বিনোদন
‘রাতাড্ডা উইথ তানভীর’ পূরণ করল অর্ধযুগ
অর্ধযুগ পূর্ণ করল তানভীর তারেকের গ্রন্থনা ও উপস্থাপনায় জনপ্রিয় এফএম শো ‘রাতাড্ডা উইথ তানভীর’।
জাগো এফএম ৯৪.৪ এ গত ছয় বছরে তিনশতাধিক পর্বে শোবিজ জগতের নানান পর্যায়ের গুণীজনদের নিয়ে আড্ডা দিয়েছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে তানভীর তারেক ইউএনবিকে বলেন, ‘আজ থেকে ছয় বছর আগে ঠিক ফেব্রুয়ারির শেষ দিকেই এই রাতাড্ডা শুরু করেছিলাম। জাগো এফএম-এর স্টেশন হেড আরজে উদয় আমাকে একটি নতুন ধারার অনুষ্ঠান করতে একদিন তার অফিসে ডাকেন। আমি গিয়ে বললাম- এখনতো ডিজিটাল প্লাটফর্মের সময়। একই সঙ্গে দেখা ও শোনার লিংক থাকতে হবে। শুরুর দিকে দ্বিধা ছিল অনেকের। কিন্তু এটাই এখন ট্রেন্ড হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: ইশতিয়াকের কথায় তানভীর তারেকের ‘কী লাভ বলো’
অনুষ্ঠানটির বিশেষত্ব নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানটি করার ব্যাপারে আরও একটি বিশেষ আগ্রহ কাজ করেছে, তা হলো- অনুষ্ঠানের দুই ঘন্টার ব্যাপ্তিকাল। টিভি অনুষ্ঠানের ২০ থেকে ৪০ মিনিটের ভেতরে আড্ডা শুরু করতে করতেই ওপাশ থেকে টকব্যাকে প্রডিউসার বলতে থাকেন- তানভীর ভাই এন্ডিং দিয়ে দেন, হাতে আর সময় নেই। কিন্তু রাতাড্ডায় মূলত আমি যাকে নিয়ে আড্ডায় বসি, তার জীবনাচরণ, ভাবনাগুলো প্রকাশ করতে পারি। কিছু কিছু শো দীর্ঘায়িতও করতে পারি। তাই শো-গুলো হয়ে উঠেছে দারুণ ইমোশনাল। কিছু পর্ব ভাইরালও হয়েছে। কিন্তু কখনোই ইস্যুভিত্তিক ভাইরাল করতে হবে বলে কাউকে আলোচনায় বসাইনি।’
‘রাতাড্ডা উইথ তানভীর’ অনুষ্ঠানটি নিয়ে আগামী ভাবনা কি জানতে চাইলে তানভীর তারেক বলেন, ‘বিশেষ কোনো ভাবনা নেই। আমরা এই ছয় বছরে স্টুডিও, অনুষ্ঠান প্রচারের আঙ্গিক বদলিয়েছি অনেকবার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠানের চরিত্র বদলানোর চেষ্টা করেছি। দর্শক কী খাবে, বা কাকে আনলে ভিউ বেশি হবে এসব বিষয়ের চেয়েও আমি জোর দিয়েছি সবসময় কার কাছ থেকে একটি বিষয় নিয়ে দারুণ কিছু অবজারভেশন শুনতে পারব। কারণ, গুণী তারকার ঐ কথাগুলো সারাবছর মানুষ শুনবে, শিখবে। ভাইরাল তো রাত ফুরালেই শেষ হয়ে যায়!’
