কালীগঞ্জের কৃষক জমির হোসেন জানান, জলাবদ্ধতায় পতিত জমিতে চাষের সুযোগ, খরচ কম ও কয়েকগুণ লাভ হওয়ায় পানিফল চাষে আগ্রহী হচ্ছে এখানকার কৃষকরা। এতে অনেকের কর্মসংস্থান হচ্ছে।
এই কৃষক আরও বলেন, সহজ শর্তে কৃষিঋণ এবং কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ পেলে এখানকার পানিফল চাষীরা আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে।
সূত্র জানায়, সাতক্ষীরায় উৎপাদিত পানিফল এখন জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের অন্য জেলায়ও যাচ্ছে।
সাতক্ষীরার মানুষের কাছে পানিফল অতি পরিচিত একটি ফল। জলাবদ্ধ জমিতে এ ফলের চাষ হচ্ছে। শুধু গ্রামে নয় এখন শহরের বাজারেও পাওয়া যায় পানিফল।
পানিফলের বৈজ্ঞানিক নাম ত্রাপা নাটান্স (Trapa natans) হলেও স্থানীয়দের ভাষায় এটি পানি সিংড়া বলে পরিচিত। বাংলা মাসের ভাদ্র থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত জলাবদ্ধ জমিতে পানিফল রোপণ শুরু করেন চাষীরা। আর অগ্রহায়ণ থেকে পৌষ মাসের শেষ পর্যন্ত ফল তুলে চলে বিক্রি।
কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, গুণে ও মানে এই ফল খুবই শক্তিবর্ধক, সুস্বাদু এবং দাম কম হওয়ায় এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
জেলা কৃষি বিভাগ অফিস সূত্র জানায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর ৩০ হেক্টর জমিতে পানিফলের চাষ বেশি হয়েছে। চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরা জেলায় মোট ১০০ হেক্টর জলাবদ্ধ পতিত জমিতে পানি ফলের চাষ হয়েছে। পানি ফল চাষের আওতায় এনে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। ক্রমান্বয়ে পানিফল চাষ আরও বাড়বে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান বলেন, জলাবদ্ধতায় পানিফল চাষ আশীর্বাদ হয়ে হাসি ফুটিয়েছে জেলার দক্ষিণাঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকের মুখে। কেমিক্যালমুক্ত সতেজ এ পানিফল দেশের বাজারে আরও বিস্তার লাভ করবে বলে মনে করেন এ কৃষি কর্মকর্তা।