স্পিকার
রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানো নিয়ে রুল জারি
রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানো বিধানের বৈধ কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় সংসদের স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিষয়ে যুক্ত করা বিধান কেন ১৯৭২ সালের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) গীতিকবি, লেখক শহীদুল্লাহ ফরায়জীর করা রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে আট সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে বুধবার (১১ মার্চ) রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ওমর ফারুক।
আইনজীবী বলেন, ‘সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর আগে প্রধান বিচারপতিকে শপথ পাঠ করাতেন রাষ্ট্রপতি, আর রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠ করাতেন প্রধান বিচারপতি। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির শপথ পাঠ করানোর বিধানে পরিবর্তন আনা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার। পরে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে এই বিধান বাতিল করে দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠ করাবেন স্পিকার, সেই বিধান ফিরিয়ে আনা হয়। তাই বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করলে আদালত আজ রুল জারি করেছেন।’
এর আগে গত সোমবার কবি, গীতিকার, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট শহীদুল্লাহ ফরায়েজী এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদেনে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘রাষ্ট্রপতির শপথে প্রধান বিচারপতির অনিবার্যতা’ শীর্ষক প্রকাশিত একটি কলামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যেটি লিখেছেন রিটকারী শহীদুল্লাহ ফরায়জী।
আরও পড়ুন: সম্মানসূচক রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান
ওই কলামের একটি অংশে বলা হয়, বিশ্বের অধিকাংশ দেশে রাষ্ট্রপতি বা প্রেসিডেন্টকে শপথ বাক্য পাঠ করান সেই দেশের প্রধান বিচারপতি। সংসদীয় সরকার পদ্ধতি বা রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতির দেশেও রাষ্ট্রপতি শপথ গ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতির নিকট।
এটা বিশ্বব্যাপী সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত রেওয়াজ। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যত্যয় দেখা যাচ্ছে। আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার। রাষ্ট্রের প্রধানের শপথ গ্রহণের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগকে উপেক্ষা করা প্রকারান্তরে রাষ্ট্রের তিন বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য বিনষ্ট করা। এতে সংবিধানের গভীর দার্শনিক ভিত্তি থেকে রাষ্ট্র বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেই দার্শনিক ভিত্তি হচ্ছে- রাষ্ট্রপতি সংসদের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে প্রধান বিচারপতির নিকট শপথ গ্রহণ করে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, এটাই হচ্ছে প্রজাতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য সাংবিধানিক নির্দেশনা।
রাষ্ট্রপতির প্রধান বিচারপতির নিকট শপথ বাক্য পাঠ করার এই বাধ্যবাধকতা এবং মহিমান্বিত সাংবিধানিক মর্যাদা প্রজাতন্ত্রের কেউ বিনষ্ট করতে পারেন না, কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার তা করেছে।
সংবিধানের চতুর্থ ও পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই আইন বলবৎ করা হয়েছে, যা প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে চরমভাবে সাংঘর্ষিক। এটা আইন ও বিচারবিভাগের প্রতি ছিল আওয়ামী সরকারের অসম্ভব বিদ্বেষমূলক আচরণ প্রকাশের নজির— যা সাংবিধানিক ন্যায্যতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ করেছে।
‘৭২ সালের সংবিধানে প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য ও প্রধান বিচারপতির মর্যাদা সুরক্ষার প্রশ্নে শপথ ও ঘোষণার তৃতীয় তফসিলে বলা হয়েছিল— ‘রাষ্ট্রপতি, স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকারের শপথ প্রধান বিচারপতি কর্তৃক পরিচালিত হইবে।’ এগুলো আইনবিভাগ ও শাসনবিভাগের সঙ্গে বিচারবিভাগের ভারসাম্যপূর্ণ নীতি, যা সংবিধান প্রণয়নের সময়ই চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত।