এ বছর তানভীর তারেক সাংবাদিকতা ক্যারিয়ারের ২৫ বছর পূর্ণ করলেন। একই সঙ্গে গতবছর থেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘কোলাহল কমিউনিকেশন’ নামের নতুন একটি ডিজিটাল কন্টেন্ট এজেন্সি’। এখান থেকে স্বাধীন মিউজিক অ্যাপসহ একাধিক ডিজিটাল প্লাটফর্মের জন্য অনুষ্ঠান নির্মাণ করছেন। ৩০ পর্বে ‘তানভীর তারেক শো’ শেষ করলেন সম্প্রতি। এর বাইরে খুব শিগগিরই কোলাহল শর্টফিল্ম ফেস্টিভ্যালসহ একাধিক ইভেন্ট পরিকল্পনা করবেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, তানভীর তারেক-এর উপস্থাপনার ক্যারিয়ার ১৭ বছরের। বরেণ্য গণমাধ্যমব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেত তাকে উপস্থাপনায় নিয়ে আসেন। তার উদ্যোগেই শুরু করেছিলেন এটিএন বাংলার টকচার্ট অনুষ্ঠান দিয়ে। এরপর একুশে টিভির মিডিয়া গসিপ তানভীরের উপস্থাপনা ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। দীর্ঘ আট বছর অনুষ্ঠানটি তিনি গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা করেন।
আরও পড়ুন: আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে তানভীর তারেকের ‘স্মৃতিদহন’
শফি মণ্ডল-চন্দনা মজুমদারের কণ্ঠে ‘নয়া মানুষ’ সিনেমার টাইটেল গান
সদ্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া চন্দনা মজুমদার ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী শফি মণ্ডল গাইলেন সোহেল রানা বয়াতির পরিচালনায় নির্মাণাধীন ‘নয়া মানুষ’ সিনেমার টাইটেল গান।
রণক ইকরামের কথায় গানটির সুর করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সুরকার প্লাবন কোরেশী এবং গানটির সংগীত পরিচালনা করেছেন মুশফিক লিটু।
আ. মা. ম. হাসানুজ্জামান এর বেদনার বালুচর গল্প অবলম্বনে মাসুম রেজা'র চিত্রনাট্যে, কমল চন্দ্র দাসের চিত্রগ্রহণে নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশীষ খন্দকার, ঝুনা চোধুরী, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, স্মরণ সাহা, শিখা কর্মকার, মাহিন রহমান, মেহারান সানজানা, পারভীন পারু, মেরি ও শিশু শিল্পী উষশী।
সিনেমার শিরোনাম সংগীত প্রসঙ্গে নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, “সিনেমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গান ‘নয়া মানুষ’। দ্বৈত এই গানটিতে পুরো সিনেমার বিষয়বস্তু উঠে এসেছে।’’
আরও পড়ুন: জীবন কখনও কখনও অনেক বড় পরীক্ষার অন্য এক নাম: বিশ্বজিৎ
চন্দনা মজুমদার বলেন, ‘সিনেমার গল্প চমকে ওঠার মতো। গানের কথায় যে আবেদন আছে, এমন কথা সচরাচর পাওয়া যায় না।’ অন্যদিকে বাউল শফি মণ্ডল বলেন, ‘দারুণ একটা গান হয়েছে। খুব কম গান হৃদয় ছুঁয়ে যায়। এই গানটি সেই কম গানের তালিকায় থাকবে নিশ্চিত।’
‘নয়া মানুষ’ চলচ্চিত্রটি দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর নির্মিত হচ্ছে।
নয়া মানুষ সিনেমার কাজ শেষ পর্যায়ে জানিয়ে সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘গত বছরের অক্টোবরে চলচ্চিত্রের ৭০ ভাগ কাজ শেষ করেছি। ইচ্ছা ছিল পুরোটা একবারে শেষ করার, কিন্তু সুপার সাইক্লোন সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে ৩০ ভাগ কাজ আটকে যায়। খুব শিগগিরই আমরা বাকি চিত্রধারণের কাজ শুরু করব। বর্তমানে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ এগিয়ে রাখছি, কারণ এ বছরই আমরা চলচ্চিত্রটি মুক্তি দিতে চাই।’
আরও পড়ুন: ‘মুড়ির টিন’ দিয়ে শুরু হলো কোক স্টুডিও বাংলা’র দ্বিতীয় সিজন
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ ঘোষণা, এবার পেলেন যারা
সিরিজে আমার চরিত্রে এক চমক থাকবে: চঞ্চল চোধুরী
