বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের রাউজানে মাদক ও জঙ্গিবিরোধী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করার জন্য বর্তমানে মাদকই যথেষ্ট। মাদক এমনই এক রোগ যা একবার প্রবেশ করলে ধ্বংস অনিবার্য।
সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক দেশের উন্নয়নের বড় শত্রু।
প্রধানমন্ত্রী মাদক ও জঙ্গিবাদ পছন্দ করেন না জানিয়ে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদে যারা জড়িয়েছেন তাদের কী লাভ হলো? মৃত্যুর পর তাদের লাশটা পর্যন্ত পরিবার গ্রহণ করতে চায় না।
‘আপনারা যদি আপনাদের ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে কোথায় যায়, কী করে সেই খবর রাখেন তবে জঙ্গিবাদ দূর করা সম্ভব হবে,’ যোগ করেন তিনি।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সবাই এখন ঐক্যবদ্ধভাবে মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন। যারা মাদক সেবন করবে ও বিক্রি করবে তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হোসেন রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, রাউজানের মানুষ শান্তিপ্রিয়। তারা অন্যায়ের কাছে মাথানত করেন না, তাদের এ শিক্ষা দিয়েছেন মাস্টারদা সূর্য সেন।
দেশের মানুষ সচেতন হলেই মাদক ও জঙ্গিবাদ দমন সম্ভব হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবুর রহমান, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীর, রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল ও রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেফায়েত উল্লাহ।
পরে উপজেলায় পুলিশ ফাঁড়ি ভবন, পাহাড়তলী হাইওয়ে থানা, রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেল অফিস এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উদ্বোধন করেন স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী।