বুধবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটের শুনানি গ্রহণ শেষে এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে দশম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।
ওই রিটে এমপিদের শপথ বাতিল করে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করতে আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী এমপিদের শপথ বাতিল করে গেজেট প্রকাশের জন্য উকিল নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু ওই নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে এ রিট করা হয়। স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, গত ৩০ ডিসেম্বর ২৯৯টি সংসদীয় আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯(৩) ধারা অনুযায়ী নির্বাচিত এমপিদের নামের তালিকা সম্বলিত গেজেট প্রকাশ করা হয় ১ জানুয়ারি। গেজেট প্রকাশের পর ৩ জানুয়ারি স্পিকার নবনির্বাচিত এমপিদের শপথ বাক্য পাঠ করান। কিন্তু এমপিদের নেয়া ওই শপথ সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদের লংঘন।
রিটে বলা হয়, দশম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২৮ জানুয়ারি। ওই সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত এমপিদের শপথ দেয়া হয়েছে গত ৩ জানুয়ারি। এটা সংবিধানের লংঘন। নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নেয়া কেবল বেআইনি হয়নি, তাদের পদের মেয়াদও অবৈধভাবে বৃদ্ধি করে নেয়া হয়েছে। এতে তারা সংসদ সদস্য পদটিকেও অকার্যকর করে ফেলেছেন।