বিশ্ব
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে এল আরও ১২টি চিতা
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা ভারতে এসেছে। শনিবার ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে চিতাগুলোকে জোহানেসবার্গ থেকে ভারতে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের এয়ার ফোর্স স্টেশনে আনা হয়। এরপরে চিতাগুলোকে কুনো জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে- পাঁচটি মহিলা ও সাতটি পুরুষ চিতা।
আরও পড়ুন:৭০ বছর পর ভারতে ফিরে এসেছে চিতাবাঘ
এর আগে গত বছর নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা আনা হয়েছিল। নতুন আসা ১২টি চিতাকে আটটি নামিবিয়ান চিতার সঙ্গে একই অভয়ারণ্যে রাখা হবে।
এর মধ্যদিয়ে ভারতে চিতার সংখ্যা বেড়ে ২০টিতে পৌঁছেছে।
এদিকে ১৯৫২ সালে ভারত থেকে চিতাকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।
তবে ভারত সরকারের একটি উচ্চাভিলাষী স্থানান্তর প্রকল্প ‘প্রজেক্ট চিতা’-র অধীনে ভারতে চিতা আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির চিতা বিড়াল
সুন্দরবন থেকে গরু আনতে গিয়ে বাঘের মুখে কৃষক
তিন দেশের মহড়ায় নতুন হাইপারসনিক মিসাইল পরীক্ষা করবে রাশিয়া
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ এবং পশ্চিমাদের সঙ্গে চীনের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে ঘনিষ্ট তিনটি দেশ রাশিয়া, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার ভারত মহাসাগরের উপকূলে নৌ মহড়া শুরু করতে প্রস্তুতি নিয়েছে।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রথম বার্ষিকীতে মোসি-২ নামে ১০ দিনের একটি মহড়া অনুষ্ঠিত হবে৷
রাশিয়ান একটি ফ্রিগেটের অ্যাডমিরাল গোর্শকভ চলতি সপ্তাহের শুরুতে কেপটাউনে পৌঁছেছে। যার পাশে জেড এবং ভি অক্ষর রয়েছে। এই অক্ষর দিয়ে মূলত ইউক্রেনের সামনের সারিতে রাশিয়ান অস্ত্র চিহ্নিত করে এবং রাশিয়ায় দেশপ্রেমের প্রতীক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
কেপ টাউনের বন্দরে রাশিয়ান ফ্রিগেট যাত্রাকালে ইউক্রেনের পতাকা উড়িয়ে একটি ছোট বাহনে প্রতিবাদ জানায়। সামরিক মহড়ার বিরোধিতাকারী দক্ষিণ আফ্রিকানরা শুক্রবার কেপটাউনের রাশিয়ান কনস্যুলেটের সামনে মহড়া বিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
অ্যাডমিরাল গোর্শকভের আগমন যথেষ্ট বিতর্কের জন্ম দিয়েছে কারণ এটি অত্যাধুনিক জিরকন হাইপারসনিক মিসাইল দিয়ে সজ্জিত। রাশিয়া বলছে এটি এমন একটি অস্ত্র যা যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে সমুদ্রে এবং স্থলে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, যৌথ নৌ মহড়ার সময় যুদ্ধজাহাজটি একটি জিরকন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করবে। আন্তর্জাতিক মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম উৎক্ষেপণ হবে এই পরীক্ষা।
দক্ষিণ আফ্রিকার সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অ্যাডমিরাল গোর্শকভ ছাড়াও, সামুদ্রিক মহড়ায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য জাহাজগুলোর মধ্যে একটি রাশিয়ান তেল ট্যাঙ্কার, একটি দক্ষিণ আফ্রিকান ফ্রিগেট এবং তিনটি চীনা জাহাজ অন্তর্ভুক্ত থাকবে - একটি ডেস্ট্রয়ার, একটি ফ্রিগেট এবং একটি সাপোর্ট বাহন।
যৌথ নৌ মহড়াটিও আসে যখন ওয়াশিংটনের সঙ্গে চীনের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যেই যৌথ নৌ মহড়াটি শুরু হচ্ছে। চীনের বেলুনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে যাত্রা করে এবং অবশেষে মার্কিনিরা গুলি করে ফেলায়।
আরও পড়ুন: ভারতে বিবিসি’র কার্যালয়ে তৃতীয় দিনের মতো অভিযান, কর ফাঁকির অভিযোগ
দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের ডারবান এবং রিচার্ডস বে বন্দর থেকে সামুদ্রিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।
মহড়ার গণমাধ্যমের কভারেজ সীমিত করা হয়েছে।
মহড়ায় অংশ নিয়ে অভ্যন্তরীণ সমালোচনার মুখে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিরোধী গণতান্ত্রিক জোট বলেছে যে এটি দেখায় যে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা নিরপেক্ষ নয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে নৌ মহড়াকে ‘একটি বহুজাতিক সামুদ্রিক মহড়া’ বলে বর্ণনা করেছে।
সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অপারেশনাল দক্ষতা এবং জ্ঞান ভাগাভাগি করার লক্ষ্যে নৌ মহড়া ‘দ. আফ্রিকা, রাশিয়া এবং চীনের মধ্যে ইতোমধ্যে বিকাশমান সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে।’
সরকার জানিয়েছে ,দক্ষিণ আফ্রিকার নৌবাহিনী এবং অন্যান্য সামরিক শাখার অন্তত ৩৫০ জন সদস্য মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে ২০১৯ সালে তিনটি দেশ কেপটাউনে মোসি-১ নৌ মহড়া করেছিল।
আরও পড়ুন: উ.কোরিয়া ফের সমুদ্রের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে: দ. কোরিয়া
তুরস্কে ভূমিকম্প: ঘানার ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ান আতসুর মরদেহ উদ্ধার
তুরস্কের ভূমিকম্পের প্রায় দুই সপ্তাহ পর ঘানার ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ান আতসুর (৩১) বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তার এজেন্ট নানা সেচেরে আতসুর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আতসু ঘানার আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার লিগের দল এভারটন, চেলসি ও নিউক্যাসলে খেলেছেন।
৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে হাতায়ের আন্তাকায় তার অ্যাপার্টমেন্ট ধসে পড়ার পর থেকেই আতসু নিখোঁজ ছিলেন।
তুর্কি শীর্ষ-ফ্লাইট ক্লাব হাতায়স্পোর এক টুইটে জানায়, ‘শোক প্রকাশ করার মতো কোনো ভাষা আমাদের জানা নেই। আতসু, আমরা তোমাকে ভুলব না। তোমার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।’
ভূমিকম্পের পর হাতায়স্পোর প্রথমে জানিয়েছিল ‘আহত অবস্থায়’ আতসুকে উদ্ধার করা হয়েছে, কিন্তু একদিন পরে তারা নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে।
আরও পড়ুন: তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তার আহ্বান জাতিসংঘের
উ.কোরিয়া ফের সমুদ্রের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে: দ. কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে শনিবার ফের সমুদ্রের দিকে একটি সন্দেহভাজন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। দ.কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দেয়ার একদিন পরেই উ.কোরিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
সিউলের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানিয়েছেন, এদিন বিকাল ৫টা ২২ মিনিটে পিয়ংইয়ং এর সুনান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে অস্ত্রটি কোথায় পড়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে বলা হয়নি।
উ.কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া হিসেবে দ.কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে একাধিক পরিকল্পিত সামরিক মহড়া ঘোষণা করে।
এরপর উ.কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে ‘অভূতপূর্ব’ শক্তিশালী পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে।
উ.কোরিয়া চলতি বছরের ১ জানুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম একটি স্বল্প-পাল্লার অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। এবছর উত্তর কোরিয়া ৭০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে অস্ত্র প্রদর্শনে রেকর্ড করেছে। যার মধ্যে মার্কিন মূল ভূখণ্ডে পৌঁছানোর সম্ভাব্য সক্ষমতাসহ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে।
উ.কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাগুলো মূলত দ.কোরিয়া বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পারমাণবিক হামলার হুমকি।
আরও পড়ুন: আবারও ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করল উত্তর কোরিয়া
উ.কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ২০২৩ সালে তার পরমাণু কর্মকাণ্ড দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি দেশটির পারমাণবিক ওয়ারহেডগুলো ‘উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি’ ও ‘শত্রু’ দ.কোরিয়াকে লক্ষ্য করে যুদ্ধক্ষেত্রের কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যাপক উৎপাদন এবং আরও উন্নত আইসিবিএমগুলো বিকাশের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি গত সপ্তাহে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে একটি বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজের সময় এক ডজনেরও বেশি আইসিবিএম প্রদর্শন করেন।
সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে কিম তার দেশের সামরিক সক্ষমতা সম্প্রসারণের ধারাবাহিকতার ওপর জোর দিয়ে আসছেন।
অন্যদিকে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় অচলাবস্থা বজায় রয়েছে।
শুক্রবার উ.কোরিয়া এক বিবৃতিতে এই বছর ওয়াশিংটন ও সিউলকে ২০ রাউন্ডের বেশি সামরিক মহড়ার পরিকল্পনা করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। যার মধ্যে বড় আকারের মহড়াও রয়েছে এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাহত করছে’ বলে বর্ণনা করেছে।
দ.কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইনপ্রণেতা কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে সিউল ও ওয়াশিংটন মার্চের মাঝামাঝি সময়ে একটি বার্ষিক কম্পিউটার-সিমুলেটেড সম্মিলিত প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে।
দ.কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতির উপমন্ত্রী হিও তাই-কেউনের মতে, ১১ দিনের প্রশিক্ষণ উ. কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন অনির্দিষ্ট লক্ষ্য প্রতিফলিত করবে।
হিও বলেন, দুই দেশ মার্চের মাঝামাঝি সময়ে যৌথ মহড়াও পরিচালনা করবে, যা বিগত কয়েক বছরে অনুষ্ঠিত হওয়া মহড়ার তুলনায় বড় হবে।
আরও পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার মিসাইল পরীক্ষা
শিগগিরই নতুন ‘কৌশলগত অস্ত্র’ প্রদর্শন করবে উত্তর কোরিয়া: কিম
মিসিসিপিতে বন্দুকধারীর গুলিতে প্রাক্তন স্ত্রীসহ নিহত ৬: শেরিফ
উত্তর মিসিসিপির একটি ক্ষুদ্র গ্রামীণ সম্প্রদায়ের একাধিক স্থানে শুক্রবার এক বন্দুকধারী তার প্রাক্তন স্ত্রী ও সৎ বাবাসহ ছয়জনকে হত্যা করেছে। শেরিফ বলেছেন যে কী কারণে এই মর্মান্তিক তাণ্ডব চালানো হয়েছে তার সূত্র খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
টেট কাউন্টি শেরিফ ব্র্যাড ল্যান্স বলেন, একটি শটগান ও দুটি হ্যান্ডগান নিয়ে ৫২ বছর বয়সী রিচার্ড ডেল ক্রাম সকাল ১১টার দিকে গুলি চালায় এবং এতে টেনেসি স্টেট লাইনের কাছে আরকাবুতলায় একটি সুবিধাজনক দোকানের বাইরে পার্ক করা একটি পিকআপ ট্রাকের চালকের আসনে থাকা এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
আরও পড়ুন: টেক্সাসের শপিংমলে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ১, আহত ৩
ডেপুটিরা অপরাধস্থলে কাজ করছিলেন, সে অবস্থায় দ্বিতীয় ৯১১-এ কল করে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয় যে কয়েক মাইল দূরে আরেকটি গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। একটি বাড়িতে পৌঁছানোর পরে তারা এক নারীকে দেখতে পান। তাকে শেরিফ ক্রামের প্রাক্তন স্ত্রী হিসেবে চিহ্নিত করেন। তাকে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং তার বর্তমান স্বামীকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়।
ল্যান্স বলেছিলেন যে ডেপুটিরা ক্রামকে তার নিজের বাড়ির বাইরে ধরতে সক্ষম এবং গ্রেপ্তার করা হয়। বাড়ির পেছনে তারা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দু'জন সহকারীকে দেখতে পান - একজন রাস্তায়, অন্যজন একটি এসইউভি গাড়িতে। পাশের একটি বাড়ির ভেতরে তারা ক্রামের সৎ বাবা ও তার সৎ বাবার বোনের মৃতদেহ খুঁজে পায়।
আরও পড়ুন: জেরুজালেমের সিনাগগে ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৭
বুলগেরিয়ায় পরিত্যক্ত ট্রাকে ১৮ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার
বুলগেরিয়ার পুলিশ শুক্রবার একটি পরিত্যক্ত ট্রাকে ১৮ জন অভিবাসীর লাশ উদ্ধার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ট্রাকটি প্রায় ৪০ অভিবাসীকে বহন করছিল এবং জীবিতদের জরুরি চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বুলগেরিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাসেন মেদঝিদিভ বলেছেন, বেঁচে যাওয়া বেশিরভাগের অবস্থা খুবই খারাপ।
তিনি বলেন, ‘তারা অক্সিজেনের অভাবে ভুগেছে, তাদের জামাকাপড় ভেজা ছিল, প্রচণ্ড ঠাণ্ডা সহ্য করেছে এবং স্পষ্টতই কয়েক দিন ধরে কিছু খায়নি।’
