সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ এলাকায় রবিবার দুপুরে হরিণটিকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এর আগে সুন্দরবন ছেড়ে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি এলাকায় ধড়া পড়ে হরিণটি। ধাওয়া খেয়ে হরিণটি সামান্য আহতও হয়েছে। খবর পেয়ে বন বিভাগ হরিণটিকে উদ্ধার করে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) জয়নাল আবেদীন জানান, হরিণটি সুন্দরবন ছেড়ে ভোলা নদী সাঁতরিয়ে তজুর ঘাট এলাকা হয়ে প্রথমে সোনাতলা গ্রামে উঠে। পরে তাফালবাড়ি এলাকায় এলে কয়েকজন গ্রামবাসী হরিণটিকে ধাওয়া করে। খবর পেয়ে সুন্দরবন সুরক্ষায় নিয়োজিত ওয়াইল্ডটিম, সিপিসি এবং ভিটিআরটি গ্রুপের সদস্যরা গ্রামবাসীর সহায়তায় হরিণটিকে আটক করে। পরে বন বিভাগের সদস্যরা হরিণটি উদ্ধার করে সুন্দরবনে নিয়ে আসে।
তিনি আরও জানান, রেঞ্জ অফিসে এনে হরিণটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুন্দরবনে ছেড়ে দেয়া হয়।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান জানান, হরিণটি সুন্দরবন ছেড়ে কীভাবে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে তাফালবাড়ি এলাকায় আসছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লোকালয়ে একের পর এক হরিণ ধরা পড়ায় হরিণ শিকারীচক্রকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। হরিণ লোকালয়ে আসার পিছনের কারণ উদঘাটন করতে সোর্স নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বন বিভাগের তথ্য মতে, গত ১৮ মার্চ বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চিলাবাজার এলাকায় একটি হরিণ গ্রামবাসীর হাতে ধড়া পড়ে। তার দুই সপ্তাহ আগে ওই বাজার এলাকা থেকে আরও একটি হরিণ উদ্ধার করে বন বিভাগ। এছাড়া গত ৩১ জানুয়ারি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর গ্রাম থেকে পুলিশ সুন্দরবনের একটি হরিণ উদ্ধার করে।