নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন সফল করতে মাঠ প্রশাসনকে দৃঢ় ও সাহসী পদক্ষেপ নিতে আহ্বান সিইসির
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দৃঢ় ও সাহসী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যে সমালোচনা ও অপবাদ চলছে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে চায় নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, ম্যানেজড ইলেকশন হয়েছে। এই অপবাদ থেকে আমরা মুক্তি চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই— সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব। আর সেটি হবে আইনের শাসন কঠোরভাবে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আইনের শাসন মানে আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করতে হবে। আপনারা যখন আইনের প্রয়োগে সাহসী পদক্ষেপ নেবেন, তখন নির্বাচন কমিশনও আপনার পাশে থাকবে।
প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আমরা একটা যুগসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। দেশের অবস্থা আপনারা জানেন। আমার বুঝিয়ে বলার দরকার নেই। এ ক্রান্তিলগ্নে আমাদের ওপরে যে দায়িত্ব এসে পড়েছে, যদি সঠিকভাবে সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হই, আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জবাব দিতে পারব না।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে এই সভায়। ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ সভায় সভাপতিত্ব করেছেন।
এ ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
ডিসি ও এসপিদের পাশাপাশি সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা।
১ দিন আগে
তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সিইসির বৈঠক
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন ভবনে প্রবেশ করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। পরে তারা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এটাই প্রথম সাক্ষাৎ। তারা নির্বাচন ভবনে পৌঁছালে ইসি সচিব আলাদাভাবে তাদের অভ্যর্থনা জানান। ১২ ফেব্রুয়ারির ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট সামনে রেখে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে বৈঠকে।
এরপর দুপুর আড়াইটায় নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সে সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, তিন বাহিনী প্রধান বা তাদের উপযুক্ত প্রতিনিধি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), এনএসআই, ডিজিএফআই, কোস্টগার্ড, বিজিবি, র্যাব, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার উপস্থিত থাকবেন ওই বৈঠকে।
৩ দিন আগে
টেলিভিশনে নির্বাচনি প্রচারে সব প্রার্থীকে সমান সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ ইসির
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সব বেসরকারি চ্যানেলের নির্বাচনি প্রচারে সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ইসি সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) ও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন মল্লিকের সই করা ওই চিঠি চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়, সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচনি পরিবেশ সৃষ্টি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে সকল প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করে দিয়ে নির্বাচনি পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আসন্ন নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান, সাক্ষাৎকার, টকশো বা নির্বাচনি সংলাপ প্রচারের সময় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর প্রতি সমান সুযোগ নিশ্চিত করার বিষয়েও চিঠিতে বলা হয়।
রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫-এর বিধি ২৫ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে নির্বাচনি সংলাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দলের প্রতিনিধি কোনো ব্যক্তিকে আক্রমণ করে বক্তব্য দিতে পারবে না।
চিঠিতে সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশনসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে নির্বাচনি সংলাপ বা অনুষ্ঠান প্রচারের ক্ষেত্রে সকল প্রার্থী যাতে সমান সুযোগ পান এবং কোনো দল বা প্রার্থীকে হেয়প্রতিপন্ন করা না হয়, সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
৭ দিন আগে
বুধবার সন্ধ্যায় অথবা বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা: ইসি মাছউদ
আগামীকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় অথবা পরদিন বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
ইসি মাছউদ বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় ভাষণের সবকিছু চূড়ান্ত। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অথবা বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণায় রাজনৈতিক দলসহ সবার সহযোগিতার বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আগামীকাল দুপুরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবে বলে জানান তিনি।
এ ছাড়া চূড়ান্ত পোস্টাল ব্যালটে নিষিদ্ধ বা স্থগিত—কোনো দলের প্রতীক থাকবে না বলেও জানান এই নির্বাচন কমিশনার।
১৫ দিন আগে
চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা: ইসি সানাউল্লাহ
চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশনের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘এ সপ্তাহের মধ্যে যেকোনো দিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার আগেই বলেছিলেন, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এই সপ্তাহ হচ্ছে ৮ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। এ সময়ের মধ্যে যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হবে।’
