চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৩৫ বছরের অচলায়তন ভেঙে আজ চাকসুর ভোট
দীর্ঘ ৩৫ বছরের অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।
তফসিল অনুযায়ী, আজ বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সপ্তম চাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলবে।
ভোটগ্রহণ শেষে হবে গণনা। কেন্দ্রীয় সংসদের ফলাফল ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ থেকে এবং হল সংসদের ফলাফল নিজ নিজ কেন্দ্র থেকে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এবার চাকসুর মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৬ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে ২৬ পদের বিপরীতে ৪১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
ভোটকেন্দ্র
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪টি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি ছাত্রদের ও ৫টি ছাত্রীদের। এছাড়া রয়েছে শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ এবং কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের দুটি ভবন মিলিয়ে মোট পাঁচটি ভবনের ১৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১৪টি কেন্দ্রে হল সংসদ ও একটি কেন্দ্রে হোস্টেল সংসদ নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: ৩৫ বছর পর চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ১২ অক্টোবর
এ ছাড়া প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে চাকসু ভবনে একটি অতিরিক্ত কেন্দ্র স্থাপন করেছে নির্বাচন কমিশন। এসব কেন্দ্রের জন্য ৬০ কক্ষে ৭০০টি বুথ প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি কক্ষে থাকবে পাঁচটি ব্যালট বাক্স এবং পাঁচ জন করে এজেন্ট। একটি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৫০০ ভোটার ভোট দিতে পারবেন।
চাকসুতে মোট ভোটার রয়েছেন ২৭ হাজার ৫১৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার আছেন ১৬ হাজার ১৮৯ এবং ছাত্রী ভোটার রয়েছেন ১১ হাজার ৩২৯ জন।
পদ ও প্রার্থীর সংখ্যা
এবারের চাকসুতে অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সংসদে মোট পদসংখ্যা ২৬টি। কেন্দ্রীয় সংসদে ১৩টি প্যানেল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট প্রার্থী সংখ্যা ৪১৫ জন।
এর মধ্যে, সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ২৪ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ২২ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২১ জন, খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১২ জন, সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক ১৪ জন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১৭ জন, সহ-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১৫ জন, দপ্তর সম্পাদক পদে ১৭ জন, সহ-দপ্তর সম্পাদক পদে ১৪ জন, ছাত্রীকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৩ জন, সহ-ছাত্রীকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক পদে ১০ জন, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ১১ জন, গবেষণা ও উদ্ভাবনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ২০ জন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ১৫ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক ১৭ জন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ১৬ জন, যোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক ১৭ জন, সহ-যোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক ১৪ জন, আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ৯ জন, পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়াবিষয়ক সম্পাদক ২০ জন। এ ছাড়া নির্বাহী সদস্য পদে লড়ছেন ৮৫ জন।
আরও পড়ুন: চাকসু নির্বাচনের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নে ৫ সদস্যের রিভিউ কমিটি
অন্যদিকে, হল ও হোস্টেল সংসদে পদ সংখ্যা ১৪টি করে যার বিপরীতে মোট প্রার্থী ৯০৮ জন।
ভোটদান
প্রত্যেক ভোটার ৫টি ব্যালটে চাকসু ও হল সংসদে ৪০ জন প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। ভোট দিতে একেকজন ভোটার ১০ মিনিট সময় পাবেন। অর্থাৎ, একজন ভোটারকে প্রতি ২০ সেকেন্ডে একটি করে ভোট দিতে হবে।
এ নির্বাচনের ভোট হবে ব্যালট পেপারে। গণনা হবে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। এ পদ্ধতিতে ভোটারদের বৃত্ত পূরণ করে ভোট দিতে হবে।
ভোটের সরঞ্জাম এর মধ্যেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছে চাকসু নির্বাচন কমিশন।
ভোটের দিন শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১১ বার করে চট্টগ্রাম শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা–যাওয়া করবে শাটল ট্রেন। এ ছাড়া চলাচল করবে ৩০টি বাস।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস। চলছে পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের টহল।
নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাজারখানেক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। র্যাব, পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা দলও ক্যাম্পাসে টহল দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাত পেরোলে ডাকসু নির্বাচন, নতুন ভোরের অপেক্ষায় ক্যাম্পাস
