দুর্নীতি
দুর্যোগকালীন সময়ে যেন দুর্নীতি না হয় সে বিষয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সতর্কতা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, ‘দুর্যোগকালীন সময়ে একটি গোষ্ঠী খুশি হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এসব গোষ্ঠীর হয়তো দুর্নীতির নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়। কিন্তু এসবকে গুরুত্ব দেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কাজের গুণগতমানের সঙ্গে কোনো আপস করা যাবে না।’
সোমবার আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এলজিইডির আওতায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও অগ্রগতি বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে পলিথিন ও পলিপ্রপিলিন ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ: পরিবেশ উপদেষ্টা
বন্যাপরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলাই এখন বেশি জরুরি উল্লেখ করে হাসান আরিফ বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় রাস্তাঘাটের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ এরইমধ্যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত করতে হবে।
বাংলাদেশে রাস্তাঘাট নির্মাণ ব্যয় অত্যধিক এ অভিযোগের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দেশের রাস্তাঘাট নির্মাণ ব্যয় অত্যধিক কিন্তু এর স্থায়িত্ব কম এমন অভিযোগ প্রায়ই আসে। সেজন্য এলজিইডির দুর্নীতির ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র, কৃষক-শ্রমিক জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে তার একমাত্র লক্ষ্য রাষ্ট্র সংস্কার। এই সংস্কার করতে দুর্নীতিকে নির্মূল করতে হবে।
আরও পড়ুন: সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টার সঙ্গে ফরাসি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
নারীর ক্ষমতায়নে এলজিইডিকে সহায়ক ভূমিকা পালন করার পরামর্শ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দেশের গ্রাম-বাংলার রূপ পরিবর্তনের প্রধান কারিগর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এলজিইডি গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করে থাকে। গ্রামে গ্রামে চলমান কর্মযজ্ঞে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর পাশাপাশি নিরাপদ কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, অতিরিক্ত সচিব ড. শের আলী খান ও মো. নজরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
১ মাস আগে
সাবেক প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করবে দুদক
সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদক তদন্ত করছে বলে বুধবার (২৮ আগস্ট) ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মুখপাত্র আকতারুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: আর্থিক অপরাধ দমন অভিযানে সহায়তা করতে দুদকে বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন
প্রাথমিক বিবরণে জানা যায়, তিনি ফরিদপুরের মধুপুরে একটি ভবন নির্মাণ করেছেন এবং পূর্বাচলসহ বিভিন্ন স্থানে প্লট কিনেছেন। একাধিক ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র রয়েছে তার।
এছাড়া ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক সম্পত্তির মালিক তার স্ত্রী মির্জা নাহিদা হোসেন।
আরও পড়ুন: সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে ডাক বিভাগের সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
১ মাস আগে
মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কোনো স্থান হবে না: নাহিদ ইসলাম
মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কোনো স্থান হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুততম সময়ে গতিশীল এবং আধুনিকায়ন করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
রবিবার (১৮ আগস্ট) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম নতুন করে স্বপ্ন দেখছে, নতুন করে আশা-আকাঙ্ক্ষা তৈরি করছে। আমরা সেই আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে এই সরকারে এসেছি।’
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশকে পুনর্গঠন ও নতুন বাংলাদেশ তৈরির যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হচ্ছে, সেখানে যেন এই ধরনের স্বৈরতন্ত্র আর কোনো দিন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেদিকে আপনাদের দৃষ্টি রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট বন্ধে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি বাংলাদেশের সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর কী ধরনের নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। সামনের বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটনা ঘটুক সেটা আমরা চাই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে। ফ্রিডম অব প্রেস যদি না থাকে ফ্রিডম অব স্পিচ নিশ্চিত হয় না।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আমাদের কাজ করতে হবে সেজন্য বিভিন্ন আইন ও বিধিনিষেধ যেগুলো নিয়ে সমালোচনা রয়েছে সেগুলো পুর্নবিবেচনা করতে হবে। যাতে বাকস্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত না হয়। আমরা চাই গণমাধ্যম যেন তার স্বাধীনতা নিয়ে জনগণের পাশে থেকে কাজ করতে পারে।’