১৭ দিন আগে
ভোটের মাঠে ৮ দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাখার প্রস্তাব বিবেচনা করবে ইসি
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাঁচ দিনের পরিবর্তে ভোটের আগে ও পরে মোট আট দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোটের মাঠে মূলত পাঁচ দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাখি। এবার আট দিন রাখার প্রস্তাব এসেছে— নির্বাচনের আগে তিন দিন, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচন-পরবর্তী চার দিন। এটি আমরা পরীক্ষা করে দেখব।’
আখতার আহমেদ জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনা সদস্য মাঠে থাকবে। এছাড়া নির্বাচনে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্য এবং ৫ থেকে ৬ লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য মাঠে কাজ করবে। তবে আরপিও সংশোধনের পর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারিত হবে।
এর আগে, আজ সকালে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন এতে সভাপতিত্ব করেন।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর বিভাগ; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ; পুলিশ সদর দপ্তর; বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার-ভিডিপি, ডিএজিএফআই, এনএসআই, এনটিএমসি, বিশেষ শাখা (এসবি) ও সিআইডিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
ইসি সচিব বলেন, বৈঠকে মূলত কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়— এর মধ্যে ছিল ভোটকেন্দ্র ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা, মাঠ পর্যায়ের বাহিনীর সমন্বয়, অবৈধ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, বৈধ অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি পর্যবেক্ষণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য ও প্রচারণা প্রতিরোধ, বিদেশি সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক ও মনিটরিং সংস্থাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় সাধারণ নাগরিকদের ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। তবে প্রয়োজনে নিরাপত্তা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে।
নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, “অবশ্যই নির্বাচন-উপযোগী পরিবেশ বিদ্যমান আছে। সেই পরিবেশকে আরও সুদৃঢ় করতেই আজকের আলোচনা, এবং এটি চলমান থাকবে,” বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
৬৫ দিন আগে
দেশের আইনি কাঠামোয় পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের সুযোগ নেই: বার কাউন্সিল চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেছেন, দেশের আইনি কাঠামোয় পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একক অঞ্চলভিত্তিক নির্বাচন করবে। জামায়াত তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রচারের জন্য পিআর ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমেছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে ঝিনাইদহের মহেশপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
কাজল বলেন, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। আগামী নির্বাচনে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সব অংশীজন রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে দেশ গঠনে কাজ করবে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে জনগণের ভোটাধিকার ছিল না। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছিল। আর আওয়ামী লীগের তৈরি সন্ত্রাসবিরোধী আইনেই তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
ব্যারিস্টার কাজল আরও বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেবেন, আমরা সকলে তার পক্ষেই কাজ করব। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটি বাস্তবায়নে বিএনপি বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, সরকার গঠনের পর সুষম উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা হবে। তরুণ প্রজন্ম হবে বিএনপির আগামী সরকারের প্রধানতম শক্তি। তারুণ্যের শক্তিকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ।
৮৩ দিন আগে
দেশে নিবন্ধিত ভোটার ১২ কোটি ৬৪ লাখ: ইসি
প্রকাশিত হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী দেশে নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ১২ কেটি ৬৪ লাখ ৭ হাজার ৫০৪ জন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রবিবার (৩১ আগস্ট) হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ উপলক্ষে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এখন দেশে নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ১২ দশমিক ৬৪ কোটি (১২ কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৫০৪ জন) হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪১ লাখ ৪৫৫ জন এবং নারী ভোটার ৬ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৮১৯ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ২৩০ জন।
ইসি আখতার বলেন, নির্বাচন কমিশ এবছর (২০২৫) মোট তিনটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে। ‘প্রথমটি ২ মার্চ, দ্বিতীয়টি আজ (৩১ আগস্ট) প্রকাশ করা হলো। আর আরেকটি সম্পূরক তালিকা আগামী ৩১ অক্টোবর প্রকাশ করা হবে।’
গত ২ মার্চ হালনাগাদ প্রকাশ করা ভোটার তালিকায় দেশের ভোটার সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪। এর মধ্যে ৬ কোটি ৩৩ লাখ, ৬১ হাজার ৬১৫ জন পুরুষ এবং নারী ভোটার ছিল ৬ কোটি ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৫ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিল ৯৯৪ জন।
