যেনো শুন্য করা হয়।
আরও পড়ুন: নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের আহ্বান বিজিএমইএর
এলডিসি থেকে বেরিয়ে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা চায় বাংলাদেশ: ডব্লিউটিও’র এমসি-১২তে বাণিজ্যমন্ত্রী
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হওয়ার পর বাংলাদেশসহ এলডিসিভুক্ত দেশের জন্য শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা আরও কয়েক বছর অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বাংলাদেশের বের হওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর বাংলাদেশ আর শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে না। তাই এলডিসির পক্ষ থেকে ডব্লিউটিওতে দেয়া শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধার প্রস্তাব বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সদর দপ্তরে সংস্থার ১২তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের রবিবার প্রথম দিনের বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী এ দাবি জানান।
আরও পড়ুন: দেশে তেলের দাম কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
টিপু মুনশি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। তাই মানুষের বেঁচে থাকার জন্য বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের ওপর হঠাৎ করে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ ঠিক হবে না। রপ্তানি বন্ধ করতে হলে আমদানিকারক দেশকে অব্যশই নির্দিষ্ট একটা সময়ের আগে তা জানাতে হবে। হঠাৎ করে খাদ্যজাত পণ্য রপ্তানি বন্ধ করার কারণে অনেকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মৎস্যখাতে ভর্তুকি প্রদানের সুযোগ চায় বাংলাদেশ। আমরা মনে করি, উন্নয়নশীল দেশের মৎস্যখাতের দজ্ঞতা বৃদ্ধির জন্য এই খাতে ভর্তুকি দেয়াটা জরুরি। অনেক উন্নয়নশীল দেশের বিপুল সংখ্যক গরীব মানুষ তাদের জীবিকার জন্য মৎস্য খাতে জড়িত। তাই স্বল্পোন্নত দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবিকা টিকিয়ে রাখার জন্য মৎস্যখাতে ভর্তুকি প্রদানের সুযোগ রাখার প্রয়োজন রয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি হ্রাসে এলডিসিভুক্ত দেশকে সরকারি পর্যায়ে বড় আকারে খাদ্য মুজদ করার মত সুযোগ রাখা প্রয়োজন। কৃষিসহ ডব্লিউটিও’র অন্যান্য যেকোন সংস্কার বাংলাদেশ সমর্থন করবে। সংস্কার অব্যশই অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্বচ্ছ হতে হবে, যেখানে সবার মতামত দেয়ার সুযোগ থাকবে। প্রতিটি সদস্যের উদ্বেগকে গুরুত্ব দিতে হবে।
আরও পড়ুন: দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা: বাণিজ্যমন্ত্রী
ডব্লিউটিও’র ১৬৪ দেশের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, এমসি-১২ সম্মেলনের প্রথম দিনে ডব্লিউটিও’র মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজো আইওয়ালা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্য সংকট বিশ্বের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলডিসি উত্তোরণের পরবর্তীতে চলমান বাণিজ্যিক সুবিধা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি হঠাৎ করে খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধ না করাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সদস্যদেশগুলোকে ঐক্যমতে আসার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ভ্যাট ফাঁকি রোধে ১০ হাজার ইএফডি বসাবে এনবিআর
মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ফাঁকি রোধে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও অন্যান্য বড় শহরে ১০ হাজার ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস (ইএফডি) বসাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
২০২২-২৩ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন চেইন ও সুপার শপে ইএফডি বসানোর জন্য বরাদ্দ রেখেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
ইএফডি হলো ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার বা ইসিআরের উন্নত সংস্করণ এবং এটি এনবিআর আমদানি করে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি ব্যবহার করা হলে ভ্যাটের টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনবিআরের প্রধান সার্ভারে স্থানান্তরিত হবে।
আরও পড়ুন: আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ১৩৫ পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ এনবিআরের
এনবিআর সূত্র জানায়, এই ব্যবস্থায় ব্যবসায়ীরা বিক্রির তথ্য গোপন করতে পারবেন না এবং প্রতিদিনের লেনদেনের প্রকৃত তথ্য এনবিআরের সার্ভারে স্থানান্তরিত হবে যা জালিয়াতি কমাতে সাহায্য করবে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর লক্ষ্যে দুই বছর আগে ২০২০-২১ এর বাজেটে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস সিস্টেম চালু করা হয়।’
এরপর থেকে চার হাজার ৫৯৫টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মোট ১০ হাজার ইএফডি মেশিন স্থাপন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে মেশিন স্থাপনের পাশাপাশি প্রোগ্রামটি সচল রাখার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি। এই পদক্ষেপের ফলে আশা করি ২০২৬ সালের মধ্যে ভ্যাট আদায় কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাবে।’
আরও পড়ুন: এ বছরও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হতে পারে এনবিআর
এবারের বাজেটে এনবিআরের মাধ্যমে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ভ্যাট থেকে আসবে ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা যা মোট আদায়ের ৩৭ শতাংশ।
এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়।
সব খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এই মেশিন সিস্টেমের আওতায় আনা হলে রাজস্ব আয় বাড়বে বলে জানান তারা।