নির্বাচন কমিশন
প্রবাসীদের ভোট নিশ্চিতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে ইসি
প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে এ নিয়ে পরামর্শ গ্রহণে কারিগরি বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্মশালা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বিশেষজ্ঞ দলটির সঙ্গে ইসির কর্মশালা উদ্বোধন করেন সিইসি। বলেন, ‘প্রবাসীদের ভোট নেওয়ার জন্য যে পদ্ধতিই গ্রহণ করা হোক, প্রথমে একটি পাইলট প্রকল্প আকারে ছোট পরিসরে সেটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে। প্রকল্প কার্যকর হলে পরবর্তীতে বড় পরিসরে বাস্তবায়ন করা হবে।’
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) দিনব্যাপি এ আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), বুয়েট, এমআইএসটিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ ও কমিশন কর্মকর্তাসহ অন্তত ৮০ জন অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়াও আয়োজনে যোগ দিয়েছেন চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব।
অনুষ্ঠানে সিইসি নাসির বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আশা করছি, আজকের কর্মশালার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের থেকে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি নির্ধারণ করা যাবে।’
আরও পড়ুন: অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করব: প্রধান উপদেষ্টা
বিশেষজ্ঞরা যে পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের পরামর্শ দেবেন সে অনুযায়ীই উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান নাসির উদ্দিন। সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা, ভোটারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রবাসীদের অবস্থা বিবেচনা করে ইসি সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের মতো নির্বাচন কমিশনও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে নাসির উদ্দিন বলেন,‘অনেক প্রবাসীই ভোট দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তাদের ভোটাধিকারের সুযোগ তৈরি করে দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে কাজটি খুব একটা সহজ নয়।’
বর্তমানে ইসি পোস্টাল ভোটিং, অনলাইন ভোটিং, প্রক্সি ভোটিং এই তিন পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে। তবে পোস্টাল ও অনলাইন ভোটিং পদ্ধতি বাংলাদেশে তেমন কার্যকর হবে না বলে জানান নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। সার্বিক বিবেচনায় প্রক্সি ভোট পদ্ধতিই বাংলাদেশে বেশি কার্যকর বলে মত দেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার নির্বাচন কমিশনের
প্রক্সি ভোট বা ছায়া ভোট হলো, নির্বাচনের সময়ে প্রবাসী কোনো ভোটার তার ভোটদানের ক্ষমতা আরেকজনের কাছে হস্তান্তর করতে পারবেন। সেই মনোনীত ব্যক্তিই প্রবাসীর হয়ে ভোট দেবেন।
৯ দিন আগে
নো ইলেকশন উইদাউট রিফর্ম: জামায়াত
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন আয়োজনে সমর্থন করবে না বলে জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর এমন মন্তব্য করেছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদসহ ছয়জনের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, নো ইলেকশন, উইদাউট রিফর্ম।’ অর্থাৎ সংস্কার ছাড়া নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে না ইসলামপন্থি এই রাজনৈতিক দলটি।
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু করতে যতটুকু সংস্কার দরকার, তা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমানেল মাসুদ, তাহমিদা আহমদ ও আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিলের পর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এটি জামায়াতের প্রথম কোনো বৈঠক হয়েছে। এর আগে দলটির নিবন্ধন থাকা অবস্থায় বার্ষিক অডিট রিপোর্ট দিতে ইসি সচিবালয়ে গিয়েছিলেন জামায়াত প্রতিনিধিরা।
বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনে এসেছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনারদের সাথে কথা বলব। আমাদের বক্তব্য তাদেরকে জানাব। পরে গণমাধ্যমের সাথেও আমরা কথা বলব।’
৬৩ দিন আগে
২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কাজ করছে ইসি: আনোয়ারুল ইসলাম
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার নলী কৃষ্ণ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে রাজনৈতিক নেতা ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সহযোগিতারও আহ্বান জানান।
কমিশনার আরও বলেন, ‘সবার প্রত্যাশা পূরণের জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: এনআইডির তথ্য ফাঁস: ৫ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্যের প্রমাণ পেয়েছে ইসি
চলমান নির্বাচনী সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেকোনো পরিবর্তন রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা বলেছেন। ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটার নিবন্ধন হালনাগাদ করার কারণে প্রায় ১৬ লাখ মৃত ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনী কারচুপির সম্ভাবনা দূর করতেই এই পদক্ষেপ বলেও উল্লেখ করেন এই কমিশনার।
এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুস আলী, মানিকগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৬৫ দিন আগে
আমরা কোনো রাজনীতিতে ঢুকতে চাই না: সিইসি
অতীতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন না করতে পারার জন্য নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাবকে দায়ী করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, আমরা কোনো রাজনীতিতে ঢুকতে চাই না।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ‘সাংবাদিক হোসাইন জাকির বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এমন কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা কমিশনে যারা আছি, আমরা কোনো রাজনীতিতে ঢুকতে চাই না। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে দাঁড়াতে চাই না। আমরা নিরপেক্ষ থাকতে চাই। আপনারা আমাদেরকে সাহায্য করবেন।’
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি বিচারপতি আব্দুর রউফের মৃত্যুতে আইন উপদেষ্টার শোক
‘আমরা নিরপেক্ষ থাকতে চাই। ইলেকশন কমিশনের এত বদনাম—এত গালি দেয়—এটা কেন হল? ১০০টা কারণ বলতে পারবেন, ২০০টা কারণ বলতে পারবেন! কিন্তু আমার কাছে এক নম্বর কারণ হলো পলিটিক্যাল কন্ট্রোল অফ দা ইলেকশন কমিশন (নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ)।’
‘এটি আমার কাছে মনে হয়েছে সবচাইতে বড় কারণ। রাজনীতির কাছে নির্বাচন কমিশনকে সঁপে দেওয়া—এটি হচ্ছে সবচেয়ে বড় কারণ,’ বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের ইনফ্লুয়েন্স অন দা ইলেকশন কমিশন বন্ধ করা না যায়, আবার সেই পুরনো জিনিস রিপিট হবে বলে আমি মনে করি। দে আর থাউজেন্ড রিজন, তবে আমার বিবেচনা সবচেয়ে বড় কারণ দেয়ার মে বি পলিটিক্যাল কন্ট্রোল অন দ্য ইলেকশন কমিশন। এটি আমার কাছে সবচেয়ে বড় কারণ মনে হয়েছে অতীতে।’
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি বিচারপতি আবদুর রউফের ইন্তেকাল
৬৭ দিন আগে
২৪’র গণঅভ্যুত্থান, নতুন রূপে নির্বাচন কমিশন
২০২৪ সালে নির্বাচন কমিশন টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে একটি বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছে বলে ধরা হয়। একই বছরে গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা হয়।
চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং মে ও জুন মাসে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন সেপ্টেম্বরে পদত্যাগের পর নভেম্বরে নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করে।
এছাড়া ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনি ক্ষেত্রে সংস্কার প্রবর্তনের জন্য দুটি কমিশন গঠন করা হয়। এর একটি ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এবং ড. তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন।
৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করে। তবে এই নির্বাচন বিএনপিসহ কয়েকটি বড় রাজনৈতিক দল বর্জন করেছিল।
একতরফা নির্বাচনগুলো ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। নির্বাচনে কম ভোটার উপস্থিতি, অনিয়ম, শক্তিশালী বিরোধী প্রার্থীর অনুপস্থিতি, সত্যিকারের ভোটারদের পছন্দ করার সুযোগ না থাকা এবং সমঝোতার বা বদলি প্রার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল।
নির্বাচন কমিশন ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ঘোষণা করলেও সরকারি পরিসংখ্যান ও মাঠ পর্যায়ের পর্যবেক্ষণের মধ্যে অসঙ্গতি স্পষ্টভাবে ফুটে উঠে।
বিগত ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের বিতর্কিত সাধারণ নির্বাচনের মতো ২০২৪ সালের নির্বাচন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছিল। উল্লেখ্য, বিএনপিসহ সত্যিকারের বিরোধী দলগুলো ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিলেও ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন পুরোপুরি বর্জন করে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
গত মে থেকে জুন পর্যন্ত কয়েকটি ধাপে দেশের প্রায় ৪৬০টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সহিংসতা, অনিয়মের কারণে বিএনপি ও তার মিত্রদের বর্জনের ফলে সেই নির্বাচনও বিতর্কিত হয়।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন
গত মার্চে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও কুমিল্লার মেয়র পদে উপনির্বাচন পরিচালনা করে ইসি।
সংস্কার কমিশন গঠন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এবং ড. তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করেছে।
এই কমিশনগুলো বর্তমানে দেশের নির্বাচনি এবং স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য প্রতিবেদন প্রস্তুত করছে। প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংস্কার প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের পদত্যাগ
গত ৫ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে পাঁচ বছরের মেয়াদের মাঝামাঝি সময়ে এসে পদত্যাগ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার নির্বাচন কমিশনার।