রাজধানী সোফিয়ার কাছে একটি মহাসড়কে ট্রাকটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। চালক সেখানে ছিল না। কিন্তু গোপন প্রকোষ্ঠের কাঠবোঝাই অংশের নিচে পুলিশ তাদের খুঁজে পায়।
তাৎক্ষণিকভাবে কর্তৃপক্ষ অভিবাসীদের জাতীয়তা জানায়নি। তবে বুলগেরিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে যে তারা সবাই আফগানিস্তান থেকে এসেছে।
আরও পড়ুন: পানামায় বাস দুর্ঘটনায় ৩৯ অভিবাসী নিহত
সিরিয়ার উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু
বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ কোটি ৮৫ লাখ ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ কোটি ৮৫ লাখ অতিক্রম করেছে।
সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুসারে, শনিবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ কোটি ৮৫ লাখ ১৫ হাজার ৮৬৭ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৬৭ লাখ ৯০ হাজার ১৮০ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ১০ কোটি ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৮৭ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছে ১১ লাখ ৪২ হাজার ৩৭০ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে শনিবার সকাল পর্যন্ত মোট শনাক্ত চার কোটি ৪৬ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫৮ জন এবং একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৭ জনে।
আক্রান্তের সংখ্যায় তৃতীয় অবস্থানে আছে ফ্রান্স। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তিন কোটি ৯৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৭ জন এবং মারা গেছে এক লাখ ৬৪ হাজার ৭১২ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ১৪ জনের করোনা শনাক্ত
বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ কোটি ৮২ লাখ ছাড়াল
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ম্যালপাসের পদত্যাগ ঘোষণা
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বব্যাংকের ১৩তম প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস স্থানীয় সময় বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। এর পরপরই বিশ্বব্যাংক কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় জানায়, চলতি ২০২৩ সালেই নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হবে।
ডেভিড ম্যালপাস ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক মনোনীত হয়ে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের (ডব্লিউবিজি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের প্রাক্তন সিনিয়র কর্মকর্তা।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম লিঙ্কডইন-এ দেয়া একটি পোস্টে ম্যালপাস বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার চার বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগেই তিনি জুনের মধ্যে পদত্যাগ করতে চান।
অধুনা-লুপ্ত বিনিয়োগ ব্যাংক বিয়ার স্টার্নসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ম্যালপাস লিখেছেন, ‘আমার মেয়াদকালে আমরা যা অর্জন করেছি, তার জন্য আমি গর্বিত।’
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শনিবার ঢাকায় আসছেন
তিনি লিখেছেন, ‘আমরা দারিদ্র্য হ্রাস করতে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে, সরকারি ঋণের বোঝা কমাতে এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, সামাজিক সুরক্ষা ও চাকরি, লিঙ্গসমতা এবং বিশুদ্ধ পানির সরবরাহসহ মানব উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে কঠোর পরিশ্রম করেছি।’
ম্যালপাসের নেতৃত্বে, বিশ্বব্যাংক গ্রুপ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দ্বিগুণেরও বেশি জলবায়ু অর্থায়ন করেছে, যা ২০২২ সালে রেকর্ড ৩২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
ম্যালপাস বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সক্ষমকরণ ও বৃদ্ধির প্রচেষ্টারও নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার মেয়াদকালে বিশ্বব্যাংক অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য সহায়তা বাড়িয়েছে, একটি মহামারি তহবিল চালু করেছে এবং একটি জলবায়ু পরিবর্তন কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে।
