কৃষি
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৬৯%
কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে সারাদেশে একযোগে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৬৯ দশমিক ৬ শতাংশ।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের সিনিয়র উপপরিচালক খলিলুর রহমান।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা-গবেষণা নিশ্চিত করা হবে: ভিসি নসরুল্লাহ
সিভাসুর তত্ত্বাবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১১টি কেন্দ্রে শুক্রবার বেলা ১১টায় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সারাদেশ থেকে ৭৫ হাজার ১৭ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করলেও পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৫১ হাজার ৮১১ জন। অর্থাৎ অনুপস্থিত ছিলেন ২৩ হাজার ২০৬ জন পরীক্ষার্থী।
এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) সূত্রে জানা যায়, বাকৃবিতে উপস্থিতির হার ৭৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। মোট ১২ হাজার ৬৩৪ জন ভর্তিচ্ছুর বাকৃবি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিত ছিলেন ৯ হাজার ৮৭৫ জন এবং অনুপস্থিতির সংখ্যা ২ হাজার ৭৫৯ জন।
উল্লেখ্য কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সর্বমোট আসন রয়েছে ৩,৭১৮ টি। ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে আগামী ৩০ অক্টোবর এবং সশরীরে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে ৯-১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে কৃষকের স্বার্থে কাজ করতে আহ্বান কৃষি উপদেষ্টার
৩ সপ্তাহ আগে
বন্যায় সব হারিয়ে বিপর্যস্ত শেরপুরবাসী, কৃষি ও মৎস্য খাতে ক্ষতি ৬০০ কোটি টাকারও বেশি
শেরপুরে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্ট বন্যার পানি নামতে থাকায় দৃশ্যমান হয়ে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। বন্যায় ভেঙেছে ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট ও ডুবে গেছে ফসলি জমি। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে বন্যাকবলিতরা।
সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার ত্রাণ তৎপরতা থাকলেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বন্যাকবলিত এলাকায় খাবার-বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
সেইসঙ্গে দেখা দিয়েছে- ডায়রিয়া, আমাশয়, চুলকানিসহ পানিবাহিত রোগ।
সরেজমিনে নকলা উপজেলার পিছলাকুড়ি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ভোগাই নদীর তীরে জেলেপল্লীতে প্রায় ১৫০ পরিবারের বসবাস। নদীর বাঁধ ভেঙে পাহাড়ি ঢলে ওই এলাকার অনেকের বাড়ি-ঘর, জিনিসপত্র, ফসলি জমি সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ৫০ বছরের মধ্যে সাহারা মরুভূমিতে প্রথম বন্যার বিরল দৃশ্য
ছয় দিন ধরে পানিবন্দি থাকায় গ্রামের ভেতর দিয়ে চলাচলের জন্য পিছলাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাড়াকান্দা পর্যন্ত দেড় কিলোমিটারের একমাত্র কাঁচা রাস্তাটি ঢলের পানিতে জায়গায় জায়গায় ভেঙে গর্ত হয়ে গিয়েছে।
ওই গ্রামের অহল্লা রানী বর্মণ বলেন, ‘বাড়িঘরে বন্যার পানি। ৫ থেকে ৬ দিন পর পানি নামছে। পানি থাকার সময় একদিন সেনাবাহিনীরা এক প্যাকেট খিচুরি, আরেকদিন আধাকেজি মুড়ি দিয়েছিল। তিনদিন ওইগুলাই খাইয়া, না খাইয়া থাকছি। পানি থাকায় একরকম কষ্ট আর এখন পানি নামার পরে আরেক রকম কষ্ট।’
বাদল চন্দ্র বর্মণ বলেন, ঋণ নিয়ে ১০ শতাংশ জমিতে শসা খেত করেছিলেন। তিন দিন পরই শসা তোলা শুরু হতো। প্রায় এক লাখ টাকার মতো আয়ের আশা ছিল। ঢলের পানিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, শসা খেত ছাড়াও ৫ শতাংশ জমিতে মরিচ চাষ, ৩ কাঠা (২১ শতাংশ) জমিতে লাল শাক ও ১৮ কাঠা (১২৬ শতাংশ) জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছিলেন। পাহাড়ি ঢলে সব ফসল ধ্বংস হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমি দেখিয়ে বাদল বলেন, ‘বাড়িও গেছে, ফসলও গেছে। আমি এখন সর্বহারা। ফসল তুইল্লা ঋণধার শোধতো দূরের কথা, এখন নতুন কইরা ঋণের জালে পড়লাম। সরকার যদি এহন সহায়তা না করে, তাহলে আমি এক্কেবারে শেষ। কিন্তু সরকারের কোনো লোকতো দেখতেও আসলো না, আমরা বাঁইচ্চা আছি, নাকি মইরা গেছি।’
ঢলে ভেঙে পড়েছে বিধবা বানেছা বেগমের একমাত্র থাকার ঘরটি। ভেসে গেছে সব জিনিসপত্র। সব হারিয়ে শূন্য ভিটায় বসে থাকা বানেছা বেগম বলেন, ‘আমারতো আর কিছু নাই। আমি এখন এই ভাঙা ঘর কীভাবে করব কিছুই জানি না। আমারতো কোনো উপায় নাই। যদি কেউ আমারে সাহায্য না করে, আমারতো কোনো গতি নাই।’
গৃহবধূ কিরণ মালা বর্মণ বলেন, আমার বয়সে এত পানি দেখি নাই। বন্যার পানি আমাদের যে ক্ষতিটা করেছে, এখন আমরা কিছুই করতে পারছি না। আমরা এখন খুব কষ্টে আছি, চিন্তায় আছি। সরকার থেকে আমাদের কিছু না করলে আমরা দাঁড়াতেই পারব না।
জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক হিসাব মতে, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় এবার এ পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ৬ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়াও আমন, সবজি চাষ এবং আদা ও কৃষি ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টাকার অংকে প্রায় ৫২৪ কোটি টাকার মতো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে মৎস্য সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭০ কোটি টাকার।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এজিইডি) রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১৩ কোটি টাকার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী তীর রক্ষা বাঁধ ও বেড়িবাঁধ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক/ব্রিজ, কালভার্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কয়েকশ কোটি টাকার।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেছেন, বন্যাকবলিতদের মধ্যে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। কেউ অভুক্ত থাকবে না। উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন বিভাগ, সংস্থা, সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ত্রাণ তৎপরতা চলছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাথমিক একটি তালিকা তৈরি করে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই পুনর্বাসন কাজ শুরু হবে।
সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, ডায়রিয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনী, মেডিকেল স্টুডেন্ট, চিকিৎসকসহ ৪টি মেডিকেল টিম ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় কাজ করছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দাবি, এখন ত্রাণ তৎপরতার পাশাপাশি পুনর্বাসন সহায়তা খুবই প্রয়োজন। জরুরি ভিত্তিতে তাদের জন্য কিছু করা উচিত।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যায় কৃষি ও মৎস্য খাতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
১ মাস আগে
কৃষির উন্নতি নিয়ে সরকার কাজ করছে: কৃষি উপদেষ্টা
কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কৃষির উন্নতি নিয়ে সরকার কাজ করছে।
তিনি বলেন, কৃষকের উন্নতি না হলে কৃষির উন্নতি হবে না। আর কৃষির উন্নতি না হলে দেশের উন্নতি হবে না।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) উপদেষ্টা গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইতালির ভিসা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে, আশা উপদেষ্টা তৌহিদের
উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় আমাদের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি। এখন জনসংখ্যা বেড়েছে কিন্তু আবাদযোগ্য ভূমি বাড়েনি।
তিনি আরও বলেন, এই জমিতে দেশের ১৭ কোটিরও বেশি লোকের খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। এছাড়া দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে এই কৃষিখাত। এ খাতের যথাযথ মূল্যায়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সম্প্রতি বন্যাকবলিত এলাকায় কৃষকদের বীজ, চারা ও নগদ অর্থ পাঠানো হয়েছে। যেসব জায়গায় ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে, সেখানে অন্য জায়গা থেকে আমনের চারা উৎপাদন করে দেওয়া হয়েছে। ২২ তারিখের পর আমন ধান আর রোপন করা যাবে না। সেসব জাগায় সরিষাসহ অন্যান্য ফসল কীভাবে চাষাবাদ করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।
বাজার সিন্ডিকেটের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার মনে হয় খুব শিগগিরই বাজার সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। যদি কোনো সিন্ডিকেট থাকে সেটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভেঙে দেবে।
আসন্ন দুর্গাপূজা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, দুর্গাপূজা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। এবারের পূজা খুব ভালোভাবে হবে। কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না। এজন্য আপনাদেরও সহযোগিতা চাই।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবার পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকে। এবার র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও এয়ারফোর্সও মোতায়েন করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ ইউছুব আকন্দ, জেলা প্রাশাসক নাফিসা আরিফীন, পুলিশ সুপার আবুল কালাম।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার অবস্থান জানে না সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
১ মাস আগে
কৃষিকে কৃষকবান্ধব করতে হবে: কৃষি উপদেষ্টা
কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কৃষিকে কৃষকবান্ধব করতে হবে।
তিনি বলেন, কৃষকবান্ধব সরকার তখনই হবে যখন কৃষকরা সঠিকভাবে বীজ ও সার পাবে এবং তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন কৃষি উপদেষ্টা।
