ঢাবি টিচার্স ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রোকেয়া হলের ছাত্রীরা তাদের হল সংসদে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন। সেই সাথে ১১ মার্চ সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ‘ব্যর্থতার’ জন্য হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগও চাচ্ছেন।
এছাড়া, তারা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেছেন।
মামলা প্রত্যাহার নিয়ে জিনাত হুদা বলেন, হল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়নি। ‘তারপরও ছাত্রীরা যদি তাদের দাবি নিয়ে আমার কাছে আসেন তাহলে আমি তাদের সাথে এটি নিয়ে আলোচনা করব।’
তিনি আরও বলেন, হল সংসদ নির্বাচনে কথিত অনিয়মের জন্য তাকে দায়ী করা ঠিক নয়।
পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে অনশন ধর্মঘটে যাওয়া ছাত্রীদের সাথে দেখা করেছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রাধ্যক্ষ জিনাত বলেন, তিনি সেখানে হাউজ টিউটরদের পাঠিয়েছিলেন। ‘এছাড়া, তাদের নিরাপত্তার জন্য সেখানে প্রক্টরিয়াল টিম রয়েছে।’
রোকেয়া হলের কয়েকজন ছাত্রী নতুন নির্বাচনের দাবিতে বুধবার রাত থেকে অনশন ধর্মঘট শুরু করেন।
সোমবার রাতে প্রাধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে রোকেয়া হলের বাসিন্দা মারজুকা রাইনা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নূরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
প্রায় তিন দশক পরে সোমবার ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভোট জালিয়াতির অভিযোগে ছাত্রলীগ বাদে সব প্যানেল নির্বাচন বর্জন করেছিল।