মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ফাঁকি রোধে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও অন্যান্য বড় শহরে ১০ হাজার ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস (ইএফডি) বসাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
২০২২-২৩ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন চেইন ও সুপার শপে ইএফডি বসানোর জন্য বরাদ্দ রেখেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
ইএফডি হলো ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার বা ইসিআরের উন্নত সংস্করণ এবং এটি এনবিআর আমদানি করে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি ব্যবহার করা হলে ভ্যাটের টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনবিআরের প্রধান সার্ভারে স্থানান্তরিত হবে।
আরও পড়ুন: আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ১৩৫ পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ এনবিআরের
এনবিআর সূত্র জানায়, এই ব্যবস্থায় ব্যবসায়ীরা বিক্রির তথ্য গোপন করতে পারবেন না এবং প্রতিদিনের লেনদেনের প্রকৃত তথ্য এনবিআরের সার্ভারে স্থানান্তরিত হবে যা জালিয়াতি কমাতে সাহায্য করবে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর লক্ষ্যে দুই বছর আগে ২০২০-২১ এর বাজেটে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস সিস্টেম চালু করা হয়।’
এরপর থেকে চার হাজার ৫৯৫টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মোট ১০ হাজার ইএফডি মেশিন স্থাপন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে মেশিন স্থাপনের পাশাপাশি প্রোগ্রামটি সচল রাখার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি। এই পদক্ষেপের ফলে আশা করি ২০২৬ সালের মধ্যে ভ্যাট আদায় কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাবে।’
আরও পড়ুন: এ বছরও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হতে পারে এনবিআর
এবারের বাজেটে এনবিআরের মাধ্যমে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ভ্যাট থেকে আসবে ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা যা মোট আদায়ের ৩৭ শতাংশ।
এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়।
সব খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এই মেশিন সিস্টেমের আওতায় আনা হলে রাজস্ব আয় বাড়বে বলে জানান তারা।