স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রবিবার থেকে কারফিউ ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত শিথিল
কারফিউ শিথিলের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রবিবার (৪ আগস্ট) থেকে ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা- মোট ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।
শনিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় কারফিউ শিথিল বা প্রয়োগের বিষয়ে অন্যান্য জেলার জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান তিনি।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতির জন্য তিনি ও অন্যান্য মন্ত্রীদের পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করবেন কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যদি প্রয়োজন হয় ... এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে এবং প্রধানমন্ত্রী যদি উপযুক্ত মনে করেন... আমরা সব সময় দেশের জন্য কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী যদি প্রয়োজন মনে করেন তাহলে আমরা তা করব।’
উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীদের। এর প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
৪ মাস আগে
কোনো গণগ্রেপ্তার করছি না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আমরা কোনো নিরাপদ মানুষকে গ্রেপ্তার করছি না। তথ্য ও প্রমাণ সাপেক্ষে যাদের শনাক্ত করতে পেরেছি, তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করব না।
তিনি বলেন, আমরা কোনো গণগ্রেপ্তার করছি না। এমন কোনো জেলা নেই যেখানে তারা ধ্বংস না করলেও নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করেনি। ধ্বংসগুলো আপনারা সবাই দেখেছেন। তারা আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে, প্রাণহানি ঘটিয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান এসব কথা বলেন।
কোটা আন্দোলনকে ঘিরে কী পরিমাণ গুলি ব্যবহার করা হয়েছে, এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, খুবই ধৈর্যের সঙ্গে ধ্বংসযজ্ঞ মোকাবিলা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। একেবারে না পেরে সেনাবাহিনীকে আসতে হয়েছে। যেখানে না পেরেছে, সেখানে জীবন ও সম্পদ রক্ষায় গুলি করতে বাধ্য হয়েছে। সব হিসাব পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাখেন। কোনো একটি গুলি, কোনো একটি মৃত্যু যদি অনাকাঙ্ক্ষিত হয়, তাহলে একটা তদন্ত হয়, সেটা হবে।
তিনি বলেন,‘এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিচারবিভাগীয় কমিশন হয়েছে। তারাও একটি প্রতিবেদন দেবে, কী ঘটনা ঘটেছিল কয়েকদিনে। তখন আমরা সারা বিশ্বকে জানাতে পারব কী ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি।’
দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান আরও বলেন, বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঢাকা মহানগর, ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী এই চার জেলার ক্ষেত্রে এই শিথিলতা কার্যকর হবে। বাকি জেলাগুলোতে স্থানীয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় নিহত ১৪৭: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সবাইকে কারফিউ মেনে চলার অনুরোধও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে, তারা যেন কারফিউ মেনে চলেন। যত তাড়াতাড়ি নিরাপত্তা বাহিনী স্বাভাবিক অবস্থা ঘোষণা করতে পারবে, তত তাড়াতাড়ি আমাদের দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারব।
ছাত্রদের অহিংস আন্দোলন ও দাবির প্রতি সবসময় আমাদের সহানুভূতি ছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালে যখন এই দাবি ওঠে, তখন আমরা কয়েকটি খাতে কোটা বাতিল করে দিই। সানন্দে আন্দোলনকারীরা তখন ফিরে গিয়েছিলেন।’
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনি যে তদন্ত কমিশনের কথা বলছেন, সেটার টিওআর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপন চলে গেছে। ২১ জুলাই পর্যন্ত যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেটার তদন্ত করবে তারা। যেহেতু এর পরিধি, অনুসন্ধান ও তদন্তের পরিসর বেড়ে গেছে, আমরা চিন্তা করছি, যেহেতু তদন্ত কমিশনের একজনই সদস্য, সেটাকে বাড়িয়ে তিনজন করার সিদ্ধান্ত হয়ত খুবই শিগগিরই নিতে পারি।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৪ জেলায় সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে কারফিউ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৪ মাস আগে
