বৃহস্পতিবার এক মতিবিনিময় সভায় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থীকে হত্যাকারী সুপ্রভাত পরিবহনের কোনো রুট পারমিট ছিল না।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘মেধাবী শিক্ষার্থী আবরারের মৃত্যুতে প্রতীয়মান হয় যে আমরা সড়কের শৃংখলা রক্ষা করতে পারিনি। এটা আমাদের সবার ব্যর্থতা। আমাদের কেউই এর দায় এড়াতে পারি না। এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটুক আমরা তা চাই না।’
তিনি আরও বলেন, সবাই আন্তরিকতার সাথে দায়িত্বপালন করলে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতো না।
ডিএমপির ট্রাফিক পূর্ব বিভাগ মহানগর নাট্যমঞ্চে ট্রাফিক শৃংখলা এবং সচেতনতার ওপর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রধান ফটকের সামনে ‘সুপ্রভাত পরিবহনের’ একটি বাস আবরার আহমেদ চৌধুরীকে ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে নিরাপদ সড়কের দাবিতে নতুন করে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।
আছাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে বাস মালিকরা চালকদের সঙ্গে দৈনিক চুক্তিতে গাড়ি নামান এবং সড়ক দুর্ঘটনার পেছনে প্রধান কারণ বাসের হেলপাররা। ‘কোনো মালিক ড্রাইভারকে এমন চুক্তিভিত্তিক গাড়ি দিতে পারবে না।’
তিনি বলেন, রংচটা, ফিটনেসবিহীন ও মডেল আউট কোনো গাড়ি যাতে শহরে না চলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। ‘আমরা ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান জোরদার করবো।’
ডিএমপি প্রধান বলেন, সুপ্রভাত পরিবহনের ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়কে চলাচলের অনুমতি ছিল। কিন্তু মালিকরা অবৈধভাবে ঢাকায় এটি পরিচালনা করে।
তিনি বলেন, বাসের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের ২৭টি মামলা করেছে পুলিশ।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, জাবালে নূর এবং সুপ্রভাত পরিবহনের রুট পারমিট ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে। ‘ওই দুই বাস কোম্পানিকে বৈধ এবং ফিটনেস সম্পর্কিত সকল কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, শুধুমাত্র যেসব বাসের ফিটনেস এবং বৈধ কাগজপত্র রয়েছে সেগুলোকেই ঢাকা শহরে চলাচলের অনুমোদন দেয়া হবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এতে লাখ লাখ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। ‘দায়িত্ববান হও, এবং তোমরা ক্লাসে ফিরে যাও ও নিজের কাজে মনোযোগী হও। আমরা চালককে গ্রেপ্তার করেছি এবং বাসটি জব্দ করেছি।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, জেব্রা ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার কারণে সুপ্রভাত পরিবহনের বাস চালকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।