আরও পড়ন: স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সমস্যাগুলো বুঝতে হলে দায়িত্বশীলতা বুঝতে হবে: উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, সার নিয়ে যাতে কোনো সংকট না হয় তার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কৃষকদের অবহিত করবেন, তারা যেন আতঙ্কিত না হয়।
দেশের বর্ধিষ্ণু জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণে অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনার জন্য কাজ করতে উপদেষ্টা সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
এছাড়া দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষি খাতের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা তা অব্যাহত রাখতে সবাইকে সচেষ্ট থাকার নির্দেশনা দেন।
উপদেষ্টা বলেন, কৃষি খাতের অগ্রগতির মূল কৃতিত্ব কৃষকদের। কৃষকরা উৎপাদন করে ভোগান্তিতে পরে, তারা ন্যায্য দাম পায় না। এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া কৃষিখাতে দুর্নীতি প্রতিরোধে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
মত বিনিময়কালে উপদেষ্টা সার ও বীজ সরবরাহ, পতিত জমি আবাদের আওতায় আনা, শস্য বহুমুখীকরণ, ফল-ফলাদির চাষ বৃদ্ধি ও মৌসুমি ফল রপ্তানি বাড়ানো, ইউরিয়া সারের ব্যবহার হ্রাস, বন্যা পরবর্তী জমির উপযোগী ফসল চাষ, শুষ্ক এলাকাকে সেচ ব্যবস্থার আওতায় আনাসহ কৃষি খাতকে আরও কার্যকর ও কৃষকবান্ধব হওয়ার বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং এসব বিষয়ে অবগত হন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী।
আরও পড়ন: সরকারের উদ্দেশ্য ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করা: উপদেষ্টা
১ মাস আগে
কৃষি ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর রূপান্তরে বাংলাদেশের 'অবিশ্বাস্য সম্ভাবনা' রয়েছে: ইফাদ
বাংলাদেশে ইফাদের নবনিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. ভ্যালান্টাইন আচানচো বলেছেন, কৃষি ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর রূপান্তরের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের 'অবিশ্বাস্য সম্ভাবনা' রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি সরকার, আমাদের অংশীদার ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের কৃষি ব্যবস্থা জোরদার করতে এবং দেশজুড়ে জীবনযাত্রার উন্নতিতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমরা টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারি এবং ক্ষুদ্র চাষিদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সাফল্য অর্জনে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে পারি।’
সম্প্রতি পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের কাছে তার পরিচয়পত্র উপস্থাপন করার সময় আচানচো এসব কথা বলেন।
আচানচো বলেন, কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, গ্রামীণ আয় বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র কৃষক, নারী ও যুবকদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ)।
ইফাদ একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএফএডি জানায়, বাংলাদেশে আসার আগে আচানচো ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ইফাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি নাইজার, বুরকিনো ফাঁসো ও চাদে একই পদে কাজ কাজ করেছেন।
তিনি ক্যামেরুন ও গ্যাবনে ইফাদের কান্ট্রি প্রোগ্রাম অফিসার এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলের প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সাহেল ও কঙ্গো অববাহিকায় গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পে অবদান রেখেছেন। সহ-অর্থায়ন জোরদার করেছেন এবং গ্রামীণ জীবনযাত্রার উন্নয়নে সরকার, দাতা ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে অংশীদারত্ব জোরদার করেছেন বৈশ্বিক সংস্থাটির এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে তার নতুন দায়িত্বে আচানচো জাতীয় সরকারের অবকাঠামো কর্মসূচি এবং জলবায়ু-স্মার্ট কৃষির মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জলবায়ু সহনশীলতা জোরদার করার পাশাপাশি অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে কাজ করবেন। এছাড়া গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ক্ষুদ্র কৃষক এবং প্রান্তিক গোষ্ঠীর জন্য অর্থ, প্রযুক্তি এবং বাজারের সুবিধা বাড়াতে কাজ করবেন তিনি।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রশংসা ইফাদ প্রেসিডেন্টের
আচানচো বলেন, ‘আমি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন, তাদের জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং দীর্ঘমেয়াদি সহনশীলতার জন্য টেকসই জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তুলতে আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে নিবেদিত।’
