সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন অগ্রণী ব্যাংকে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে শহীদ আবদুর রব হলের সামনে গিয়ে সংঘর্ষ বেধে যায়।
আহতরা হলেন- কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহ আজহার তীব্র, ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী লাবিদ শাহরিয়ার এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১ম বর্ষের মো. শিফন।
এদের মধ্যে প্রথম দুজন বাংলার মুখ গ্রুপের কর্মী এবং অপরজন ভিএক্স গ্রুপের কর্মী। আহতদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানান চবি মেডিকেল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আবু তৈয়ব।
সংঘর্ষে লিপ্ত বাংলার মুখ ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) ছাত্রলীগের এ দুটি পক্ষই চট্টগ্রাম মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারী বলে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি লেগেছে। পরে তারা বসে বিষয়টা সমাধান করে নিয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছে, বিভাগের পরীক্ষার ফি জমা দিতে ব্যাংকের নির্দিষ্ট লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন বাংলার মুখের দুই সদস্য। একই সময়ে ভিএক্সের দুই সদস্য লাইনে না দাঁড়িয়ে জোরপূর্বক ফি জমা দিতে চাইলে এর প্রতিবাদ করেন বাংলার মুখের দুই সদস্য। এসময় ভিএক্সের দুই সদস্য তাদেরকে চড় থাপ্পড় দেয়। এ ঘটনার জেরে পরে শহীদ আবদুর রব হলের সামনে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের তিনজন আহত হন। আব্দুর রব হলের অন্তত ৮টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান বিপুল বলেন, জুনিয়রদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়া হয়েছে। একই কথা বলেন বাংলার মুখের নেতা ও সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক আমির সোহেল।