চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হলেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০তম উপাচার্য (ভিসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম তা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন চবি উপাচার্য
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ১২(২) ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাময়িকভাবে উপাচার্য পদে পাঁচ শর্তে নিয়োগ দেওয়া হলো।
শর্তগুলো হলো- উপাচার্য পদে এ নিয়োগ যোগদানের তারিখ থেকে কার্যকর হবে। উপর্যুক্ত পদে তিনি তার অবসর অব্যবহিত পূর্ব পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন এবং রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: হল ছাড়তে নারাজ চবি শিক্ষার্থীরা, সময় বাড়ালো প্রশাসন
২ মাস আগে
হল ছাড়তে নারাজ চবি শিক্ষার্থীরা, সময় বাড়ালো প্রশাসন
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে হলত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সে নির্দেশ মানতে নারাজ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সন্ধ্যার ৬টার মধ্যে ছাত্রীদের এবং রাত ৯টার মধ্যে ছাত্রদের হল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এ নির্দেশনার পরও বেশিরভাগ আবাসিক শিক্ষার্থী হল ছাড়েনি।
এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার জন্য নতুন করে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে চবি প্রশাসন।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের পর সব কক্ষ সিলগালা করে দিতে প্রভোস্টদের নির্দেশ দেওয়া হয় চবি সিন্ডিকেট সভায়।
উপাচার্যের কাছে হলত্যাগে অপারগতার কথা জানিয়ে তিন দফা দাবিসহ লিখিত আবেদন করেছে শিক্ষার্থীরা।
দাবিগুলো হচ্ছে- সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো অবস্থাতেই হলত্যাগে বাধ্য করা যাবে না। হলের বাইরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহন করবে। হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বক্ষণ একজন হাউজ টিউটর উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: চবি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, আজকের মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ
বুধবার চবি প্রশাসনের নির্ধারিত হলত্যাগের সময়সীমা পার হয়ে গেলে দেখা যায়, ছাত্রীদের পাঁচটি হলের মধ্যে শুধুমাত্র ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল খালি। বাকিগুলো ছাত্রীরা অবস্থান করছে।
হলে অবস্থানরত এক ছাত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হুট করে আমাদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। আমার মতো যেসব শিক্ষার্থীর বাড়ি অনেক দূরে তারা চাইলেই এই মুহূর্তে হলে ছেড়ে যাওয়া সম্ভব না। আমাদের এখন হলে থাকতেই হবে। আর আমাদের ভাইয়েরা আন্দোলন করছেন। তাদের ছেড়ে এ মুহূর্তে বাড়ি যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’
ছাত্রদের পাঁচটি হল থেকেই কিছু ছাত্রকে বের হয়ে যেতে দেখা গেছে। তবে হলে রয়েছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অহিদুল আলম জানান, অনেক শিক্ষার্থীর বাড়ি দূরে হওয়ায় তাদের পক্ষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হল ছেড়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তারা আবেদন করলে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে হল খালি করে দিতে বলা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কেউ আমাদের কথা না শুনে থাকতে চায়, তাহলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন দায়ী থাকবে না।’
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলন: রাজধানীজুড়ে সহিংসতায় আহত অর্ধশতাধিক
৪ মাস আগে
চবি ক্যাম্পাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য জব্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ আটক ৩০
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য সেবনরত অবস্থায় ৩০ জন শিক্ষার্থী ও বহিরাগতকে আটক করা হয়েছে।
তাদের কাছ থেকে গাঁজা ও বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, মাদক গ্রহণের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে ১১টি মোবাইল, ২৮টি মোটরসাইকেল ও ২টি প্রাইভেটকারও জব্দ করেছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৬ জুলাই) বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।
আটকদের মধ্যে ৮ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বাকিরা বহিরাগত এবং এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রক্টরিয়াল বডি।
আরও পড়ুন: ভোট কেন্দ্র দখলের অভিযোগে চবি ছাত্রলীগের ২৩ জনকে শোকজ
সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী একাডেমিক শাস্তির আওতায় আনা হবে। আর বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযানের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বলেন, ‘আমরা বায়োলজিকাল ফ্যাকাল্টির পুকুর পাড়, সেন্ট্রাল ফিল্ড, বঙ্গবন্ধু হলের পেছনে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ঝুপড়ি, উন্মুক্ত মঞ্চ ও এরকম নীরব-নির্জন বিভিন্ন জায়গা থেকে মাদকবসেবনরত অবস্থায় বহিরাগত ও আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করি। পরে তাদের কাছ থেকে আইডি কার্ড ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। আর বহিরাগতদের মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রায় ৩০ জনের অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদেরকে উচ্ছৃঙ্খল অবস্থায় আটক করা হয়। পরে তাদের মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। আমরা বহিরাগত বা মাদক, এসবের বিরুদ্ধে কিছুতেই ছাড় দেব না।’