ওটিটি হোক বা বড়পর্দা, সবখানেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন চঞ্চল চৌধুরী। কাঁটাতার পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও তার ভক্তের সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। ‘কারাগার’-এর পর আবারও কবে নতুন ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে সেই অপেক্ষায় ছিলেন দর্শক। যার অবসান হচ্ছে ‘ওভারট্রাম্প’ দিয়ে।
চরিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে চঞ্চল চৌধুরীকে বেশ হিসেব কষতে দেখা গেছে। ভিন্ন ভিন্ন গল্পে ভিন্ন ভিন্ন চঞ্চল। এবারও তেমনটাই দেখা যাবে আর সেটিই অভিনেতা নিজেই জানান।
বাশার জর্জিস পরিচালিত চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘ওভারট্রাম্প’।
এ নিয়ে চঞ্চল চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, ‘আমাদের সমাজে এধরনের ঘটনা, বিশেষ করে আমাদের নগর জীবনে ঘটছে অহরহ। এই গল্পে যেমন অন্ধকার দিকের কথা আছে তেমন কিছু শিক্ষণীয় দিকও আছে। এই সিরিজে আমার চরিত্রে এক চমক থাকবে, আপাতত এইটুকুই বলতে চাই।’
সিরিজে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি একটু পুরোনো মানুষ তো। এই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ২০-২৫ বছর কাজ করছি। পরিচালক বাশার আমার প্রায় ২০ বছর পুরোনো বন্ধু। তবে তার পরিচালনায় এই প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম। সেইসাথে যাদের সঙ্গে এই সিরিজে অভিনয় করেছি তাদের সঙ্গেও বেশ সুসম্পর্ক আগে থেকেই। সব মিলিয়ে কাজটাও বেশ ভালো হয়েছে।’
৬ পর্বের এই সিরিজের মধ্যে দিয়ে চরকিতে প্রথমবারের মতো উপস্থিত হবেন এফ এস নাঈম, আশনা হাবিব ভাবনা ও সামিরা খান মাহি।
পরিচালক বাশার জর্জিস বলেন, ‘ওভারট্রাম্প গল্পটা কোভিডের সময়ের লেখা। এ সময় সবাই থ্রিলার, রোমান্স করছে কিন্তু কেউ ডার্ক কমেডি করছে না। যা কমেডি হয়েছে সেটা ভিন্ন মাত্রার যেটা টিভিতে দেখা যায়। তবে ওটিটির জন্য তো একটু ভিন্ন ধরনের ডার্ক হওয়া উচিত। ওই জায়গা থেকে ওভারট্রাম্প-এর কাজের প্রতি আগ্রহ হয়।’
ওভারট্রাম্পের নির্মাণ নিয়ে অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘টিমের কে কি হবে সেটা নিয়ে টেনশনে ছিলাম। আমি খুব ভাগ্যবান যে ডিওপি খসরুকে বলা মাত্রই তাকে পাওয়া গেছে। দেশসেরা একজন ডিওপি আমার সঙ্গে ওটিটির জন্য প্রথম কাজ করছেন। রঞ্জনদাও আমার সঙ্গে প্রডাকশন ডিজাইন করতে রাজি হয়। সিরিজে অভিনয় শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করে চরম মেজাজ খারাপ লেগেছে। মানে ওরা এত বেশি সিরিয়াস যে আমি নিজেই ভরকে গেছি।’
জানা যায় চরকির পর্দায় শিগগিরই দেখা যাবে ‘ওভারট্রাম্প’।
জীবন কখনও কখনও অনেক বড় পরীক্ষার অন্য এক নাম: বিশ্বজিৎ
কানাডার টরেন্টোতে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিজের সন্তানের আহত হওয়া ও ছেলের বন্ধুদের নিহত হওয়াকে নিয়ে এক আবেগঘন ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন বাংলাদেশর জনপ্রিয় সংগীত শিল্লী কুমার বিশ্বজিৎ।
মঙ্গলবার তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই পোস্ট দেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কানাডার ডান্ডাস স্ট্রিট ওয়েস্টের ৪২৭ নম্বর মহাসড়কের দক্ষিণমুখী র্যাম্পে সড়ক দুর্ঘটনায় তার ছেলে নিবির আহত ও তিনজন নিহত হন।
নিচে তার ফেসবুক পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
ফেসবুক পোস্ট:
'জীবন' কখনও কখনও অনেক বড় পরীক্ষার অন্য এক নাম। হঠাৎ আসা কোনো ঝড়ের মতো গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি কানাডার টরন্টো শহরে আমার একমাত্র সন্তান নিবিড় এবং তার তিন বন্ধু আরিয়ান দীপ্ত , শাহরিয়ার খান মাহির ও এঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈ এক সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