রবিবার (৩১ আগস্ট, ২০২৫) প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ তালিকায় ভোটারদের সংখ্যা ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬২৬ জন বৃদ্ধি পেয়েছে কারণ ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ২১৬ জন নতুন ভোটার ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। আর ভোটারদের মৃত্যুসহ নানা কারণে তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ২১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯০ জন ভোটার।
আরও পড়ুন: আগামী সংসদ নির্বাচন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল
ইসি সচিব বলেন, পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের আগে চলতি বছরের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ১৮ বছর পূর্ণকারী তরুণদের ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে ইসি আরেকটি সম্পূরক ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তী সম্পূরক তালিকার পর আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকাই চূড়ান্ত তালিকা হবে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশাধিকার সহজতর করার মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুবিধার্থে কমিশন একটি প্রস্তাব তৈরির কাজ করছে।
শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভোটদানে সহায়তার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়োগ করা হবে—এমন ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইউএনডিপির মতো উন্নয়ন অংশীদারসহ অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ করছি। কিছু প্রস্তাব এখনও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’
১১৫ দিন আগে
আগামী সংসদ নির্বাচন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল
বাংলাদেশের ইতিহাসে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে ত্রয়োদশ নির্বাচন হবে তার মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, আমাদের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ভালো নির্বাচন করতে হবে। এর বিকল্প নেই।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কোর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে কার্যক্রমে ৮০ জন কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচন আয়োজনে সাড়ে দশ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের জায়গা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ভালো নির্বাচন করতে হবে। ভালো নির্বাচন ছাড়া আমাদের সামনে দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নেই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত: জোটে ভোট দিলেও নিজ দলের মার্কায় ভোট দিতে হবে
তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচনের মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে প্রিসাইডিং অফিসার। তাদের শক্তিশালী ও দক্ষ করে তুলতে পারলেই একটি সুন্দর নির্বাচন সম্ভব হবে।’
পেশাদারত্ব ও নিরপেক্ষতা নির্বাচন কমিশনের বটম লাইন
অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের বটম লাইন হলো পেশাদারত্ব ও নিরপেক্ষতা। আপনাদের এ বার্তাই পৌঁছে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অগ্রাধিকার হচ্ছে পেশাদারত্ব এবং নিরপেক্ষতা। সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নৈতিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আইন কানুনের বাইরে কারো যাওয়ার সুযোগ নেই। শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে আগামী নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।’
১১৭ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ নেই: ইসি সচিব
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে এখনই উদ্বেগের কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আখতার আহমেদ।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যৌক্তিক কারণ নেই।’
তিনি বলেন, কমিশন এখন নির্বাচনের প্রস্তুতিকে ত্বরান্বিত করার ওপর জোর দিচ্ছে। এই মুহূর্তে সামগ্রিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশের কোনো কারণ নেই। আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি পরে বিবেচনা করা হবে।
নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রসঙ্গে ইসি সচিব জানান, রোডম্যাপের খসড়া ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং চলতি সপ্তাহের মধ্যেই তা প্রকাশ করা হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম, এ সপ্তাহেই কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে। বর্তমানে সমন্বয়ের কাজ চলছে। কমিশন অনুমোদন দিলেই আমরা তা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারব।
পড়ুন: পুলিশ-প্রশাসনে আ. লীগের অনুগতদের রেখে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়: রিজভী
ভোটকেন্দ্র সংক্রান্ত নির্দেশনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইসি সচিব বলেন, কমিশন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ৩ হাজার ভোটারের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে। তবে প্রতিটি বুথে ভোটার সংখ্যা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৬০০ করা হবে।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ১১ কোটি ৯৭ লাখ ভোটারের জন্য ৪২ হাজার ১৪৮টি ভোটকেন্দ্র ছিল।
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা বেড়ে ১২ কোটি ৭৮ লাখে ঠেকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১২৮ দিন আগে