ভোটের দিন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন, বিজিবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনী, রোভার স্কাউট ও বিএনসিসি মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন সদস্য মোতায়েন থাকবেন।
গত ২৮ আগস্ট চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এরপর ১ সেপ্টেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর যাচাই-বাছাই শেষে ১১ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়।
ওই মাসের ১৪ তারিখ থেকে মনোনয়ন পত্র বিতরণ শুরু হয়ে চলে ১৭ সেপ্টেম্বর। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে ২১ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়। পরে ২৫ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।
নির্বাচনের জন্য ১২ অক্টোবর দিন ঠিক করা হলেও পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সেটি পিছিয়ে ১৫ অক্টোবর করা হয়।
সার্বিক বিষয়ে চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. মুনির উদ্দিন বলেন, ৫টি ফ্যাকাল্টিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। এসব ফ্যাকাল্টির ৬০ কক্ষে ৭০০টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আসা যাওয়ার জন্য বাড়তি শাটল ট্রেন ও বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো ভোটকেন্দ্র থাকবে সিসিটিভির আওতায়।
১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথম চাকসু নির্বাচন হয় ১৯৭০ সালে। এরপর থেকে প্রতি শিক্ষাবর্ষে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত হয়েছে মোটে ছয়বার।
সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। ওই নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্র শিবিরকে পরাজিত করে চাকসু ও হল সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য।
ষষ্ঠ চাকসু নির্বাচনে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের প্রার্থী জাতীয় ছাত্রলীগের নাজিম উদ্দিন ভিপি নির্বাচিত হন। আর জিএস নির্বাচিত হন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আজিম উদ্দিন আহমদ।
৫১ দিন আগে
এখনও অচল চবি ক্যাম্পাস, এক হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটহাজারী থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৯৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও এক হাজার ব্যক্তিকে আসামি দেখানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। এতে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৯৮ জনের এবং অজ্ঞাতনামা ৮০০ থেকে এক হাজারজনকে আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা দপ্তর থেকে দেশীয় অস্ত্র লুটের ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়েছে।
এ দিকে সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার আশেপাশে ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনার তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশনস) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাউসার মোহাম্মদ হোসেন জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের হামলার ঘটনায় রবিবার রাতে প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা দুটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ক্লাস-পরীক্ষা এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
পড়ুন: বাকৃবির একাডেমিক কাউন্সিল সভার পরবর্তী ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
সংঘর্ষের প্রভাবে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউটের প্রায় ২৭ হাজার ৫৫০ শিক্ষার্থীর পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব পরীক্ষা স্থগিত রাখা হলেও বিভাগীয় সিদ্ধান্ত ও শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত হলে পরীক্ষা নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
তবে মঙ্গলবারও ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হননি। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন— হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নেবেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগ ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরবেন না।
পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কৌশলগত কারণে মামলার অগ্রগতি গোপন রাখছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
৯৪ দিন আগে
চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল।