আরিয়ান, মাহির ও শ্রেয়া আমাদের সবাইকে ছেড়ে অন্য দুনিয়ায় চলে গেছে। নিবিড়ের মতোই বাকি তিনজনকে আমি আমার সন্তানই মনে করি। তারা আমার পরিবারেরই একটা অংশ। তাদের সবার সঙ্গেই আমার সম্পর্ক ছিল বন্ধুতুল্য। আমি মেনে নিতে পারছি না তারা নেই। সন্তান হিসেবেই তাদের স্মৃতি আমার হৃদয়ে থাকবে চিরজাগ্রত।
আমি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি আর ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন আমাদের এই শোক সহ্য করবার শক্তি দেন।
আমি ঈশ্বরের কাছে আরও প্রার্থনা করি তিনি যেন আমাকে ও আমার পরিবারের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে আমার 'নিবিড়'-কে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেন। নিবিড় এখনও আইসিইউতে শয্যাশায়ী। এই আকস্মিক ঘটনায় আমি মানসিকভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত। আমি আমার সকল বন্ধু, পরিচিতজন এবং ভক্তবৃন্দের কাছে 'নিবিড়' এর জন্য দোয়া/আশীর্বাদ কামনা করছি।
আর যারা ইতোমধ্যে নিবিড়ের সুস্থতা কামনা এবং আমার পরিবারের এ দুঃসহ অবস্থা কাটিয়ে উঠার জন্য দোয়া/আশীর্বাদ করেছেন ও করছেন তাদের কাছে আমি চিরঋণী। - কুমার বিশ্বজিৎ
জন্মদিনে রিহানার কিছু আইকনিক গান ফিরে দেখা
নিঃসন্দেহে রিহানাকে পপ সম্রাজ্ঞী বলাই চলে। পপ, আরএন্ডবি, ডান্সহল, ইডিএম ও অ্যাডাল্ট-অর্থাৎ, সমসাময়িক প্রায় সব ধরনের সংগীতের নিখুঁত মিশ্রণ তিনি।
'ডায়মন্ড'খ্যাত এই গায়িকা ২০০০ এর দশকের গোড়ার দিকে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মপ্রকাশ করেন।
তিনি তার ‘পন দে রিপ্লে’- গান দিয়ে প্রথমবার বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছিলেন।
তারপর থেকে একে একে তার গান একের পর এক রেকর্ড করেছে।
তার ‘গুড গার্ল গন ব্যাড', 'রেটেড আর', 'লাউড', 'টক দ্যাট টক', 'অনাপোলোজেটিক' ও সর্বশেষ সংস্করণ 'এন্টি' দিনের পর দিন বিলবোর্ড চার্টের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন তিনি।
তিনি শুধু একজন গায়িকাই নন; একাধারে ফ্যাশন আইকন, সফল ব্যবসায়ী এবং মানবাধিকার ইস্যুতে বরাবরাই সক্রিয় মানুষ।
রিহানা ও তার পার্টনার অ্যাসাপ রকি তাদের দ্বিতীয় সন্তান আসার দিন গুনছেন। কিংবদন্তী এই গায়িকার বয়স আজ ৩৪ বছর পূর্ণ হচ্ছে।
তার দুর্দান্ত হিট কিছু গানের কথা স্মরণ করে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: রিল থেকে রিয়েল: সিনেমার সেট থেকে দম্পতি হওয়া বলিউড তারকারা
২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘পাঠান’
অবশেষে বলিউড চলচ্চিত্র ‘পাঠান’-এর বাংলাদেশে মুক্তি পেতে কোনো বাধা নেই। প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে ২৪ ফেব্রুয়ারি।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় যে হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র এ দেশে নিয়মিত আনতে চান চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯ সংগঠন। প্রতি বছর ১০টি হিন্দি চলচ্চিত্র বাংলাদেশের হলে চলবে বলে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ‘পাঠান’। এতে শাহরুখের সঙ্গে আবারও জুটি হিসেবে রয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন। এছাড়া খল চরিত্রে রয়েছেন জন আব্রাহাম।
আর ‘পাঠান’ এর অন্যতম আকর্ষণ সালমান খানের অতিথি চরিত্রটি।
আরও পড়ৃুন: পাঠান মুভি রিভিউ: বলিউড কিং শাহরুখ খানের অভিজাত প্রত্যাবর্তন
‘পাঠান’ আসবে কী আসবে না!
