তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমরা বাংলাদেশে অনেকগুলো রূপান্তরমূলক উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছি। আর তার স্বপ্ন পূরণে আমরা সব সময় জাপানকে বিশ্বস্ত বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে পাশে পেয়েছি।’
টোকিওতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বাসভবনে আয়োজিত নৈশভোজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হওয়া দ্বিপাক্ষিক আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এটা ছিল গভীর আন্তরিকতা, বোঝাপড়া ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাপূর্ণ।
‘আমরা দুই দেশের মধ্যে গভীরতর সহযোগিতা প্রসারে এক সাথে কাজ করতে একমত হয়েছি। আমরা সহযোগিতার জন্য বেশ কিছু নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছি। এগুলো আমাদের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে আরও গতিশীল করবে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী। সেই সাথে আমরা ৪০তম ওডিএ ঋণ প্যাকেজ সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি বুধবার সকালে বাংলাদেশে ব্যবসা করা নেতৃস্থানীয় জাপানি কোম্পানিগুলোর সিইওদের সাথে এক বৈঠকে অংশ নেন।
তিনি জানান, সহযোগিতার আরও সম্প্রসারণ এবং নতুন ক্ষেত্র তৈরিতে দুই দেশের স্পষ্ট ইচ্ছা দেখে তিনি ব্যাপকভাবে উৎসাহিত হয়েছেন। ‘আমাদের ব্যবসায়ী নেতারাও এ ইচ্ছা পোষণ করেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, জাপানে আসা তার জন্য সব সময়ই আনন্দের।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমার ছোট বোন এবং সবচেয়ে ছোট ভাইকে নিয়ে ১৯৭৩ সালে জাপান সফর করেছিলেন। তারা সফরের আনন্দদায়ক স্মৃতি এবং জাপানের মানুষের ভালোবাসা ও মমতা নিয়ে ফিরেছিলেন। তখন থেকে, প্রতিবার আমার জাপান সফরের সময়, প্রিয় পিতা ও ছোট ভাইবোনদের ওপর থাকা জাপানের উষ্ণ আবেগ ও অনুভূতির কথা আমাকে মনে করিয়ে দেয়,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে ছোটবেলায় জাপানি পুতুল, ভিউ কার্ড, ডাকটিকিট, ক্যালেন্ডার, শিল্পকর্ম ও অন্যান্য জিনিস তিনি জমিয়ে রাখতেন।
জাপান সফর থেকে পাওয়া সব মধুর স্মৃতি ও উষ্ণ বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ নিজের হৃদয়ের গভীরে রেখে দেবেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব সময় আমাদের সাথে থাকার জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও তার স্ত্রীকে তাদের সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।