রবিবার (৩১ আগস্ট) রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা ছাত্রদের উপর ‘হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’, ‘ফ্যাসিবাদের দোসরেরা হুশিয়ার, সাবধান’—ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এ সময় ছাত্রদল নেতারা বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হয়েছে। এর আগেও আমরা দেখেছি, জুলাই আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুরের উপর হামলা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সরকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর মধ্যে মতাদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু কোনো ধরনের বিভেদ নেই।জবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, ফ্যাসিবাদের দোসরেরা সারা দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে। তাদের হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, বাংলাদেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদের কোনো ঠাঁই নেই। ছাত্রদল যে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। যারা বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন, তারা সাবধান হয়ে যান।’
আরও পড়ুন: সংঘর্ষের ঘটনায় চবিতে ১৪৪ ধারা জারি
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ‘আমরা দেখছি কিছু কিছু মহল যারা দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চাচ্ছে, তারা আজ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদের উপর হামলা করেছে। আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল। ইন্টেরিম সরকার ষড়যন্ত্র রুখতে ব্যর্থ। আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানাই। একটি নির্বাচিত সরকারই দেশকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারবেন।’
বিক্ষোভ মিছিলে জবি ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
৯৫ দিন আগে
সরকারপ্রধান হিসেবে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সফরে ড. ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো নিজ জেলা চট্টগ্রাম সফর শুরু করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৪ মে) সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
আবুল কালাম ইউএনবিকে জানান, চট্টগ্রামে প্রায় ১২ ঘণ্টার এই সফরে প্রধান উপদেষ্টার একাধিক কর্মসূচি রয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অধ্যাপক ইউনূস এবং সমাবর্তন ভাষণ দেবেন।
প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন—মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, জ্বালানি উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফারিদা আখতার, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
আরও পড়ুন: ‘সমন্বিত অর্থনৈতিক কৌশলের’ আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
অধ্যাপক ইউনূসকে তার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মানসূচক ডক্টর অব লেটারস (ডি.লিট.) উপাধি প্রদান করবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
চবির অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূসের আবার নিজ ক্যাম্পাসে ফেরাকে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এ ছাড়া, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ থেকে তিনি কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর প্রস্তাবিত নতুন সড়ক ও রেল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। পরে আরও কিছু কর্মসূচি রয়েছে।
চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পরপরই প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করতে পারেন বলে ইউএনবিকে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
সমাবর্তন শেষে তিনি হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাতুয়া গ্রামে তার পৈতৃক বাড়ি পরিদর্শনে যাবেন।
২০৫ দিন আগে
অপহরণের সাত দিন পর মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী
অপহরণের সাত দিন পর মুক্তি পেয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ পাহাড়ি শিক্ষার্থী। তবে বুধবার (২৩ এপ্রিল) তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে একদিন পর বৃহস্পতিবার।
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে। অপহরণকারীদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী বর্তমানে তাদের গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, ‘পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ বিবৃতি দিয়েছে যে তারা তাদের সংগঠনের শিক্ষার্থীদের ফিরে পেয়েছে। আমরা ওই ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারে সাথে যোগাযোগ করেছি। তারাও নিজেদের পরিবার সদস্যদের ফিরে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তাহলে এখন মোটামুটি ধরে ধরে নেওয়া যায় যে ওই ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পরিবারের হেফাজতে আছেন।’
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে অপহৃত চবি শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে যৌথ অভিযান চলছে
বিজু উৎসব উদ্যাপন শেষে ফেরার পথে ১৬ এপ্রিল সকালে খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে পাঁচ শিক্ষার্থী ও তাদের বহন করা অটোরিকশার চালককে অজ্ঞাতনামা স্থানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন পিসিপির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র রিশন চাকমা, চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অপহরণকারীরা চালককে ওই সময় ছেড়ে দিয়েছিল।
