নির্বাচন কমিশন
জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার নির্বাচন কমিশনের
দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে উৎসবমুখর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এরই মধ্যে একটি সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনি সামগ্রী কেনার প্রক্রিয়া শুরু করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
হালনাগাদ ও শক্তিশালী ভোটার তালিকা নিশ্চিত করতে মার্চের পরিবর্তে জানুয়ারিতে নাগরিকদের ঘরে ঘরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ অভিযান দ্রুত বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনাও চলছে।
বৃহস্পতিবার(১৯ ডিসেম্বর) সিইসির সভাপতিত্বে কমিশনের তাৎক্ষণিক বৈঠকে এসব সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বৈঠকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
সুবিন্যস্ত ক্রয়ের সময়সীমা
ইসি মনে করে, সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে সচিবালয় প্রয়োজনীয় সব উপকরণ নিশ্চিত করতে পারবে।
কর্মকর্তারা সময়সীমা মেনে চলার জন্য সূক্ষ্ম পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
বৈঠকে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় মজুদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। এখন পর্যন্ত ইসির রয়েছে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, অমোচনীয় কালির কলম, অফিসিয়াল এবং মার্কিং সিল, স্ট্যাম্প প্যাড, চার্জার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনি বক্তব্য হতাশাজনক: ফখরুল
প্রত্যাশিত প্রয়োজনীয়তার বিপরীতে বিদ্যমান মজুদের পর্যালোচনা ক্রয় প্রক্রিয়াটির তাৎপর্যকে জোর দিয়েছে।
অমোচনীয় কালি, একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা অবশ্যই আমদানি করতে হবে। এটি সরবরাহের জন্য সাধারণত ৭০ দিন পর্যন্ত সময় দরকার হয়। তবে ইসি উল্লেখ করেছে যে কিছু ঠিকাদার অতীতে প্রক্রিয়াটি দ্রুত করেছে, যা একটি দক্ষ পরিবর্তনের আশা জাগিয়েছে।
নির্বাচনের সময়সীমার সঙ্গে মেলানো
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ২০২৫ সালের শেষের দিকে অথবা ২০২৬ সালের শুরুতে ১৩তম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এর জবাবে সিইসি এ এম এম নাছির উদ্দিন ইসি কর্মকর্তাদের এই নির্ধারিত সময়সীমার সঙ্গে প্রস্তুতি সমন্বয় করার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে ইসি
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতার ওপর আস্থা প্রকাশ করে সিইসি বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাবিত সময়সীমা অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত থাকব।’
ভোটার তালিকা হালনাগাদ
নির্বাচন কমিশণ ভোটার তালিকার বার্ষিক হালনাগাদ ত্বরান্বিত করতে প্রস্তুত।
ঐতিহ্যগতভাবে, ২ জানুয়ারি একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করে জনগণের প্রতিক্রিয়া আহ্বান করা হয়। এরপর ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে যেকোনো অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়।
তথ্য সংগ্রহ অভিযানের প্রস্তাবিত আগাম শুরু সঠিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভোটার তালিকা নিশ্চিত করতে ইসির অঙ্গীকারকে তুলে ধরে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে চারজন নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সুষ্ঠু প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার অঙ্গীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: ইসিতেই এনআইডি নিবন্ধনের কাজ রাখার দাবি কর্মকর্তাদের
১ দিন আগে
নির্বাচন কমিশন ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল: সারজিস আলম
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘শুধু নির্বাচনের জন্য ২ হাজার মানুষ জীবন দেয়নি, আর এই অভ্যুত্থানও হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেমগুলোর জন্য এই মানুষগুলো বিগত ১৬ বছরে বিরক্ত হতে হতে দেয়ালে পিঠ লেগে গিয়েছিল।’
সারিজস আলম আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলের ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশন সংস্কার না করলে সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবেই আশা করা যাবে না।’
শনিবার (৯ অক্টোবর) সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: কর্তৃপক্ষ তাদের কথা রাখেনি, আন্দোলন চলবে: সমন্বয়ক সারজিস আলম
নির্বাচন প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, আমরা বলছি না রাষ্ট্রের সবকিছু সংস্কার করে নির্বাচনে যান। আমরা এটাও বলছি না আগামী ৫ থেকে ৬ বছর সংস্কার করেন। কিন্তু সংস্কারের জন্য ন্যূনতম একটা সময় লাগবে।
তিনি আরও বলেন, কোনো বিবেকবান মানুষ তার জায়গা থেকে চিন্তা করতে পারবে না যে এক বছরের মধ্যে সবকিছু সংস্কার হয়ে যাবে।
১৬ বছরে যে সিস্টেমগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে, সেই সিস্টেমগুলোকে সংস্কার করতে একটা যৌক্তিক সময় প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর এমনকি ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশের সংবিধান পাঁচ বছরের জন্য মানুষকে একটি ‘জনতার সরকার’ উপহার দিতে পারেনি। আমাদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করতে পারেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেই সাংবিধানিক সংস্কারও প্রয়োজন। পাঁচ বছরের জন্য ইশতেহার দিয়ে প্রতিটি সরকার ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় আসার পরপরই ইশতেহার ভুলে যায়। ভুলে যায় তারা যে জনতার সরকার।’
