সকাল ৮টায় শুরু হয়ে কোনো রকম বিরতি ছাড়াই ভোট চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচনে ৩৭৭ জন চেয়ারম্যান, ৫৪৮ জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং ৪০০ নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ৭ হাজার ৩৯টি কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ৭৯ লাখ ৯ হাজার ৬ জন।
২৩ চেয়ারম্যান, ১৩ ভাইস চেয়ারম্যান এবং ১২ নারী ভাইস চেয়ারম্যান ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
১৬ জেলার ১১৬টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) সব ধরনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
জেলাগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও, রংপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, বগুড়া, নওগাঁ, পাবনা, সিলেট, মৌলভীবাজার, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন এবং কক্সবাজার।
নির্বাচন পূর্ববর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে রবিবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে এই নির্বাচন সম্পন্ন করতে ইসি সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।’
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবন জেলার ২৫ উপজেলায় তিন দিনের জন্য সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
ইসি সচিব বলেন, ‘পার্বত্য জেলায় আমরা সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছি। ১৭-১৯ মার্চ সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।’
নির্বাচনকে ঘিরে শনিবার থেকে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং কোস্টগার্ড সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। বুধবার পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। আনসার সদস্যরা ভোটের দিন কেন্দ্র পাহাড়া দেবেন।
এছাড়া প্রতি উপজেলায় একজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রতি তিনটি ইউনিয়ন পরিষদে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঁচ দিনের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন।
জনপ্রশাসন সোমবার ১১৬ উপজেলায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে।
প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন গত ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। ইসি চারটি ধাপের তফসিল ঘোষণা করেছে।
আগামী ২৪ মার্চ তৃতীয় এবং ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।