২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ শুরু করা কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনটি ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা, বিতর্কিত মন্তব্য এবং স্থানীয় নির্বাচনে অনিয়ম রোধে ব্যর্থতার জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিল।
পদত্যাগ ঘোষণার সময় হাবিবুল আউয়াল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পর্যায়ক্রমে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব করেন।
দলভিত্তিক আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) এবং নির্বাচনে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শও দেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ছাড়াও আউয়াল কমিশন তার আমলে ৯৯২টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৪৯৬টি উপজেলা পরিষদ, ৭১টি জেলা পরিষদ, ৯০টি পৌরসভা ও ১৬টি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ও উপনির্বাচন পরিচালনা করে।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তিদের বাছাই করার জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
গত ২১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাছির উদ্দিনকে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং চারজনকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন। ২৪ নভেম্বর নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করে।
সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার,সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমেদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
দায়িত্ব গ্রহণের পর নাসির উদ্দিন প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেছেন যে, এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়নের পরেই জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব হবে।
কিন্তু নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগেই ইসি পুনর্গঠন নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
১০৯ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার নির্বাচন কমিশনের
দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে উৎসবমুখর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এরই মধ্যে একটি সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনি সামগ্রী কেনার প্রক্রিয়া শুরু করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
হালনাগাদ ও শক্তিশালী ভোটার তালিকা নিশ্চিত করতে মার্চের পরিবর্তে জানুয়ারিতে নাগরিকদের ঘরে ঘরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ অভিযান দ্রুত বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনাও চলছে।
বৃহস্পতিবার(১৯ ডিসেম্বর) সিইসির সভাপতিত্বে কমিশনের তাৎক্ষণিক বৈঠকে এসব সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বৈঠকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
সুবিন্যস্ত ক্রয়ের সময়সীমা
ইসি মনে করে, সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে সচিবালয় প্রয়োজনীয় সব উপকরণ নিশ্চিত করতে পারবে।
কর্মকর্তারা সময়সীমা মেনে চলার জন্য সূক্ষ্ম পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
বৈঠকে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় মজুদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। এখন পর্যন্ত ইসির রয়েছে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, অমোচনীয় কালির কলম, অফিসিয়াল এবং মার্কিং সিল, স্ট্যাম্প প্যাড, চার্জার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনি বক্তব্য হতাশাজনক: ফখরুল
প্রত্যাশিত প্রয়োজনীয়তার বিপরীতে বিদ্যমান মজুদের পর্যালোচনা ক্রয় প্রক্রিয়াটির তাৎপর্যকে জোর দিয়েছে।
অমোচনীয় কালি, একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা অবশ্যই আমদানি করতে হবে। এটি সরবরাহের জন্য সাধারণত ৭০ দিন পর্যন্ত সময় দরকার হয়। তবে ইসি উল্লেখ করেছে যে কিছু ঠিকাদার অতীতে প্রক্রিয়াটি দ্রুত করেছে, যা একটি দক্ষ পরিবর্তনের আশা জাগিয়েছে।
নির্বাচনের সময়সীমার সঙ্গে মেলানো
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ২০২৫ সালের শেষের দিকে অথবা ২০২৬ সালের শুরুতে ১৩তম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এর জবাবে সিইসি এ এম এম নাছির উদ্দিন ইসি কর্মকর্তাদের এই নির্ধারিত সময়সীমার সঙ্গে প্রস্তুতি সমন্বয় করার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে ইসি
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতার ওপর আস্থা প্রকাশ করে সিইসি বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাবিত সময়সীমা অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত থাকব।’
ভোটার তালিকা হালনাগাদ
নির্বাচন কমিশণ ভোটার তালিকার বার্ষিক হালনাগাদ ত্বরান্বিত করতে প্রস্তুত।
ঐতিহ্যগতভাবে, ২ জানুয়ারি একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করে জনগণের প্রতিক্রিয়া আহ্বান করা হয়। এরপর ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে যেকোনো অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়।