২০১১ সালে ইফাদে যোগদানের আগে আচানচো কৃষকদের পেশাদার সংগঠন এবং সমবায় আন্দোলনের উপপরিচালক এবং ক্যামেরুনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্ভাব্য বিশ্লেষণ এবং কৃষি নীতির দায়িত্বে জেষ্ঠ প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেছেন।
এর আগে তিনি এএফডির অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পে জাতীয় সমন্বয়কারী, ক্যামেরুনের ডিসচ্যাং বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিজ্ঞান অনুষদের ভিজিটিং লেকচারার এবং আইএফএডি, ওয়ার্ড ব্যাংক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অপারেশনের পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি প্যারিস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ফর লাইফ, ফুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস থেকে সমাজবিজ্ঞানের উন্নয়নে পিএইচডি করেছেন।
১৯৭৮ সাল থেকে ইফাদ বাংলাদেশ সরকারকে তার উচ্চাভিলাষী পল্লী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করে আসছে। বিগত ৪৫ বছরে ইফাদ ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি পরিবারের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে ৩৭টি প্রকল্পে ৩৯০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ইফাদের কর্মসূচিরগুলো সবচেয়ে বড়। বর্তমানে ইফাদ বাংলাদেশে ৫১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। কৃষি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলমান ছয়টি প্রকল্পে ইফাদের বিনিয়োগের অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ইফাদের নতুন কার্যালয় কৌশলগত মাইলফলক: ভাইস প্রেসিডেন্ট
২ মাস আগে
বন্যায় কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দ্রুত নির্ধারণ করে পুনর্বাসনের আহ্বান কৃষি উপদেষ্টার
বন্যাদুর্গত এলাকায় কৃষি খাতে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ দ্রুত নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পুনর্বাসনের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার (২৪ আগস্ট) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে বন্যাদুর্গত এলাকায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আমন ধানের উৎপাদন নিশ্চিত করা। তা সম্ভব না হলে শাকসবজিসহ উপযোগী রবিশস্য উৎপাদন বাড়ানো। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে আবাদযোগ্য সব জমি চাষের আওতায় আনতে হবে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় সাবেক মেয়র আব্দুল খালেকসহ ১৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এ সময় বীজ ও সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের জোগান নিশ্চিতকরণ, বীজতলা তৈরি এবং সার্বিক প্রস্তুতি ও করণীয় নির্ধারণ করতে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন কৃষি উপদেষ্টা।
কৃষি উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনকালে কৃষি উৎপাদন নিশ্চিতকরণে কৃষি কর্মকর্তাদের সক্রিয়ভাবে মাঠে থেকে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে।’
এ সময় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন তিনি।
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, ‘বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর রাস্তাঘাট ও অন্যান্য অবকাঠামোর জন্য কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে তা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দপ্তর/বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে সাময়িকভাবে রাস্তা কেটে বা সুবিধাজনক উপায়ে জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
সভায় কৃষি সচিব দেশের বন্যাকবলিত মানুষদের সহায়তায় সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ জমা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
উপদেষ্টা এ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন এবং সবাইকে নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী এ দুর্যোগকালীন সহযোগিতার আহ্বান জানান।
সভায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলমান বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় করণীয়/প্রস্তুতি বিষয়ে নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়-
ক) বন্যাকবলিত এলাকার কৃষি ফসলের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি বিশেষ করে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরেই রোপা আমনের বীজতলা, রোপিত আমন এবং দণ্ডায়মান আউশ ধানসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধান ফসল ধান চাষকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ধান পুনর্বাসন কর্মসূচি প্রদানের পর প্রয়োজনীয়তার নিরীখে পুনর্বাসনের জন্য আগাম শীতকালীন সবজি কর্মসূচিও দেওয়া হবে।
খ) বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের আওতাভুক্ত নিজস্ব উঁচু জমিতে রোপা আমন ধানের বীজ তলা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রস্তুত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গ) বন্যায় কৃষির ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের কার্যক্রমের অব্যাহত রাখতে হবে।
