রবিবার দুপুরে তার লাশ গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার রুদ্রগ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
শনিবার একটি বাসের হেলপার ওয়াসিমকে বাস থেকে ফেলে দেয় এবং চালক তার ওপর দিয়ে বাস চালালে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে ওয়াসিমের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে ওয়াসিমের বাবা-মা পাগলপ্রায়।
নিহতের বাবা মাহবুব ঘোরী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার একমাত্র ছেলে মারা গেছে। আমারতো আর কিছুই নেই। আমি এর বিচার দাবি করি। পাশাপাশি এমন ঘটনা কারও সাথে যেন না হয়ে সেই দাবি জানাই।’
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নবীগঞ্জ উপজেলার জনতার বাজার এলাকায় দুপুরে মানববন্ধন ও মহসড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা। এসময় মহসড়কে প্রায় আধা ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওয়াসিমের সহপাঠী ও পুলিশ জানায়, সিলেট যাওয়ার জন্য শনিবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজেলার মহাসড়কের নাঈমা ফিলিং স্টেশন থেকে ওয়াসিমসহ তার আটজন সহপাঠী ময়মনসিংহ থেকে সিলেটগামী উদার পরিবহন বাসে উঠে। গাড়িতে উঠার পর বাসের সহকারী তাদের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করে। তখন ভাড়া নিয়ে বাসের সহকারীর সঙ্গে ওয়াসিমসহ তার সহপাঠীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে শেরপুর এলাকায় পৌঁছামাত্রই বাস থেকে ওয়াসিমকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় হেলপার। পরে তার ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে নিয়ে যায় বাসের চালক। এতে ঘটনাস্থলেই ওয়াসিম নিহত হন।
ঘটনার দিনই বাসটির চালক জুয়েল আহমদ ও তার সহকারী মাসুক আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।