সংস্থাগুলো হলো- বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট।
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির প্রতিবেদন এখনো দাখিল করা হয়নি।
মঙ্গলবার বিএসটিআইয়ের আইনজীবী পৃথক তিনটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের বেঞ্চ প্রতিবেদনগুলো দেখে আইনজীবীদের প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে বলেন।
পরে রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার অনিক আর হক জানান, প্রতিবেদনগুলো বুধবার হলফনামা আকারে জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১৪ জুলাই বিএসটিআইয়ের অনুমোদন প্রাপ্ত কোম্পানিগুলোর পাস্তুরিত দুধ পৃথক চারটি সংস্থার ল্যাবে পরীক্ষা করে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। দুধে অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যাকটেরিয়া ও ফরমালিনের পাশাপাশি অন্য কোনো ক্ষতিকর উপাদান আছে কি না তা নিরূপণ করতে বলা হয়।
দুধে ভেজাল নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে গত বছরের ২১ মে এক আদেশে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের নিয়ে কমিটি গঠন করে বাজারে থাকা পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
বিএসটিআইয়ের আইনজীবী গত ২৫ জুন আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। সেদিন তিনি বলেন, ১৪টি কোম্পানির পাস্তরিত দুধে আশঙ্কাজনক বা ক্ষতিকর কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। তবে একই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক এক সংবাদ সম্মেলনে একটি গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনার সবগুলোতে মানব চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক লেভোফ্লক্সাসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং ছয়টিতে এজিথ্রোমাইসিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সবগুলোতে ফরমালিন এবং তিনটি নমুনায় ডিটারজেন্টের উপস্থিতি ছিল।
পরে গত ১৪ জুলাই শুনানিকালে বিএসটিআই স্বীকার করে যে অ্যান্টিবায়োটিক পরীক্ষার সক্ষমতা তাদের নেই। পরে হাইকোর্ট পৃথক চারটি ল্যাবরেটরি থেকে দুধ পরীক্ষা করে এক সপ্তাহের মধ্যে বিএসটিআইকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলে।