ক্যাসিনোকাণ্ডে কমিশনের বিবেচনাধীন অনুসন্ধান বা তদন্তে শিথিলতা এসেছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরাও গণমাধ্যমে এ জাতীয় সংবাদ দেখছি। তবে আমি দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বলতে পারি, কমিশন ক্যাসিনোকাণ্ডে যে সব অভিযোগ আমলে নিয়েছে সেসব বিষয়ে অনুসন্ধান বা তদন্তে শিথিলতার কোনো সুযোগ নেই। করোনার কারণে অপরাধীদের প্রতি ন্যূনতম নমনীয় হওয়ার সুযোগও নেই।’
‘প্রতিটি অনুসন্ধান ও তদন্ত চলমান রয়েছে। করোনার কারণে হয়তো অনুসন্ধান বা তদন্ত সম্পন্ন করতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে একটু বেশি সময় লাগতে পারে। তবে সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধানকারী ও তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বাসায় বসেই কাজ করতে বলা হয়ছে। তারাও নিরলসভাবে কাজ করছে। আমরা আশা করছি তদন্ত সম্পন্ন করেই অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা যাবে,’ যোগ করেন ইকবাল মাহমুদ।
এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিই কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে কমিশন অনুসন্ধান করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বিভিন্ন উৎস হতে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এরপরই পূর্ণাঙ্গ কমিশন বসবো এবং এসব তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি বলেন, মাস্ক বা পিপিইর মতো অতীব গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী যা চিকিৎসক, নার্স বা স্বাস্থ্য কর্মীদের জীবনের নিরাপত্তার সাথে সম্পৃক্ত। তাই এ সকল অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নেয়া হচ্ছে এবং দ্রুততার সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। দুদক যেহেতু স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ তাই এ বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমেই জনগণকে অবহিত করা হবে। এগুলো ছাড়াও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় তৃণমূল পর্যায় (উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) থেকে শুরু করে রাজধানীর বড় বড় হাসপাতালের বিষয়ে আমরা যেসব অভিযোগ পাচ্ছি সেগুলোও যাচাই-বাছাই করা হবে এবং অভিযোগের সারবত্তা থাকলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যদি এই অভিযোগটি (মাস্ক ও পিপিই সংক্রান্ত) দুদক অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করে তাহলে সংশ্লিষ্টদের তলব করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনুসন্ধানকালে সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করেন। অপরাধীদের গ্রেপ্তার ,তলব কিংবা বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা এ জাতীয় সকল বিষয়ে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাই সিদ্ধান্ত নিবেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে কমিশন কর্তৃক গঠিত প্রাতিষ্ঠানিক টিমও কাজ করেছে। গতবছর কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক টিমের একটি প্রতিবেদন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। কমিশন মনে করে এ প্রতিবেদেনর সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হলে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি-অনিয়ম প্রতিরোধ করা সহজ হবে।
‘তবে এ কথা আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কমিশন নির্মোহভাবে আইনি দায়িত্ব পালন করবে,’ বলেন তিনি।