অন্যান্য অর্জন তুলে ধরে ম্যালপাস কোভিড-১৯ মহামারির প্রতিক্রিয়ায় গ্রুপের ১৫০ বিলিয়ন ডলার এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ ও এর স্পিলওভার প্রভাবের জন্য ১৭০ বিলিয়ন ডলার প্রতিক্রিয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘আমি অধীর আগ্রহে অর্থনীতি, ব্যবসা, উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে একাধিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’
ম্যালপাস আরও লিখেছেন, ‘আমি আমার ক্যারিয়ারজুড়ে মানুষের জীবন এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করার উপায় খুঁজেছি।’
১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জনপ্রশাসন, অবকাঠামো, কৃষি আর্থিক ও বেসরকারি খাতের উন্নয়ন এবং পরিবেশগত ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগে সহায়তা করার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে স্বল্প সুদে ও বিনা সুদে ঋণ এবং অনুদান প্রদান করে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার ঢাকা আসছেন
মন্দার ‘খুব কাছাকাছি’ বিশ্ব অর্থনীতি: বিশ্বব্যাংক প্রধান
তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তার আহ্বান জাতিসংঘের
তুরস্কের আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে বিধ্বংসী ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া ৫২ লাখ মানুষকে সাহায্য করতে এক বিলিয়ন ডলার সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ এই আহ্বান জানায়।
সিরিয়ার সীমান্তবর্তী প্রায় ৫০ লাখ সিরীয়কে সাহায্যের জন্য ৩৯৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা চাওয়ার দুই দিন পর এই আহ্বান জানানো হলো।
এই তহবিল তিন মাস চলবে। সাহায্য সংস্থাগুলোকে খাদ্য নিরাপত্তা, সুরক্ষা, শিক্ষা, পানি এবং আশ্রয়ের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলগুলোতে সরকার-নেতৃত্বাধীন সহযোগিতা প্রচেষ্টাকে সমর্থনে দ্রুত তাদের ক্রিয়াকলাপ বাড়াতে সহায়তা করবে।
উভয় আবেদন দীর্ঘমেয়াদী সাহায্যের জন্য নতুন আবেদনেও অনুসরণ করা হবে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘তুরস্ক বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শরণার্থীর আবাসস্থল এবং কয়েক বছর ধরে সিরিয়ার প্রতিবেশীদের প্রতি প্রচুর উদারতা দেখিয়েছে।’
‘এখন বিশ্বের জন্য সময় এসেছে তুর্কি জনগণকে সমর্থন করার- ঠিক যেমন তারা অন্যদের সাহায্য চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।’
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক ও জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী মার্টিন গ্রিফিথস বলেছেন: ‘তুরস্কের জনগণ হৃদয়ে অব্যক্ত ব্যথা সইছে। আমি এমন পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করেছি যারা তাদের ধাক্কা এবং ধ্বংসের গল্পগুলো বর্ণনা করেছে। তাদের কঠিন সময়ে আমাদের অবশ্যই তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে তারা তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাবে।’
জাতিসংঘ এবং অংশীদাররা ৬ ফেব্রুয়ারিতে আঘাত হানা বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্ক এবং প্রতিবেশী সিরিয়াকে সাহায্য করার জন্য ছুটে আসছে।
সরকারের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, শুধুমাত্র তুরস্কে ৯০ লাখেরও বেশি মানুষ একবারের প্রজন্মের বিপর্যয়ে সরাসরি প্রভাবিত হয়েছে। এই বিপর্যয়ে দেশটিতে ৩৫ হাজার মানুষ মারা গেছে।
তীব্র শীতের মধ্যে ভূমিকম্প আঘাত হানে। ছোট শিশু এবং বয়স্কসহ হাজার হাজার মানুষ হিমাঙ্কের তাপমাত্রায় আশ্রয়, খাবার, পানি, হিটার এবং চিকিৎসা সেবা ছাড়াই বাস করছে।
স্কুল, হাসপাতাল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবাসহ প্রায় ৪৭ হাজার ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দেশজুড়ে হাজার হাজার মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। অনেক পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়েছে, এবং শত শত শিশু এখন এতিম বা তাদের পিতামাতার সঙ্গে পুনরায় মিলিত হতে অক্ষম।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের খসড়া রেজ্যুলেশন: ইউক্রেনের শান্তি নিশ্চিত করতে হবে