আরও পড়ুন: চবিতে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে অভিযান, ৩০ মোটরসাইকেল জব্দ
৪ মাস আগে
চবিতে স্থানীয়দের সঙ্গে বিরোধে দুই শিক্ষার্থী আহত, মূল ফটকে তালা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের বিরোধে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুই শিক্ষার্থী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শাহাদাত হোসেন ও মায়েশা।
এ ঘটনার জেরে ১ নম্বর গেইট ও রেলক্রসিং এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে দিয়েছে ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিএফসি।
আরও পড়ুন: চবিতে আবারও ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার চবি ছাত্রলীগ ও স্থানীয়দের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায় প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় সড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা।
সড়ক অবরোধকারীরা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবারের ঘটনায় হাটহাজারী থানায় মামলা করতে গেলে মামলা গ্রহণ করেনি।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি করলেও তার রিপোর্ট এখনো দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা এখনো নেওয়া হয়নি। তাই তারা এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয়দের এ আন্দোলন চলমান রয়েছে। এছাড়াও মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইটে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মোটরসাইকেলের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও ফতেপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিনের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে।
আরও পড়ুন: চবির শাটলে কথা কাটাকাটি, ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩
এ ঘটনায় বখতিয়ার ও ওই ছাত্রের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গেও বখতিয়ারের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গে বখতিয়ারের হাতাহাতির একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় ৩ জন। এ ঘটনার জের ধরেই স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের মারধর করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর রোকন উদ্দিন বলেন, পুলিশ প্রশাসন নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে। আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। সংঘর্ষের ঘটনা এড়াতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশেপাশের এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে চবি কর্তৃপক্ষ
৮ মাস আগে
চবিতে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি: অধ্যাপক ড. মতিনকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪৮নং বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘যৌন হয়রানির অভিযোগটি গুরুতর। এজন্য একটা এজেন্ডা নিয়ে এই বিশেষ সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুইটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিটির সদস্যরা ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে অপসারণ করার সুপারিশ করেছে। সে অনুযায়ী সিন্ডিকেট চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
উল্লেখ্য, স্নাতকোত্তর পর্বের থিসিস করতে গিয়ে শিক্ষক মতিন কর্তৃক যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে ৩১ জানুয়ারি অভিযোগ করেন চবির রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রী। এরপর অভিযুক্ত শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার ও বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে মামলার দাবিতে টানা আন্দোলন ও অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
ওইদিন মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর অভিযোগপত্র দেন ওই শিক্ষার্থী। অভিযোগে বলা হয় থিসিস চলাকালীন ওই শিক্ষকের হাতে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হন তিনি। পরে ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
৯ মাস আগে
চবিতে আবারও ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ
পূর্ব বিরোধের জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আবারও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ছাত্রলীগের বিজয় ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে সংঘর্ষ শুরুর এক ঘণ্টা পর পুলিশ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়। বর্তমানে বিজয় গ্রুপ সোহরাওয়ার্দী হল ও সিক্সটি নাইন গ্রুপ শাহজালাল হলে অবস্থান করছেন। তবে এ ঘটনায় উভয় গ্রুপে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
সংঘর্ষে জড়ানো বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা নিজেদের সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এর আগে গতকাল বুধবারও বিজয় গ্রুপের কর্মী কামরুল ইসলামের গ্রুপ পরিবর্তন নিয়ে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
