সোমবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
ভোলা-১ আসনে ইভিএমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে গত ৩০ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে চিঠি দেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির ( বিজেপি) চেয়ারম্যান পার্থ। কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনে দেয়া চিঠিতে পার্থ জানান, ইভিএম ব্যবহারের জন্য তিনি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যয় বহন করতেও রাজি আছেন।
বিজেপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ভোটাধিকারের মতো একটি গণতান্ত্রিক অধিকারের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ সৃষ্টি করা না হলে তা অত্যন্ত দুঃখজনক হবে।
বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করে আসছে। তবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ব্যবস্থাটির পক্ষে রয়েছে।
এ নিয়ে পার্থ চিঠিতে লিখেন, ‘২০-দলীয় জোট এবং ঐক্যফ্রন্ট ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে থাকা সত্ত্বেও ভোলার জনগণের দাবিকে সামনে রেখে বিজেপি ভোলা সদর আসনে ইভিএম পদ্ধতির জন্য জোর অনুরোধ জানাচ্ছে। অন্যথায় এটা আমার এবং আমার নির্বাচনী আসন ভোলা-১-এর জনগণের প্রতি বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত হবে, যা কিনা বাংলাদেশের সংবিধানের ধারা ২৭-এর পরিপন্থী।’
উল্লেখ, নির্বাচন কমিশন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৬ ও ১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ ও সাতক্ষীরা-২ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।