তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বাংলাদেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। তাই আমরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের (বিসিজেএফ) সাথে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের গম আবাদ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে রয়েছে। উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে গমের বার্ষিক উৎপাদন ১৭-১৮ লাখ টন থেকে ১১-১২ লাখ টনে নেমে এসেছে। অথচ দেশে প্রতিনিয়ত গমের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছর দেশে ৫৯ লাখ টন গম আমদানি করা হয়।
‘তাই গম উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে আমাদের তাপ সহিষ্ণু জাত উৎপাদন করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি,’ যোগ করেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনে আমরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। এটা শুধু বাংলাদেশের সমস্যা না, এটা বৈশ্বিক সমস্যা। কিছু কিছু দেশ বিরোধিতা করলেও আমরা এর প্রভাব উপলব্ধি করছি। ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।’
আব্দুর রাজ্জাক জানান, সরকার পরিবর্তিত জলবায়ুর সাথে সহিষ্ণু বিভিন্ন ফসলের নতুন জাত উৎপাদনে উদ্যোগ নিচ্ছে।
বিসিজেএফ সভাপতি কাউসার রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকসহ সিনিয়র সদস্যরা।