শনিবার থেকে ওই টেস্ট ম্যাচ শুরু হওয়ার সময়সূচি ছিল।
শুক্রবার সকালে এক টুইটে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, ‘নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের যৌথ সিদ্ধান্তে হ্যাগলি ওভাল টেস্ট বাতিল করা হয়েছে। উভয় দলের খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, কর্মচারী সবাই নিরাপদ রয়েছেন।’
টুইটারে কিউই ক্রিকেট বোর্ড জানায়, ‘ক্রাইস্টচার্চ হামলার ভয়াবহ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বন্ধু ও পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
Our heartfelt condolences go out to the families and friends of those affected by the shocking situation in Christchurch. A joint decision between NZC and the @BCBtigers has been made to cancel the Hagley Oval Test. Again both teams and support staff groups are safe.
— BLACKCAPS (@BLACKCAPS) March 15, 2019
তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম দুটি জিতে ইতিমধ্যে সিরিজ নিশ্চিত হয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের। শেষ টেস্ট বাতিল হওয়ায় শিগগিরই দেশে ফিরে আসবে বাংলাদেশ দল।
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় দুটি মসজিদে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
হোয়াটসঅ্যাপে বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজার খালেদ মাসুদ ইউএনবিকে জানান, আল নূর নামের ওই মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন নিউজিল্যান্ড সফররত বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। তবে তারা সবাই হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। দলের প্রত্যেক সদস্য নিরাপদে হোটেলে ফিরেছেন।
All members of the Bangladesh Cricket Team in Christchurch, are safely back in the hotel following the incident of shooting in the city.
— Bangladesh Cricket (@BCBtigers) March 15, 2019
The Bangladesh Cricket Board is in constant contact with the players and team management.#ChristchurchMosqueAttack pic.twitter.com/TTpIFxLp05
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা অনুশীলন শেষ করে হ্যাগলি ওভালের কাছে ওই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ নিরাপত্তা কর্মীদের কাছ থেকে হামলার খবর পেয়ে তারা বাসে না চড়ে দৌড়ে মাঠে ফেরত আসেন। খেলোয়াড়দের সবাইকে সেসময় মাঠের ভেতর ড্রেসিং রুমে থাকতে বলা হয়।
স্থানীয় প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সন্দেহভাজন এক হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে। ‘ব্রেন্টন ট্যারেন্ট’ নামের ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহণকারী ওই যুবক ১৭ মিনিটের হামলার পুরো দৃশ্য তার হেলমেটে বসানো ক্যামেরার মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করেছে।