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শুধু একটা নির্বাচন কমিশনও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারে না। এর পাশাপাশি অনেকগুলা প্রতিষ্ঠান জড়িত। এরমধ্যে অন্যতম হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একটা সিস্টেমের মধ্যে আনতে হবে। তা না হলে নির্বাচন দিলে আবার জবরদখলের ঘটনা ঘটতে পারে। ক্ষমতার অপব্যবহার হতে পারে। আবার এই নির্বাচন ঘিরে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সে জন্য একটা বিচারিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। তাই বিচার ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন।’
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘হাইকোর্টে এখনও আওয়ামী লীগের কিছু দোসর-ফ্যাসিস্ট বসে আছে। যারা তাদের যোগ্যতার বলে সেখানে যায়নি। তোষামোদি আর তেলবাজি করে তারা সেখানে গিয়েছিল। তাদেরকে এই জায়গা থেকে অপসারণ করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে যারা এই জায়গাগুলোর জন্য যোগ্য তাদেরকে সেখানে বসাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই অভ্যুত্থান কিছু লোক দিয়ে হয়নি। যেই ফ্যাসিস্ট সরকারকে ১৬ বছরে বাংলাদেশের নামিদামি রাজনৈতিক সংগঠন এক টনক নড়াতে পারেনি, সেই শেখ হাসিনা কিছু লোকের জন্য এই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। পুরো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছিল বলে অভ্যুত্থান ঘটেছিল এবং শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েছিল।’
শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারা দেশ থেকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ জনের বেশি শহীদ পরিবারের তালিকা আমাদের কাছে এসেছে। যাচাই-বাছাই করে নির্বাচিতদের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রতিটি বিভাগীয় পর্যায়ে গিয়ে শহীদদের পরিবারের হাতে অনুদানের চেক তুলে দিচ্ছি। এটা আমাদের দায়িত্ব। বাকি যারা রয়েছেন তাদের কাগজপত্র সংগ্রহের কাজ চলছে। সেগুলো হাতে পেলে অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হবে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সিলেট বিভাগে নিহত ১৮ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব পরিবারের সদস্যদের মাঝে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়। দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
এছাড়া সংগঠনটির আরও ৮ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিজেদের কর্মের ফল ভোগ করছে: সারজিস আলম
রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় দেশবাসীর প্রতি আহ্বান সারজিস আলমের
১ মাস আগে
নির্বাচন কমিশন গঠনে সৎ-দক্ষ লোক নিয়োগ করা হবে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন অনুযায়ী সৎ, নির্ভীক ও দক্ষ লোক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী নিয়োগ হবে। আইনে তাই বলা হয়েছে। আমি সার্চ কমিটির সদস্য নই। আমরা কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেব।’
রবিবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
নির্বাচন কমিশন গঠনে গঠিত সার্চ কমিটি রবিবার বিকালে সুপ্রিম কোর্টে বৈঠকে বসছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, কমিটির মিটিংয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নেওয়া হবে। সার্চ কমিটি তাদের কর্মপদ্ধতি ঠিক করবে।
এছাড়া অন্যান্য কাজগুলো কীভাবে হবে রবিবার সেটি তারা নির্ধারণ করবেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ।
তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী কমিটি ১৫ দিনের মধ্যে সুপারিশ দেবে। এরপর রাষ্ট্রপতি কবে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন, সেটা আমরা বলতে পারব না।
বৃহস্পতিবার প্রধান ইসিসহ অন্যান্য কমিশনার নিয়োগে নতুন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ দিতে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে সরকার।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে ৬ সদস্য বিশিষ্ট সার্চ কমিটির আহ্বায়ক আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান।
রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুইজন বিশিষ্ট নাগরিক সদস্য হলেন- বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার।
এছাড়া আইন অনুযায়ী পদাধিকারবলে সদস্য হিসেবে আছেন বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম এবং পিএসসির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম।
অনুসন্ধান কমিটি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পন্ন করবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুসন্ধান কমিটির কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
অনুসন্ধান কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে রাষ্ট্রপতির কাছে দুইজন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করবে।
আরও পড়ুন: আমাদের কাজ হচ্ছে স্বচ্ছ ও জোরালো উপায়ে সত্য বলা: ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে প্রেস সচিব
১ মাস আগে
নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব হেলালুদ্দিন গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম থেকে সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব ও পিএসসির সদস্য হেলালুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রামের পুলিশ।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে বায়োজিদ থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সিএমপির কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে বিদেশি পিস্তল জব্দ, গ্রেপ্তার তিন
জানা গেছে, ফ্যাসিবাদের অন্যতম সহযোগী রাতের ভোটের কারিগর ছিলেন সাবেক সচিব হেলালুদ্দিন। এই হেলালুদ্দিন ২০১৮ সালে ভোট ডাকাতি, ২০২৪ সালে দিনের ভোট রাতে নেওয়ার অন্যতম কারিগর।
