মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় হামিদুল পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করে আদালত।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি হামিদুল হককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাকে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সম্পদের হিসাব দাখিল না করার অভিযোগে ২০০১ সালের ২৬ এপ্রিল তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক হামিদুল হকের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, হামিদুল হক তার স্ত্রী রেহেনা বেগমের নামে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে একটি অত্যাধুনিক বাড়ি করাসহ নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। দুর্নীতি দমন ব্যুরো ২০০০ সালের ৭ জুন অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনের আলোকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমতিক্রমে ২০০০ সালের ৩১ আগস্ট আসামিকে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ দেয়া হয়।
আসামি ২০০১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই নোটিশ গ্রহণ করেও নির্দেশ মোতাবেক ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় ১৯৫৭ সালের দুর্নীতি দমন আইনের ২৬ এর ৪(২) ধারায় মামলা করে দুর্নীতি দমন ব্যুরো।
তদন্ত শেষে বর্তমান দুদকের সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলাটিতে ২০১৯ সালের ২৬ মে আদালত আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়।
মামলার বিচারকালে আদালত তিন সাক্ষীর মধ্যে দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।