শুরু হলো ১৫ দিনব্যাপী তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব
শুরু হলো ১৫ দিনব্যাপী তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ১৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বিকালে জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে এই চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে.এম খালিদ এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষক হায়দার রিজভী, চলচ্চিত্র অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, চলচ্চিত্র নির্মাতা শামীম আখতার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, শিল্পীকলাকুশলী এবং সংগঠক, জুরি সদস্য, সিলেকশন কমিটির সদস্য ও একাডেমির কর্মকর্তারা। বর্তমানে সিনোমা হলগুলো কমে যাওয়ায় তার সংখ্যা বাড়াতে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আহ্ববান জানান আলোচকরা।
আরও পড়ুন: প্রীতিলতাকে ধারণ করা চ্যালেঞ্জের ছিল: তিশা
‘সবার জন্য চলচ্চিত্র, সবার জন্য শিল্প সংস্কৃতি’ স্লোগানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে একযোগে ৬৪ জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ সারাদেশে ১৫ দিনব্যাপী ‘তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব-২০২৩’ অনুষ্ঠিত হবে।
পাঁচটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে- সমকালীন চলচ্চিত্র, নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, ধ্রুপদী চলচ্চিত্র এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বা পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে সিলেকশন কমিটি কর্তৃক বাছাইকৃত মোট ৩৬টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবারের চলচ্চিত্র উৎসবে। এর মধ্যে ২৩টি সমকালীন চলচ্চিত্র (২০১৮-২০২২ সাল) এবং ১৩টি অন্যান্য ক্যাটাগরির চলচ্চিত্র।
পুরস্কার প্রদানের লক্ষ্যে ৭ সদস্যবিশিষ্ট জুরি বোর্ড গঠন করা হয়। উৎসবের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ও জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন এবং দেশব্যাপী ৬৪ জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে। চলচ্চিত্র প্রদর্শনী সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেষ হচ্ছে শুভ-বিন্দুর অপেক্ষা
নিবিড় কুমারের শারীরিক অবস্থা উন্নতি দিকে
সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমারের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। কানাডার টরেন্টোতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিবিড়ের মাথা ও চোখের বেশিরভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে কুমার বিশ্বজিতের চাচাতো ভাই অভিজিৎ দে লিখেছেন, ‘সবাই নিবিড় বাবার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন। সে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।’
আরও পড়ুন: সঙ্কটাপন্ন কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড়
চিকিৎসক সূত্রে জানানো হয়, নিবিড়ের মস্তিষ্কের এমআরআই সম্পন্ন হয়েছে। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন তিনি। সেখানে তাকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে।
তবে অভিজিৎ দে জানান, আগামীকাল নিবিড়ের কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যবস্থা খুলে দেয়ার সম্ভাবনা আছে। যেন সে স্বাভাবিক শ্বাস নিতে পারে। পরবর্তীতে নিবিড় কুমারের আরও একাধিক অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থা দেখে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেবেন।
কুমার বিশ্বজিতের পরিবারের বরাত দিয়ে কানাডাপ্রবাসী সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিবিড়ের সঙ্গে ছিলেন আরও তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। যারা সবাই নিহত হয়েছেন।
তারা হলেন- শাহরিয়ার খান, অ্যাঞ্জেলা বারৈ ও আরিয়ান দীপ্ত। এই তিনজনের লাশ বাংলাদেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: বই মেলা, পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস: দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ঢাবি ক্যাম্পাস এলাকা