১৯৭২ সালের সংবিধানে প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য এবং চরিত্র যতোটুকু সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল, আওয়ামী লীগ অতি দ্রুত তা ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশ নামক প্রজাতন্ত্রকে আওয়ামী লীগ নামক দলটি কীভাবে দেখতে চায়— তার প্রতিফলন ঘটেছে তাদের আনীত সংবিধানের চতুর্থ ও পঞ্চদশ সংশোধনীতে। রাষ্ট্রপতির শপথ স্পিকারের নিকট; এমন দেশ খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর । বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য পুনরুদ্ধারে— রাষ্ট্রপতি, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের শপথ প্রধান বিচারপতি কর্তৃক পরিচালিত হবে, এ বিধান বাংলাদেশে আবার চালু বা পুনর্বহাল করতে হবে। প্রজাতন্ত্রের গণতান্ত্রিক ও শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিকাশের স্বার্থেই তা করা প্রয়োজন।
৩৭ দিন আগে
স্বনির্ভর উদ্যোক্তা তৈরিতে জয়িতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ নারীদের পণ্য বিপণন ও বাজারজাতকরণে জয়িতা কাজ করে যাচ্ছে। সরকারিভাবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে নারীদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নারীদের এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশীয় পণ্য বাজারজাতকরণের মাধ্যমে স্বনির্ভর উদ্যোক্তা তৈরিতে জয়িতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংসদীয় কূটনীতি কার্যকর হাতিয়ার: স্পিকার
বুধবার রাজধানীর জয়িতা টাওয়ারের সভাকক্ষে 'জয়িতা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম-সংক্রান্ত মত বিনিময়' সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমির সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারক।
স্পিকার বলেন, জয়িতার উদ্যোক্তারা কী ধরনের পণ্যের যোগান দেবেন, সে বিষয়ে একটা তালিকা তৈরি করতে হবে। দেশীয় পণ্যের বিপণনে এক্ষেত্রে প্রাধান্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, জয়িতা টাওয়ারে ক্লাস্টারভিত্তিক পণ্য ও সেবা বিক্রয়ের জন্য ব্যবসায়ী উদ্যোগ নিতে হবে।
স্পিকার বলেন, বর্তমান সরকার নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি নারী উদ্যোক্তাকে শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তায় পরিণত করতে হবে।
তিনি বলেন, ফ্রোজেন ফুড, টেইলারিং ও ফ্রেশ ভেজিটেবল বিক্রয়সহ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের সমন্বিত ব্যবসায়ী উদ্যোগের মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী হতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জয়িতার উদ্যোক্তাদের জামানতবিহীন ঋণ দেওয়া হয়। নারী উদ্যোক্তারা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদের এগিয়ে নিতে পারে।
অনুষ্ঠানে জয়িতা টাওয়ারে লেভেল ৩ ও ৪ এ ব্যবসা-সংক্রান্ত পরিচালন পদ্ধতিতে বিশেষজ্ঞ প্যানেলে জয়িতা ফাউন্ডেশনের নারী উদ্যোক্তারা মতামত দেন। এসময় স্পিকারকে জয়িতা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ফুলেল অভ্যর্থনা ও শুভেচ্ছা স্মারক দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য শ্রমবাজার নয়, মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়া জরুরি: স্পিকার
দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ইউসেফ বাংলাদেশ কাজ করছে: স্পিকার
২৮০ দিন আগে
উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য শ্রমবাজার নয়, মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়া জরুরি: স্পিকার
শুধু জ্ঞানার্জন নয়, মানবিক মূল্যবোধের জন্য উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘চিন্তার উৎকর্ষ সাধন ও মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি বিকশিত করার জন্য উচ্চশিক্ষা প্রয়োজন। এছাড়া উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য শুধু শ্রমবাজার নয়, মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়া জরুরি।’
সোমবার (১ জুলাই) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উচ্চশিক্ষা’ প্রতিপাদ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংসদীয় কূটনীতি কার্যকর হাতিয়ার: স্পিকার
স্পিকার আরও বলেন, ‘১৯৪৮ সালে জিন্নাহর উর্দু ভাষাকে কেন্দ্র করে আন্দোলন, ৫২ সালের ভাষা শহীদের রক্তে রঞ্জিত রাজপথ, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু উপাধি এবং ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের আত্মত্যাগের ইতিহাস এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ প্রণয়ন করেন। এই আদেশবলে এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয়ে আসছে।’
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বেশিরভাগ তরুণ। এই তরুণদের অনেক বেশি কর্মদক্ষতা রয়েছে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড সুবিধা কাজে লাগানোর এখনই উপযুক্ত সময়। তরুণদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে সব সুযোগ-সুবিধা উন্মুক্ত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে উচ্চশিক্ষায় জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশে অভিযোজনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। তরুণদের শ্রমবাজারের উপযোগী করে বিশেষায়িত জ্ঞানে সজ্জিত করতে হবে।’