সাংবাদিকদের বেতন নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘সাংবাদিকদের বেতন নিয়ে অনেক অসন্তোষ রয়েছে। আমরা যদি মেধাবীদের উৎসাহিত করতে না পারি তবে সাংবাদিকতা এগোবে না। যারা রিপোর্টার ও জুনিয়র লেভেলে কাজ করে তাদের বেতন অত্যন্ত কম, অনেক ক্ষেত্রে বেতন মানাও হয় না, এ বিষয়ে নীতিমালা প্রয়োজন।’
সাগর রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি খুবই বেদনাদায়ক ও নির্মম। এর বিচার নিয়ে কী ধরনের প্রহসন করা হয়েছে তা আমরা সবাই জানি। এ হত্যাকাণ্ডসহ সাংবাদিকদের ওপর যত রকম নির্যাতন নিপীড়ন করা হয়েছে সেগুলো তদন্ত করে বিচারের ব্যবস্থা করতে সরকার ও মন্ত্রণালয়ের পক্ষে যা যা করণীয় তা আমরা করব।’
স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠন করার কথা ভাবা হচ্ছে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা করেই এ বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পাশাপাশি সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টও পুর্নবিবেচনা করা হবে।
তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, গণহত্যার ছবি এবং ভিডিও প্রকাশে সহযোগিতা করা হবে যাতে করে হতাহতদের প্রকৃত সংখ্যা ও পরিচয় জানা যায়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যারা অপরাধে জড়িত ছিলেন না তাদের প্রতি যেন কোনো অন্যায় না হয় সে বিষয়ে আমাদের নির্দেশনা রয়েছে, মামলা হলে সুস্পষ্ট তদন্তের ভিত্তিতে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া আছে।’
বিশেষ কারণ ছাড়া তাদের ছবি প্রচার না করার অনুরোধ করেন উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের মধ্যে দলীয়করণ দেখতে চাই না।’
সেন্সর বোর্ডের কমিটিগুলো দ্রুততম সময়ে পূর্ণগঠন করা হবে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অনেকগুলো চলচ্চিত্র সেন্সর অবস্থায় আছে যদি কোনো নীতিমালা ভঙ্গ না হয়, তাহলে দ্রুততম সময় চলচ্চিত্রগুলো প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। একেবারে নীতিমালা এবং যৌক্তিকতার ভিত্তিতে যেন বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।’
কোনো ধরনের স্বজনপ্রীতি ও ব্যক্তিগত পরিচয় যেন বিবেচনায় না নেওয়া হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, আওতাধীন দপ্তর সংস্থার প্রধানগণ ও গণমাধ্যম কর্মীরা।
মতবিনিময় সভার শুরুতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ছাত্র, জনতা এবং সাংবাদিকদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের সময় যারা ছাত্র-মানুষ হত্যা করেছে তাদের শাস্তি হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন করার কথা ভাবা হচ্ছে: তথ্য উপদেষ্টা
১ মাস আগে
দুর্নীতি করে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের দাবি আমলে নেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নিজেদের বঞ্চিত দাবি করা সরকারি কর্মকর্তারা দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত হলে তা আমলে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রবিবার (১৮ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি করতে বাংলাদেশে নির্মিত হবে স্পোর্টস ইনস্টিটিউট: আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
তিনি বলেন, ‘কাজ করতে গেলে ভুল হতে পারে। কিন্তু ইচ্ছা করে ভুল করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া যেসব কর্মকর্তা সত্যিকার অর্থেই বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।’
দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত হলে তা আমলে নেওয়া হবে না জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কর্মকর্তাদের আইন মেনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
এছাড়াও সবাইকে মিলেমিশে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি, জননিরাপত্তা বিভাগের নবনিযুক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন, জননিরাপত্তা বিভাগের সদ্য বিদায়ী সিনিয়র সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন, বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম এনডিসিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: যুব-ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে বিসিবির অভিনন্দন
রাজপথ থেকেই ঘোষণা করা হবে চূড়ান্ত বিজয়: আসিফ মাহমুদ
১ মাস আগে
দুর্নীতি নিয়ে বিএনপির বক্তৃতাই বড় কৌতুক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দুর্নীতি নিয়ে বিএনপির বক্তৃতাই সবচেয়ে বড় কৌতুক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বাংলাদেশ-সৌদি আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে 'পলিটিক্যাল কনসালটেশন' শেষে রিয়াদ থেকে বুধবার দুপুরে দেশে ফিরে বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফরেন সার্ভিস একাডেমি জার্নাল প্রকাশনা ও ডিজিটাল লাইব্রেরি উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
আরও পড়ুন: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