পুলিশ জানায়, তাকে বুধবার রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: হাসিনার মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারে সরকারের বিরুদ্ধে'লুকোচুরি'র অভিযোগ রিজভীর
১ মাস আগে
উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপের ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ২৯ মে
তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২৯ মে ১১২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এ তফসিল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ মে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১২ মে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বিএনপি
এছাড়া মনোনয়নপত্র গ্রহণ বা বাতিলের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৬ থেকে ৮ মে আপিল করতে পারবেন প্রার্থীরা। আর আপিল নিষ্পত্তি করা হবে আগামী ৯-১১ মে।
এরপর ১৩ মে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।
তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ১১২টি উপজেলায় প্রচলিত ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এবার চার ধাপে ষষ্ঠবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন। এবার সারাদেশে ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৫০টির বেশি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত ৮ মে ১৫০টি উপজেলায় এবং ২১ মে ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য দুই ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন।
গত সোমবার প্রথম ধাপের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা শেষ হয়। ১৫০টি উপজেলায় একটি চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুটি করে মোট ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়ন দাখিল পদ্ধতি চালু করেছে ইসি
৮ মাস আগে
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সিইসিসহ অন্যদের আমন্ত্রণ জানাল রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন
আগামী মার্চে অনুষ্ঠেয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশ নিতে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রুশ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা।
রুশ ফেডারেশনের ইসির একজন সদস্য এবং প্রতিনিধি দলের প্রধান আন্দ্রেই শুতভ বলেন, ‘রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান এলা পামফিলোভার পক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি এবং ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আগামী ১৭ মার্চ এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
ঢাকায় রুশ দূতাবাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, 'এই আমন্ত্রণ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করা হয়েছে।’
কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে রুশ প্রতিনিধিদলের বৈঠকের সময় এই আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করা হয় বলে উল্লেখ করেন শুতভ।
এর আগে ক্যামেরুন, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার, নামিবিয়া, সার্বিয়া, থাইল্যান্ড, ভেনেজুয়েলা, জিম্বাবুয়ে ও সিআইএস ভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের পাশাপাশি গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়ান ফেডারেশনের চারটি নতুন অঞ্চলের নির্বাচনে কাজ করা বিদেশি বিশেষজ্ঞরা ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
ফেডারেশন কাউন্সিল ২০২৪ সালের ১৭ মার্চ নির্বাচন করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কোনো কেন্দ্রে জাল ভোট হলে প্রিজাইডিং অফিসারকে বরখাস্ত করা হবে: নির্বাচন কমিশনার
রাশিয়ান ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ১৫, ১৬ ও ১৭ মার্চ তিন দিনের জন্য ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রুশ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট পদে এটিই হবে প্রথম তিন দিনের নির্বাচন।
আন্দ্রেই শুতভ বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, অনেক নাগরিকের জন্য, নির্বাচন একটি ছুটির দিন এবং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট।
শুতভ বলেন, 'নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর কথা বলতে গেলে আমি উল্লেখ করতে চাই, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতো আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এটি বড় ধরনের সুবিধা, কারণ আমরা যে ভোটকেন্দ্রগুলোতে গিয়েছিলাম সেখানে ভোটাররা নিরাপদ বোধ করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে: নির্বাচন কমিশনার
১১ মাস আগে
৪ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে ইসি
নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি দূতাবাস এবং বহুপক্ষীয় সংস্থার প্রধানদের ব্রিফ করবে।
নির্বাচনের তিন দিন আগে ৪ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বৈঠকে বিদেশি কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে কমিশন।
বৈঠকে ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদেরও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে ইসি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কমিশন ইতোমধ্যে বিদেশি কূটনীতিকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পররাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিয়েছে।
৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৭টি দল সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, আর বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচন বর্জন করেছে।