জানা যায়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কামরুল ইসলাম ২০১৯ সালের দিকে সিক্সটি নাইনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি বিজয় গ্রুপে যোগ দেন। এ নিয়ে সিক্সটি গ্রুপের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই কামরুলের বিরোধ হয়ে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে গত রবিবার কামরুলকে মারধর করেন সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা।
পরে বুধবার রাতে সোহরাওয়ার্দী হলে সিক্সটি নাইন গ্রুপের এক কর্মী রাতের খাবার খেতে এলে কামরুলের সঙ্গে তার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে আর সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
আরও পড়ুন: চবি সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের বার্ষিক পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
এ ঘটনার জের ধরে সিক্সটি নাইনের নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বিজয়ের এক কর্মীকে কলা ঝুপড়ি এলাকায় মারধর করে। এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বিজয়ের কর্মীরা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। পরে সিক্সটি নাইনের কর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেলে নিক্ষেপে লিপ্ত হয় গ্রুপ দুইটি।
শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের একাংশের নেতা সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী রাশেদকে পূর্বের ঘটনার জের ধরে আজকের চলমান পিঠা উৎসবে মারধর করে তারা। সেই মারধরের ঘটনা রূপ নেয় সংঘর্ষে।
চবি'র সহকারী প্রক্টর নাজেমুল মুরাদ বলেন, দুই পক্ষকেই হলে পাঠানো হয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
আরও পড়ুন: চবিগামী শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত
৯ মাস আগে
চবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন একই বিভাগের ছাত্রী।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) উপাচার্যের কার্যালয়ে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। এরপরই চবি প্রশাসন যৌন হয়রানি বিরোধী সেলের প্রধান অধ্যাপক ড. জারিন আক্তারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘একটি মেয়ে আমাদের কাছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: চবিতে একাডেমিক জট নিরসনের দাবিতে প্রধান ফটকে তালা
এদিকে এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিভাগটির একদল শিক্ষার্থী বিজ্ঞান অনুষদের সামনে বুধবার মানববন্ধন করেন।
লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী জানান, ‘থিসিস চলাকালীন সময়ে আমার সুপারভাইজার কর্তৃক যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হই। থিসিস শুরুর পর থেকে তিনি আমার সঙ্গে বিভিন্ন যৌন হয়রানিমূলক; যেমন-জোর করে হাত চেপে ধরা, শরীরের বিভিন্ন অংশে অতর্কিত ও জোরপূর্বক স্পর্শ করা, অসংগত ও অনুপযুক্ত শব্দের ব্যবহার করেছেন। কেমিক্যাল আনাসহ আরও বিভিন্ন বাহানায় তিনি আমাকে তার রুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক জাপটে ধরতেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত অধ্যাপক বলেন, ‘এ ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে এভাবে কেন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে আমি জানি না।’
আরও পড়ুন: ‘অবরোধ’ লিখে চবি প্রশাসনিক ভবনে ছাত্রদলের তালা!
চবি’র ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে তালা ঝুলানোর অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
৯ মাস আগে
চবিতে প্রথম আলোর প্রতিনিধির উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দৈনিক প্রথম আলো’র চবি প্রতিনিধি মোশারফ শাহের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন মোশারফ শাহ।
ভুক্তভোগী মোশারফ শাহের দাবি, সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তাকে মেরে রক্তাক্ত করেছে বিবাদমান ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের একাংশ। হামলাকারীরা শাখা ছাত্রলীগের উপ গ্রুপ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ারের (সিএফসি) কর্মী।
ভুক্তভোগী মোশাররফ চবি সাংবাদিক সমিতির সদস্য। আহত অবস্থায় মোশাররফকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোশাররফ শাহ জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি উপাচার্যের কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন 'ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, ভাঙচুর, প্রধান প্রকৌশলীকে মারধরসহ' সংবাদের বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য। এ সময় দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে ১৫-২০ জন ছাত্রলীগের কর্মী তাকে প্রথমে পেছন থেকে ধাক্কা দেন। এরপর ছাত্রলীগ নিয়ে কেনো প্রতিবেদন তৈরি করেছেন, তা জানতে চান। কয়েকজন তার কপালে, মুখে কিলঘুষি দেন। তার বুকে লাথি দেন। হাতেও আঘাত করেন।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত
মোশাররফ জানান, মারধরের সময় নেতা-কর্মীরা তাকে পরবর্তীতে আর ছাত্রলীগ নিয়ে প্রতিবেদন না ছাপানোর হুমকি দেন। তারা বলেন, ‘আর নিউজ করিস, তারপর দেখব তোরে কে বাঁচাতে আসে। ছাত্রলীগকে নিয়ে কোনো নিউজ হবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আবু তৈয়ব বলেন, ‘মোশাররফের কপালে চার সেলাই দিতে হয়েছে। তাকে হাতেও আঘাত আছে। এক্সরে করাতে হবে। এ ছাড়া উন্নত চিকিৎসা জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে।’