এ সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান নিয়ে বিএনপির মন্তব্য বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উভয়েই দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। বিএনপির শাসনামলে দেশ দুর্নীতিতে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সুতরাং তাদের মুখে দুর্নীতি নিয়ে বক্তৃতা বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান নিয়ে কথা বলা -এটিই সবচেয়ে বড় কৌতুক।’
সৌদি বিনিয়োগ ও শ্রমশক্তি রপ্তানি
সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক ও বিনিয়োগ নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সঙ্গে শ্রমশক্তি রপ্তানির সম্পর্ক বহু আগেই উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, বিনিয়োগসহ বহুমাত্রিক রূপ নিয়েছে। দেশে সৌদি বিনিয়োগ আছে এবং তারা আরও বিনিয়োগ করতে চায়। সৌদি আরব বাংলাদেশে ১ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, চট্টগ্রাম বন্দরে তাদের বিনিয়োগ আছে, বে-টার্মিনালেও তারা বিনিয়োগ করতে চায়, পাশাপাশি অনাবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশিদের জন্য উন্মুক্ত অফশোর ব্যাংকিংসহ আমাদের এখানে ফিন্যান্সিয়াল উইন্ডো যেগুলো রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রেও তাদের বিনিয়োগের বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সৌদি আরবকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি এবং তারা ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের মিরের সরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনও করেছে।’
মন্ত্রী এ সময় শ্রমশক্তি রপ্তানির তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন।
তিনি জানান, ‘সৌদি আরবে এখন প্রায় ৩১ লাখ ৩৭ হাজার বাংলাদেশি প্রবাসী বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত। করোনার সময় লাখ লাখ কর্মী ফেরত এসেছিলেন। কিন্তু গত তিন বছরে আবার প্রায় ১৭ লাখ বাংলাদেশি সৌদিতে গেছেন। সৌদি আরব এক্ষেত্রে খুব সহায়ক ছিল। এই শ্রমজীবীদের সঙ্গে দুই দেশের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যাতে প্রতারণা না করতে পারে, সেজন্য আমাদের উভয়পক্ষের প্রস্তাব ও সম্মতিতে যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেইসঙ্গে সেখানে বাংলাদেশিদের নিজেদের নামে ব্যবসা রেজিস্ট্রেশন না থাকায় তারা রেমিটেন্স পাঠাতে পারে না। সেই অসুবিধা দূর করতে আমরা বাংলাদেশিদের ব্যবসা রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি, তারা এটা বিবেচনায় নিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর
আগামী ৮ থেকে ১১ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দেশের কূটনীতির মূলমন্ত্র 'সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়' উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনারা জানেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের কথাও হয়েছে। চীন আমাদের বড় উন্নয়ন অংশীদার। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সফরটিও আমাদের উন্নয়নকে বেগবান করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এর আগে ফরেন সার্ভিস একাডেমি জার্নাল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পরে তিনি একাডেমির ডিজিটাল লাইব্রেরি উদ্বোধন করেন। এ সময় একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামসের সভাপতিত্বে পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক, বিনিয়োগের সম্ভাবনা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের এফসিডিও'র ইন্দো-প্যাসিফিক প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
৩ মাস আগে
দুর্নীতির অভিযোগে বদলি-বরখাস্ত ও অবসরে পাঠানোর পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়: টিআইবি
সরকারি চাকরিতে দুর্নীতি রোধে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে, বদলি, বরখাস্ত ও বাধ্যতামূলক অবসরের মতো পদক্ষেপগুলো অপর্যাপ্ত প্রতিবন্ধক এবং অজান্তেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি লালন করতে পারে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশাসনিক পদক্ষেপের পরিবর্তে দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তাদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও পুলিশের মতো সংস্থায় দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বদলি বা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বদলি বা অবসরের মতো প্রশাসনিক পদক্ষেপ আশাব্যঞ্জক মনে হলেও তাতে দুর্নীতির মূল কারণগুলো যথাযথভাবে তুলে ধরা হয় না।’
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে, এই ধরনের পদক্ষেপ এমন একটি চক্রকে স্থায়ী করতে পারে, যেখানে কঠোর আইনি পরিণতির অভাবে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে থাকে না।’
তিনি সরকারি চাকরি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার সংশোধনী তুলে ধরে বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সরকারি কর্মচারীদের জবাবদিহিতা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে তুলেছে।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি বেনজীরের ব্যাপক দুর্নীতির জবাবদিহিতা দাবি করেছে টিআইবি