তথ্য সংগ্রহ অভিযানের প্রস্তাবিত আগাম শুরু সঠিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভোটার তালিকা নিশ্চিত করতে ইসির অঙ্গীকারকে তুলে ধরে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে চারজন নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সুষ্ঠু প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার অঙ্গীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: ইসিতেই এনআইডি নিবন্ধনের কাজ রাখার দাবি কর্মকর্তাদের
১১৮ দিন আগে
নির্বাচন কমিশন ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল: সারজিস আলম
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘শুধু নির্বাচনের জন্য ২ হাজার মানুষ জীবন দেয়নি, আর এই অভ্যুত্থানও হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেমগুলোর জন্য এই মানুষগুলো বিগত ১৬ বছরে বিরক্ত হতে হতে দেয়ালে পিঠ লেগে গিয়েছিল।’
সারিজস আলম আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলের ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশন সংস্কার না করলে সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবেই আশা করা যাবে না।’
শনিবার (৯ অক্টোবর) সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: কর্তৃপক্ষ তাদের কথা রাখেনি, আন্দোলন চলবে: সমন্বয়ক সারজিস আলম
নির্বাচন প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, আমরা বলছি না রাষ্ট্রের সবকিছু সংস্কার করে নির্বাচনে যান। আমরা এটাও বলছি না আগামী ৫ থেকে ৬ বছর সংস্কার করেন। কিন্তু সংস্কারের জন্য ন্যূনতম একটা সময় লাগবে।
তিনি আরও বলেন, কোনো বিবেকবান মানুষ তার জায়গা থেকে চিন্তা করতে পারবে না যে এক বছরের মধ্যে সবকিছু সংস্কার হয়ে যাবে।
১৬ বছরে যে সিস্টেমগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে, সেই সিস্টেমগুলোকে সংস্কার করতে একটা যৌক্তিক সময় প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর এমনকি ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশের সংবিধান পাঁচ বছরের জন্য মানুষকে একটি ‘জনতার সরকার’ উপহার দিতে পারেনি। আমাদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করতে পারেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেই সাংবিধানিক সংস্কারও প্রয়োজন। পাঁচ বছরের জন্য ইশতেহার দিয়ে প্রতিটি সরকার ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় আসার পরপরই ইশতেহার ভুলে যায়। ভুলে যায় তারা যে জনতার সরকার।’
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শুধু একটা নির্বাচন কমিশনও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারে না। এর পাশাপাশি অনেকগুলা প্রতিষ্ঠান জড়িত। এরমধ্যে অন্যতম হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একটা সিস্টেমের মধ্যে আনতে হবে। তা না হলে নির্বাচন দিলে আবার জবরদখলের ঘটনা ঘটতে পারে। ক্ষমতার অপব্যবহার হতে পারে। আবার এই নির্বাচন ঘিরে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সে জন্য একটা বিচারিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। তাই বিচার ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন।’
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘হাইকোর্টে এখনও আওয়ামী লীগের কিছু দোসর-ফ্যাসিস্ট বসে আছে। যারা তাদের যোগ্যতার বলে সেখানে যায়নি। তোষামোদি আর তেলবাজি করে তারা সেখানে গিয়েছিল। তাদেরকে এই জায়গা থেকে অপসারণ করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে যারা এই জায়গাগুলোর জন্য যোগ্য তাদেরকে সেখানে বসাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই অভ্যুত্থান কিছু লোক দিয়ে হয়নি। যেই ফ্যাসিস্ট সরকারকে ১৬ বছরে বাংলাদেশের নামিদামি রাজনৈতিক সংগঠন এক টনক নড়াতে পারেনি, সেই শেখ হাসিনা কিছু লোকের জন্য এই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। পুরো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছিল বলে অভ্যুত্থান ঘটেছিল এবং শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েছিল।’
শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারা দেশ থেকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ জনের বেশি শহীদ পরিবারের তালিকা আমাদের কাছে এসেছে। যাচাই-বাছাই করে নির্বাচিতদের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রতিটি বিভাগীয় পর্যায়ে গিয়ে শহীদদের পরিবারের হাতে অনুদানের চেক তুলে দিচ্ছি। এটা আমাদের দায়িত্ব। বাকি যারা রয়েছেন তাদের কাগজপত্র সংগ্রহের কাজ চলছে। সেগুলো হাতে পেলে অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হবে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সিলেট বিভাগে নিহত ১৮ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব পরিবারের সদস্যদের মাঝে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়। দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
এছাড়া সংগঠনটির আরও ৮ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিজেদের কর্মের ফল ভোগ করছে: সারজিস আলম
রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় দেশবাসীর প্রতি আহ্বান সারজিস আলমের
১৫৮ দিন আগে
নির্বাচন কমিশন গঠনে সৎ-দক্ষ লোক নিয়োগ করা হবে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন অনুযায়ী সৎ, নির্ভীক ও দক্ষ লোক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী নিয়োগ হবে। আইনে তাই বলা হয়েছে। আমি সার্চ কমিটির সদস্য নই। আমরা কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেব।’
রবিবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
নির্বাচন কমিশন গঠনে গঠিত সার্চ কমিটি রবিবার বিকালে সুপ্রিম কোর্টে বৈঠকে বসছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, কমিটির মিটিংয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নেওয়া হবে। সার্চ কমিটি তাদের কর্মপদ্ধতি ঠিক করবে।
এছাড়া অন্যান্য কাজগুলো কীভাবে হবে রবিবার সেটি তারা নির্ধারণ করবেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ।
তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী কমিটি ১৫ দিনের মধ্যে সুপারিশ দেবে। এরপর রাষ্ট্রপতি কবে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন, সেটা আমরা বলতে পারব না।
বৃহস্পতিবার প্রধান ইসিসহ অন্যান্য কমিশনার নিয়োগে নতুন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ দিতে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে সরকার।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে ৬ সদস্য বিশিষ্ট সার্চ কমিটির আহ্বায়ক আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান।
রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুইজন বিশিষ্ট নাগরিক সদস্য হলেন- বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার।
এছাড়া আইন অনুযায়ী পদাধিকারবলে সদস্য হিসেবে আছেন বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম এবং পিএসসির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম।
অনুসন্ধান কমিটি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পন্ন করবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুসন্ধান কমিটির কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
অনুসন্ধান কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে রাষ্ট্রপতির কাছে দুইজন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করবে।
আরও পড়ুন: আমাদের কাজ হচ্ছে স্বচ্ছ ও জোরালো উপায়ে সত্য বলা: ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে প্রেস সচিব
১৬৪ দিন আগে
নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব হেলালুদ্দিন গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম থেকে সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব ও পিএসসির সদস্য হেলালুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রামের পুলিশ।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে বায়োজিদ থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সিএমপির কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে বিদেশি পিস্তল জব্দ, গ্রেপ্তার তিন
জানা গেছে, ফ্যাসিবাদের অন্যতম সহযোগী রাতের ভোটের কারিগর ছিলেন সাবেক সচিব হেলালুদ্দিন। এই হেলালুদ্দিন ২০১৮ সালে ভোট ডাকাতি, ২০২৪ সালে দিনের ভোট রাতে নেওয়ার অন্যতম কারিগর।
পুলিশ জানায়, তাকে বুধবার রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: হাসিনার মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারে সরকারের বিরুদ্ধে'লুকোচুরি'র অভিযোগ রিজভীর
১৭৫ দিন আগে
উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপের ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ২৯ মে
তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২৯ মে ১১২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এ তফসিল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ মে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১২ মে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বিএনপি
এছাড়া মনোনয়নপত্র গ্রহণ বা বাতিলের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৬ থেকে ৮ মে আপিল করতে পারবেন প্রার্থীরা। আর আপিল নিষ্পত্তি করা হবে আগামী ৯-১১ মে।
এরপর ১৩ মে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।
তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ১১২টি উপজেলায় প্রচলিত ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এবার চার ধাপে ষষ্ঠবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন। এবার সারাদেশে ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৫০টির বেশি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত ৮ মে ১৫০টি উপজেলায় এবং ২১ মে ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য দুই ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন।
গত সোমবার প্রথম ধাপের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা শেষ হয়। ১৫০টি উপজেলায় একটি চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুটি করে মোট ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়ন দাখিল পদ্ধতি চালু করেছে ইসি
৩৬৪ দিন আগে