চিঠির বিষয়টি স্বীকার করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, এ বিষয়ে থানায় কোনো জিডি করেননি তিনি। তবে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসককে পাঠানো ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘যদি দেশকে বাঁচাতে চান, মানুষকে বাঁচাতে চান তাহলে কোনোরূপ চালাকি বা পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করবেন না। আর এর যদি কোনো ব্যতিক্রম হয় বা সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে কাজ করেন, খোদার কসম করে বলছি দেশ শ্মশানে পরিণত হবে। আপনারা কেউ বাঁচাতে পারবেন না। জনগণই আপনাদের তুলাধুনা করবে। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি, দেশ স্বাধীন করেছি। দেশে কোনো বেঈমান মীরজাফর থাকতে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে আরও একটি মুক্তিযুদ্ধ হবে, মাইন্ড ইট।’
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘এখন দেখছি আপনারা বড় রাজাকার। এই দশ বছর হাসিনা আপনাদের লালন পালন করে রেখেছে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বেঈমানি করার জন্য তাই না? জনগণ তা হতে দেবে না। এর খেসারত আপনাদের পেতেই হবে। কথাটা মনে রাখবেন। একাত্তর এর যুদ্ধ তো দেখেন নাই, তা হলে কেমন করে বুঝবেন স্বজন হারানোর জ্বালা। প্রশাসক সাহেব, আপনারও ছেলে মেয়ে আছে, তাদের কথা ভাবুন। স্বজন হারার জ্বালা যে কত নির্মম, কত ভয়াবহ তা ৩০ ডিসেম্বরের পর হাড়ে হাড়ে টের পাবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ আপনাদের বুঝবার শক্তি দেন। দেশ থাকবে আপনি থাকবেন না, আমিও থাকবো না, তাহলে কেন পরবর্তী প্রজন্মের গ্লানি নিয়ে বেঁচে থাকবেন।’