ঢাকাসহ ৪ জেলায় সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে কারফিউ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামীকাল বুধবার(৩১ জুলাই) থেকে শনিবার(৩ আগস্ট) পর্যন্ত ঢাকাসহ চার জেলায় সকাল ৭টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
কারফিউ শিথিল করা জেলা ও মহানগরগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা মহানগর ও জেলা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং নরসিংদী জেলা।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: যাকে ধরে নিয়ে যান, তাকেই খাবার টেবিলে বসান, জাতিকে নিয়ে মশকরা করবেন না: হাইকোর্ট
তিনি বলেন, আজকে মিটিং এ দীর্ঘ আলোচনা করি। বাংলাদেশে পরিস্থিতি ধীরে ধীর স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তাই বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী আপনাদের জানাবেন কবে খুলতে পারবেন, ইন্টারনেট বিষয়ে টেলিকম প্রতিমন্ত্রী আপনাদের জানাবেন।
তিনি বলেন, কোন গণগ্রেপ্তার করছি না। কোন নিরাপদ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করছি না। সঠিকভাবে চেক করে গ্রেপ্তার করছি। যদিও এমন হয়ে থাকে চেক করে ছেড়ে দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সিনিয়র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আগামীকালের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করা হবে: আইনমন্ত্রী
৪ মাস আগে
পুলিশ ঝুঁকিমুক্ত মনে করলে সমন্বয়কদের ছেড়ে দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনের পাঁচ সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করা হয়নি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, পুলিশ তাদের ঝুঁকিমুক্ত মনে করলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
রবিবার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তাদের ছেড়ে বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “দেখুন, তারা নিজেরাই বলছিলেন তারা ঝুঁকিতে আছেন। তাদের একজন বাবাকে বলেছিলেন, ‘আমি বিশেষ প্রয়োজনে আত্মগোপন করেছি।’ তারাই নিজেরাই বলছিলেন তারা ঝুঁকিতে রয়েছেন। সেজন্য আমরা তাদের নিরাপত্তার জন্য নিয়ে এসেছি।”
তিনি বলেন, 'তাদের জিজ্ঞাসা করা হচ্ছিল- কোন কোন রাজনৈতিক দল কিংবা কারা তাদের প্ররোচনা দিয়েছে, পরবর্তীতে যে আন্দোলন সহিংস রূপ নিল- এগুলো আমরা তাদের জিজ্ঞাসা করছি। এগুলোর উত্তরও তারা দিচ্ছেন।'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা এখনো তাদের গ্রেপ্তার করিনি। আমাদের হেফাজতে আছে। আমরা চিন্তা করছি তারা ঝুঁকি মুক্ত হলেই, ছেড়ে দিতে পারব কি না, সেটি হিসাব-নিকাশ করছি। পুলিশ যদি মনে করে তারা ঝুঁকিমুক্ত তাহলে তখনই তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। আমরা তাদের গ্রেপ্তার করিনি।'
গত শুক্রবার বিকেলে ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরে শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহকে গোয়েন্দা পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় নিহত ১৪৭: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
হামলাকারীরা শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৪ মাস আগে
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় নিহত ১৪৭: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ১৪৭ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এর মধ্যে পুলিশ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
রবিবার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নিহতদের মধ্যে কতজন নারী, কতজন পুরুষ কিংবা কোন পেশার মানুষ কতজন- সেটি নির্ধারণের কার্যক্রম চলছে।
মন্ত্রী বলেন, এই ধরনের হত্যাকাণ্ড, বর্বরোচিত আক্রমণ পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশ দেখেছে বলে আমার মনে হয় না। আমরা এ-ও দেখেছি তারা একটা হসপিটাল পর্যন্ত রেডি রেখেছে, কেউ ইট কিংবা লাঠির আঘাতে আহত হলে তাদের সেখানে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আবার তাদের ভালো করে আরেক দল এসেছে। আগে থেকে একটা পরিকল্পনা করে আক্রমণ করেছে।
আরও পড়ুন: ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করলে কাউকে ছাড় দেব না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় মন্ত্রী সাংবাদিকদের পুলিশ হত্যার বিভিন্ন ছবি দেখান।