পাঁচ পাহাড়ি শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় শুরু থেকে ইউপিডিএফকে দায়ী করে আসছে জেএসএস–সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিপুন ত্রিপুরা। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ইউপিডিএফের অন্যতম জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা।
২২৫ দিন আগে
৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি চবির অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থী
খাগড়াছড়ি জেলা শহরের গিরিফুল এলাকা থেকে অপহরণের পাঁচ দিন পরও উদ্ধার হয়নি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থী। তাদেরকে উদ্ধারে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে যৌথবাহিনী।
এদিকে ৫ শিক্ষাথীর নিঃশর্ত মুক্তি ও রাঙ্গামাটির কাউখালীতে পাহাড়ী ছাত্রী ধর্ষণের বিচারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পাহাড়ি ছাত্র ছাত্রীরা।
‘খাগড়াছড়ি আদিবাসী ছাত্র সমাজের’ ব্যানারে জেলা শহরের চেঙ্গী স্কোয়ার থেকে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের শাপলা চত্বর, আদালত সড়ক হয়ে কোর্ট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
তুষন চাকমার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুজন চাকমা ঝিমিত, বাংলাদেশ মারমা ষ্টুডেন্ট কাউন্সিলের উক্যনু মারমা, ত্রি পুরা ষ্টুডেন্টস ফোরামের সদর শাখার সভাপতি আকাশ ত্রিপুরা, চবির সাবেক শিক্ষাথী রহেল চাকমা, শিক্ষাথী মায়া চৌধুরীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
আরও পড়ুন: ৬ দফা দাবিতে বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ
এ সময় বক্তারা অবিলম্বে অপহৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি ও ধর্ষকের বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘ইউপিডিএফ শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির উসকানি দিয়ে ও অপহরণ বাণিজ্য শুরু করেছে।’
তারা এ ঘৃণ্য তৎপরতা থেকে ইউপিডিএফকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানান।
২২৯ দিন আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হলেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০তম উপাচার্য (ভিসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম তা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন চবি উপাচার্য
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ১২(২) ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাময়িকভাবে উপাচার্য পদে পাঁচ শর্তে নিয়োগ দেওয়া হলো।
শর্তগুলো হলো- উপাচার্য পদে এ নিয়োগ যোগদানের তারিখ থেকে কার্যকর হবে। উপর্যুক্ত পদে তিনি তার অবসর অব্যবহিত পূর্ব পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন এবং রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: হল ছাড়তে নারাজ চবি শিক্ষার্থীরা, সময় বাড়ালো প্রশাসন
৪৪৩ দিন আগে
হল ছাড়তে নারাজ চবি শিক্ষার্থীরা, সময় বাড়ালো প্রশাসন
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে হলত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সে নির্দেশ মানতে নারাজ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সন্ধ্যার ৬টার মধ্যে ছাত্রীদের এবং রাত ৯টার মধ্যে ছাত্রদের হল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এ নির্দেশনার পরও বেশিরভাগ আবাসিক শিক্ষার্থী হল ছাড়েনি।
এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার জন্য নতুন করে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে চবি প্রশাসন।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের পর সব কক্ষ সিলগালা করে দিতে প্রভোস্টদের নির্দেশ দেওয়া হয় চবি সিন্ডিকেট সভায়।
উপাচার্যের কাছে হলত্যাগে অপারগতার কথা জানিয়ে তিন দফা দাবিসহ লিখিত আবেদন করেছে শিক্ষার্থীরা।
দাবিগুলো হচ্ছে- সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো অবস্থাতেই হলত্যাগে বাধ্য করা যাবে না। হলের বাইরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহন করবে। হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বক্ষণ একজন হাউজ টিউটর উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: চবি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, আজকের মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ
বুধবার চবি প্রশাসনের নির্ধারিত হলত্যাগের সময়সীমা পার হয়ে গেলে দেখা যায়, ছাত্রীদের পাঁচটি হলের মধ্যে শুধুমাত্র ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল খালি। বাকিগুলো ছাত্রীরা অবস্থান করছে।
হলে অবস্থানরত এক ছাত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হুট করে আমাদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। আমার মতো যেসব শিক্ষার্থীর বাড়ি অনেক দূরে তারা চাইলেই এই মুহূর্তে হলে ছেড়ে যাওয়া সম্ভব না। আমাদের এখন হলে থাকতেই হবে। আর আমাদের ভাইয়েরা আন্দোলন করছেন। তাদের ছেড়ে এ মুহূর্তে বাড়ি যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’