স্পিকার বলেন, ‘তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের যুগে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উচ্চশিক্ষার কারিকুলামে পরিবর্তন আনতে হবে। ফ্রিল্যান্সিংসহ স্টার্টআপের বিভিন্ন ধরনের কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হওয়ার উপযোগী করে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর ইমেরিটাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ইউসেফ বাংলাদেশ কাজ করছে: স্পিকার
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
এসময় স্পিকারকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্মরণিকা, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইতিহাস ও ঐতিহ্য' খণ্ডসমগ্র দেওয়া হয়।
২৮৯ দিন আগে
নিজ গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করলেন ডেপুটি স্পিকার
নিজের গ্রাম পাবনার বেড়া উপজেলার বৃশালিখা ঈদগাহ মাঠে নির্বাচনি এলাকার জনগণের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদের জামাত শুরু হয় সকাল ৮টায়। ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ডেপুটি স্পিকার।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত
এ সময় তিনি বলেন, ‘ঈদ হলো মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এটি মুসলিম উম্মাহর জন্য সবচেয়ে বড় উপহার। ঈদ সবার জন্য শান্তির বার্তা নিয়ে আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই উৎসবের মাধ্যমে ধনী-দরিদ্র, ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণিবৈষম্যসহ সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে দাঁড়ায়। মানুষের মধ্যে আত্মার বন্ধন সৃষ্টি হয়। এই বন্ধনকে আমাদের সবসময় অটুট রাখতে হবে।’
এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের শাহাদতবরণকারী সকল সদস্যের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও সারাবিশ্বের মানুষের শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
নামাজ শেষে ডেপুটি স্পিকার পারিবারিক কবরস্থান জিয়ারত করেন।
ঈদের নামাজে স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত
বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সিলেটে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত
৩০৪ দিন আগে
দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ইউসেফ বাংলাদেশ কাজ করছে: স্পিকার
দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ইউসেফ বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কারিগরি শিক্ষা ও শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউসেফ নামে কর্মজীবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: স্পিকারের নেতৃত্বে সংসদীয় দল রাতে জেনেভার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে
বুধবার শাহবাগস্থ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব কনভেনশন হলে ইউসেফের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের উন্নয়ন, সুরক্ষা ও বিকাশের পাশাপাশি মানবসম্পদ উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। যুব সমাজকে কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধ করে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও সমান সুযোগ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তরুণ প্রজন্ম নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য নিয়ে ইউসেফ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অসচ্ছল পরিবারের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা আজ কর্মসংস্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন- এটাই ইউসেফের সফলতা।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের অনবদ্য প্লাটফর্ম নারী স্পিকারদের সামিট: স্পিকার
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংসদীয় কূটনীতি কার্যকর হাতিয়ার: স্পিকার
৩২৯ দিন আগে
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংসদীয় কূটনীতি কার্যকর হাতিয়ার: স্পিকার
বর্তমান বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংসদীয় কূটনীতি সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ‘ফার্স্ট মিটিং অব দ্য প্রিপারেটরি কমিটি ফর দ্য সিক্সথ ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অব স্পিকার্স অব পার্লামেন্ট (২০২৫)’ শীর্ষক কনফারেন্সে এ কথা বলেন।
স্পিকার আরও বলেন, ‘যেসব সমস্যা বিশ্বের মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে, সংসদীয় কূটনীতি সেগুলো সমাধানে কাজ করতে পারে। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংসদীয় কূটনীতি কার্যকর হাতিয়ার।’