‘মুড়ির টিন’ দিয়ে শুরু হলো কোক স্টুডিও বাংলা’র দ্বিতীয় সিজন
সঙ্কটাপন্ন কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড়
সঙ্গীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার দে কানাডার টরন্টোয় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ইটোবিকো হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) কানাডার সংবাদমাধ্যম সিবিসি নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, ১৩ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় অন্টারিও প্রদেশের ডান্ডাস স্ট্রিট পশ্চিম হাইওয়েতে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিবিড়ের সঙ্গে থাকা বাকি তিনজন নিহত হয়েছেন।
এক টুইট বার্তায় অন্টারিওর প্রাদেশিক পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় ২০ বছর বয়সী এক তরুণ ও এক তরুণী এবং ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর মারা গেছে। আর চালকের আসনে থাকা ২১ বছর বয়সী নিবিড় গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: বই মেলা, পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস: দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ঢাবি ক্যাম্পাস এলাকা
কুমার বিশ্বজিতের ছোটভাই অভিজিৎ কুমার দে মন্ট্রিল থেকে এখন ইটোবিকো হাসপাতালে অবস্থান করছেন।
তিনি বাংলাদেশের গণমাধ্যমে জানান, সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন কুমার বিশ্বজিতের ছেলে। স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় কুমার বিশ্বজিতের মেয়ে কানাডায় পৌঁছেছেন।
আরও জানা যায়, নিবিড় কুমারের শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ‘মুড়ির টিন’ দিয়ে শুরু হলো কোক স্টুডিও বাংলা’র দ্বিতীয় সিজন
‘মুড়ির টিন’ দিয়ে শুরু হলো কোক স্টুডিও বাংলা’র দ্বিতীয় সিজন
দ্বিতীয় সিজনের প্রথম গান ‘মুড়ির টিন’ প্রকাশ করল কোক স্টুডিও বাংলা।
কোকা-কোলার আন্তর্জাতিক সঙ্গীত আয়োজন কোক স্টুডিও’র বাংলাদেশি সংস্করণের এই গানটিতে স্থান পেয়েছে চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনার আঞ্চলিক ভাষা।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেট এই চারটি বিভাগের ছয়টি জায়গায় একই সঙ্গে বিশেষ প্রদর্শনীর মাধ্যমে গানটি প্রকাশ করা হয়।
চট্টগ্রামে লোকাল বাসের আরেকটি প্রচলিত নাম ‘মুড়ির টিন’। জ্যামে আটকে থাকা তরুণদের গল্প উঠে এসেছে এই মজার, প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর গানটিতে। এই গানে অংশ নিয়েছেন তিন প্রতিভাবান তরুণ শিল্পী রিয়াদ হাসান, তৌফিক আহমেদ ও পল্লব।
কোক স্টুডিও বাংলা’র সঙ্গীত প্রযোজক শায়ান চৌধুরী অর্ণব গণমাধ্যমে বলেন, ‘মুড়ির টিন একটি দারুণ মজার ও প্রাণবন্ত গান। এমন একটি গান দিয়েই আমরা দ্বিতীয় সিজন শুরু করতে চাচ্ছিলাম। তরুণ, প্রতিভাবান এই শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাটি ছিল চমৎকার। আশা করছি, দর্শক-শ্রোতারা গানটি পছন্দ করবেন আর সারা বছর জুড়ে আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।’
আরও পড়ুন: 'হেই সামালো' দিয়ে শেষ হলো কোক স্টুডিও বাংলা সিজন ১
মুড়ির টিন প্রধানত চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা বা চাটগাঁইয়া ভাষায় গাওয়া হয়েছে। এক কোটি ৩০ লাখ মানুষের মুখের এই ভাষা দেশের অন্যতম প্রাচীন ভাষাগুলোরও একটি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং বাংলাদেশের মানুষদের কথ্য সব ভাষাকে সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে ফেব্রুয়ারি মাসে এই গানটি প্রচার করা হচ্ছে।
রিয়াদ হাসান বলেন, ‘কোক স্টুডিও বাংলায় অংশ নেয়া আমার জন্য একটি স্বপ্নের মতো ছিল। আশা করছি এই গান অনেকদিন ধরে সবার মুখে মুখে থাকবে।’
তৌফিক বলেন, ‘নতুন সিজন শুরু করার জন্য মুড়ির টিন-এর মতো চমৎকার গান আর হয় না।’
পল্লব বলেন, ‘কোক স্টুডিও-র মতো বড় একটি প্ল্যাটফর্মে সিলেটি ভাষাকে সবার সামনে তুলে ধরার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। এই গানের সুর সবার মনে দোলা দিয়ে যাবে বলে আমি আশাবাদী।’
আরও পড়ুন: বৃষ্টির মধ্যেও স্বস্তি দিল ‘কোক স্টুডিও কনসার্ট’