এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি আশঙ্কা প্রকাশ করে, এ পদক্ষেপের ফলে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসন কেন্দ্রিক দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে দুদকের ওপর অর্পিত আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালনে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা তৈরি হতে পারে।
‘এমন আত্মঘাতী ও অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত হয়ে থাকলে তা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি,’ যোগ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্য অনুযায়ী, ডিসি সম্মেলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার আলোচনায় অংশ নিয়ে দুদক চেয়ারম্যান যেভাবে জেলা প্রশাসকদের সংশ্লিষ্ট জেলার সার্বিক প্রশাসনিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের অংশ হিসেবে মাঠ পর্যায়ে দুদকের কার্যক্রম দেখভাল করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন, তা উভয় কর্তৃপক্ষের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে দ্বন্দ্বের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
এমন সিদ্ধান্ত যদি হয়ে থাকে তবে তা বিশেষ করে স্থানীয় দুদকের কার্যক্রমে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ এবং অনৈতিক ও দুর্নীতি সহায়ক প্রভাব সৃষ্টি করবে জানিয়ে তিনি বলেন, দুদকের যতটুকু ক্ষমতা ও নিরপেক্ষতা বজায়ের সুযোগ আইনগতভাবে দেয়া হয়েছে তাও সম্পূর্ণভাবে বিসর্জিত হবে।
ড. ইফতেখারের মতে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হাতে দুদকের দেখভালের এখতিয়ার অর্পিত হলে তা ব্যাপক স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি করবে। অন্যদিকে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ও অভিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তদন্তের ক্ষেত্রে দুদকের প্রত্যাশিত ভূমিকা পালনের পথ চিরতরে রুদ্ধ হবে।
দুদক যেন তার আইনগত ভিত্তির ওপর নির্ভর করে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানায় টিআইবি।