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অব স্পিকার্স অব পার্লামেন্ট একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। এই ইভেন্টে বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টের স্পিকাররা প্রতি পাঁচ বছর পরপর একত্রিত হয়ে সমসাময়িক বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে স্পিকাররা উদীয়মান চ্যালেঞ্জের উদ্ভাবনী সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন বলে মনে করেন তিনি।
স্পিকার বলেন, পার্লামেন্টের স্পিকারদের বৈশ্বিক কনফারেন্স বিশ্বের প্রতিটি মানুষের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে অনুরণিত হবে।
তিনি আরও বলেন, দারিদ্র্য, অসমতা, ধনী-গরিব বৈষম্য, অভিবাসন সমস্যা, অর্থনৈতিক মন্দা ইত্যাদি বর্তমান সময়ে খুবই প্রাসঙ্গিক। আসন্ন স্পিকারদের সম্মেলনে এসব প্রাসঙ্গিক বিষয়ে এজেন্ডা রাখতে হবে যেন এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
কনফারেন্সে আরও ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম. এ কামাল বিল্লাহ, যুগ্মসচিব মো. এনামুল হক, ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যাকশন, সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগং, অ্যাঙ্গোলা, কানাডা ও জাম্বিয়ার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার, কাতারের সূরা কাউন্সিলের ডেপুটি স্পিকার, আলজেরিয়ার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্টসহ বিভিন্ন দেশের স্পিকাররা।
৩৩৫ দিন আগে
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার আহ্বান স্পিকারের
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, অটিজম একটি বিশেষায়িত বিষয়, সমাজের সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন করতে যথাযথ প্রচার চালাতে হবে।
সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ বিমানবাহিনী পরিচালিত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের স্কুল ‘ব্লু স্কাই’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্পিকার।
আরও্র পড়ুন: রাজনৈতিক দলগুলোতে নারীর অন্তর্ভুক্তি দেশকে আরও কার্যকর গণতন্ত্রের দিকে পরিচালিত করে: স্পিকার
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে শিশুদের অধিকার সংরক্ষণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু শিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের জন্য সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করে চলেছেন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেছেন তিনি।
শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন প্রত্যেক শিশুকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে। তাদের প্রতিভা ও মেধাকে বিকশিত করার সুযোগ করে দিতে হবে। সমাজের সবাইকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে।
অন্তর্ভুক্তিমূলক মানবিক সমাজ গঠনে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে আহ্বান জানান স্পিকার।
এ সময় তিনি অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে কাজ করার জন্য সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের 'ব্লু স্কাই' স্কুল নির্মাণের জন্য বিমানবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।
এরপর স্পিকার 'কবিতায় মুজিব' ও 'বঙ্গমাতা' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং 'ব্লু স্কাই' স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
এ সময় স্পিকারকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান এবং ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু জাফর চৌধুরী (অবসরপ্রাপ্ত) বক্তব্য দেন।
এ সময় আরও ছিলেন- বাফওয়া কেন্দ্রীয় পরিষদের সভানেত্রী তাহমিদা হান্নান, বিমানবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ব্লু স্কাই শিক্ষকরা, শিক্ষার্থীরা ও তাদের পরিবার এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা।
আরও্র পড়ুন: নেপাল-ভুটানের সঙ্গে সংযোগ সহজ করবে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর: স্পিকার
৩৩৮ দিন আগে
বিশ্বকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে: স্পিকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবিলায় জলবায়ু সহনীয় কৃষি, অর্গানিক ফার্মিং এবং গ্রিন এন্ট্রাপ্রেনারশিপ চালু করতে হবে। বিশ্বকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের নবনির্বাচিত কমিটির ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নবগঠিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে স্পিকার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবিলায় ক্লাইমেট পার্লামেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশ্বের ৭৪টি দেশে বর্তমানে তারা কাজ করছে। পরিবেশ রক্ষায় জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আনতে পারাই- ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সার্থকতা।