পুলিশ যখন পারছিল না, তখন সেনাবাহিনীকে ডাকা হয় এবং কারফিউ জারি করা হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ক্রমে দেশ স্বাভাবিক হয়ে আসছে। ক্রমেই আমরা সান্ধ্য আইন শিথিল করছি। যখন আরও স্বাভাবিক হবে তখন আমরা কারফিউ উঠাতে সক্ষম হব।
নিহতের সংখ্যা নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলছেন জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, এই কয়দিনের আন্দোলনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের একটা তালিকা আমাদের কাছে আছে। এটি আমরা আরও যাচাই-বাছাই করছি। আরও যদি দুয়েকজনের খবর পাই তবে তা আমরা অন্তর্ভুক্ত করব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৪৭ জন মারা গেছে বলে আমাদের হিসাবে রয়েছে। এখানে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ রয়েছে, বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয়ের মানুষ রয়েছেন।
বিভিন্ন হাসপাতাল, বিভিন্ন জেলা থেকে নিহতের এ সংখ্যা পাওয়া গেছে বলেও জানান মন্ত্রী।
'নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। কখনো বলা হচ্ছে ৫০০, কখনো বলা হচ্ছে ১০০০। সেজন্য আমাদের কাছে যে হিসাব সেটি আমরা দিলাম।'
তিনি বলেন, 'দোষী ব্যক্তিদের আমরা অবশ্যই শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। আমরা কাউকে এখানে ছাড় দেব না।'
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিশুদের গ্রেপ্তার করার কথা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বলা হচ্ছে। এ কাজে (সহিংসতা) টাকার বিনিময়ে কিশোর গংদের কাজে লাগানোর তথ্য আছে।
পুলিশের গাড়ি থেকে লাশ টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেওয়া এবং আত্মসমর্পণের পরও পুলিশকে গুলি করতে দেখা গেছেএমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পুলিশ প্রশিক্ষিত। তাদের অযথা গুলির করার দরকার হয় না। প্রতিটি গুলির হিসাব তাকে দিতে হয়। প্রতিটি মৃত্যুর জবাবদিহি তাকে করতে হয়। পুলিশ অযথা গুলি করেছে, শিশুকে মেরে ফেলেছে। এগুলো সম্পূর্ণই গুজব, অপপ্রচার।
নির্দোষ মানুষ গ্রেপ্তারের অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আপনাদের কাছে তথ্য আছে? কারে আমরা বিনা ইসে (কারণে) ধরেছি। আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী পুলিশকে তালিকা করে দিয়েছে, প্রত্যেকটি গ্রেপ্তার ভিডিও ফুটেজ দেখে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হামলাকারীরা শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশব্যাপী সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৪ মাস আগে
দেশব্যাপী সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, দেশব্যাপী সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
বুধবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'দেশব্যাপী সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করা হবে এবং মামলার ধরন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সীমা লঙ্ঘন করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দুই-তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এতে মাসুদ পারভেজ রেজা ভূঁইয়া, গিয়াস উদ্দিন ও মুক্তাদির নামে তিন পুলিশ সদস্য এবং জুয়েল নামে এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে মোট নিহতের সংখ্যা জানা যায়নি বলে জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করলে কাউকে ছাড় দেব না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বলেই তাদের টার্গেট করা হয়েছে। এছাড়া এক পুলিশ সদস্যের ১২ বছর বয়সি ছেলেকেও নির্যাতন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, 'স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াত ও বিএনপি হামলা চালিয়েছে এবং মাইক ব্যবহার করে জনগণকে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে যেতে বলেছে।’
সরকার কারফিউ অব্যাহত রাখতে চায় না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থানা ও গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে হামলার কারণে এটি আরোপ করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব কারফিউ প্রত্যাহার করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: যৌক্তিকতা না থাকলে কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা বাতিল হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৫ মাস আগে
ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করলে কাউকে ছাড় দেব না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেখানে ভাঙচুর, হত্যাযজ্ঞ ও রক্তপাত হবে- সেখানেই তারা তাদের কাজ দায়িত্বসহকারে পালন করবে।’
আরও পড়ুন: যুবসমাজ রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘ছাত্রদের মনে হয় একটু অপেক্ষা করা উচিত ছিল। এ বিচারে শেষ পর্যন্ত কী হয়, সেটা দেখা উচিত ছিল। না দেখেই নানা ধরনের প্রোগ্রাম দিচ্ছে, রাস্তা অবরোধ করছে। রাস্তা অবরোধ করলে তো সবাই ভুক্তভোগী হয়ে যায়, অনেক কাজে বিঘ্ন ঘটছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা কোর্টে যেতে পারেন, যেটা প্রধান বিচারপতি বলেছেন কিংবা তারা এসে যোগাযোগ করতে পারেন। এসব কিছুই করতে পারেন, এ সমস্ত রাস্তা তাদের জন্য খোলা রয়েছে। খোলা রাস্তায় না গিয়ে, এ ধরনের রাস্তায় যাওয়া তাদের জন্য আমি মনে করি ভালো না। এই জায়গাটি থেকে তাদের চলে আসা উচিত। এটাই তাদের প্রতি মেসেজ।’
গতকাল (সোমবার) ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ, আজকে সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছে। পরিস্থিতি এখন কোন দিকে যাচ্ছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কিন্তু ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, কমিউনিস্ট পার্টি কিংবা ছাত্রদল- এগুলোকে সংজ্ঞায়িত করছি না; আমি বলছি ছাত্ররা। ছাত্ররা হয়তো একদল পক্ষে রয়েছে, আরেক দল বিপক্ষে; এমন হতে পারে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কোন দল পক্ষে, আর কোন দল বিপক্ষে- সেগুলো আমাদের জানার বিষয় নয়। আমাদের বিষয় হলো, তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাউকে কষ্ট না দিয়ে তাদের কথাগুলো যাতে বলে। তাহলে সবাই সেটা উপলব্ধি করতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘যে মারামারির কথা বলছেন, এগুলো ছাত্রদের মধ্যে... সবসময়ই একমত হতে পারে না। মতবিরোধ থাকে, মতবিরোধ হলেই বাগবিতণ্ডা হয়। সেরকমই কিছু কিছু জায়গায় হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেখেছি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখেছি। ঢিল ছোড়াছুড়ি আমরা দেখেছি, এগুলো সবই দেখেছি।’
সারাদেশে অবরোধ করা হচ্ছে। এতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে কি না- জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ভেঙে পড়েছে- এ কথার সঙ্গে আমি একমত নই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সঠিকভাবেই আছে। আপনারা চলছেন, আমিও চলছি; সবই চলছে, সবকিছুই হচ্ছে।’
শিক্ষার্থীরা ভুল করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাস্তা অবরোধ করে দাবি আদায়- এটা সঠিক পন্থা নয়। রাষ্ট্রপতির কাছে তারা আবেদন দিয়েছে, সেটি স্টাডি করতে হবে। রাষ্ট্রপতি আমাদের একটা নির্দেশনা দেবেন, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করব।’
শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে- এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘এগুলো শেখানো বক্তব্য, এগুলো ছাত্রদের বক্তব্য নয়। কটুক্তি যে করছে, এগুলো তারা করেনি। তাদের এগুলো হয়তো কেউ শিখিয়ে দিয়েছে, শেখানো বুলিই তারা বলেছেন। আমার মনে হয়, তারা এই বুলি ভুলবশতই করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যেগুলো দেখছি, তাদের কাছে যে সমস্ত মেসেজ বিভিন্ন মহল থেকে দিচ্ছে, সেগুলো আমরা লক্ষ্য করছি। সেখানে তাদেরকে এ ধরনের আন্দোলন করার জন্য উপদেশ দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: যৌক্তিকতা না থাকলে কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা বাতিল হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সীমা লঙ্ঘন করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৫ মাস আগে
যৌক্তিকতা না থাকলে কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা বাতিল হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজধানীর শাহবাগ থানায় কোটাবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর ও হামলার অভিযোগ তুলে যে মামলা হয়েছে, তার যৌক্তিকতা না থাকলে বাতিল হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
রবিবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: যুবসমাজ রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
শিক্ষার্থীরা বুঝে এসব করছে বলে মনে হয় না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আগামী ৮ আগস্ট শুনানি হবে। শুনানিতে তাদেরও (শিক্ষার্থীদের) অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছে। তারা সেগুলো না করে রাস্তা অবরোধ করছে। এগুলো সবকিছু এখন বিচার বিভাগের কাছে। সরকারের হাতে কিছু নেই।
শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে মামলা প্রত্যাহারের জন্য- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে মামলা করতে পারে। মামলা তদন্তের পর যদি ম্যারিট (যৌক্তিতা) না থাকে তবে অটোমেটিক বাতিল হয়ে যেতে পারে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা কিংবা ২৪ দিনের কোনো প্রশ্ন আসে না।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের ভুল পথে নেওয়ার লোকের অভাব নেই। সেই ধরনের ঘটনা ঘটছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কারা উসকানি দিয়েছে এবং কারা দায়ী সবগুলো বিষয় তদন্তের পর বলা যাবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেহেতু একটি ঘটনা ঘটেছে, সেটি তদন্ত হবে। তদন্তের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। তদন্তের আগে আমি কিছু বলতে পারছি না।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সীমা লঙ্ঘন করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আছাদুজ্জামান মিয়ার দুর্নীতির অভিযোগ অনুমাননির্ভর: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৫ মাস আগে
কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সীমা লঙ্ঘন করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের সীমা লঙ্ঘন করছেন বলে মনে করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে মাদকের অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভাবছেন তাদের চিন্তা-ভাবনা থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেজন্য তারা রাস্তায় চলে এসেছিলেন। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বিশেষ করে পুলিশকে বলেছি, এদের কথা আমরা শুনব। কিন্তু শোনারও একটা সীমা বোধ হয় থাকে। তারা বোধ হয় এগুলো অতিক্রম করে যাচ্ছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'প্রধান বিচারপতি একটা নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা স্থগিত করা হয়েছে। চলমান মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তাই হাইকোর্টের নির্দেশনা (কোটা বহাল করে) এখন অচল, সেটি এখন নেই।'
রায় না থাকায় আন্দোলনের কারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্ররা আদালতে নিজেদের বক্তব্য জানাতে পারে। রাস্তায় থেকে তাদের কষ্ট করার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। তারা যেটা চেয়েছিলেন সেই দিকেই তো যাচ্ছে।'
জনদুর্ভোগ না করতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, 'তাদের দাবির প্রতি সরকার সব সময় খেয়াল রাখছে। যেহেতু বিষয়টি কোর্টে আছে এজন্য কোর্টের মাধ্যমে এটি নিষ্পত্তি হবে।'
৫ মাস আগে
আছাদুজ্জামান মিয়ার দুর্নীতির অভিযোগ অনুমাননির্ভর: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘আমি যতটুকু জানি, অনুমানভিত্তিক কথাবার্তা চলছে।’
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
সাবেক আইজিপি এবং সাবেক ডিএমপি কমিশনারের বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের দায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এড়াতে পারেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনি যেগুলো বলেছেন, এখন পর্যন্ত কোনো মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কোনো খবর আমাদের কাছে আসেনি। আমি যতটুকু জানি, অনুমানভিত্তিক কথাবার্তা চলছে। এখনো তার বিরুদ্ধে সঠিকভাবে কোনো অভিযোগ উত্থাপন হয়নি। যেগুলো শুনেছি, তার অবৈধ সম্পত্তির কথা, তাকে তো ডাকা হয়নি, তাকে ডাকা হলে বুঝতে পারব, নিশ্চয়ই তার কোনো ব্যাখ্যা আছে।’
আরও পড়ুন: আনোয়ারুলের লাশ শনাক্ত হলে অনেক কিছুই জানা যাবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিশ্চয়ই তার আয়ের উৎস আছে। সেটি দেখতে হবে।
অনেক আগে জমির দাম বেড়েছে। বেনজীর আহমেদ অনেকদিন মিশনে ছিলেন। তার ব্যাখ্যা থাকতে পারে। যদি ব্যাখ্যা দিতে না পারে তখন দুর্নীতির প্রশ্ন আসবে।’
এমপি আনার হত্যা বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, তদন্ত শেষ হলে সব বলতে পারব। ডিবি সুষ্ঠু ও স্বাধীনভাবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: এমপি আনোয়ারুল চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তা কখনোই বলিনি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৬ মাস আগে