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এ ধরনের আইনি ফাঁকফোকরগুলো আইনের দৃষ্টিতে সমতার সাংবিধানিক নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগে ন্যূনতম শাস্তির ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা একটি ক্ষতিকর বার্তা দেয়।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এটি ইঙ্গিত দেয় যে কিছু ব্যক্তি আইনের ঊর্ধ্বে, যা জনগণের আস্থা কমায় এবং নৈতিক শাসনের ভিত্তিকে নষ্ট করে।’
দুর্নীতি দমনে রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে ড. ইফতেখারুজ্জামান ক্ষমতার ঊর্ধ্বে উঠে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের আহ্বান জানান।
রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রাতিষ্ঠানিক আঁতাতসহ দুর্নীতির বিকাশ ঘটায় এমন পদ্ধতিগত বিষয়গুলোর দায়িত্ব নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
টিআইব প্রধান বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতারা জবাবদিহিতা এড়িয়ে গেলে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি কার্যকরভাবে রোধ করা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং নৈতিক মান বজায় রাখতে, আমাদের এমন দৃঢ় পদক্ষেপ দরকার যা স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার প্রতি সত্যিকারের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।’
দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সত্যিকারের প্রতিরোধের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন, যা অপরাধের তীব্রতাকে প্রতিফলিত করে। যাতে এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে অসদাচরণ রোধ করা যায়।
আরও পড়ুন: কালো টাকা সাদা করার বাজেট প্রণয়ন অসাংবিধানিক ও দুর্নীতিবান্ধব: টিআইবি
৩ মাস আগে
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার জাপার এমপি
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘যারা কাস্টমসে চাকরি করেন তাদের প্রত্যেকেরই ঢাকা শহরে দুই-তিনটি বাড়ি রয়েছে।’‘বন বিভাগে যারা চাকরি করেন তাদেরও দুই-তিনটি স্বর্ণের দোকান আছে।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা নিলে আমরা দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবো।
জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন,‘আর তা না হলে বড় বড় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে হারে দুর্নীতি করছে, আমরা কী করব? আমরা অসহায়। অনেক সরকারি কর্মকর্তা আছেন যারা অসহায়। কারণ এখানে ৯০ ভাগ মানুষ ওই দিকে (দুর্নীতি), ১০-১৫ শতাংশ মানুষ ভালো থেকে কী করবে?’
শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থবিলের ওপর সংশোধনী প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনের সময় একটি হলফনামা দিতে হবে উল্লেখ করে হাফিজ বলেন, এই নথি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সিন্দবাদের দৈত্যের মতো দেশ শাসন করছে আ.লীগ সরকার: জিএম কাদের
তিনি বলেন,‘কিন্তু চাকরিতে আসা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি প্রথমে হলফনামা দেন, তারপর পাঁচ-দশ বছর হলফনামা দেন এবং তাদের আলোচনা-সমালোচনা হয়, তাহলে দুর্নীতির চাবিকাঠি বন্ধ হয়ে যাবে। অন্যথায় এটা বন্ধ হবে না।’
তিনি বলেন, সরকার অনেক প্রশংসা পেয়েছে। কিন্তু শুধু দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলেই ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর নাম যেমন লেখা আছে তেমনি প্রধানমন্ত্রীর নামও স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
তিনি বলেন, 'ব্যবস্থা নিলে দুর্নীতি বন্ধ হবে। সংসদ সদস্যদের রেকর্ড থাকায় সব সরকারি কর্মকর্তার রেকর্ড তৈরি করলে দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব বলে মনে হয়।’
কুড়িগ্রাম-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার বলেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সরকারের দ্বৈত নীতি।
তিনি বলেন, 'একদিকে আপনি বলবেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স, অন্যদিকে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবেন। এটা কি সম্ভব? যারা বৈধ আয় উপার্জন করেন তাদের ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে, আর যারা কালো টাকা হোয়াইটওয়াশ করবেন তাদের ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে। এতে স্বার্থ কার? এটা কোনো নৈতিকতার মধ্যে পড়ে বলে মনে হয় না।’
আরও পড়ুন: সংকট মোকাবিলায় অর্থনীতির দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করুন: জিএম কাদের
৩ মাস আগে
দুর্নীতির খবর প্রকাশের বিরুদ্ধে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্যে ক্রাইম রিপোর্টারদের উদ্বেগ
বর্তমান ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের অবৈধ সম্পদের মালিকানা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এমন প্রতিবেদন প্রচারের সমালোচনা করে একটি বিবৃতি দেওয়ার পর সোমবার (২৪ জুন) প্রতিক্রিয়া জানায় ক্র্যাব।
ক্র্যাব বলছে, গণমাধ্যমগুলো দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক হওয়ার খবর প্রচার করেছে। তারা জোর দিয়ে বলেন, এই প্রতিবেদনগুলো কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে করা হয়নি, যেমনটি বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতিতে দাবি করেছে।