ঘ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার নিকট রোপা আমন ধানের বীজের স্টক সংক্রান্ত তথ্যাবলি সংগ্রহ করতে হবে এবং মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কৃষি পুনর্বাসন/সহায়তা কার্যক্রমের তথ্যাবলি সংগ্রহ করতে হবে।
ঙ) বিএডিসি/বিনাসহ অন্যান্য সকল সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আমন বীজ সংগ্রহ করে বীজতলা প্রস্তুতকরণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর/সংস্থার নিকট অবিলম্বে সরবরাহ করবে।
চ) যথাসম্ভব বন্যা কবলিত এলাকার নিকটতম এলাকায় বীজতলা প্রস্তুত করতে হবে।
ছ) মাঠ পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের বন্যাত্তোর কৃষি পুনর্বাসনের কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে শুরু করার জন্য এখন হতে সক্রিয় রাখতে হবে।
জ) বন্যা কবলিত এলাকায় ব্লক ও উপজেলা ভিত্তিক পুনর্বাসন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
ঝ) বন্যায় কৃষির ক্ষয়ক্ষতির তথ্যাদি ও মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের সচেতন করার জন্য কৃষি তথ্য সার্ভিসকে সামগ্রিক কৃষি পুর্নবাসন কার্যক্রমের বিষয়ে তথ্য চিত্র প্রস্তুত করতে হবে।
ঞ) সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ অনুবিভাগ) সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।
আরও পড়ুন: কৃষিতে উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষি উপদেষ্টা
২ মাস আগে
কৃষিতে উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষি উপদেষ্টা
কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘কৃষিতে উৎপাদন বাড়াতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে গুণগত বীজ সরবরাহ করতে হবে। যে বীজ কৃষকের কাছে যায় সেগুলো যেন গুণগত মানসম্পন্ন হয়। বীজের মান ভালো না হলে ফসল ভালো হবে না।’
বুধবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর বা সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন কৃষি উপদেষ্টা।
সার প্রসঙ্গে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, ‘সারের কোনো সমস্যা নেই। কৃষকের কাছে সারটা যেন সময় মতো পৌঁছায় এটা নিশ্চিত করতে হবে। সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় সাবেক মেয়র আব্দুল খালেকসহ ১৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
উৎপাদন বাড়াতে বীজ ও সারের পাশাপাশি কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘যান্ত্রিকীকরণের ক্ষেত্রে কৃষকদের কর্মসংস্থানের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখতে হবে।’
উপদেষ্টা কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর ও সংস্থার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থেকে কৃষকদের সেবা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘দুর্নীতিকে কোনো ধরনের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। কোনো দুর্নীতিবাজের জন্য কোনো সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না। কৃষকরা দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত হচ্ছে। মধ্যস্বত্ত্বভোগী ও অসাধু শ্রেণির জন্য কৃষক দাম পায় না। ছাত্র-জনতার আন্দোলন শুধু কোটাবিরোধী আন্দোলন নয়। এটা দুর্নীতির বিরুদ্ধেও আন্দোলন।’
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে দীপু মনিসহ ৬২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২ মাস আগে
বন্যায় কুড়িগ্রামে কৃষিতে শত কোটি টাকার ক্ষতি
কুড়িগ্রামে চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় দফার দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। জেলার ৯ উপজেলায় শুধুমাত্র কৃষিতেই ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলার ৯ উপজেলায় ৮ হাজার হেক্টর কৃষিজমির বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫০ হাজারেরও বেশি কৃষক।
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের গারুহারা এলাকার কৃষক কোবাদ আলী বলেন, ‘আমার এক বিঘা জমির পটলের আবাদ শেষ। এখনও বাড়ির চারিদিকে পানি। আমন বীজতলা করতে পারছি না। আমন আবাদও মনে হয় করা হবে না।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ বাড়ছে হাওরপাড়ের বাসিন্দাদের
একই এলাকার কৃষক আব্বাস বলেন, ‘বন্যার পানিতে এখনও সব জমি তলিয়ে। বীজতলা করার সময় শেষের দিকে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের এলাকার কৃষক কিভাবে আবাদ করবে সেই দুশ্চিন্তায় আছে সবাই।’
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দ্বিতীয় দফা বন্যায় কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করছি। এছাড়াও কৃষকরা যেন আমন আবাদ ভালোভাবে করতে পারে সেই পরামর্শ দিচ্ছি।
