তিনি বলেন, ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন। সেই দর্শন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।’
বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল সম্পর্কে অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া ও চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী।
শিরীন শারমিন বলেন, ২০১৯-২০ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যাপ্তি বাড়িয়ে ৭৪ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। ফলে এ খাতে আরও বেশি সংখ্যক সুবিধাভোগী সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা ভোগ করবেন। সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা যাতে অধিক সংখ্যক নারী পায় সে পদক্ষেপও সরকার গ্রহণ করেছে।
সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা দারিদ্র্য ও বৈষম্য প্রতিরোধ, বৃহত্তর মানব উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃজন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে কার্যকর অবদান রাখতে সক্ষম বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সামাজিক নিরাপত্তা বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত জানিয়ে স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথম বিধবা ভাতা চালু করেন। সময়ের পরিক্রমায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা ও প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধীদের সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশে দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দারিদ্র্য বৈষম্য নিরসনে সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
মাঠ পর্যায়ে সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের সুবিধা যাতে প্রকৃত দরিদ্র ব্যক্তির কাছে পৌঁছে সে বিষয়ে সংসদ সদস্যরা প্রয়োজনীয় তদারকি করবেন বলে স্পিকার আশা প্রকাশ করেন।
কর্মশালায় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) ড. শামসুল আরেফিন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ যথাক্রমে জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল, কর্মপরিকল্পনা ও সামাজিক নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট এসডিজি লক্ষ্য নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
হুইপ আতিকুর রহমান আতিক, ইকবালুর রহিম, মাহবুব আরা বেগম গিনি ও শামসুল হক চৌধুরী এবং সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় একাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত ১০৩ জন সংসদ সদস্য অংশ নেন।