বিবৃতিতে ক্র্যাব সভাপতি কামরুল জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া বিবৃতিতে ‘ব্যবহৃত শব্দের’ ব্যবহার করা নিয়ে তাদের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তারা মনে করেন, এটি নির্দিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত অসদাচরণের প্রতি সহনশীলতার পরামর্শ দিয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতার নীতিগুলোকে সম্ভাব্যভাবে ক্ষুণ্ন করতে পারে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পশুবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৫ পুলিশ বরখাস্ত
ক্র্যাব আরও যুক্তি দিয়েছে, এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে তাদের সাংগঠনিক বক্তব্যের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ না করে আইনি প্রক্রিয়ার অবলম্বন করা উচিত। তাদের দাবি, গণমাধ্যমের সব প্রতিবেদনকে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ হিসেবে আখ্যায়িত করা সমর্থনযোগ্য নয়।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের 'জিরো টলারেন্স' নীতিকে সমর্থনের ওপরও জোর দিয়েছে সংগঠনটি। তারা অসদাচরণের অভিযোগ মোকাবিলায় বাধা দেওয়ার পরিবর্তে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি সরকারি কর্মকর্তাদের আচরণ এবং সম্পদ সম্পর্কে প্রতিবেদনের নৈতিকতাকে নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত করেছে। এই বিতর্ক বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতার মধ্যে চলমান উত্তেজনাকে তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুন: ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলার নিন্দা জানিয়েছে ক্র্যাব
৩ মাস আগে
দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার র্যাবের নতুন ডিজির
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক হারুন অর রশীদ দুর্নীতিতে জড়িত না হতে কর্মীদের সতর্ক করে বলেছেন, আইন অমান্য করলে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে নতুন মহাপরিচালক জোর দিয়ে বলেন, র্যাব সদস্যদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: আরসার 'অপরাধীদের' বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত: র্যাব
দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স ঘোষণার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, 'নমনীয়তার কোনো সুযোগ নেই। যেকোনো অপরাধীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা এই ঘোষণার ফলাফল দেখতে চাই।’
ব্যারিস্টার রশিদ র্যাব সদস্যদের যেকোনো ধরনের বেআইনি ও অপেশাদার আচরণ পরিহার করার আহ্বান জানান। ‘এলিট ফোর্সের সদস্যদের অবশ্যই দক্ষ, মেধাবী ও অভিজ্ঞ হতে হবে। আইন মেনে চলাই পেশাদারিত্ব।’
মহাপরিচালক র্যাবের ওপর জনগণের আস্থা ও নির্ভরতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি র্যাবের সব সদস্যকে এ লক্ষ্যে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, পেশাদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তরুণ প্রজন্মের ওপর মাদকাসক্তির ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরে র্যাবের নতুন ডিজি সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে প্রচেষ্টা জোরদার করার অঙ্গীকার করেন। সারাদেশে কিশোর গ্যাং কার্যক্রম নির্মূলেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি।
আরও পড়ুন: দায়িত্ব নিলেন র্যাবের নতুন ডিজি
র্যাবের নতুন ডিজি হারুন-অর-রশিদ
৩ মাস আগে
আছাদুজ্জামান মিয়ার দুর্নীতির অভিযোগ অনুমাননির্ভর: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘আমি যতটুকু জানি, অনুমানভিত্তিক কথাবার্তা চলছে।’
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
সাবেক আইজিপি এবং সাবেক ডিএমপি কমিশনারের বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের দায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এড়াতে পারেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনি যেগুলো বলেছেন, এখন পর্যন্ত কোনো মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কোনো খবর আমাদের কাছে আসেনি। আমি যতটুকু জানি, অনুমানভিত্তিক কথাবার্তা চলছে। এখনো তার বিরুদ্ধে সঠিকভাবে কোনো অভিযোগ উত্থাপন হয়নি। যেগুলো শুনেছি, তার অবৈধ সম্পত্তির কথা, তাকে তো ডাকা হয়নি, তাকে ডাকা হলে বুঝতে পারব, নিশ্চয়ই তার কোনো ব্যাখ্যা আছে।’
আরও পড়ুন: আনোয়ারুলের লাশ শনাক্ত হলে অনেক কিছুই জানা যাবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিশ্চয়ই তার আয়ের উৎস আছে। সেটি দেখতে হবে।
অনেক আগে জমির দাম বেড়েছে। বেনজীর আহমেদ অনেকদিন মিশনে ছিলেন। তার ব্যাখ্যা থাকতে পারে। যদি ব্যাখ্যা দিতে না পারে তখন দুর্নীতির প্রশ্ন আসবে।’
এমপি আনার হত্যা বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, তদন্ত শেষ হলে সব বলতে পারব। ডিবি সুষ্ঠু ও স্বাধীনভাবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: এমপি আনোয়ারুল চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তা কখনোই বলিনি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ মাস আগে