বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ বিতরণ এবং বিশেষ গবেষণার জন্য অনুদান চেক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে হবে এবং শুধুমাত্র গবেষণা এর সমাধান দিতে পারে।’
বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নীতি ২০১১ প্রণয়ন করেছি, যাতে আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ও জিডিপি প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে পারি।’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ড. রুহুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব মো. আনোয়ার হোসেন।
বিজ্ঞানী ও গবেষকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের (বিজ্ঞানী ও গবেষক) জাতির প্রতি বিশাল দায়িত্ব রয়েছে। আপনারা আপনাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন, যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। কোনো অশুভ শক্তিকে বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিলি খেলতে দেয়া যাবে না।’
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় আইসিটি নীতি ২০১৮ প্রণয়ন করছে সরকার। এ কারণে গবেষণা কাজে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি বিশাল সামুদ্রিক এলাকা জয় করেছে এবং এই সামুদ্রিক সীমান্তের সম্ভাবনা আবিষ্কারের জন্য গবেষণা অপরিহার্য।
‘আমরা ইতিমধ্যে কক্সবাজারে একটি ইনস্টিটিউট স্থাপন করেছি এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন চলছে। আমাদের আরও বড় আকারের গবেষণা প্রয়োজন,’ যোগ করেন তিনি।
দেশের আরও বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ ও গবেষক প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ২০০৯-১০ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত ১৩ হাজার ৭১৩ জনকে ৮৪.৬৪ কোটি টাকা মূল্যের ফলোশিপ প্রদান করেছে। চলতি অর্থবছরে আমরা ১৭.৬৮ কোটি টাকা মূল্যের ফেলোশিপ প্রদান করছি।’
সরকার উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ করতে পারে এমন সম্ভাব্য এলাকা চিহ্নিত করার জন্য গবেষক ও বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন, যাতে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে মহাকাশে আরও স্যাটেলাইট পাঠাতে পারে। আমরা কখনও পিছিয়ে থাকবো না। এটি আমাদের লক্ষ্য এবং আমরা এর জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ গবেষণার জন্য পোস্ট-ডক্টরেট শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ফেলোশিপ এবং চেক প্রদান করেন।