বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, একজন কৃষককে সর্বোচ্চ এক বিঘা জমির জন্য পাঁচ কেজি ধানের বীজ (প্রতি কেজি ৫৮ টাকা হিসেবে ২৯০ টাকা), ১৫ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার, ৯০ টাকা পরিবহন ব্যয় এবং ২০ টাকা আনুসাঙ্গিক ব্যয়সহ মোট ৮৭৫ টাকা প্রণোদনা দেয়া হবে।
বর্তমানে আউশের মৌসুমে সারাদেশে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৪১২ হেক্টর জমিতে আউশ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬১ হাজার ৩৫৩ দশমিক ৮১ হেক্টর জমিতে প্রণোদনা কার্যক্রমের মাধ্যমে জমির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হবে, যোগ করেন মন্ত্রী।
সরকার কৃষক প্রতি এক বিঘা জমির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রসায়নিক সার দেয়ার প্রণোদনা কার্যক্রম শুরু করছে জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এর আওতায় দেশের ৬৪ জেলায় চার লাখ ৫৯ হাজার ২২৬ জন কৃষককে উফশী আউশ বীজ ও সার দেয়া হবে। এ বাবদ মোট ৪০ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার ৭৫০ টাকা ব্যয় হবে।
প্রণোদনার আওতাধীন জমি থেকে চাল উৎপাদন হবে প্রায় এক লাখ ৫৬ হাজার ৪৫২ মেট্রিক টন, যার মূল্য ৫৭৮ কোটি ৮৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৪০ টাকা। খড় উৎপাদন হবে দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৪৩ মেট্রিক টন, যার মূল্য ২৪ কোটি ৬৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪০৬ টাকা। অর্থাৎ চাল ও খড় উৎপাদন বাবদ মোট আয় হবে ৬০৩ কোটি ৫৪ লাখ ৯৪৫ টাকা, বলেন কৃষিমন্ত্রী।