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা, ইউএনএইচসিআর অনুসারে অন্যান্য জাতীয়তার প্রায় তিন লাখ ২০ হাজার মানুষসহ প্রায় ৩৬ লাখ সিরিয়ান তুরস্কে একটি নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পেয়েছে।
ভূমিকম্পে প্রভাবিত ১১টি প্রদেশে এক দশমিক ৭৪ মিলিয়নেরও বেশি শরণার্থী বাস করে।
জাতিসংঘ পাঁচটি প্রদেশ- আদিয়ামান, গাজিয়ান্তেপ, হাতায়, কাহরামানমারাস এবং মালাত্যা-তে হাজার হাজার অনুসন্ধান ও উদ্ধারকর্মীররা অভিযান সমন্বয় করছে। মানবিক সংস্থাগুলো সরকারের নেতৃত্বের সহায়তায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে।
এই সপ্তাহে সিরিয়ার জন্য প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেয়া শুরু হয়েছে। তুর্কি সীমান্তের ওপার থেকে সাহায্য বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয় উপকরণের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কারণ ভূমিকম্পের পর অনেক বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে।
আট হাজার ৯০০টিরও বেশি ভবন সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে ১১ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। অন্যান্য অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে খাদ্য, নগদ সহায়তা এবং তীব্র শীতের আবহাওয়ায় মোকাবিলা করার সামগ্রী সরবরাহ।
আরও পড়ুন: বিশ্বের ৭৮ মিলিয়ন শিশু কোনোদিন স্কুলে যায় না: জাতিসংঘ প্রধান
বিশ্বের ৭৮ মিলিয়ন শিশু কোনোদিন স্কুলে যায় না: জাতিসংঘ প্রধান
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, যুদ্ধ, জলবায়ু বিপর্যয় ও বাস্তুচ্যুতির কারণে বিশ্বজুড়ে ৭৮ মিলিয়ন ছেলে ও মেয়ে শিশু ‘কোনোদিন স্কুলে যায়না’। এছাড়া আরও কয়েক মিলিয়ন শিশু অনিয়মিত শিক্ষা গ্রহণ করে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের গ্লোবাল ফান্ড এডুকেশন ক্যানট ওয়েট (ইসিডব্লিউ)’র মাধ্যমে জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষার জন্য আরও তহবিল সংগ্রহের আহ্বান জানিয়ে গুতেরেস এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন যে শিক্ষার অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা উচিত নয়।
গুতেরেস বলেন, বর্তমানে ২২২ মিলিয়ন শিশুর শিক্ষা ক্ষতির মুখে রয়েছে। ‘তাদের সাহায্য করার জন্য ১৮টি দেশ এবং ব্যক্তিগত অংশীদাররা ল্যান্ডমার্ক সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে জাতিসংঘের বৈশ্বিক তহবিল ইসিডব্লিউ-তে ৮২৬ মিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের খসড়া রেজ্যুলেশন: ইউক্রেনের শান্তি নিশ্চিত করতে হবে
তিনি বলেন, ‘আপনি যেই হোন না কেন, আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, আপনার জীবনে যে বাধাই আসুক না কেন, আপনার মানসম্পন্ন শিক্ষা পাওয়ার অধিকার আছে।’
তিনি ঝুঁকিপূর্ণ শিশু এবং তরুণদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আরও বেশি বৃহত্তর আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার আবেদন জানিয়েছেন।
জেনেভায় উচ্চ-পর্যায়ের অর্থায়ন সম্মেলনে মহাসচিব এডুকেশন ক্যানট ওয়েট (ইসিডব্লিউ) বিষয়টিকে স্বাগত জানান। ২০১৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে তহবিলটি ৮৭ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং সঙ্কটে থাকা সাত মিলিয়ন শিশুকে ‘তাদের প্রাপ্য শিক্ষা’ দিয়েছে।
সম্মেলনের প্রথম দিনে ১৮টি দেশ এবং বেসরকারি খাত থেকে প্রতিশ্রুতি হিসাবে ৮২৬ মিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘের বৈশ্বিক শিক্ষা বিষয়ক বিশেষ দূত এবং ইসিডব্লিউ হাই-লেভেল স্টিয়ারিং গ্রুপের প্রধান গর্ডন ব্রাউন বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন ও দুর্গম স্থানের এবং সবচেয়ে অবহেলিত শিশুদের কথা বলছি। আমরা সেই মেয়েদের কথা বলছি, যারা পাচার হতে বা শিশুশ্রম কিংবা বাল্যবিয়েতে বাধ্য হবে; যদি না আমরা তাদের সাহায্য করতে পারি।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমার বিষয়ে প্রথম রেজ্যুলেশন গ্রহণ
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে 'গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস' গঠন