ছাত্রলীগের উপ গ্রুপ সিএফসির নেতৃত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রেজাউল হক।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। তিনি বলেন আমরা এ নিয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’
এদিকে গত ৩ দিন ধরে চবি ছাত্রলীগের অভ্যন্তরিণ বিরোধের জেরে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে আসছে। এ অবস্থায় আজ রবিবার দুপুরে কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ চবি ছাত্রীগের শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: চবিতে চতুরমুখী সংঘর্ষে লিপ্ত ছাত্রলীগ
চবিতে সংঘর্ষ: ৫ বহিরাগত আটক, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
১ বছর আগে
ফের চালু হল চবি’র শাটল ট্রেন
অবশেষে চালু হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের বহনকারী শাটল ট্রেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রেলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে চবি প্রশাসনের বৈঠকের পর দুপুর ২টা ৫০ মিনিট থেকে শাটল ট্রেন চালু হয়েছে।
শহরের বটতলী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে একটি ট্রেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারি সমিতির প্রচার সম্পাদক শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমাদের ছয় দফা দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়ায় দুপুর থেকে ট্রেন চালু হয়েছে।
ষোলশহর স্টেশন মাস্টার জয়নাল আবেদিন বলেন, রেল স্টাফরা সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখলেও দুপুরে চালু করেন।
আরও পড়ুন: চবিতে ভাঙচুরের ঘটনায় ২ মামলা
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে চৌধুরী হাট এলাকায় ভেঙে পড়া গাছের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গামী ট্রেনের ধাক্কা লাগলে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের লোকমাস্টারদের (এলএম) লাঞ্ছিত করে। পরে তারা উপাচার্যের বাসভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন পুলের প্রায় অর্ধশতাধিক ছোট-বড় গাড়ি ভাঙচুর করে।
রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতের দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী আহত হলে আমাদের দুই লোকমাস্টারকে লাঞ্ছিত করা হয়। ফলে নিরাপত্তার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় তারা আমাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর বটতলী রেলস্টেশন থেকে কোনো ট্রেন চবি ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ছেড়ে না যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছিল।
আরও পড়ুন: চবির শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহত ২০, রাতভর উত্তাল ক্যাম্পাস
চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনের ধাক্কায় নিহত নানী-নাতি
১ বছর আগে
কমিটির দাবিতে চবি ফটকে ছাত্রলীগের অবরোধ
মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিল এবং নতুন কমিটি গঠনের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ছাত্রলীগের একাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আন্দোলনকারীরা মূল ফটকের সামনে অবস্থানের খবর পেয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে ছুটে যান।
প্রধান ফটক আটকে অবরোধের ডাক দেওয়া চবি ছাত্রলীগের একাংশ ‘ভিএক্স গ্রুপ’ ক্যাম্পাসে সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
চবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মেয়াদপূর্তি হয়েছে তিন বছর আগেই।
গত বছর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করলেও তা ছিল বিতর্কিত। ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে নতুন কমিটির বিকল্প নেই। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসলেও সভাপতি সম্পাদক কোনো উদ্যোগ নেননি।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধে চবির মূল ফটকে তালা
তিনি আরও বলেন, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নিষ্ক্রিয়তার জন্য ছাত্রদল শোকের মাসে ক্যাম্পাসে মিছিল করার সাহস দেখায়। সুতরাং আমাদের দাবি দ্রুত সময়ে বর্তমান মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন। নতুবা আমাদের আন্দোলন চলবে। এক বছরের জন্য গঠিত কমিটি ইতোমধ্যে চার বছর হয়ে গেছে। এসব কিছু মিলিয়ে আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে চবি ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানাচ্ছি।
চবির সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম জানান, কিছু ছাত্র অবরোধ করেছে শুনেছি। সেখানে শিক্ষকরা যাচ্ছেন। এখনো বিস্তারিত জানি না।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই রেজাউল হক রুবেলকে সভাপতি ও ইকবাল হোসেন টিপুকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। আর ২০২২ সালের ৩১ জুলাই ৩৭৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
আরও পড়ুন: চবিতে সাংবাদিককে নির্যাতন, ২ ছাত্রলীগকর্মী বহিস্কার
চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে ৩ কমিটি
১ বছর আগে