জাতীয় নির্বাচনে দেশের ৩০০ আসনে প্রায় ১৮৯৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: হবিগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: নড়াইলে মাশরাফীসহ ৩ প্রার্থীকে জরিমানা
১১ মাস আগে
১ জানুয়ারি ‘বই উৎসব’ উদযাপনে ইসির সম্মতি
আগামী ১ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নতুন বই বিতরণ কর্মসূচি (বই উৎসব) উদযাপনের অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যেহেতু অন্যান্য বছরের মতো ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে সারা দেশে নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা সরকারের রুটিন কাজ, তাই ইসি এই কর্মসূচি পালনে সম্মতি দিয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাই নিজ নিজ স্থানের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে যথানিয়মে বই বিতরণ করবেন।
আরও পড়ুন: পিএসসির সামনে অবস্থান কর্মসূচি ৪৩তম বিসিএস ভাইভা প্রার্থীদের
প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ কার্যক্রম শুরুর সম্মতি দিলে তা অব্যাহত থাকবে।
শুধু কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার আওতাধীন সুয়াগঞ্জ তফাজ্জল আহাম্মদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারবে না, তবে চিঠিতে এর কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে ইসি।
আরও পড়ুন: মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা ৯ ফেব্রুয়ারি
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু ১৫ ফেব্রুয়ারি
১১ মাস আগে
৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে চিঠি দিয়েছে ইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপসচিব আতিয়ার রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকায় দিনটি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা প্রয়োজন।’
চিঠিতে ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষণা করেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি পরবর্তী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কমিশন জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে: ইসি আনিছুর
কারচুপি ঠেকানো রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব: সিইসি
নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান সিইসির
১১ মাস আগে
নেত্রকোনা-৫ আসনে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন মাজহারুল
নেত্রকোণার পূর্বধলা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রিটের আদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-৫ (পূ্র্বধলা) আসনের প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সোহেল। প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে নির্বাচন করার সুযোগ পেলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের লাইভে এসে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মাজহারুল ইসলাম সোহেল।
ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের সহ-সভাপতি ও রোজা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম সোহেল প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় আসনটিতে প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ জনে।
আরও পড়ুন: বন্যায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে নেত্রকোনার রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পূ্র্বধলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খবিরুল আহসান জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাজহারুল ইসলাম সোহেল মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাজহারুল ইসলাম সোহেলের জমা দেওয়া এক শতাংশ ভোটারের তালিকায় ভোটারের সংখ্যা কম ছিল উল্লেখ করে বাছাইয়ে তার মনোনয়ন বাতিল করেছিলেন জেলা রিটানিং কর্মকর্তা।
এরপর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করলে সেখানেও মাজহারুল ইসলাম সোহেলের মনোনয়ন বাতিল হয়। এরপর প্রার্থীতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।
এ আসনে মাজহারুল ইসলাম সোহেল ছাড়াও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী পূ্র্বধলা উপজেলা শাখার সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান তালুকদার আজাদ, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল ওয়াহ্হাব হামিদী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
মাজহারুল ইসলাম সোহেল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় হাতির আক্রমণে একজনের মৃত্যু
নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে মাজহারুল ইসলাম সোহেলের মনোনয়নের বাতিল হওয়ায় এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আহমদ হোসেনের জয়ের বিষয়টি অনেকটা সহজ ছিল। কিন্তু একই দলের নেতা মাজহারুল ইসলাম সোহেল মনোনয়ন ফিরে পাওয়ায় এখন নির্বাচনে আমেজ বিরাজ করছে।
একটি মাত্র উপজেলা নিয়ে গঠিত নেত্রকোনা-৫ (পূ্র্বধলা) আসন। তাই ভোটের এই সমীকরণে যুক্ত হয়েছে এই দুই প্রার্থীর মেরুকরণ। এ আসনে ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৭০ হাজার ৬৯৯ জন।
প্রার্থীতা ফিরে পাওয়া মাজহারুল ইসলাম সোহেল বলেন, আমাকে নানা ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চক্রান্ত করা হয়েছিল পূর্বধলার মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা এবং চোখের পানি বিফলে যায়নি। মহামান্য হাইকোর্ট আমার প্রার্থীতা ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে জয়ের ব্যাপারেও আমি আশাবাদী।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির অভিযোগে নেত্রকোনায় সরকারি কর্মকর্তার স্ট্যান্ড রিলিজ
১১ মাস আগে