অন্যদিকে বন্যার পানির প্রবল স্রোতে কাঁচা-পাকা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তবে এসব সড়ক ও ঘরবাড়ির ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ পর ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বন্যার কোনো পূর্বাভাস নেই।
আরও পড়ুন: দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে: এফএফডব্লিউসি
৪ মাস আগে
কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ। এই ক্ষুধাকে জয় করতে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। ধান রোপণ ও ধান কাটায় প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে।’
সোমবার (৮ জুলাই) নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধন ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঙালি সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
দেশে ধান কাটার সময় শ্রমিক সংকট হয় উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মেশিনের মাধ্যমে সহজেই অল্প সময়ে অধিক জমির ফসল তোলা সম্ভব। কৃষক ধীরে ধীরে প্রযুক্তিগত সুবিধা নিতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের কাছে প্রযুক্তি পৌঁছে দিচ্ছেন। কোনোটা বিনামূল্যে কোনোটা ভর্তুকি মূল্যে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশের কোথাও যেন এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে। চাষাবাদ বাড়াতে হবে। ঘরের আশে-পাশের জমিতেও মরিচ-পেঁয়াজের চাষ করলে পরিবারের খরচ কমবে। দেশের সামগ্রিক উৎপাদনে এটার গুরুত্ব আছে।’
বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান বোরো সংগ্রহে সরকার চালের দাম এক টাকা বাড়িয়েছে কিন্তু ধানের দাম দুই টাকা বাড়িয়েছে। ভোক্তা ও কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়েই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।’
ট্রানজিট নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের চুক্তি প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রানজিট এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের যোগাযোগ বাড়ায়। বিশ্বায়নের যুগে একা থাকলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে না।’
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনা কাজ করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা গোলামি চুক্তি করেননি। বিএনপি মিথ্যা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে।’
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা উপবৃত্তি দিয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছেলে মেয়েদের পড়ালেখায় উৎসাহিত করছেন। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে চান তিনি। উন্নয়ন থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেটা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।’
পোরশা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ আদনানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান খোকন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে গাছের চারা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক এবং অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: চাল আমদানি নয়, ভবিষ্যতে আমরা রপ্তানি করব: খাদ্যমন্ত্রী
জীবনে বড় হতে হলে বইকে আপন করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
৪ মাস আগে
কৃষিতে ৬ জনকে রাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার দিয়েছে ডিএই
কৃষিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬ জনকে রাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার দিয়েছে ময়মনসিংহের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে পুরস্কার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কোটা পুনর্বহাল: বাকৃবিতে শতাধিক শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ
এসময় ময়মনসিংহ অঞ্চলের ১৬ জন কৃষককে ‘কৃষক পুরস্কার’ দেওয়ার পাশাপাশি ১৬ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং ১৬ জন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকেও কৃষিতে অবদান রাখার জন্য পুরস্কৃত করা হয়েছে।
কৃষকদের আমন ধান উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রোপা আমন ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালাও অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় ময়মনসিংহের ডিএইর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ আবু মো. এনায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী।
মাহবুবুল হক পাটওয়ারী বলেন, ‘ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে গ্যাপ প্রোটোকল অনুসরণে উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কৃষিকে আধুনিক করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) কর্মকর্তারা।’
আরও পড়ুন: পেনশন বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদে অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে বাকৃবির শিক্ষকরা
৪ মাস আগে