তিনি বলেন, ‘খাদ্যে ভেজাল সনাক্তের জন্য একটি বিশেষ পরীক্ষাগারের জরুরি প্রয়োজন এবং আমরা সেটি স্থাপন করবো।’
রবিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (কেআইবি) জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ বছর দিবসটির থিম হচ্ছে ‘সুস্থ-সবল জাতি চাই, পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’।
শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্য নিরীক্ষা করার জন্য একটি কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগার থাকবে এবং দেশের সকল বিভাগে পরীক্ষাগার শাখা স্থাপন করা হবে। যাতে খাদ্যের মধ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকারক উপাদান আছে কিনা সেটি আমরা দেশের যেকোনো জায়গায় পরীক্ষা করতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী খাদ্যে ভেজালের বিষয়ে দেশের জনগণের সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দেন।
তিনি বলেন, ‘মানুষ যদি খাদ্যের ভেজাল সম্পর্কে সচেতন থাকে, তবে কেউই প্রতারণা করতে পারবে না।’
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্যে ভেজাল বন্ধ করার জন্য সরকার যা কিছু প্রয়োজন তা করবে।
খাদ্য সচিব সাহাবুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা দিবস ২০১৯ মেলার উদ্বোধন করেন।
খাদ্য ভেজাল মিশ্রণ করা কিছু লোকের চরিত্রের খারাপ অভ্যাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বন্ধ করা উচিত। খাদ্যে ভেজাল-বিরোধী অভিযান চলছে, এটি অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, খাদ্যে ভেজাল-বিরোধী অভিযান ব্যাপকভাবে পরিচালনা করার জন্য সরকার বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে যেখানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কর্মীর অভাব দূর করতে প্রধানমন্ত্রী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনা করতে সফল হয়েছে এবং মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধেও অভিযান চলছে। আমি মনে করি, খাদ্য ভেজাল দেয়াও এক প্রকার দুর্নীতি, এর কারণে সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।’
তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
খাদ্য সচিব সাহাবুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী এবং আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা দিবস ২০১৯ মেলার উদ্বোধন করেন।