ছাত্রদের পাঁচটি হল থেকেই কিছু ছাত্রকে বের হয়ে যেতে দেখা গেছে। তবে হলে রয়েছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অহিদুল আলম জানান, অনেক শিক্ষার্থীর বাড়ি দূরে হওয়ায় তাদের পক্ষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হল ছেড়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তারা আবেদন করলে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে হল খালি করে দিতে বলা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কেউ আমাদের কথা না শুনে থাকতে চায়, তাহলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন দায়ী থাকবে না।’
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলন: রাজধানীজুড়ে সহিংসতায় আহত অর্ধশতাধিক
৫০৫ দিন আগে
চবি ক্যাম্পাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য জব্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ আটক ৩০
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য সেবনরত অবস্থায় ৩০ জন শিক্ষার্থী ও বহিরাগতকে আটক করা হয়েছে।
তাদের কাছ থেকে গাঁজা ও বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, মাদক গ্রহণের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে ১১টি মোবাইল, ২৮টি মোটরসাইকেল ও ২টি প্রাইভেটকারও জব্দ করেছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৬ জুলাই) বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।
আটকদের মধ্যে ৮ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বাকিরা বহিরাগত এবং এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রক্টরিয়াল বডি।
আরও পড়ুন: ভোট কেন্দ্র দখলের অভিযোগে চবি ছাত্রলীগের ২৩ জনকে শোকজ
সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী একাডেমিক শাস্তির আওতায় আনা হবে। আর বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযানের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বলেন, ‘আমরা বায়োলজিকাল ফ্যাকাল্টির পুকুর পাড়, সেন্ট্রাল ফিল্ড, বঙ্গবন্ধু হলের পেছনে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ঝুপড়ি, উন্মুক্ত মঞ্চ ও এরকম নীরব-নির্জন বিভিন্ন জায়গা থেকে মাদকবসেবনরত অবস্থায় বহিরাগত ও আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করি। পরে তাদের কাছ থেকে আইডি কার্ড ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। আর বহিরাগতদের মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রায় ৩০ জনের অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদেরকে উচ্ছৃঙ্খল অবস্থায় আটক করা হয়। পরে তাদের মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। আমরা বহিরাগত বা মাদক, এসবের বিরুদ্ধে কিছুতেই ছাড় দেব না।’
আরও পড়ুন: চবিতে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে অভিযান, ৩০ মোটরসাইকেল জব্দ
৫১৬ দিন আগে
চবিতে স্থানীয়দের সঙ্গে বিরোধে দুই শিক্ষার্থী আহত, মূল ফটকে তালা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের বিরোধে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুই শিক্ষার্থী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শাহাদাত হোসেন ও মায়েশা।
এ ঘটনার জেরে ১ নম্বর গেইট ও রেলক্রসিং এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে দিয়েছে ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিএফসি।
আরও পড়ুন: চবিতে আবারও ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার চবি ছাত্রলীগ ও স্থানীয়দের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায় প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় সড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা।
সড়ক অবরোধকারীরা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবারের ঘটনায় হাটহাজারী থানায় মামলা করতে গেলে মামলা গ্রহণ করেনি।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি করলেও তার রিপোর্ট এখনো দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা এখনো নেওয়া হয়নি। তাই তারা এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয়দের এ আন্দোলন চলমান রয়েছে। এছাড়াও মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইটে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মোটরসাইকেলের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও ফতেপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিনের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে।
আরও পড়ুন: চবির শাটলে কথা কাটাকাটি, ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩
এ ঘটনায় বখতিয়ার ও ওই ছাত্রের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গেও বখতিয়ারের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গে বখতিয়ারের হাতাহাতির একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় ৩ জন। এ ঘটনার জের ধরেই স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের মারধর করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর রোকন উদ্দিন বলেন, পুলিশ প্রশাসন নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে। আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। সংঘর্ষের ঘটনা এড়াতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশেপাশের এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে চবি কর্তৃপক্ষ
৬৩০ দিন আগে