আরও পড়ুন: নেপাল-ভুটানের সঙ্গে সংযোগ সহজ করবে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর: স্পিকার
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ সংরক্ষণে মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্লান, ডেলটা প্লানসহ প্রয়োজনীয় আইন ও নীতি বাস্তবায়ন করেছেন।
বাংলাদেশের নদী দূষণের কথা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, বাড়ির পাশের প্রবাহিত নদী দূষণমুক্ত রাখার জন্য সচেতনতা তৈরিতে স্থানীয় জনসাধারণকেই ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সদস্যরা সকলে সংসদ সদস্য হলেও জাতীয় সংসদের সঙ্গে এর কোনো পার্টনারশিপ নেই। জাতীয় সংসদ ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে কাজ করতে এবং সকল ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
অনুষ্ঠানে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের সভাপতি তানভীর শাকিল জয় নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিযোজনের জন্য সরকার প্রতি বছর ৩.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে: পরিবেশমন্ত্রী
ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের কনভেনার নাহিম রাজ্জাক, ক্লাইমেট পার্লামেন্টের চিফ প্যাটর্ন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বক্তব্য প্রদান করেন।
এছাড়া দক্ষিণ এশিয়া সেক্রেটারিয়েটের ক্লাইমেট পার্লামেন্টের পলিসি অ্যাডভাইজর সুমেধা বসু, ক্লাইমেট পার্লামেন্টের ফাউন্ডার ও চীফ স্ট্রাটেজি অফিসার নিক ডানলপ ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুয়, আরমা দত্ত, আবুল কালাম আজাদ, আশেক উল্লাহ রফিক, এস এম শাহজাদা, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন জলিল জন, হাবিবুর রহমান, মাহবুব উর রহমান রুহেল, কোহেলি কুদ্দুস মুক্তি, জারা জাবিন মাহবুবসহ ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও নেপালের রাষ্ট্রদূত, ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সদস্যরা, সংসদ সদস্যরা, বিভিন্ন দেশের ক্লাইমেট পার্টনার্স, এনজিওর প্রতিনিধিরা, আমন্ত্রিত অতিথিরা এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড পেলেন শেখ হাসিনা
৩৮০ দিন আগে
স্পিকারের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা সান হাইয়ানের সাক্ষাৎ
সফররত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের ভাইস মিনিস্টার সান হাইয়ান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) স্পিকারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্ব, ব্যবসা-বাণিজ্য, রোহিঙ্গা, বঙ্গবন্ধুর চীন সফর, সংসদীয় কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: আবারও শীর্ষ করদাতা বিএটি বাংলাদেশ
স্পিকার বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। উভয় দেশের জাতীয় সংসদের মধ্যে সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠন এবং সংসদীয় রীতিনীতি বিনিময়ের মাধ্যমে এই সম্পর্ক আরও জোরদার করা যেতে পারে।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বসবাস করছে উল্লেখ করে স্পিকার রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনের সহায়তা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ভারত: পরিবেশমন্ত্রী
৪৪৭ দিন আগে
শপথ নিলেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা বুধবার (১০ জানুয়ারি) শপথ নিয়েছেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ ভবনে পৌঁছানোর পর সকাল ১১টার দিকে সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন।
সংবিধানের ১৪৮ (২ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে, সরকারি গেজেটে নির্বাচনের ফল প্রকাশের ৩ দিনের মধ্যে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নিতে হবে, অন্যথায় তাদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে ১১ জানুয়ারি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের ওপর ২৯৮ জন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যের বিবরণসহ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ২২২টি আসনে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়লাভ করেন।
প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন। ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি পেয়েছে একটি করে আসন।
নওগাঁ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানকার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আসনটিতে নির্বাচনের জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষের কারণে ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফলাফল স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির এমপিরা পরে শপথ নেবেন: জাপা মহাসচিব
নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বুধবার
৪৬৩ দিন আগে